Announcement

Collapse
No announcement yet.

একটি সংশয় :মুরতাদদের সাথে লড়াই করাই কি অগ্রাধিকারযোগ্য নয়?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • একটি সংশয় :মুরতাদদের সাথে লড়াই করাই কি অগ্রাধিকারযোগ্য নয়?

    আমরা জানি,
    ইসলামী খিলাফাহর সবচেয়ে সংকটময় মুহূর্তে আবু বকর রাযিয়াল্লাহু মুরতাদদের সাথে লড়াই করাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
    শায়খ আব্দুল কাদীর বিন আব্দুল আজীজ রাহিমাহুল্লাহ তার "মাআলিম আসাসিইয়া" নামক কিতাবে বলেছেন, আসলী কাফেরদের তুলনায় মুরতাদদের সাথে লড়াই করা অগ্রাধিকার পাবে।তিনি এর স্বপক্ষে তিনটা কারণও বর্ণনা করেছেন।
    তাহলে কেন আমাদের "আচরণবিধি" তে যথাসম্ভব মুরতাদদেরকে এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে??
    দলীলসহ জবাব চাই।

  • #2
    সহজ ভাষায় বললে এর উত্তর হবে যুদ্ধ কৌশল- এটার উত্তর শাইখ আইমান হাফিযাহুল্লাহ-ই দিয়েছেন-
    // প্রথমত: ভূমিকা

    ১। এটা কোন গোপন বিষয় নয় যে, এ পর্যায়ে আমাদের কর্মকান্ড দু’টি ধারায় বিভক্ত: প্রথমটি হচ্ছে সামরিক এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে দাওয়াত।

    ২। সামরিক কর্মকান্ড: সামরিক কর্মকান্ডের প্রথম টার্গেট বা লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে কুফরের (আন্তর্জাতিক) কেন্দ্র আমেরিকা ও তার মিত্র ইসরায়েল এবং দ্বিতীয় টার্গেট হচ্ছে তাদের স্থানীয়/আঞ্চলিক মিত্র যারা মুসলমানদের দেশগুলোর শাসক।

    ক. আমেরিকাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো: আমেরিকাকে টার্গেট বা লক্ষ্যবস্তু বানানোর উদ্দেশ্য হলো, তাকে নিঃশেষ করে ধ্বংসের দুয়ারে পৌঁছে দেয়া যেন তা পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাগ্যবরণ করে এবং তার সামরিক, জনবল ও অর্থনৈতিক ক্ষতির দরুন নিজ ভারেই মুখ থুবরে পড়ে। যার ফলস্বরূপ আমাদের ভূমিসমূহে তাদের প্রভাব খর্ব হয়ে যাবে এবং তাদের মিত্রদেরও একের পর এক পতন হতে থাকবে।

    সাম্প্রতিক আরব বিপ্লবে যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা আমেরিকার কুপ্রভাব পতনের ঈঙ্গিত বহন করে। আফগানিস্তান এবং ইরাকে মুজাহিদীনদের হাতে অব্যাহত নাস্তানাবুদ হবার পর এবং সেপ্টেম্বর ২০০১ এর পর থেকে তাদের জাতীয় নিরাপত্তা ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়ায় আমেরিকা এখন মুসলিম দেশসমূহের জনগণের চাপের মুখে পশ্চাদপসরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই পরিস্থিতি এখন স্ফীত হয়ে মোড় নিয়েছে তাদের তাবেদারদের দিকে। আল্লাহর অনুমতিক্রমে, আগত পর্যায়টি আন্তর্জাতিক বিষয়াদিতে আমেরিকার প্রভাব আরো কমে যাওয়া এবং পশ্চাদপসরণের ফলে আমেরিকার তার নিজ খোলসের ভেতরে আরো বেশী ঢুকে যাওয়ার সাক্ষী হয়ে থাকবে, যা তাদের দোসর ও তাবেদার সরকার সমূহকেও দুর্বল করে দেবে।

