Announcement

Collapse
No announcement yet.

উলামায়ে কেরামের শান-মান রক্ষা সম্পর্কে একিউ এর অবস্থান

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উলামায়ে কেরামের শান-মান রক্ষা সম্পর্কে একিউ এর অবস্থান

    উলামায়ে কেরামের শান-মান রক্ষা সম্পর্কে একিউ এর অবস্থান





    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ.
    প্রিয় ভাইয়েরা- আশা করি সবাই কুশলেই আছেন।

    পর সমাচার,
    দীর্ঘ দিনের একটি ইচ্ছা ছিল, অনলাইনে/অফলাইনে উলামায়ে কেরামের শান-মান রক্ষা সম্পর্কে আমার প্রিয় ভাইদের উদ্দেশ্যে একটি আর্টিকেল লিখব, ইনশাআল্লাহ। কারণ, এ ব্যাপারে আমাদের অনেক বুঝমান ভাই একিউ এর মানহায সম্পর্কে অবগত নন বলেই মনে হয়েছে। যার কারণে অনেককেই অবলীলায় একথা বলতে শোনা যায় যে, তারা তো উলামায়ে কেরামকে তা’যীম (সম্মান) করে না। তাদের সমালোচনা করে। এমনকি অনেক খ্যাতিমান আলিমকে কাফির (!) ফতোয়া দিতেও তাদের অন্তরাত্মা কেঁপে উঠে না। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)

    আসলে আমাদের যে ভাইয়েরা এমন কথা বলেন, তারা কয়েকটি কারণে এমন ধারণাপ্রসূত কথা বলে থাকেন-

    ১- জিহাদ সমর্থক দাবিদার কিছু অবুঝ ভাইদের অনলাইনে/অফলাইনে এমন আচরণ করার কারণে।
    ২- এ ব্যাপারে একিউ এর মানহায সম্পর্কে অবগত না থাকার কারণে।
    ৩- বিশেষ করে অনলাইনে অপরিচিত কোন আইডি থেকে এমন বাজে লেখা/মন্তব্য দেখার পর তা জিহাদীদের উপর, খাস করে একিউ এর চাপিয়ে দেন। এ ব্যাপারে অফিসিয়ালী বক্তব্য জানার ন্যূনতম চেষ্টাও করা হয় না।
    ৪- অনেকে আবার খারেজী আইএসের শরীয়াহ বহির্ভূত কাজগুলোর দায়ভার অনেকটা আমভাবে জিহাদীদের উপর, আর খাসভাবে একিউ এর চাপিয়ে দেন। বিশেষ করে তাকফীরের ব্যাপারে তারা যে বাড়াবাড়ি করেছে, সেটা আমাদের উপরও সমভাবে প্রয়োগ করে দেন। অথচ প্রকৃত বাস্তবতা হলো- আমাদের ও তাদের মাঝে আকাশ-পাতাল ব্যবধান বিদ্যমান।
    প্রভৃতি

    প্রিয় ভাইয়েরা- এই পোস্টে সংক্ষেপে উপরোক্ত ধারণার খণ্ডন ও একিউ মানহায স্পষ্ট করার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ। ওয়া তাওফিকী ইল্লা বিল্লাহ

    প্রথম কথা হলো- যারা অন্যায়ভাবে ও বিশ্রী শব্দে উলামায়ে কেরামের তাওহীন বা অসম্মান অথবা সমালোচনা করে তারা একিউ মানহাযের কেউ না। কারণ, এমন ব্যক্তি সমালোচনা; যা শরীয়াহ সমর্থণ করে না বা দাওয়াতের উসুলের বাহিরে হয়, তা একিউ কখনোই সমর্থন করে না। যদি কেউ নিজেকে এ মর্মে দাবিও করে, তবুও তা বিশ্বাস করা যাবে না।

    অতএব, সকলের নিকট বিনীত অনুরোধ থাকবে- আপনারা অনুগ্রহ করে একিউ এর অফিসিয়াল প্রকাশনাগুলো এবং অফিসিয়াল ব্যক্তির কাজের আলোকে আমাদেরকে যাচাই করবেন। তাহলেই আপনাদের সামনে সবকিছু পরিষ্কার থাকবে ইনশাআল্লাহ। আপনাদের এতটুকু আশ্বস্ত তো করাই যায়, যারা তানযীমের সাথে প্রকৃতপক্ষেই যুক্ত তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করেন অফিসিয়াল বক্তব্যগুলো নিজেদের জীবনে বাস্তবায়নের। তাই তারা উলামাদের শান-মান রক্ষার ক্ষেত্রে কমতি করেন না।

