Announcement

Collapse
No announcement yet.

“ফুরসান তাহতা রায়াতিন নাবিয়্যি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” সিরিজ-৬

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • “ফুরসান তাহতা রায়াতিন নাবিয়্যি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” সিরিজ-৬

    ছ. খালিদ আল ইসলামবুলি ও তার সঙ্গীদের হাতে আনওয়ার সাদাত হত্যার বিষয়টি ছিল এ অঞ্চলে আমেরিকা ও ইসরাঈলী নীলনকশার উপর শক্তিশালী আঘাত। যা প্রমাণ করে, ইসরাঈল ও আমেরিকার প্রতি শত্রুতা মুসলিমদের অন্তরে বদ্ধমূল।

    আর এটা আরব ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের মুখে প্রচলিত মিথ্যা ও ঘৃণ্য অপপ্রচারগুলোর জঘন্যতাও প্রকাশ করে, যারা বলে: অধিকাংশ জিহাদী আন্দোলন, বিশেষত: আফগান জিহাদে অংশগ্রহণকারী আন্দোলনগুলো আমেরিকার সৃষ্টি।

    ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী লেখকদের এ দু:সাহসী অপপ্রচারে মানুষ আশ্চর্য হয়ে যায়! আসলে তারা যখন দেখল, ইসলামী মুজাহিদগণ কর্তৃক আমেরিকার উপর বেদনাদায়ক আঘাত হানার পর ইসলামী বিশ্বের স্বাধীনচেতা মসুলিমগণ ব্যাপকভাবে ইসলামী জিহাদী আন্দোলনগুলোর সমর্থন দেওয়া শুরু করেছে, তখন তাদের থলে শূণ্য হয়ে গেল। তাই তারা পূর্বাপর কিছু না ভেবে এই মিথ্যা অপবাদ আবিস্কার করল। একথা ভুলে থাকল যে, আফগান জিহাদের সূচনালগ্নে ১৯৮১ সালে আরব অঞ্চলে আমেরিকার সবচেয়ে বড় দালাল (আনওয়ার সাদাত) এসকল মুজাহিদগণের হাতেই নিহত হয়েছে এবং এসকল মুজাহিদগণই পরবর্তীতে আফগান জিহাদে অংশগ্রহণ করেছেন।

    জ. আমার ধারণামতে (বাকিটা আল্লাহই ভালো জানেন) আনওয়ার সাদাত হত্যার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফল হল, এটা একথা প্রমাণ করেছে যে, মিশরবাসী তাদের ফেরাউনের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটিয়ে তাকে হত্যা করেছে। এটি মিশর ও আরব ইতিহাসে এক ভয়ংকর ঐতিহ্য। যদি ইসলামিক চেতনার বিস্তার না ঘটত, তাহলে বিপথগামী ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারি ইসলামের শত্রুদেরকে প্রতিহত করার এই দু:সাহসিকতা তৈরি হত না। যদি বিশুদ্ধ আকিদার চেতনা, তথা আল ওয়ালা ওয়াল বারা (বন্ধুত্ব ও বৈরিতা) এবং হাকিমিয়া তথা আল্লাহর শাসনকর্তৃত্বের চিন্তাধারা ছড়িয়ে না পড়ত এবং উম্মাহর মাঝে জিহাদের প্রাণ ছড়িয়ে না পড়ত, তাহলে এই সাহস হত না।

    এটি সকল মাপকাঠিতেই একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। অন্যান্য ঘটনাগুলো এটা প্রমাণও করেছে। কারণ আনওয়ার সাদাত হত্যার কারণে জিহাদী ঘটনাবলী বাঁধভাঙ্গা স্রোতের ন্যায় প্রসার লাভ করেছে। একটি নতুন যুগ ও নতুন ধাপ শুরুর ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে, যার দায়িত্ব পালন করত একটি নতুন প্রজন্ম। আমি আমার কারাগারের সহকর্মীদেরকে বলেছিলাম: আসলে আনওয়ার সাদাত হত্যার ঘটনা সর্বার্থেই একটি বিশাল ঐতিহাসিক ঘটনা। আমরা সকলে যদি শহীদ হয়ে যাই অথবা এই ঘটনার কারণে আমাদের অবশিষ্ট গোটা জীবন কারাদণ্ডের ফায়সালা হয়, তবু আমরা সফল।

