Announcement

Collapse
No announcement yet.

🌠🌟বন্দীত্বের চেয়ে মৃত্যুকে বরণ করে নেয়াই সাহাবাদের ও সালাফদের সুন্নাহ ⏬⏬⏬

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • 🌠🌟বন্দীত্বের চেয়ে মৃত্যুকে বরণ করে নেয়াই সাহাবাদের ও সালাফদের সুন্নাহ ⏬⏬⏬

    বন্দীত্বের চেয়ে মৃত্যুকে বরণ করে নেয়াই সাহাবাদের ও সালাফদের সুন্নাহ:
    •••••••••»»««••••••••••

    ▪️ দলীল – ১:
    সাহাবী আসিম ইবনে সাবিত রাদি.-কে যখন কুফফাররা চারদিক থেকে ঘেরাও করলো, তখন তারা তাকে আত্মসমর্পণ করার শর্তে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিলো, তখন সাহাবী বললেন:
    أما أنا فلا أنزل في ذمة كافر.
    «আমি কিছুতেই কোনো কাফিরের বন্দিত্বে যাবো না»
    [ সহীহুল বুখারী ]

    অতপর কাফিররা তাকে আত্মসমর্পণ ও বন্দীত্ব গ্রহন না করার কারণে হত্যা করে ফেলে, অতঃপর আল্লাহ তা’য়ালা ফেরেশতার মাধ্যমে তার লাশের হিফাজত করেন। এসবই বুখারীর হাদীসে বর্ণিত।

    লক্ষণীয়: এখানে কাফিররা নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও উক্ত সাহাবী তাদের বন্দীত্ব গ্রহণ না করে মৃত্যুর পথ বেছে নিলেন, তাহলে যেসব মুমিনদেরকে কাফিররা আদৌ নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেয়নি তাহলে তাদের জন্য মৃত্যুকে গ্রহণ করা আরো কতটা জরুরী!

    ▪️ দলীল -২:
    ইমাম আহমাদ রহিমাহুল্লাহ বলেন:
    الأسر شديد، ولا بد من الموت.
    «বন্দিত্ব একটি গুরুতর খারাপ বিষয়, এক্ষেত্রে (বন্দীত্বের বদলে) মৃত্যবরণ করা আবশ্যক»
    [ আল-ইকনা’.]

    ▪️ দলীল – ৩:
    ইমাম আম্মার রহিমাহুল্লাহ বলেন:
    من استأسر برئت منه الذمة
    «যে ব্যক্তি বন্দিত্ব গ্রহণ করবে তার প্রতি কোনো দায়িত্ব থাকবে না»
    [ আল-ফুরূ’ ]

    ইমাম আজুররী ও ইমাম আহমাদ বলেন:
    يــأثــم (أي: الذي يستأسر)
    «বন্দিত্ব গ্রহণকারী ব্যক্তি গুনাগার হবে»
    [ আল-ফুরূ’ ]

    •••••••••»»««•••••••••
    সুতরাং,
    — পালিয়ে যাওয়ার বা লড়াই করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কাফির/মুরতাদদের কাছে আত্মসমর্পণ/বন্দীত্ব গ্রহণ করবে সে ব্যক্তি গুনাহগার সাব্যস্ত হবে।

    — কাফিরদের নিকট আত্মসমর্পণ বা বন্দীত্ব গ্রহন করার মানে হলো নিজের দীন ও ঈমানকে হুমকির মুখে নিক্ষেপ করা।
    এমন অনেক বন্দী রয়েছে যারা বন্দী হওয়ার সময় ছিলো মুয়াহহিদ, কিন্তু বন্দীত্ব থেকে মুক্তি লাভ করে মুরতাদ অবস্থায়!!

    — কাফির/মুরতাদরা হামলা বা রেইড করলে বন্দীত্ব থেকে বাঁচতে নিজের শেষ চেষ্টা পর্যন্ত লড়ে যেতে হবে। এতে যদি মারাও যায়, তো এটাই সালাফদের সুন্নাহ, এবং সে শাহাদাহ লাভ করবে।

    — সুতরাং হে মুয়াহহিদ ভাই! কিছুতেই যেন আপনি মুরতাদ ও কাফিরদের হাতে বন্দী না হন। এজন্য আপনার কর্তব্য:

    ১- নিজের অনলাইন ও অফলাইন নিরাপত্তা ঠিক রাখা।

    ২- সকাল ও বিকালের সুন্নাতী দোয়াগুলো নিয়মিত আদায় করা, আর বেশি করে আল্লাহর নিকট আফিয়ত বা নিরাপত্তা চাওয়া। হ্যা এটাই হলো নিরাপত্তার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়।

    ৩- সবসময় এই প্রস্তুতি নিয়ে থাকা যে, কাফিররা যদি এরেস্ট করতে আসে তাহলে নিজের প্রাণ দিয়ে দিবো, তবুও তাদের হাতে বন্দী হবো না।