    মোটকথা হলো-
    অনলাইনে কেউ জিহাদ নিয়ে কথা বললেই তাকে জিহাদি মানহাজের মুখপাত্র ভেবে অন্ধভাবে তার কথা বিশ্বাস করা যাবে না। তার ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে সুনিশ্চিতিভাবে না জেনে তাকে প্রমোটও করা যাবে না। কারণ এমন অনেকে আছে যারা বিভিন্ন বিভ্রান্ত গোষ্ঠীর—যেমন, আইএস (দায়েশের) অনুসারী ও তাদের চিন্তাধারার প্রচারক, আবার অনেকে আছে তাগুতের গোয়েন্দা —তাদের সংশয় থেকে নিজেকে ও অন্য ভাইদেরকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে।

    প্রিয় ভাইয়েরা- এবার আসুন জেনে যাওয়া যাক যে, এ ব্যাপারে একিউ এর অফিসিয়াল বক্তব্যগুলো কী?

    [এখানে আমরা প্রয়োজন পরিমাণ উল্লেখ করছি, বিস্তারিত জানতে ও পড়তে অফিসিয়াল প্রকাশনাগুলো দ্রষ্টব্য]

    • সম্মানিত ও অনুসৃত উলামাগণের ব্যাপারে এমনভাবে ব্যক্তি সমালোচনা করা যা শরীয়াহ সমর্থিত নয়, এবং দাওয়াহর উসুলের বাইরে। তাদের নামে অনর্থক কুৎসা রটানো। তাদের শানে নানা মন্দ শব্দ প্রয়োগ করা। যেমন : দরবারি, দালাল, মুরজিয়া, তাগুতের গোলাম ইত্যাদি। মনে রাখতে হবে, ইখতিলাফ (দালিলিক মতভিন্নতা) আলাদা জিনিস আর কাউকে অপমান করা এবং মানহানি করা আলাদা জিনিস। যেখানে সাধারণ মুসলমানকে গালি দেওয়াই পাপ, সেখানে সম্মানিত কোনো আলেমকে গালি দেওয়া তো চরম অন্যায় ও জঘন্যতম কাজ। এই বেয়াদবিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে মুজাহিদীন সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা করছে। দেশে দেশে অবুঝ তরুণদের এমন দায়িত্বহীন পদক্ষেপের কারণে জিহাদ ও মুজাহিদিন সম্পর্কে অনেক সাধারণ মানুষের অন্তরে বীতশ্রদ্ধা ও বিরক্তিকর মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে। যারা এগুলো করে, তারা না মুজাহিদিনের মানহাজের অনুসারী আর না কোনো জিহাদি কাফেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত।

    তাগুতি শাসনব্যবস্থার অধীনে থাকার ফলে অনিচ্ছাসত্ত্বেও অনেককে অনেক কাজ করতে হয়; কিছু ক্ষেত্রে হয়তো তাদের ওজর গ্রহণযোগ্য, আবার কিছু ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়। যেসব ক্ষেত্রে তাদের ওজর গ্রহণযোগ্য নয়, সেসব ক্ষেত্রে দালিলিকভাবে মতভিন্নতা হতে পারে। কিন্তু তাদের নামোল্লেখ করে জনসমক্ষে আক্রমণাত্মক সমালোচনা করা বা মন্দ ভাষায় গালমন্দ করা না উম্মতের জন্য কল্যাণকর আর না জিহাদের জন্য। এসব কাজের মাধ্যমে আমাদের থেকে সম্মানিত উলামাদের দূরে সরে যাবেন। তাঁদেরকে যারা ভালোবাসে, তারাও জিহাদি মানহাজের বিরুদ্ধে চলে যাবেন। উম্মাহর এই ক্রান্তিলগ্নে কুফফারগোষ্ঠী এটাই চায়।
    উল্লেখ্য rand কর্পোরেশন তাদের বিভিন্ন প্রতিবেদনে জিহাদ ও মুজাহিদিনের সাথে উলামায়ে কেরামের বিভাজন সৃষ্টির কথা এনেছে। দুঃখজনক ব্যাপার হল, আমাদের অবুঝ ভাইয়েরা এমন কাজ করে ফেলছেন যার ফলে শত্রুর লক্ষ অর্জিত হচ্ছে। আল্লাহ্‌ তাআলা সকলকে হেফাজত করুন।

