আন নাসর মিডিয়া
কর্তৃক অনুদিত ও পরিবেশিত
‘আল-কুদস’এমন দুলহান
যার মাহর কেবল আমাদেররক্ত
- ভাই হামজা বিন উসামা বিন লাদেন (হাফিযাহুল্লাহ)
এর বক্তব্যের অনুলিখন||
এর থেকে
==================================================
=====
কর্তৃক অনুদিত ও পরিবেশিত
‘আল-কুদস’এমন দুলহান
যার মাহর কেবল আমাদেররক্ত
- ভাই হামজা বিন উসামা বিন লাদেন (হাফিযাহুল্লাহ)
এর বক্তব্যের অনুলিখন||
এর থেকে
==================================================
=====
بسم الله الرحمن الرحيم
নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমরা আল্লাহর প্রশংসা করছি, তার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করছি এবং তারই নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আর আমাদের নফসের অনিষ্ট ও কর্মের মন্দচারি থেকে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করছি। যাকে আল্লাহ হেদায়াত দান করেন, তাকে পথভ্রষ্টকারী কেউ নেই এবং যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করেন তাকে হেদায়াতকারী কেউ নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি এক, তার সাথে কোন শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ তাঁর উপর, তাঁর পরিবারবর্গের উপর এবং তাঁর সাহাবাদের উপর রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন! আম্মাবাদ,
কতিপয় উষ্ণ বার্তা… সর্বস্থানের মুসলিমগণ বারবারই কতিপয় উষ্ণ বার্তা পেয়ে আসছেন। এমন লোকদের থেকে, যাদের কর্মগুলো বিশাল, যদিও তারা বয়সে ছোট। বস্তুত: মানুষ তো তাদের ছোট দুটি জিনিস দ্বারাই ফুটে উঠে, তার অন্তর ও তার যবান। হৃদয় থেকে উৎসারিত বার্তা, বরং আত্মা থেকে উৎসারিত। যা প্রতিটি আত্মমর্যাদাশীল মুসলিমকে একথা বলে, নিশ্চয়ই মসজিদে আকসা রক্ত অশ্রু বর্ষণ করছে।
তার পত্র… যার মর্যাদা অনেক বড়। যার সম্মান অনেক সুউচ্চ। সকলের অন্তরে যার অবস্থান অনেক উর্ধ্বে। সকলের চোখে যার স্তর অনেক উপরে। তার পত্র…এমন তরুনদের, যাদের যৌবনের পূর্ণ বিকাশকাল অতিক্রম করছে। যারা ফিতরাতের উপর জন্মগ্রহণ করেছে এবং তার উপরই বেড়ে উঠেছে। মসজিদে আকসাকে দেখে দেখে যাদের চক্ষু সুরমামন্ডিত হয়েছে। ফলে তাদের হৃদয় তার উপর প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে এবং তারা তাকে তাদের অন্তরে সম্মানের আসনে বসিয়েছেন।
ذَٰلِكَ وَمَن يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِن تَقْوَى الْقُلُوبِ ﴿٣٢﴾
“আর কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান করলে এটা তো অন্তরের তাকওয়া থেকেই অর্জিত হয়”। (হজ্জ: ৩২)
তাই তাকে রক্ষা করা তাদের প্রধান দায়িত্ব হয়ে গেছে। কেননা তাদের সুস্থ প্রকৃতি লাঞ্ছনা ও আত্মসমর্পণমূলক চুক্তিকে মেনে নেয় না। পিছুটান ও পরাজয়ের বাণীগুলো তাদের কর্ণকুহরে প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে না। তারা তাদের শত্রুদেরকে চিনে তাদের সাথে শত্রুতার আচরণই করেছেন এবং ফিলিস্তীনকে বিক্রিকারী বিশ্বাসঘাতক মুনাফিকদেরকে চিনে তাদের থেকে সতর্ক থেকেছেন। তারা গণতন্ত্র ও দেশতন্ত্রকে অস্বীকার করেছেন এবং ফিলিস্তীনী প্রশাসন থেকে সম্পর্ক চ্ছিন্ন করেছেন।
যখন জবর-দখলকারী ইহুদীরা মসজিদে আকসাকে আবর্জনাযুক্ত করল, তখন তাদের অন্তর বিমর্ষ হল, তারা সহ্য করতে পারলেন না, চোখ নীচু করে থাকতে পারলেন না। শত্রুদেরকে প্রতিহত করা ছাড়া কোন উপায় দেখলেন না। কিন্তু তাদের জাতি তাদেরকে বঞ্চিত করল। যেন বেদনায় তাদের অন্তর মুচড়ে যাচ্ছিল আর তাদের অবস্থার ভাষা ব্যক্ত করছিল: মসজিদে আকসা কি পুরো উম্মতের মধ্যে শুধু আমাদেরই? আমাদের জাতির কি হল, তারা আমাদের সঙ্গ দিচ্ছে না!
