দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ:
অগ্রপথিক: ইয়াহইয়া হাশিম
অগ্রপথিক: ইয়াহইয়া হাশিম
مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُم مَّن قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُم مَّن يَنتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلاً
“ঈমানদারদের মধ্য হতে কতক লোক আল্লাহর সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতি সত্যে পরিণত করেছে। ফলে তাদের কতক নিজেদের নজরানা আদায় করে দিয়েছে আর কতক তার প্রতীক্ষায় আছে। আর তারা (তাদের ইচ্ছার ভেতর) সামান্য পরিবর্তন ঘটায়নি।” (সূরা আহযাব: ২৩)
ওই সময় সামরিক শিল্পের অভিযানটিই একমাত্র পূর্বাভাস ছিল না, বরং এ অভিযানের কয়েক মাস পরই ভাই শহীদ (যেমনটা আমরা তার ব্যাপারে ধারণা করি) ইয়াহইয়া হাশিম মিনিয়া পর্বতমালা থেকে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও এ প্রচেষ্টার ভাগ্যে সফলতা লিখা ছিল না। কারণ এতে পরিবেশ-পরিস্থিতির প্রতি খেয়াল রাখা হয়নি, যা এ ধরণের যুদ্ধে সফলতা লাভের জন্য অপরিহার্য। তবে এটি ছিল এ ব্যাপারে আরেকটি বার্তা যে, ইসলামী আন্দোলনের চিন্তাধারায় পরিবর্তনের বিষয়টি এখন এক অনস্বীকার্য বাস্তবতা। আর এবার মুসলিম যুবকরা চল্লিশের দশকে তাদের পূর্বসূরীদের মত নয়।
ইয়াহইয়া হাশিম হলেন মিশরে জিহাদী অগ্রপথিকদের একজন। তার এমনটা হওয়ার যথেষ্ট অধিকার রয়েছে। কারণ তাকে আল্লাহ তা’আলা একটি মহান নিয়ামত দান করেছিলেন। তা হল: তার আত্মমর্যাদাশীল অন্তর ও উচ্চ মনোবল, যা তাকে দুনিয়ার খড়কুটো ও মানুষ যেগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে, তার প্রতি সামান্য ভ্রুক্ষেপ না করে নিজের সর্বস্ব কুরবান করতে উদ্ধুদ্ধ করেছিল। তার মাঝে আরেকটি প্রশংসনীয় বৈশিষ্ট্য ছিল: তিনি যা বিশ্বাস করতেন, তার ব্যাপারে তীব্র চেতনা রাখতেন। এছাড়া তিনি রহ. স্বচ্ছ হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন। সুধারণা পোষণ করতেন এবং নিজের সাথীবৃন্দ ও মুসলিমদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করতেন।
ইয়াহইয়া হাশিম একজন প্রসিকিউটর ছিলেন। এটি এমন পদ, যা অনেক যুবকদের মনের বাসনা। কিন্তু ইয়াহইয়া এ পদের প্রতি কোন ভ্রুক্ষেপ করতেন না। তিনি সর্বদা আল্লাহর পথে কুরবান হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতেন। যেসমস্ত দুনিয়াবি খড়কুটোর জন্য মানুষ মারামারি করে, তিনি তার প্রতি কোন ভ্রুক্ষেপই করতেন না।
আমি ইয়াহইয়া হাশিমের ব্যাপারে জেনেছি ১৯৬৭ সালে নাসিরী শাসনামলে আমাদের উদীয়মান দলটির সাথে তার যুক্ত হওয়ার পর।
তার আমাদের সাথে যুক্ত হওয়ার সূচনাটি ছিল এক বিরল ঘটনা। এ সময় নাসিরী সরকারের লজ্জাজনক পরাজয় ও ইসরাঈলী সৈন্যদের সামনে নিকৃষ্টতম পলায়নের প্রতিবাদে পুরো দেশ আন্দোলনে উত্তাল ছিল। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের মধ্যে। কারণ আরবের সর্বাধিক শক্তিশালী সেনাবাহিনী ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল। আরব জাতির লিডারের সেনাবাহিনী, যারা নিজেদেরকে মনে করত যে, তারা ইসরাঈলকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে (যেমনটা জনগণের সামনে মিথ্যাচার করে বলত) এবং ইসরাঈল ও ইসরাঈলের পশ্চাতে যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য তারা প্রস্তুত (যেমনটা দাজ্জালী করে বলত)।