    • জনসাধারণের কাছে অনুসরণীয় কোনো ব্যক্তি যদি প্রকাশ্যে এমন ভুল করে, যা উম্মতের জন্য ক্ষতিকর, সে ক্ষেত্রে দাঈ ভাইরা উক্ত কাজের ব্যাপারে গঠনমূলক দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা করুন। উক্ত কাজের ব্যাপারে শরীয়াহর দৃষ্টিকোণ থেকে আদবের সঙ্গে প্রশ্ন তুলুন। কিন্তু ব্যক্তির নাম ধরে গালাগালি বা ভর্ত্‌সনা করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন। তার নাম নিলে তার অনুসারী অনেক মুসলিম আছেন—যারা আন্তরিকভাবে সত্য পথ পেতে চায়; কিন্তু নিজেদের অনুসরণীয় শায়খের নাম ধরে সমালোচনা দেখলে তারা আহত হয়। সমালোচনাকারী থেকে সযত্নে নিজেকে সরিয়ে নেয়। তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। যা তাদের সত্য গ্রহণের পথে আসতে বাঁধার সৃষ্টি হয়।

    • কারো সাথে বিতর্ক হলে তার সম্মান ও মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে; তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা বা লজ্জিত করা কখনো উদ্দেশ্য হবে না। এমনভাবে কথা বলতে হবে, যেন তার সামনে সত্য দিবালোকের মতো সুস্পষ্ট হয়ে যায় এবং তিনিও স্বস্তির সঙ্গে তা মেনে নিতে পারেন। আপনাকে তার ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে, আপনার পক্ষ হয়ে আপনার কোনো অনুসারীও যদি তার ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করে, তাহলে তাকেও বারণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, সাধারণত কাউকে লাঞ্ছিত করে হক গ্রহণ করানো যায় না। ব্যক্তির আত্মমর্যাদাবোধ তখন হক গ্রহণের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।

    সূত্র: বাংলাদেশের জিহাদ সমর্থক ভাইদের জন্য অনলাইন দাওয়াতের কিছু নির্দেশনা

    এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভারতীয় উপমহাদেশের সম্মানিত আমীর উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ প্রণীত ‘দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদি মানহাজের হেফাযত’ নামক কিতাবটি দ্রষ্টব্য এবং আমরা এটিকে অবশ্য পাঠ্য মনে করি।

    অত্র কিতাব থেকে কিছু উদ্ধৃতি খেয়াল করুন-

    ১১. দ্বীনদার শ্রেণি, ধর্মীয় রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য মতবিরোধকারীদের সাথে আচরণের ক্ষেত্রে আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি মনে রাখতে হবে, তাদের ভালো কাজের প্রশংসা ও উৎসাহ দেয়া হবে এবং ভুলের সমালোচনা ও নছিহত করা হবে, গোপন ভুলের ক্ষেত্রে গোপনে নছিহত, প্রকাশ্য ভুলের ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে নছিহত। তাদের ভুলভ্রান্তি ও ত্রুটির কারণে তাদের ভালো কাজগুলোকে মোটেও অস্বীকার করা যাবে না। প্রত্যেক জিনিসকে তার আপন জায়গায় রাখা হলো ইনসাফ। মুজাহিদদের জন্য এই ইনসাফ রক্ষা করা অন্যদের চাইতে বেশি জরুরি। এভাবে কাজ করলে আমরা একদিকে যুলম থেকে বেঁচে গেলাম, অন্যদিকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হবে। অন্য দিকে তাদের ভালো কাজের প্রশংসা ও উৎসাহ দেয়ার দ্বারা সে গোড়ামির শিকার হবে না। আর ইনশাআল্লাহ হকের জন্য তার অন্তর খুলে যাবে।