    কিন্তু পরিতাপের বিষয়, আমার কারাগারের কিছু সঙ্গী এই মত ও গবেষণা গ্রহণ করতে মানষিকভাবে প্রস্তুত ছিল না। তাদের আত্মিক ও মানষিক শক্তি এর থেকে অনেক নিচে ছিল। আমি তাদের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য জীবন যাপনের কারণে তাদের মাঝে এমন কিছু বীজ দেখতাম, যা উইপোকার ন্যায় অন্তরের ভেতরটাকে খেয়ে ফেলে। যেটাকে ইসাম আল কামারি এই শব্দে ব্যক্ত করেছেন: ‘কাঁচা ভ্রাতৃত্ব’। পরিতাপের বিষয়, পরবর্তী ঘটনাবলী সেই প্রাথমিক লক্ষণগুলোকেই বাস্তবে পরিণত করেছে। এ নিয়ে ভিন্ন আলোচনা আছে।

    এরা হল ছোট্ট শিশুর ন্যায়, যাকে একটি বিশাল বড় ভারি ধারালো তরবারি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে তা বহন করার চেয়ে দুর্বল। তাহলে সে কিভাবে এটা দিয়ে যুদ্ধ করবে? সে কিছু সময় এটা বহন করে যুদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পরিশেষে আত্মসমর্পণ করে অস্রটি কয়েক দিরহামে স্বল্পমূল্যে বিক্রয় করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে সে ছিল অল্পেই পরিতৃপ্ত। দুনিয়ার তুচ্ছ কিছু বস্তুর মোকাবেলায় নত স্বীকার ও ক্ষমা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। তার শক্তি, শৌর্য-বীর্য ও শত্রুর উপর দাপটের হাতিয়ার ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অতি নগন্য তুচ্ছ দুনিয়ার বিনিময়ে নিচু হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়, যার থেকে ঢের বেশি বিলাসিতায় উপভোগ করছে লাখো মানুষ নিচু হওয়া ব্যতিতই। কারণ তার ভিতরে আছে এক শিশু অন্তর ও শিশু চিন্তা-ভাবনা, যে ভারি মেশিনগানের তুলনায় কয়েকটি ক্যাণ্ডিবারকেই পছন্দ করে।

    মানব ইতিহাসের বড় বড় ঘটনাগুলোতে এই চিত্র বারবারই ভেসে উঠে। কুরআনুল কারীমের মাঝে গভীর চিন্তাকারী ব্যক্তি তার অনেক স্থানে এই রোগ ও অসুস্থতার বৈশিষ্ট্যগুলো খুঁজে পাবে। যেমন তন্মধ্যে সূরা আহযাব ও তাওবার মধ্যে রয়েছে, আল্লাহ তা’আলা বলেন:

    ﴿وَإِذْ قَالَت طَّائِفَةٌ مِّنْهُمْ يَا أَهْلَ يَثْرِبَ لَا مُقَامَ لَكُمْ فَارْجِعُوا وَيَسْتَأْذِنُ فَرِيقٌ مِّنْهُمُ النَّبِيَّ يَقُولُونَ إِنَّ بُيُوتَنَا عَوْرَةٌ وَمَا هِيَ بِعَوْرَةٍ إِن يُرِيدُونَ إِلَّا فِرَارًا {১৩} وَلَوْ دُخِلَتْ عَلَيْهِم مِّنْ أَقْطَارِهَا ثُمَّ سُئِلُوا الْفِتْنَةَ لَآتَوْهَا وَمَا تَلَبَّثُوا بِهَا إِلَّا يَسِيرًا {১৪} وَلَقَدْ كَانُوا عَاهَدُوا اللَّهَ مِن قَبْلُ لَا يُوَلُّونَ الْأَدْبَارَ وَكَانَ عَهْدُ اللَّهِ مَسْؤُولًا﴾.

    “এবং (স্মরণ কর) যখন তাদেরই মধ্যকার কতিপয় লোক বলেছিল, হে ইয়াসরিববাসী! এখানে তোমাদের কোন স্থান নেই। সুতরাং ফিরে যাও। আর তাদেরই মধ্যে কিছু লোক (বাড়ি যাওয়ার জন্য) এই বলে নবীর কাছে অনুমতি চাইল যে, আমাদের ঘর অরক্ষিত, অথচ তা অরক্ষিত ছিল না, বরং তাদের অভিপ্রায় ছিল কেবল (কোন উপায়ে) পালিয়ে যাওয়া। শত্রুরা যদি মদিনার চারদিক থেকে এসে তাদের কাছে পৌঁছে যেত আর তাদেরকে বিদ্রোহে যোগ দিতে বলা হত, তবে তারা অবশ্যই তাতে যোগ দিত এবং তখন গৃহে অবস্থান করত অল্পই। তারা পূর্বে আল্লাহর সঙ্গে অঙ্গীকার করেছিল যে, তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে না। আর আল্লাহর সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” (সূরা আহযাব: ১৩,১৪,১৫)

    এর কিছু পরেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা সত্যবাদিদের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করত: বলেন:

    ﴿لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا {২১} وَلَمَّا رَأَى الْمُؤْمِنُونَ الْأَحْزَابَ قَالُوا هَذَا مَا وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَصَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَمَا زَادَهُمْ إِلَّا إِيمَانًا وَتَسْلِيمًا {২২} مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُم مَّن قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُم مَّن يَنتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا {২৩} لِيَجْزِيَ اللَّهُ الصَّادِقِينَ بِصِدْقِهِمْ وَيُعَذِّبَ الْمُنَافِقِينَ إِن شَاء أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا﴾.

