এটি এক অনস্বীকার্য বাস্তবতা যে, আমাদের উম্মাহ প্রত্যেক দিক থেকেই এক কঠিন বিষয়ের সাথে মিলিত হয়েছিল। যার সূত্রপাত ঘটেছিল জায়নবাদি-ক্রুসেডার জোটের সম্মিলিত অহংকারী আক্রমণের মাধ্যমে।
.
আল্লাহ্*র ইচ্ছায় তাদের প্রত্যেককেই লাঞ্ছিত করা হয়েছে। আর সুনিশ্চিতভাবেই আল্লাহ্*র অনুগ্রহে বিজয় নিকটবর্তী।
.
ব্যাপক ও বিস্তৃত কারণে নিঃসন্দেহে বিজয়ের চাবি আমাদের হাতে। একইভাবে, পরাজয়ের ভিত্তিও আমাদের পক্ষ হতেই নির্মিত হয়ে থাকে। আর বিজয়ের পথে প্রধান বাঁধা মূলত আমাদের নিজেদের থেকেই সৃষ্টি হয়।
.
দুশমনের শক্তি, তাদের কুকুরগুলোর ক্ষীপ্রতা, তাদের হীন ষড়যন্ত্র, মজবুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা ইত্যাদি আদৌ আমাদের বিজয়ের প্রতিবন্ধকতা নয়। মূলতঃ আমাদের পরাজয়ের প্রকৃত কারণ এবং বিজয়ের মূল বুনিয়াদের ভিত আমাদের নিজেদের থেকেই। আমাদের বুঝ ও চিন্তাধারার মাঝেই রয়েছে পরাজয়ের উপকরণ। আমাদের অন্তরের মাঝেই প্রোথিত আছে বিজয়ের প্রতিবন্ধকতা ।
.
.
অতএব, আমাদের প্রথম যুদ্ধ আমাদের নিজেদের সাথেই। আমাদের যুদ্ধ আমাদের নফসের সাথে।
আমাদের যুদ্ধ আমাদের অক্ষমতার সাথে, আমাদের দুর্বলতার সাথে, আমাদের ভয় ও ব্যক্তিত্বের মূল্যায়নের দাবীর সাথে, দুনিয়াকে আঁকড়ে ধরার সাথে, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লোভের সাথে, আলোচিত বা জনপ্রিয় হবার আকাঙ্ক্ষার সাথে, আমাদের মর্যাদাবান হবার লালসার সাথে, আমাদের স্ত্রী-পরিবারের সাথে, আমাদের মাল ও সন্তানদের সাথে।
.
আমাদের যুদ্ধ তুচ্ছ উপার্জন লাভের বিরুদ্ধে, আল্লাহ্*র রাস্তায় কুরবানী ছেড়ে দিতে অর্থের পেছনে দৌড়ানোকে অজুহাত সাব্যস্তকরণের বিরুদ্ধে।
যদি আমরা সুনিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি যে, আল্লাহ্*
তা'আলাই সৃষ্টিকর্তা ও রিজিকদাতা এবং জীবনের প্রতিটি বিষয়ই তার সুপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়; তাহলে এটাও নিশ্চিতভাবে বিশ্বাসযোগ্য যে যদিও আমাদের আকাঙ্ক্ষা হলো দুনিয়ার ও মালের প্রতি, তথাপি এই আকাঙ্ক্ষা কিছুতেই আমাদের ও আমাদের স্ত্রীদের রিজিক, আমাদের ও আমাদের সন্তানদের হায়াত বৃদ্ধি করতে পারবে না। আর তাই, আমরা যেন জিহাদের পথে আমরা কৃপণতাও না করি এবং কাপুরুষতাও প্রদর্শন না করি।
.
আমাদের শত্রুদের দিকে মনোযোগের সাথে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই, আধুনিক সরঞ্জাম উন্নত অস্ত্র আর বোমা ছাড়া আর কি ই বা তারা অর্জন করেছে!?
তাদের সৈন্যবাহিনীকে কামনা চরিতার্থের লোভ আর দুনিয়া হারানোর ভয় দেখানোর মাধ্যমেই ময়দানে আনা হয়েছে। তারা তাদের কোনো বন্ধুর জন্য ময়দানে অগ্রসর হয়নি, আর না আছে তাদের কোন সুদৃঢ় আকিদা বা মূল্যবোধ। আর না আছে উত্তম চরিত্র, সাহসিকতা বা মানবিকতা।
.
দুটি বিষয়ের উপস্থিতি ছাড়া তারা কখনই আমাদের উপর বিজয়ী হতে পারেনা- ১) আমাদের অমূলক ভয়, সিদ্ধান্তহীনতা এবং ২) সমরজ্ঞানে আমাদের অজ্ঞতা।
.
এই দুটি বিষয় অর্থাৎ, যুদ্ধের ব্যাপারে ভয় ও অজ্ঞতা আমাদের অন্তরে শত্রুদের যে কোনো পদক্ষেপকে বড় করে উপস্থাপন করেছে, তাদের সাথে আগ বাড়িয়ে সন্ধি-সমঝোতা আর আপসের বিষয়কে বিরাট সাফল্য ও প্রজ্ঞার দাবীকরনে প্রতিভাত করে চলেছে।
.
যুদ্ধের ব্যাপারে অজানা আতঙ্ক আর অজ্ঞতার ফলেই শত্রুর ভীরুতা, দুর্বলতা আর পরাজয়ের বিষয়টি অস্পষ্ট রয়ে যাচ্ছে।
______
- হাকিমুল উম্মাহ ডক্টর আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ' লেখা হতে গৃহীত পরিমার্জিত।
(অসমাপ্ত)
.