    ৩৯. ইলমে দ্বীনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্তকারী ঐ কপালপোড়া, যে বাস্তবে দুনিয়ার জন্য নিজের দ্বীনকে বিক্রি করে দিয়েছে, যদি তাদের সমালোচনা করতে হয় তাহলে সংক্ষিপ্ত ও ভদ্র ভাষায় সমালোচনা করা হবে। এখানে মতবিরোধকারী সম্মানিত ওলামায়ে কেরাম ও দ্বীনদার ব্যক্তি নয়। তাদের সম্পর্কে আলোচনা পূর্বে গত হয়েছে। এখানে উদ্দেশ্য ঐসকল আলেম যারা দুনিয়াদার, দরবারি এবং খারাপ কাজে প্রসিদ্ধ।

    আদবের বিষয়ে আরও অসংখ্য পয়েন্ট আছে কিতাবটিতে। পাঠচক্র আকারেও এটি ফোরামে পোস্ট হয়েছে।
    আগ্রহী পাঠকরা মেহেরবানী করে ফোরামে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।

    সময়ে সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে উলামায়ে কেরামের সমালোচনামূলক বিভিন্ন লেখা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। এক্ষেত্রে অনেক অবুঝ, অপরিপক্ক ও তাড়াহুড়াপ্রবণ লোকদের নানাবিধ অশোভন মন্তব্য দেখা যায়, এগুলোর সাথে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। কেউ দাবি করলেও আমরা তা থেকে বারাআত ঘোষণা করছি।

    একই সাথে এ ধরনের কাজের সাথে সম্পৃক্ত ভাইদের উদ্দেশ্য বলছি-
    "প্রিয় ভাই, আপনি জিহাদকে আকাঙ্ক্ষা করেন, একিউ কে মুহব্বত করেন, আল্লাহ তায়ালা আপনার ইখলাসকে কবুল করুন। এখন মুজাহিদদের আদাব ও একিউ-এর নির্দেশনাগুলোও আয়ত্ব করে নিন এবং মূলনীতি অনুযায়ী কাজ করুন ইনশাআল্লাহ।"
    কারণ, দুনিয়াতে কোন মানুষই মাসুম নন। উলামায়ে কেরামও নন। তাদেরও ভুল হতে পারে। সেক্ষেত্রে দাওয়াতের উসুলের আলোকে ও শরয়ী দলীল-দস্তাবেজ সামনে রেখে, উলামায়ে কেরামে যথাযোগ্য সম্মান ও ইনসাফ বজায় রেখে, দরদ ও মুহাব্বত নিয়ে, আদাব রক্ষা করে যোগ্য ব্যক্তিরা সে বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন ইনশাআল্লাহ। তবে সেক্ষেত্রেও মাত্রা ও পরিমিতবোধ ঠিক রাখতে হবে। কোন অবস্থাতেই বাড়াবাড়ি করা যাবে না। অবিবেচকের মত কোন কাজ করা যাবে না। জোশের বশে হুশ হারানো যাবে না। ইনসাফ থেকে সরা যাবে না।

    আল্লাহর ফযলে তানযীম হকের উপর থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা জারি রেখেছে, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু যদি কোন আলিমের তানযীমের ব্যাপারে কোন সংশয় রয়ে যায়, সেক্ষেত্রে হামদর্দীর সাথে তানযীমের সঠিক আকীদা-মানহায ও আচরণবিধি তুলে ধরতে হবে। যথাযথ পন্থায় অবগত করাতে হবে।
    তা না করে যদি শুধু অর্থহীন সমালোচনা করে যাই, তাহলে তা কোনভাবেই উচিত হবে না।
    তবে হ্যাঁ, কেউ যদি জেনে-বুঝে বিদ্বেষবশত: অমূলক আপত্তি উত্থাপন করে, অথবা ভিত্তিহীন অভিযোগ করে, তাহলে অফিসিয়ালভাবে সেটার সমাধান করা হবে। কোন অবুঝ, অবিবেচকের হাতে সেটা সমাধান করার ভার ন্যস্ত করা হবে না। আর এ ধরনের হালত আসলেও কটু কথা ও অশ্লীল শব্দ চয়নের সুযোগ নেই।

    কিন্তু অতি পরিতাপের সাথে এবং অত্যন্ত ভারাক্রান্ত অন্তরে দুঃখের সাথে বলতে হয় যে, অনেক অবুঝ ভাই নিজে নিজেই সেই দায়িত্ব নিয়ে নেয়। তিনি বুঝে না বুঝে বন্ধুর বেশে তানযীমের ক্ষতি করে যাচ্ছেন। তারপর নিজের খাহেশ চরিতার্থ করার হীন লালসায় আলিমদের শানে অযাচিত মন্তব্য বা গালাগালিতে লিপ্ত হয়। নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক।