    “বস্তুত রাসূলের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ- এমন ব্যক্তির জন্য, যে আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করে। মুমিনগণ যখন (শত্রুদের) সম্মিলিত বাহিনীকে দেখেছিল, তখন তারা বলেছিল, এটাই সেই বিষয়, যার প্রতিশ্রুতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আমাদেরকে দিয়েছিলেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সত্যই বলেছিলেন। আর এ ঘটনা তাদের ঈমান ও আনুগত্যের চেতনাকে আরো বৃদ্ধি করে দিয়েছিল। এই ঈমানদারদের মধ্যেই এমন লোকও আছে, যারা আল্লাহর সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতিকে সত্যে পরিণত করেছে। ফলে তাদের কতক তাদের নযরানা আদায় করে দিয়েছে আর কতক এখনো প্রতীক্ষায় আছে। আর তারা (তাদের ইচ্ছার ভেতর) কিছুমাত্র পরিবর্তন ঘটায়নি। (এ ঘটনা ঘটার কারণ) আল্লাহ সত্যনিষ্ঠদেরকে তাদের সততার পুরস্কার দিবেন এবং মুনাফিকদেরকে ইচ্ছা করলে শাস্তি দিবেন অথবা তাদের তাওবা কবুল করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (সূরা আহযাব: ২১, ২২, ২৩, ২৪)

    একই প্রসঙ্গে মানুষ হীনতা ও দীনতার চূড়ান্ত অবস্থা অনুভব করতে পারে এই ঘটনায়:- যখন ‘ফটোগ্রাফারের‘ সঙ্গে এক সংলাপে ওমর আত-তেলেসমানিকে আনওয়ার সাদাতের হত্যার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি উত্তর দেন:

    “এ ধরণের অপরাধ ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে শত ক্রোশ দূরে।”


    ৪- নির্যাতনের স্টিমরোলার

    এ সকল ঘটনাগুলোর পর সরকারের পাল্টা প্রতিক্রিয়া ছিল অমানবিক কঠোর ও হীন। মিশরের সমসাময়িক ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাসে নতুন রক্তাক্ত অধ্যায় রচনা করার জন্য নির্যাতন ও শাস্তির পেষণযন্ত্র সর্বোচ্চ গতিতে ঘুরতে লাগল আরেকবার।

    নির্যাতনের চাকা ঘুরল অমানবিকভাবে। যা হারগোড় ভেঙ্গে দিল, চামড়া উপড়ে ফেলল, শিরা-উপশিরা বন্ধ করে দিল এবং প্রাণ হরণ করল। তার পন্থা ছিল অত্যন্ত হীন। কারণ তাতে ছিল দ্বীন ও রবকে গালি দান, নারীদেরকে মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা, যৌন নির্যাতন, পুরুষদেরকে মহিলাদের নামে অভিহিত করা, ক্ষুধার্ত রাখা, নিম্নমানের খাবার দেওয়া, পানি বন্ধ রাখা, তালাবদ্ধ রাখা, সাক্ষাৎ নিষিদ্ধ করা এবং এছাড়াও বন্দীদেরকে লাঞ্ছিত করার যত প্রচলিত মাধ্যম আছে।

    আমি দূর্গের কারাগারের কোন একটি সেলের দেয়ালে খোদাই করা কবিতার একটি পংক্তি দেখলাম। তাতে লেখা ছিল:

    • কতই না সুখী জীবন হত, যদি যুবক পাথর হয়ে যেত, সকল বিপদ মলিন হত এবং সে থাকত অক্ষত।

    আরেকটি বাণী খোদাই করা ছিল:

    • যখন কোন নারী নষ্ট হয়ে যায়, তখন সে হয় ব্যাভিচারিণী আর যখন কোন পুরুষ নষ্ট হয়ে যায়, তখন সে হয় পুলিশ।