    ৪- আর যদি ইতিমধ্যে আপনি বন্দী হয়ে থাকেন, তাহলে প্রথমত কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করুন, নতুবা কারাগারের মধ্যেই হাতের সামনে যাই পান সেটা দিয়ে কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু দিন। সেটা হতে পারে রান্নাঘরের কোনো চাকু দিয়ে, অথবা এরূপ কোনো অস্ত্র বা যন্ত্র দিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন, যতক্ষণ না আপনার রবের সাক্ষাৎ লাভ করেন এবং দুনিয়া নামক কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে যান। হ্যা এটাই তো মহাসফলতা।

    সুতরাং বন্দীত্বের মোকাবেলায় অনুসরণ করুন তাদের আদর্শ।
    “দ্বীনের জন্য রক্ত দিতে দৌড়ে বেড়ায় যারা,সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর উত্তরসূরী তারা”–TBangla

  • #2
    ইয়া রব্ব! আমাদেরকে শাহাদাতের অমৃত সুধা পানের তাওফীক দিন। আমীন
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      আলহামদুলিল্লাহ, সুন্দর একটি লেখা পেলাম। যা জানা ছিল না, তা জানলাম। জাযাকাল্লাহ

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ্ অনেক সুন্দর পোষ্ট
        আল্লাহ্ আমাদের সকল ভাইকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন আমীন।

        Comment


        • #5
          সুপ্রিয় ভাইয়েরা,, এক্ষেত্রে আত্নহত্যা হওয়ার আশংকা আছে কি না। যদি কেউ বন্দী হওয়ার উপক্রম হয়, এক্ষেত্রে আপনাদের চূড়ান্ত পরামর্শ কী হবে???
          আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

          Comment


          • #6
            আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন। আমীন
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              অসাধারণ শিক্ষানীয় একটি পোষ্ট
              বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