    আমাদের সবার মনে রাখতে হবে যে, উলামায়ে কেরাম হলেন উম্মাহর রাহবর ও আমাদের মাথার তাজ। তাদের নেগরানীতে সকল কাজ করাই অধিক নিরাপদ। বিশেষ করে জিহাদের মত একটি কঠিন ইবাদত আদায়ে তাদের রাহনুমায়ীর কোন বিকল্প নেই। তাই ভাইয়েরা- উলামায়ে কেরাম যেন আমাদের অযাচিত আচরণের কারণে আমাদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে না পড়েন, খুব খেয়াল রাখতে হবে। উমারাদের নির্দেশনা মেনে আগে বাড়তে হবে।

    আল্লাহ আমাদেরকে সকল প্রান্তিকতা থেকে হেফাযত করুন। আমীন
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 10-30-2023, 06:49 PM.
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

  • #2
    আল্লাহ তাআলা আমাদের উলামায়ে কেরামকে যথাযথ সম্মান দিয়ে চলার তাওফিক দিন, আমীন

    Comment


    • #3
      অনেক সুন্দর হেদায়েতী কথা বলেছেন সম্মানিত ভাই, আপনার এই লেখার দ্বারা অনেক উপকার হবে ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ আমাদেরকে আমাদের হক্কানী উলামায়ে কেরাম এর সম্মান রক্ষা করে তাদের আনুগত্য করার তৌফিক দান করুন আমীন

      Comment


      • #4
        ভাই, কিভাবে একক মাশোয়ারায় যোগ দিতে হয় জানি না আমি,

        Comment


        • #5
          Originally posted by abu hasanat View Post
          ভাই, কিভাবে একক মাশোয়ারায় যোগ দিতে হয় জানি না আমি,
          আপনি ফোরামের মেইন পেইজ বা হোম-এ 'একক মাশোয়ারা' নামে একটি বিভাগ পাবেন। এখানে ক্লিক/টাচ করে এই বিভাগটি অপেন করলে [+ New Topic] নামে একটা বাটন পাবেন, আর এটাতে ক্লিক/টাচ করলে পোস্ট করার অপশন পেয়ে যাবেন, যেভাবে কমেন্ট করছেন, সেইরকমই।
          আল্লাহ্‌ তায়ালা সহজ করে দিন, আমীন।

          Comment


          • #6
            জিহাদের দাঈ কখন নিরাপদ থাকে

            জিহাদের দাঈ যেই বিপদ ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকে, খুব কম মানুষই এমন বিপদের মধ্যে থাকেমাধ্যম, অস্ত্র, সংখ্যা সবদিক থেকেই নিজের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী শত্রুর মোকাবেলা করতে হয়অনেক সময় যাদেরকে শত্রুর মোকাবেলায় নিজের সাথে রাখতে চায় তারাই বিরোধিতা শুরু করে, তখন খুব ধৈর্য ও হেকমতের প্রয়োজন হয় তাছাড়া জিহাদের সফরে পদে পদে এমনসব বিষয় উপস্থিত হয়, যেখানে সামান্য ভুলও বড় ধরণের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়অনেক সময় জযবা হুশের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করে থাকে এধরনের পরিস্থিতিতে আল্লাহর দয়া না থাকলে দাঈ ও মুজাহিদ সঠিক রাস্তা থেকে সরে যেতে পারে এবং নিজেই জিহাদের দাওয়াতের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারেএই ক্ষতি থেকে দাঈ তখন বাঁচতে পারে যখন তার ফিকির ও মানহাজ সুন্নত অনুযায়ী হবে তার কাজ-কর্ম ও দাওয়াত রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে ছালেহিনের মতো হবেআর এটা তো তখন হবে যখন সে সুন্নতের অনুসরণের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবে এবং এই ভয় করবে যে, আল্লাহ না করুন আমার কোন ত্রুটির কারণে আমার থেকে হেদায়াত ছিনিয়ে না নেয়া হয়