যখন শত্রুদের আক্রমণ ও বন্ধুদের অসহযোগীতার এই অবস্থা দাঁড়ালো, তখন তারা সত্য হৃদয়ে দৃঢ়প্রত্যয়ে ও দীপ্ত শপথে সর্বস্ব ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলেন এবং সেই আল্লাহর ডাকে সাড়া দিলেন, যিনি প্রজ্ঞাময় কুরআনে বলেছেন:
فَقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ لَا تُكَلَّفُ إِلَّا نَفْسَكَ ۚ وَحَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ
“সুতরাং তুমি আল্লাহর পথে যুদ্ধ কর। তোমার উপর নিজের ছাড়া অন্য কারো দায়ভার নেই। এবং মুমিনদেরকে উৎসাহ দিতে থাক।” (নিসাঃ ৮৪)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা’লার আনুগত্য করলেন এবং নিজেদের প্রাণকে তার জন্য সস্তায় বিক্রি করে দিলেন। তাই তাদের দান আল্লাহর জন্যই এবং তাদের বিনিময়ও আল্লাহরই দায়িত্বে।
نَّحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَ نَبَأَهُم بِالْحَقِّ ۚ إِنَّهُمْ فِتْيَةٌ آمَنُوا بِرَبِّهِمْ وَزِدْنَاهُمْ هُدًى ﴿١٣﴾ وَرَبَطْنَا عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ إِذْ قَامُوا فَقَالُوا رَبُّنَا رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَن نَّدْعُوَ مِن دُونِهِ إِلَٰهًا ۖ لَّقَدْ قُلْنَا إِذًا شَطَطًا ﴿١٤﴾
“তারা ছিল একদল যুবক, যারা নিজ প্রতিপালকের প্রতি ঈমান এনেছিল এবং আমি তাদেরকে হিদায়াতে প্রভূত উৎকর্ষ দান করেছিলাম। আমি তাদের অন্তর সুদৃঢ় করে দিয়েছিলাম। এটা সে সময়ের কথা, যখন তারা উঠল এবং বলল, আমাদের প্রতিপালক তিনিই, যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মালিক। আমরা কিছুতেই তাকে ছাড়া কাউকে উপাস্যরূপে ডাকব না। আমরা যদি সে রকম করি, তবে নি:সন্দেহে আমরা চরম অবাস্তব কথা বলব।” (সূরা কাহফ-১৩-১৪)
তারা তাদের সবচেয়ে দামি সম্পদ তাদের জান কুরবানী করে দিলেন শত্রুদের চক্রান্ত প্রতিহত করার জন্য এবং মুসলিম ভাইদেরকে রক্তে লিখিত সেই উষ্ণ বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য, যা তাদের হৃদয়কে প্রকম্পিত করবে, তাদের সকল অজুহাত অকার্যকর করে দিবে এবং চিৎকার করে তাদেরকে বলবে: আজকের পর তোমাদের আর কোন ওযর বাকি নেই। দেখ ছুরি ও চাকুই আমাদের অস্ত্র, তোমাদের কি ছুরি-চাকুও নেই?!