আল্লাহ্*র ইচ্ছায় তাদের প্রত্যেককেই লাঞ্ছিত করা হয়েছে। আর সুনিশ্চিতভাবেই আল্লাহ্*র অনুগ্রহে বিজয় নিকটবর্তী।
.
ব্যাপক ও বিস্তৃত কারণে নিঃসন্দেহে বিজয়ের চাবি আমাদের হাতে। একইভাবে, পরাজয়ের ভিত্তিও আমাদের পক্ষ হতেই নির্মিত হয়ে থাকে। আর বিজয়ের পথে প্রধান বাঁধা মূলত আমাদের নিজেদের থেকেই সৃষ্টি হয়।
.
দুশমনের শক্তি, তাদের কুকুরগুলোর ক্ষীপ্রতা, তাদের হীন ষড়যন্ত্র, মজবুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা ইত্যাদি আদৌ আমাদের বিজয়ের প্রতিবন্ধকতা নয়। মূলতঃ আমাদের পরাজয়ের প্রকৃত কারণ এবং বিজয়ের মূল বুনিয়াদের ভিত আমাদের নিজেদের থেকেই। আমাদের বুঝ ও চিন্তাধারার মাঝেই রয়েছে পরাজয়ের উপকরণ। আমাদের অন্তরের মাঝেই প্রোথিত আছে বিজয়ের প্রতিবন্ধকতা ।
.
.
অতএব, আমাদের প্রথম যুদ্ধ আমাদের নিজেদের সাথেই। আমাদের যুদ্ধ আমাদের নফসের সাথে।
আমাদের যুদ্ধ আমাদের অক্ষমতার সাথে, আমাদের দুর্বলতার সাথে, আমাদের ভয় ও ব্যক্তিত্বের মূল্যায়নের দাবীর সাথে, দুনিয়াকে আঁকড়ে ধরার সাথে, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লোভের সাথে, আলোচিত বা জনপ্রিয় হবার আকাঙ্ক্ষার সাথে, আমাদের মর্যাদাবান হবার লালসার সাথে, আমাদের স্ত্রী-পরিবারের সাথে, আমাদের মাল ও সন্তানদের সাথে।
.
আমাদের যুদ্ধ তুচ্ছ উপার্জন লাভের বিরুদ্ধে, আল্লাহ্*র রাস্তায় কুরবানী ছেড়ে দিতে অর্থের পেছনে দৌড়ানোকে অজুহাত সাব্যস্তকরণের বিরুদ্ধে।
যদি আমরা সুনিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি যে, আল্লাহ্*
তা'আলাই সৃষ্টিকর্তা ও রিজিকদাতা এবং জীবনের প্রতিটি বিষয়ই তার সুপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়; তাহলে এটাও নিশ্চিতভাবে বিশ্বাসযোগ্য যে যদিও আমাদের আকাঙ্ক্ষা হলো দুনিয়ার ও মালের প্রতি, তথাপি এই আকাঙ্ক্ষা কিছুতেই আমাদের ও আমাদের স্ত্রীদের রিজিক, আমাদের ও আমাদের সন্তানদের হায়াত বৃদ্ধি করতে পারবে না। আর তাই, আমরা যেন জিহাদের পথে আমরা কৃপণতাও না করি এবং কাপুরুষতাও প্রদর্শন না করি।
.
আমাদের শত্রুদের দিকে মনোযোগের সাথে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই, আধুনিক সরঞ্জাম উন্নত অস্ত্র আর বোমা ছাড়া আর কি ই বা তারা অর্জন করেছে!?
তাদের সৈন্যবাহিনীকে কামনা চরিতার্থের লোভ আর দুনিয়া হারানোর ভয় দেখানোর মাধ্যমেই ময়দানে আনা হয়েছে। তারা তাদের কোনো বন্ধুর জন্য ময়দানে অগ্রসর হয়নি, আর না আছে তাদের কোন সুদৃঢ় আকিদা বা মূল্যবোধ। আর না আছে উত্তম চরিত্র, সাহসিকতা বা মানবিকতা।
.
দুটি বিষয়ের উপস্থিতি ছাড়া তারা কখনই আমাদের উপর বিজয়ী হতে পারেনা- ১) আমাদের অমূলক ভয়, সিদ্ধান্তহীনতা এবং ২) সমরজ্ঞানে আমাদের অজ্ঞতা।
.
এই দুটি বিষয় অর্থাৎ, যুদ্ধের ব্যাপারে ভয় ও অজ্ঞতা আমাদের অন্তরে শত্রুদের যে কোনো পদক্ষেপকে বড় করে উপস্থাপন করেছে, তাদের সাথে আগ বাড়িয়ে সন্ধি-সমঝোতা আর আপসের বিষয়কে বিরাট সাফল্য ও প্রজ্ঞার দাবীকরনে প্রতিভাত করে চলেছে।
.
যুদ্ধের ব্যাপারে অজানা আতঙ্ক আর অজ্ঞতার ফলেই শত্রুর ভীরুতা, দুর্বলতা আর পরাজয়ের বিষয়টি অস্পষ্ট রয়ে যাচ্ছে।
______
- হাকিমুল উম্মাহ ডক্টর আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ' লেখা হতে গৃহীত পরিমার্জিত।
(অসমাপ্ত)
Comment