              Comment


              • #8
                এখানে মাসআলা হল যে কোন দল যদি এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় যে যদি তারা জিহাদ করে তাহলে তারা নিহত হবে আর জিহাদ না করে তাহলে তারা বন্দি হবে তাহলে বন্দিত্ব বরন করে নেওয়া জায়েজ আছে ।তবে বন্দিত্ব অনেক ভয়াবহ ব্যপার এবং তারা যেই অত্যাচার করে এসব অত্যাচার কেউ ভোগ না করলে বুঝতে পারে না। আমর মনে হয় সম্ভবত তারা নাপাক কিছু খাবিয়ে তাদের মন মানসিকতা পরিবর্তন করে অনেককে মুরতাদ বানিয়ে দেয়। এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও পথভ্রষ্টকারী বিপদ থেকে বাঁচতে মৃত্যুর জন্য দোয়া করেছেন দলিল عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ ( قَالَ: احْتُبِسَ عَنَّا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ غَدَاةٍ عَنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ حَتَّى كِدْنَا نَتَرَاءَى عَيْنَ الشَّمْسِ، فَخَرَجَ سَرِيعًا فَثُوِّبَ بِالصَّلَاةِ، فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَجَوَّزَ فِي صَلَاتِهِ فَلَمَّا سَلَّمَ دَعَا بِصَوْتِهِ فَقَالَ لَنَا: «عَلَى مَصَافِّكُمْ كَمَا أَنْتُمْ» ثُمَّ انْفَتَلَ إِلَيْنَا ثُمَّ قَالَ: «أَمَا إِنِّي سَأُحَدِّثُكُمْ مَا حَبَسَنِي عَنْكُمْ الْغَدَاةَ، إنِّي قُمْتُ مِنْ اللَّيْلِ فَتَوَضَّأْتُ وَصَلَّيْتُ مَا قُدِّرَ لِي فَنَعَسْتُ فِي صَلَاتِي حتى اسْتَثْقَلْتُ فَإِذَا أَنَا بِرَبِّي -تَبَارَكَ وَتَعَالَى- فِي أَحْسَنِ صُورَةٍ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ, قُلْتُ: لَبَّيْكَ رَبِّ. قَالَ: فِيمَ يَخْتَصِمُ الْمَلَأُ الْأَعْلَى؟ قُلْتُ: لَا أَدْرِي رَبِّ-قَالَهَا ثَلَاثًا- قَالَ: فَرَأَيْتُهُ وَضَعَ كَفَّهُ بَيْنَ كَتِفَيَّ حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ أَنَامِلِهِ بَيْنَ ثَدْيَيَّ فَتَجَلَّى لِي كُلُّ شَيْءٍ وَعَرَفْتُ. فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، قُلْتُ: لَبَّيْكَ رَبِّ، قَالَ: فِيمَ يَخْتَصِمُ الْمَلَأُ الْأَعْلَى؟ قُلْتُ: فِي الْكَفَّارَاتِ، قَالَ: مَا هُنَّ؟ قُلْتُ: مَشْيُ الْأَقْدَامِ إِلَى الْجَمَاعَاتِ وَالْجُلُوسُ فِي الْمَسَاجِدِ بَعْدَ الصَّلَوَاتِ، وَإِسْبَاغُ الْوُضُوءِ فِي الْمَكْرُوهَاتِ، قَالَ: ثم فِيم؟َ قُلْتُ: إِطْعَامُ الطَّعَامِ، وَلِينُ الْكَلَامِ وَالصَّلَاةُ بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ، قَالَ: سَلْ، قُلْتُ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ وَحُبَّ الْمَسَاكِينِ وَأَنْ تَغْفِرَ لِي وَتَرْحَمَنِي وَإِذَا أَرَدْتَ فِتْنَةَ قَوْمٍ فَتَوَفَّنِي غَيْرَ مَفْتُونٍ، أَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يُحِبُّكَ، وَحُبَّ عَمَلٍ يُقَرِّبُ إِلَى حُبِّكَ». قَالَ رَسُولُ اللَّه صلى الله عليه وسلم : ِ «إِنَّهَا حَقٌّ فَادْرُسُوهَا ثُمَّ تَعَلَّمُوهَا». ( ت ) صحيح মুয়ায ইবনু জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: একদা ফজর সালাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবিলম্ব করলেন, আমরা প্রায় সূর্যের অগ্রভাগ দেখার কাছাকাছি ছিলাম, অতঃপর তিনি দ্রুত বের হলেন, সালাতের ঘোষণা দেয়া হল, তিনি দ্রুত সালাত আদায় করলেন, যখন সালাম ফিরালেন উচ্চ স্বরে আমাদেরকে বললেন: “তোমরা তোমাদের কাতারে থাক যেরূপ আছ”। অতঃপর আমাদের দিকে ফিরে বললেন: “আমি অবশ্যই তোমাদের বলব কি কারণে আজ আমার বিলম্ব হয়েছে। আমি রাতে উঠে ওযু করেছি অতঃপর যা তাওফিক হয়েছে সালাত আদায় করেছি, সালাতে আমার তন্দ্রা এসে যায় তাই আমার কষ্ট হচ্ছিল, হঠাৎ দেখি আমার রব আমার সামনে সর্বোত্তম আকৃতিতে। তিনি আমাকে বললেন: হে মুহাম্মদ, আমি বললাম: লাব্বাইক আমার রব। তিনি বললেন: ঊর্ধ্বজগতের ফেরেশতারা কি নিয়ে তর্ক করছে? আমি বললাম: হে আমার রব আমি জানি না, -তিনি তা তিনবার বললেন- রাসূল বলেন: আমি দেখলাম তিনি (আল্লাহ) নিজ হাতের তালু আমার ঘাড়ের ওপর রাখলেন, এমনকি আমি তার আঙ্গুলের শীতলতা আমার বুকের মধ্যে অনুভব করেছি, ফলে আমার সামনে প্রত্যেক বস্তু জাহির হল ও আমি চিনলাম। অতঃপর বললেন: হে মুহাম্মদ, আমি বললাম: লাব্বাইক হে আমার রব। তিনি বললেন: ঊর্ধ্ব জগতের ফেরেশতারা কি নিয়ে তর্ক করছে? আমি বললাম: কাফফারা সম্পর্কে। তিনি বললেন: তা কি? আমি বললাম: জামাতের জন্য হাঁটা, সালাতের পর মসজিদে বসে থাকা, কষ্টের সময় পূর্ণরূপে ওযু করা। তিনি বলেন: অতঃপর কোন বিষয়ে? আমি বললাম: পানাহার করানো, সুন্দর কথা বলা, মানুষের ঘুমিয়ে থাকাবস্থায় রাতে সালাত আদায় করা। তিনি (আল্লাহ) বললেন: তুমি চাও, আমি বললাম: “হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে কল্যাণের কাজ করার তৌফিক চাই, খারাপ কাজ ছেড়ে দেয়ার তৌফিক চাই, অভাবীদের জন্য ভালোবাসা, আর আপনি যেন আমাকে ক্ষমা করেন ও আমার প্রতি রহম করেন। আর যখন আপনি কোন কাওমকে ফিতনা তথা পরীক্ষায় নিপতিত করতে চান, তখন আমাকে পরীক্ষায় নিপতিত না করে মৃত্যু দিন। আমি আপনার কাছে আপনার ভালোবাসা, আপনাকে যে ভালোবাসে তার ভালবাসা এবং এমন আমলের ভালোবাসা চাই যা আমাকে আপনার ভালোবাসার নিকটে নিয়ে যাবে।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: নিশ্চয় এ বাক্যগুলো সত্য, তোমরা এগুলো শিখ ও শিক্ষা দাও”। [তিরমিযি] হাদিসটি সহিহ।
                পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

                Comment

                Working...
                X