    সরকার বরাবরের মতই ধারণা করেছিল, নির্যাতনের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান ইসলামি প্রতিরোধকে নিশ্চি‎হ্ন করে দিবে, কিন্তু তারা এতটাই ব্যর্থ হয়েছে, যার কোন সীমা নেই; যদিও নির্যাতনের মাধ্যমে অনেক কথা উদ্ধার করতে পেরেছে। ফলে যারাই এই কলঙ্কময় অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, তাদের সিংহভাগ এমন যে, তারা কারাগারে ঢুকেছিল একটি প্রতিশোধের ইচ্ছা নিয়ে আর বের হয়েছে দু’টি প্রতিশোধের ইচ্ছা নিয়ে। একটি হল, আমেরিকা-ইসরাঈলের সেবায় ইসলামের সাথে শত্রুতাকারী পাপিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সাধারণ প্রতিশোধ। আরেকটি হল, যারা নির্যাতিত হয়েছেন, যাদের ভাইদেরকে নির্যাতন করা হয়েছে এবং যাদের সম্মানিত ঘরনীদের উপর নির্যাতন করা হয়েছে তাদের বিশেষ প্রতিশোধ।

    এই নির্যাতন স্মৃতিপটে এমন গভীর গর্ত সৃষ্টি করেছে, যা কখনো মুছে যাবার নয়, অনুভূতিতে এমন ক্ষত সৃষ্টি করেছে, যা কখনো প্রশমিত হওয়ার নয় এবং মনে এমন জলন্ত অঙ্গার সৃষ্টি করেছে, যা নির্বাপিত হওয়ার নয়; যতক্ষণ না আল্লাহর হুকুমে ও সাহায্যে কিসাস গ্রহণ করি ইনশআল্লাহ।

    এটি এক সদা জীবন্ত ও প্রতিনিয়ত নুতনত্ব লাভকারী প্রতিশোধ স্পৃহা, যা উসূল করার উপযুক্ত সুযোগের অপেক্ষা করছে, যদিও সময় দীর্ঘ হোক না কেন। এটা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করবে ইনশআল্লাহ।

    এবারের নির্যাতনের স্টিমরোলার পূর্বেরগুলো থেকে দু’দিক থেকে ভিন্ন: কারণ এ নির্যাতন অব্যাহতভাবে চলেছে। এমনকি এখনো পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে। অপরদিকে এটা আনওয়ার সাদাতের হত্যার পর থেকে আজ পর্যন্ত পেশ করে আসা হাজারো কুরবানীকে গিলে ফেলেছে।

    সরকার মিশরের কারাবন্দিদের প্রকৃত সংখ্যা সম্পূর্ণ গোপন করে। আমি মিশরীয় শাসনব্যবস্থার আলোচনা প্রসঙ্গে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশআল্লাহ।


    ১ম পর্ব


    ২য় পর্ব


    ৩য় পর্ব


    ৪র্থ পর্ব


    ৫ম পর্ব

  • #2
    ধারাবাহিক পর্বগুলো অনেক উপকারী মনে হচ্ছে ৷
    আমারা সকলে পর্বগুলো বুঝে বুঝে পড়ে নিব ৷
    আল্লাহ তাউফিক দান করুন ৷ আমিন
    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

    Comment


    • #3
      সুপ্রিয় ভাইয়েরা,, আমাদের দেশের ভাইদের নিয়েও একটি ইতিহাস লিখা হোক। আমাদের দেশের মুজাহিদ ভাইয়েরা,যারা বন্দি আছেন। যারা বন্দি অবস্থায় শহিদ হয়েছেন, হেফাজতের আন্দোলনের সময় যারা শহিদ হয়েছেন[ আমরা এমনটিই ধারণা করি] হেফাজতের আন্দোলনের সময় যারা আহত হয়েছেন। আমরা কবে আমাদের মুসলিমদের হত্যার প্রতিশোধ নিবো???? মুজাহিদ ভাইদের প্রতিশোধ, ছাত্র ভাইদের প্রতিশোধ...আর এই নষ্ট ত্বাগুত সরকারের সাথে আলিমরা সাক্ষাৎ করে, কথা বলে।
      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

      Comment


      • #4
        আল্লাহ্ ভাইকে উত্তম বিনীময় দান করুন,
        সিরিজটা খুবই উত্তম হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ্।

        Comment


        • #5
          মাশাআল্লাহ, বিশাল খেদমত। আল্লাহ কবুল করুন। আমীন
          প্রিয় ভাইজান, ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যান, ইনশা আল্লাহ।
          উম্মাহ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে আশা করি। জাযাকাল্লাহ
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment


          • #6
            আল্লাহ তায়ালা অনুবাদক ভায়ের কাজে বারাকাত দান করুন।আমীন।
            দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

            Comment

            Working...
            X