কবিতার অনুবাদ:
আশ্চর্য হও সেই ব্যক্তির জন্য, যে সবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে, সব মানুষ তাকে
বঞ্চিত করছে, কিন্তু তার শত্রুরা তার ভয়ে মরার উপক্রম।
যে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রক্তের মাধ্যমে এমন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে
শাহাদাতের ভালবাসা রূপকথার মত।
তার সংকল্পে সামান্যও চির ধরাতে পারেনি স্বীয় জাতির অসহযোহীতা অথবা
যেকোন কারাগারের নির্যাতনের ভয়।
সে কোন মুখের সমর্থনেরও আশ্রয় গ্রহণ করেনি, যা শুধুই চমকপ্রদ কথা;
কাজে নেই।
তারা যদি তাদের অহমিকা ধরে রাখতে তাকে একাই ফেলে রাখে, তাহলে
নিশ্চিতই তাদের অধিকাংশ লোক সীমাহীন লজ্জায় মারা যাবে।
আল কুদস হল এমন দুলহান, যার মহর কেবল আমাদের রক্ত। মহর পরিশোধ
করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।
হে কুদস! তারা তোমার জন্য আমাদের যতই রক্ত ঝরাক, সর্বদা নিরাপদ
আশ্রয়ে সুরক্ষিত থাকাই তোমার অধিকার।
আল্লাহর শপথ হে কুদস! আমাদের ঋণের বোঝা যতই ভারি হোক, তোমার
মুক্তিই সর্বদা আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য।
তাই সমস্ত মুসলিম উম্মাহর উচিত, আমাদের ফিলিস্তীনী ভাইদের আন্দোলনে শরীক হওয়া, তাদেরকে সাহায্য ও সহযোগীতা করা এবং তাদের শক্তি বৃদ্ধি করা। আর তা হবে ইহুদীদেরকে হত্যা করা এবং যেকোন স্থানে ইহুদীদের স্বার্থের উপর আঘাত করার মাধ্যমে। আমাদেরকে অবশ্যই মুসলিমদের ভূমিসমহকে তাদের নাপাক পদচারণা থেকে মুক্ত করতে হবে এবং তাদের প্রধান সাহায্যকারী ও ফিলিস্তীনের ভূমিতে তাদের অস্তিত্ব রক্ষাকারী আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলোর নাপাকী থেকে তাকে পবিত্র করতে হবে। ইহুদীদের জন্য আমেরিকান সাহায্য বছরে তিন বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে এবং তারা এই সাহায্য পাঁচ বিলিয়নে উন্নীত করার আশা পোষণ করছে। আর ওয়াশিংটন ও তেলআবিবের মধ্যকার সামরিক সহযোগীতা এ যাবতকালের দু’দেশের মধ্যকার সামরিক সহযোগীতাসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বড়। তাই অবশ্যই ইহুদীদের সাহায্যকারীদেরকে তাদের রক্তের মাধ্যমে হিসাবের বিল কষতে হবে। অবশ্যই তাদেরকে সেই স্বাদ আস্বাদন করতে হবে, যা আমাদের ফিলিস্তীন ও গাজার অধীবাসীরা আস্বাদন করেছে।
তাই প্রতিটি মুসলিমের উপর, যে আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে, যে বিশ্বাস করে, মসজিদে আকসা আমাদের প্রথম কেবলা এবং আমাদের নবী ﷺ এর উধ্বাকাশ ভ্রমনের সূচনাস্থল, তার উপর আবশ্যক আল্লাহর পথে জিহাদে নিজের জীবন দিয়ে মসজিদে আকসাকে রক্ষার কাজে অংশগ্রহণ করা এবং আমাদের সেই সকল পূত-পবিত্রা বোনদের প্রতিশোধ গ্রহণ করা, যাদেরকে ইহুদীরা হত্যা করে তাদের রক্ত শীতল করে দিয়েছে এবং যখনই নিজের চোখের সামনে ইহুদী ও ক্রুসেডারকে নিরাপদে ভোগ-বিলাস করতে দেখবে, তখন যন্ত্রণা অনুভব করবে।
এটাই মসজিদে আকসাকে মুক্ত করার পথ। জিহাদ ও কিতালের মাধ্যমে। যা আল্লাহ তার মহান কিতাবে বিধিবদ্ধ করেছেন।
فَقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ لَا تُكَلَّفُ إِلَّا نَفْسَكَ ۚ وَحَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ ۖ عَسَى اللَّهُ أَن يَكُفَّ بَأْسَ الَّذِينَ كَفَرُوا ۚ وَاللَّهُ أَشَدُّ بَأْسًا وَأَشَدُّ تَنكِيلًا ﴿٨٤﴾
“সুতরাং তুমি আল্লাহর পথে যুদ্ধ কর। তোমার উপর নিজের ছাড়া অন্য কারো দায়ভার নেই। অবশ্য মুমিনদেরকে উৎসাহ দিতে থাক। অসম্ভব নয় যে, আল্লাহ কাফেরদের যুদ্ধক্ষমতা চূর্ণ করে দেবেন। আল্লাহর শক্তি সর্বাপেক্ষা প্রচন্ড এবং তার শাস্তি সবচেয়ে কঠোর”। (নিসাঃ ৮৪)
যখন আল্লাহর নহর এসে যায়, তখন সব পরিত্যাক্ত নহর বাতিল হয়ে যায়। অজুহাত, সাঁজানো দলিল, অপব্যাখ্যা ও দর্শন অকার্যকর হয়ে যায়। আল-কুদস’ এমন দুলহান যার মাহর কেবল আমাদের রক্ত এই সাহায্য, যার প্রতি আমরা মুসলিমদেরকে আহ্বান করছি, তার পাশাপাশি মুসলিম জাতির আরো করণীয় হল অস্ত্র ও রসদ প্রস্তুত করা এবং অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করা এমন বিশাল বাহিনী গড়ে তুলার কাজে অংশগ্রহণের জন্য, যা হবে মেঘমালার ন্যায় বৃহদাকার। আল্লাহর আদেশে আল-কুদসকে মুক্ত করার বাহিনী। এই মহান কাজে সমস্ত মুসলিম উম্মাহর অংশগ্রহণ করা আবশ্যক। তাই আল্লাহর হুকুমে প্রতীক্ষিত আল-কুদস মুক্ত করার যুদ্ধ কোন নির্দিষ্ট গ্রাম বা শহর মুক্তি করার যুদ্ধ নয়। অনুরূপভাবে কোন দল বা সংগঠনের যুদ্ধ নয়। বরং এটা হচ্ছে পার্থক্যকারী মহাযুদ্ধ (মালহামা)। ঈমান ও কুফরের মাঝে যুদ্ধ। সমগ্র উম্মতের যুদ্ধ। সেই উম্মতের যুদ্ধ, যাদেরকে বের করা হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য, জালিম স্বৈরাচারি কুফরী জাতিসমূহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।
এই মহাযুদ্ধের সবচেয়ে উপযোগী ও শ্রেষ্ঠ ময়দান হল বরকতময় শামের ময়দান। আমাদের স্বরণ করা উচিত যে, বরকতময় সিরিয়া যুদ্ধের পূর্বের সময়গুলোর যেকোন সময় থেকে বর্তমানে ফিলিস্তীনকে মুক্ত করার পথ অনেক নিকটবর্তী। তাই মুসলিম জাতির উপর আবশ্যক হল, শামের জিহাদকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে দেখা। তাকে দিকনির্দেশনা ও পথপ্রদর্শন করা, শরয়ী ও রাজনৈতিকভাবে তাকে হেফাজত করা, সেখানে মুজাহিদদেরকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রতি লক্ষ্য রাখা। কারণ এখন বিচ্ছিন্নতাবাদী ও বিবাদকারীদের জন্য অজুহাতের কোন পথ অবশিষ্ট নেই, যখন সারা বিশ্ব মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে।
শামের জিহাদের ব্যাপারে সমস্ত মুসলিমদের চিন্তাধারা, বিশেষ করে মুজাহিদদের চিন্তাধারা সংশোধন করার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। যে সমস্ত চিন্তাধারাগুলো সংশোধন করা উচিত, তার মধ্যে একটি হল, দল বা জামাতের পক্ষপাতিত্ব করা থেকে সতর্ক করা। তাই যে আমাদের দলের মধ্যে থাকে, তার প্রতি আমাদের ভালবাসা অন্যান্য মুসলিমদের উপর প্রাধান্য পাওয়া শুধু এই কারণে যে, তারা আমাদের দলভূক্ত নয়, এমনটা উচিত নয়। বন্ধুত্ব ও বিচ্ছেদ দল বা জামাতের সাথে যুক্ত হওয়ার ভিত্তিতে হবে না। প্রতিশোধ গ্রহণ বা পরাজয় বরণ এবং শহীদ বা আহতদের ব্যাপারে আনন্দ-বেদনা এই ভিত্তিতে হবে না। কারণ এসবগুলোই জাহিলী কর্মকান্ড। আর যে মুমিন ও মুজাহিদগণ মানুষদেরকে বর্ণ, বংশ ও দেশীয় সাম্প্রদায়িকতা থেকে সতর্ক করবে, তারাই বিভিন্ন দলীয় সাম্প্রদায়িকতায় জড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। মুমিনগণ সকলে ভাই ভাই। আরব ও অনারবের মাঝে কোন পার্থক্য নেই তাকওয়া ছাড়া।