এ বিশাল সেনাবাহিনী এমন পরাজয়ের সম্মুখীন হল যে, তারা ইসরাঈলী প্রতিরক্ষা বাহিনীর পশ্চাদ্ধাবন থেকে বাঁচার জন্য সিনাই মরুভূমির বালুরাশির মাঝে পলায়নের জায়গা খুঁজতে লাগল। জঙ্গী বিমানগুলো নড়ে উঠার আগেই চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেল।
আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম মসজিদুল ইমাম হুসাইন থেকে মিছিল শুরু করব। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-মিছিল ও হুলওয়ান শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের মিছিল একসঙ্গে মিলে জামে আযহারের মহা সড়ক দিয়ে বের হব, তারপর মধ্য কায়রোতে যাব।
আমরা মসজিদুল ইমাম হুসাইনে জুম্মা আদায় করার জন্য রওয়ানা দিলাম। অত:পর মসজিদের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদেরকে ভাগ করে নিলাম। নামাযের পর ইয়াহইয়া হাশিম দাড়িয়ে মুসলিম উম্মাহর উপর লাগাতার আঘাতের ভয়াবহ পরিস্থিতি স্পষ্টভাবে তুলে ধরে ভাষণ দিতে লাগলেন। আমরা তাকবীরের মাধ্যমে তার কথায় সাড়া দিতে লাগলাম। কিন্তু গোয়েন্দা বাহিনী এ ধরনের উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ও অপেক্ষমান ছিল। তাই গোয়েন্দারা তাকে ঘেরাও করে ফেলল এবং ঠেলে ঠেলে মসজিদের বাইরে নিয়ে যেতে লাগল। মানুষ এই দু:সাহসিকতায় হতভম্ব ছিল, যা তারা জালিম আব্দুন নাসেরের শাসনামলে ইতিপূর্বে কখনো দেখেনি।
কিন্তু ইয়াহইয়া রহিমাহুল্লাহ উচ্চস্বরে চিৎকার করে করে বক্তৃতা দেওয়া থেকে নিবৃত্ত হলেন না। অথচ গোয়েন্দারা তাকে চতুর্দিক থেকে ঘেরাও করে ফেলেছে এবং ঝাপটে ধরে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। যখন ইমাম হুসাইনের চত্ত্বরে বের হলেন, তখনো তিনি উচ্চস্বরে ভাষণ অব্যাহত রাখলেন। তাই গোয়েন্দারা তাকে থামানোর জন্য কৌশলের আশ্রয় নিতে বাধ্য হল। একজন এসে তার কলার চেপে ধরে বলল: এই চোর, তুই আমার ব্রিফকেস চুরি করেছিস। সে ইয়াহইয়ার আওয়াযের চেয়েও উচ্চস্বরে চিৎকার করতে লাগল। ফলে গোয়েন্দারা তার নিকট একত্রিত হয়ে গেল এবং তাকে ধাক্কিয়ে ধাক্কিয়ে নিকটবর্তী একটি ফার্মেসিতে নিয়ে ফার্মেসির দরোজা বন্ধ করে দিল। তারপর খুব দ্রুতই তাকে বহন করার জন্য একটি গাড়ি আসল। গাড়ি তাকে সে সময়ের গোয়েন্দা প্রধান হাসান তালআতের অফিসে নিয়ে গেল।
সে সময় নাসিরী সরকার ছিল বাকরূদ্ধ, পেরেশান। তার নিরাপত্তা বাহিনী কোন কর্তৃত্ব চর্চা করতে অক্ষম ছিল। কারণ তারা দুই আগুনের মাঝে ছিল। এক হল, এমন নেতৃত্ব, যাকে পরাজয়ের গ্লানি বিকলাঙ্গ করে দিয়েছে এবং যা এমন একটি শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করছে, যাকে পোকা খেয়ে ছিদ্র করে ফেলেছে এবং তাতে পচন ধরেছে। অপরদিকে সেই প্রতিবাদী জনতার মোকাবেলা করা, যারা ভয়ের প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেছে। নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিবাদ ও আন্দোলনের এমন নতুন দৃশ্যে আচম্বিত হয়ে গেছে, যা তারা ইতিপূর্বে কখনো দেখেনি।