            এই নেয়ামতকে সিনার সাথে লাগানোর মাধ্যম হলো ওলামায়ে কেরামের অনুসরণ ও নেককারদের সোহবতদ্বীনের দাঈর ফিকির ও মানহাজ তখনই হেফাজতে থাকবে যখন এমন ওলামায়ে কেরাম থেকে নিজের দ্বীনকে গ্রহণ করবে যাদের তাকওয়া-আখলাক, ইলম-ইনসাফ, ফিকহ-বুঝ, অভিজ্ঞতা ও সুস্থ রুচিসম্পন্ন হওয়া অন্যান্য ওলামায়ে কেরামের নিকট স্বীকৃততারা স্বজনপ্রীতি, প্রতিশোধ, রাগ বা নফসের চাহিদা অনুযায়ী ফতোয়া দেবে না; বরং কথা ও কাজে আল্লাহর ভয় প্রকাশ পাবেতারা শরয়ী নীতিমালার পর পারদর্শী হবেআর এইসব গুণ ওই সকল আলেমদের মাঝেই পাওয়া যাবে, যারা জিহাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিজের ইজতেহাদ অনুযায়ী ফতোয়া দেয় নাবরং এক্ষেত্রে নিজের থেকে ভালো অগ্রগামী আলেমদের অনুসরণ করে এবং সমসাময়িক আলেমদের সাথে পরামর্শ করে
            এমন ওলামায়ে কেরাম আজও বিদ্যমান আছেযদি জিহাদের দাঈ নিজের ফিকির, কাজ-কর্ম ও দাওয়াতের পদ্ধতিতে এই ওলামায়ে কেরামের অনুসরণ করে তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তাকে গোমরাহ করবেন না এবং সে দ্বীন ও জিহাদের খেদমতও করতে পারবে। এখানে একথাটিও বলে দিই, ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের বিগত তিন দশকের সফলতা ও জিহাদি অভিজ্ঞতা হোক, অথবা খোরাসান থেকে ইয়েমেন, মালি বা শাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া বৈশ্বিক জিহাদি অভিজ্ঞতা হোক, এই সকল অভিজ্ঞতা উম্মতকে খুব দামি একটি সবক দিয়েছে সেটি হচ্ছে, হক ওলামায়ে কেরামের অনুসরণেই প্রকৃত কল্যাণ নিহিত। উম্মতের প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ে, এমনকি গুরুত্বপূর্ণ জিহাদি বিষয় সম্ভবত একটিও এমন নেই, যে বিষয়ে জিহাদি নেতারা বিচক্ষণতার সাথে সমাধান দেননিসুতরাং আমরা যদি ওলামায়ে কেরাম ও জিহাদের নেতাদের দরসগুলো থেকে সবক নিতে থাকি তাহলে এই সফর খুব ভালোভাবে হেফাযতে থাকবে এবং বারবার ধাক্কা খাওয়া লাগবে না ইনশাআল্লাহ

            সোর্স: দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদি মানহাজের হেফাযত -উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              অনুসৃত উলামাগণের ব্যাপারে এমনভাবে ব্যক্তি সমালোচনা করা যা শরীয়াহ সমর্থিত নয়, এবং দাওয়াহর উসুলের বাইরে। তাদের নামে অনর্থক কুৎসা রটানো। তাদের শানে নানা মন্দ শব্দ প্রয়োগ করা। যেমন : দরবারি, দালাল, মুরজিয়া, তাগুতের গোলাম ইত্যাদি। মনে রাখতে হবে, ইখতিলাফ (দালিলিক মতভিন্নতা) আলাদা জিনিস আর কাউকে অপমান করা এবং মানহানি করা আলাদা জিনিস। যেখানে সাধারণ মুসলমানকে গালি দেওয়াই পাপ, সেখানে সম্মানিত কোনো আলেমকে গালি দেওয়া তো চরম অন্যায় ও জঘন্যতম কাজ। এই বেয়াদবিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে মুজাহিদীন সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা করছে। দেশে দেশে অবুঝ তরুণদের এমন দায়িত্বহীন পদক্ষেপের কারণে জিহাদ ও মুজাহিদিন সম্পর্কে অনেক সাধারণ মানুষের অন্তরে বীতশ্রদ্ধা ও বিরক্তিকর মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে।
              গুরুত্বপূর্ন কথা আমাদের সবার খেয়াল করা উচিত।

              Comment

              Working...
              X