সত্যবাদী উলামায়ে কেরামের উচিত আল্লাহ আয্যা ওয়াজাল্লাকে ভয় করা এবং স্বীয় জান নিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদে বের হয়ে পড়া। কারণ জিহাদের ময়দানগুলো তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনবোধ করে। ব্যবসায়ী ও চাকুরী জীবীদের উচিত তাদের যাকাত দিয়ে তাকে সহযোগীতা করা। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ লোকদের উচিত তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে শামের জিহাদকে সাহায্য করা। যাতে সকল প্রচেষ্টাগুলোকে একটি অবয়বে দাঁড় করানো যায়, যার দ্বারা আল্লাহর হুকুমে আল-কুদসকে মুক্তকারী বাহিনী গড়ে তোলা যায়। আল্লাহ তা’আলা বলেন:
وَأَعِدُّوا لَهُم مَّا اسْتَطَعْتُم مِّن قُوَّةٍ وَمِن رِّبَاطِ الْخَيْلِ تُرْهِبُونَ بِهِ عَدُوَّ اللَّهِ وَعَدُوَّكُمْ وَآخَرِينَ مِن دُونِهِمْ لَا تَعْلَمُونَهُمُ اللَّهُ يَعْلَمُهُمْ ۚ وَمَا تُنفِقُوا مِن شَيْءٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنتُمْ لَا تُظْلَمُونَ ﴿٦٠﴾
“তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব ছাউনী প্রস্তুত কর, যা দ্বারা তোমরা আল্লাহর শত্রু ও নিজেদের বর্তমান শত্রুদেরকে সন্ত্রস্ত্র করে রাখবে এবং তাদের ছাড়া সেই সব লোককেও, যাদেরকে তোমরা এখনও জান না। কিন্তু আল্লাহ জানেন। তোমরা আল্লাহর পথে যা-কিছু ব্যয় করবে, তা তোমাদেরকে পরিপূর্ণরূপে দেওয়া হবে এবং তোমাদেরকে কিছু কম দেওয়া হবে না”। (আনফালঃ ৬০)
পরিশেষে আমাদের ফিলিস্তীনী ভাইদের প্রতি তাদের উদ্দেশ্যে বলব: নিশ্চয়ই তোমাদের পূর্বপুরুষদের রক্ত, সেটা আমাদেরই পূর্বপুরুষদের রক্ত আর তোমাদের রক্ত, সেটা আমাদেরই রক্ত। তাই রক্তের বদলায় রক্ত। ধ্বংসের বদলায় ধ্বংস। মহান আল্লাহকে সাক্ষী রাখছি, আমরা কখনোই তোমাদেরকে একা ফেলে রাখব না। আমরা অবশ্যই সেই জিহাদ চালিয়ে যাব, যার সূচনা করে গেছেন আমাদের মহাপুরুষগণ স্বচ্ছ ও পরিস্কারভাবে। যেভাবে আমাদের প্রতিপালক ভালবাসেন। যতক্ষণ না পরিপূর্ণ বিজয় অর্জিত হয় অথবা আমরা সেই স্বাদ আস্বাদন করি, যা আস্বাদন করেছেন হামযা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব রা:।
আর আমরা তোমাদেরকে সুসংবাদ দিচ্ছি: ইসলামের বিজয় অত্যাসন্ন। আল্লাহর হুকুমে ইয়মানের বিজয় ক্রমাগত সামনে অগ্রসর হচ্ছে, শামের বিজয় নিকটবর্তী হয়েছে। খোরাসান, সোমালিয়া, উত্তর আফ্রিকা ও ইসলামী মাগরিবের বিজয়ের সম্ভবনা তীব্রতর হয়েছে।
وَاللَّهُ غَالِبٌ عَلَىٰ أَمْرِهِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ ﴿٢١﴾
“আর আল্লাহ নিজ কর্মে বিজয়ী। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না”।
পরিশেষে সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।
Comment