তদন্ত বিভাগের ভবনে তারা ইয়াহইয়া হাশিমকে বেধরক মারল। তারপর রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হাসান তালাআতের নিকট নিয়ে গেল।
ইয়াহইয়া হাশিম আমাদেরকে হাসান তালআতের অফিসে সংঘটিত সেই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় এবং তাতে সরকার কী পরিমাণ চাপে পড়েছিল সে সম্পর্কে বর্ণনা দেন। কারণ জনরোষ বিচার বিভাগ ও প্রসিকিউশন বিভাগ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। প্রসিকিউটরের সামনে এসে গোয়েন্দা প্রধানের অবস্থা এমন হয়ে গেল যে, যেন সে নিজের জন্য বিচারিক আত্মরক্ষা গ্রহণ করছে। পুরো দেশ এমন জলন্ত অগ্নিশিখার ন্যায় টগবগ করছিল, যা গোয়েন্দা প্রধানকে তার পূর্বপরিচিত নোংড়া ভাষা-ভঙ্গি ব্যবহার করতে অক্ষম করে দিয়েছে, যেটা বিশেষ করে মুসলমানদের সঙ্গে সে করত।
অহংকারী জালিম হাসান তালআত ইয়াহইয়া হাশিমের সামনে আত্মপক্ষ সমর্থন করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ল। বলতে লাগল: সে একজন মুসলিম। ইসলামের পক্ষেই লড়াই করছে। অথচ সে হল ওই ব্যক্তি, যে মুসলমানদের রক্ত ও মস্তকের উপর প্রতিষ্ঠিত সরকারের খেদমত করে করে পদোন্নতি লাভ করেছে। কিন্তু ইয়াহইয়া হাশিম তার ধারণাকে বোকামী সাব্যস্ত করে হামলে পড়া সিংহের ন্যায় তার উপর আক্রমণ করলেন। হাসান তালআতের মাথার উপর দেয়ালে একটি বড় কাষ্ঠখন্ড ছিল, যাতে মহান আল্লাহর নাম লিখা। ইয়াহইয়া হাশিম চিৎকার করে বললেন: তুমি কেন মাথার উপর এই কাষ্ঠখন্ড রাখ, তুমি তো আল্লাহকে চিনই না?
সরকার এই কঠিন পরিস্থিতিতে প্রত্যাহার ও পিছু হটা ব্যতিত কোন বিকল্প পেল না। তাই লাঞ্ছিত হয়ে ইয়াহইয়া হাশিমকে মুক্ত করে দিল।
বস্তুত মসজিদুল ইমাম হুসাইনের মিছিলটি অত্যন্ত আবেগঘন ও ওই পর্যায়ে আমাদের বয়সের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল।
অত:পর ইয়াহইয়া হাশিম সরকারের বিরুদ্ধে উদ্ধুদ্ধ করা এবং মুসলমানদেরকে জিহাদের দাওয়াত দেওয়া থেকে একটি সুযোগও হতছাড়া করতেন না। ঠিক ওই সময়ই জামাল আব্দুন নাসেরের মৃত্যু হয় এবং সাদাতী শাসনামলের শুরুর দিকে ইখওয়ানুল মুসলিমিন কতগুলো দাবি নিয়ে বের হয়।
ইয়াহইয়া হাশিম ইখওয়ানের কয়েকজন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তাদেরকে একটি ইসলামী আন্দোলনের শরয়ী লিডার মনে করে (যেমনটা তারা তাকে বুঝিয়েছিল) নিজের স্বচ্ছ প্রকৃতি ও উষ্ণ আবেগসহ পূর্ণ অনুভূতি নিয়ে তাদের প্রতি মনোনিবেশ করলেন।
তাদের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আমার নিকট আসলেন। তা হল: পরবর্তীতে নেতৃত্ব তাদের হাতে থাকবে, কিন্তু কোন গ্রুপের কোন সমস্যা হলে তারা তার দায়ভার নিবে না। তখন আমি ইয়াহইয়াকে বললাম: এটা তো পুরো সুবিধাবাদী কথা। তারা নেতৃত্বের ভালোটা নিবে আর আমাদের উপর থাকবে তার মন্দটা।
কিন্তু ইয়াহইয়া তাদের ভালোবাসায় ও তাদের প্রতি সুধারণায় আবেগাপ্লুত ছিলেন।
কিন্তু আল্লাহ তা’আলা কার্যক্ষেত্রেই তার সামনে হাকিকত উম্মোচন করে দিতে চাইলেন। তাই একটি ঘটনা ঘটল: তার জনৈক সাথীর নিরাপত্তা জনিত সমস্যা হল, যার ফলে তিনি নিরাপত্তা বাহিনী থেকে আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য হলেন। তখন ইয়াহইয়া ইখওয়ানের নিকট গিয়ে এ সমস্যায় তাকে সাহায্য করতে বললেন। কিন্তু তিনি তাদের জবাবে আঘাতপ্রাপ্ত হলেন। অথচ তারা হল তার লিডার। তারা বলল: আপনি এই ভাই থেকে পরিপূর্ণ পৃথক হয়ে যান। তাকে কোন প্রকার সাহায্যই করবেন না।