    খ. মুসলিম দেশে আমেরিকার তাবেদার সরকারকে লক্ষ্যবস্তু বানানো: আমেরিকার তাবেদারদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর ব্যাপারে বলতে হলে, এর বাস্তবতা একেক জায়গায় একেক রকম। এক্ষেত্রে সাধারণ মূলনীতি হচ্ছে, তাদের সাথে যে কোন সংঘর্ষ এড়িয়ে যাওয়া, শুধুমাত্র সেই দেশসমূহ ব্যতীত যেখানে সম্মুখ সমরে তাদের মোকাবেলা করা অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়।

    উদাহরণস্বরূপ,

    আফগানিস্তানে তাদের (আমেরিকার তাবেদার সরকার বাহিনীর) মোকাবেলা করা আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধেরই অংশ।

    পাকিস্তানে তাদের (তাবেদার সরকার গোষ্ঠী) বিরুদ্ধে লড়াই আফগানিস্তানে মার্কিন দখলদারিত্ব হতে মুক্তির ক্ষেত্রে পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে। এরপর এর অপর উদ্দেশ্য হলো, সেখানে পাকিস্তানের মুজাহিদীনদের জন্য একটি অভয়ারণ্য সৃষ্টি করা যা পরবর্তীতে পাকিস্তানে ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েমের জন্য জিহাদের উৎক্ষেপণাঞ্চল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

    ইরাকে তাদের (তাবেদার সরকার গোষ্ঠী) বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লক্ষ্য হচ্ছে সুন্নিদের অঞ্চল সমূহকে আমেরিকার উত্তরাধিকারী শিয়াদের হাত থেকে মুক্ত করা।

    আলজেরিয়ায়, যেখানে মার্কিন উপস্থিতি নগণ্য এবং ক্ষীণ সেখানেও সরকার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লক্ষ্য হচ্ছে তাদেরকে দুর্বল করে ফেলা এবং “ইসলামিক মাগরিব”, পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলীয় অঞ্চল এবং দক্ষিণ সাহারার দেশসমূহে জিহাদী চেতনা উজ্জীবিত করা ।সম্প্রতি আমেরিকা এবং এর মিত্রদের সাথে সংঘাতের সম্ভাবনা এ অঞ্চলে প্রকটভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে।

    আরব উপদ্বীপসমূহে তাদের (তাবেদার সরকার গোষ্ঠী) বিরুদ্ধে লড়াই করার কারণ হচ্ছেআমেরিকার তাবেদারী।

    সোমালিয়ায় তাদের (তাবেদার সরকার গোষ্ঠী) বিরুদ্ধে লড়াই এর কারণ হচ্ছে তারা ক্রুসেডার দখলদার বাহিনীর অগ্রবাহিনী হিসেবে কাজ করছে।

    সিরিয়ায় তাদের (তাবেদার সরকার গোষ্ঠী) বিরুদ্ধে জিহাদ এই কারণে যে, এর শাসকেরা কোন মুসলমানের নূন্যতম ইসলামী সত্তাকে সহ্য করে না, আর জিহাদী চেতনার মুসলমানদের ব্যাপারে বলা বাহুল্য। এবং তাদের ইসলাম নির্মূলের প্রচেষ্টার রক্তাক্ত ইতিহাস একটা সর্বজন–বিদিত বিষয়।

    জেরুজালেমের পরিবেষ্টনে, সর্বপ্রথমও প্রধান যুদ্ধ হচ্ছে ইহুদিদের বিরুদ্ধে এবং এক্ষেত্রে স্থানীয় শাসকদের সাথে অবশ্যই যথাসম্ভব ধৈর্য্যের পরিচয় দিতে হবে যারা “অসলো চুক্তির” অধীনে ক্ষমাতাপ্রাপ্ত হয়েছে।//

    পুরোটা পড়ুন- http://gazwah.net/?p=11725

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ মডারেট ভাই উপযোক্ত জবাবের মাধ্যমে ভাইয়ের সংশয়ের জবাব দিয়েছেন জাযাকাল্লাহু খাইরান
      আমি নিজে অনেক উপকূত হয়েছি
      ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

      Comment

      Working...
      X