এটি এমন আঘাত ছিল, যার ফলে ইয়াহইয়া হাশিম ও ইখওয়ানের মাঝে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেল। ইয়াহইয়া হাশিম সর্বদাই তার সাথীবৃন্দের সাহায্য ও দেখাশোনা করে যেতে লাগলেন, যতক্ষণ না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাকে তার নিরাপদ বাসস্থানে পৌঁছে দিলেন।
তারপর ১৯৭৪ সালে সামরিক শিল্পের ঘটনার সময় আসলো। তখন ইয়াহইয়া হাশিম এর প্রতি তীব্র আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন। তিনি খুব সূক্ষ্মভাবে এর খোঁজ-খবর রাখতেন।
এ সময় ইয়াহইয়া হাশিমের মাথায় সরকারের সাথে স্বশস্ত্র সংঘাতের সূচনা করার চিন্তা আসতে লাগল। তিনি তার ঘনিষ্ঠ লোকদেরকে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করার ব্যাপারে উদ্ধুদ্ধ করতে লাগলেন। তার এ চিন্তাটি আমার সাথেও শেয়ার করলেন। কিন্তু আমি তার সাথে একমত হলাম না। আমি তাকে বললাম: এ দেশের প্রকৃতি এ ধরণের যুদ্ধের জন্য উপযুক্ত নয়। তারপর আমি তাকে গেরিলা যুদ্ধ সম্পর্কে একটি বই দিলাম। কিন্তু ওই চিন্তাই তার মাথায় ও তার কয়েকজন সাথীর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল।
ইয়াহইয়া হাশিম সামরিক শিল্প কলেজের ঘটনায় অভিযুক্ত কয়েকজন ভাইয়ের সাথেও যোগাযোগ করা শুরু করলেন। নিজের প্রসিকিউটর পদবীকে কাজে লাগিয়ে তাদের পলায়নের পরিকল্পনা করতে লাগলেন। পরিকল্পনার মূলকথা ছিল, তিনি তাদেরকে তাদের জেল থেকে অন্যত্র স্থানান্তর করার একটি মিথ্যা আদেশ জারি করবেন। আর স্থানান্তরের সময় তারা পলায়ন করবে। কিন্তু আদালত-কক্ষ থেকে আসামীদের কারাগারের দিকে পলায়নকারী পত্রটি গোয়েন্দারা পেয়ে যাওয়ার কারণে পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেল।
পরিকল্পনার বিস্তারিত বর্ণনা সম্বলিত পত্রটি গোয়েন্দাদের হাতে পড়ার পর ইয়াহইয়া হাশিম সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি পলায়ন করবেন এবং তার বিশেষ পরিকল্পনায় গেরিলা যুদ্ধ শুরু করবেন।
ইয়াহইয়াহ হাশিম ও তার সাথীগণ মরূভূমির পার্শ্বস্থ মিনিয়া জেলার পাহাড়ী অঞ্চলে আশ্রয় নিলেন এবং সেখানে কিছু অস্ত্র-শস্ত্র ক্রয় করে এই ছদ্মাবরণে একটি ক্যাম্প তৈরী করলেন যে, তারা সরকারের একটি সামরিক ইউনিট।
কিন্তু পার্শ্ববর্তী এলাকার মেয়র ব্যাপারটিতে সন্দেহ করে পুলিশকে জানাল। পুলিশ এসে উক্ত ভাইদের এলাকায় রেইড দিল। ছোট্ট একটি যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার পর ভাইদের রসদ শেষ হয়ে যাওয়ায় পুলিশরা ভাইদেরকে গ্রেফতার করে ফেলল। ইয়াইয়াহ রহিমাহুল্লাহ ফোর্স কমাণ্ডারের উপর আকস্মিক আক্রমণের চেষ্টা করলেন। কিন্তু তার আগেই একটি গুলি এসে তাকে শহীদ করে দেয়। আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন!!
এ ছিল এই মহান বাহাদুরের জীবনের সামান্য চিত্র। যিনি সত্যিই মিশরে ইসলামের সাথে শত্রুতাকারী সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদের অগ্রপথিক ছিলেন। স্বীয় ঈমানের পথে নিজের সর্বস্ব কুরবান করেছিলেন।
Comment