Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ০৯ || ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ || উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) এর বক্তব্যের অনুলিখন || শেষ পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ০৯ || ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ || উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) এর বক্তব্যের অনুলিখন || শেষ পর্ব

    আল-ক্বাদিসিয়াহ মিডিয়া পরিবেশিত
    বাংলায় অনূদিত আস-সাহাবের মুক্তিপ্রাপ্ত ভিডিও
    ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ
    -শাইখ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) এর বক্তব্যের অনুলিখন||

    এর থেকে = শেষ পর্ব
    ==================================================
    =====

    আমি আলেম এবং দায়ী’দের সামনেও কিছু প্রস্তাব রাখতে চাই, তাদের অনুরোধ করতে চাই তারা যেন এগুলোকে পরিপূর্ন এবং যথার্থ করার জন্য সম্ভব সকল প্রচেষ্টাকে চালু রাখে। এই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে:


    তৃতীয়ত, মুনাফিক এবং মিডিয়ার শত্রুদের চিহ্নিত করে তাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে, বিশেষত তথ্য প্রবাহের সাথে যুক্ত খবরের কাগজ, বই, ম্যাগাজিন, রেডিও স্টেশন এবং স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো, যাদের মধ্যে শেষোক্ত দুইটিই সবচেয়ে ভয়াবহ, যেমন বিবিসি আর তার সহযোগীরা, আল-হুররাহ, আল-আরাবিয়্যাহ। তাদের তালিকাও প্রস্তুত করতে হবে যারা আমাদের না বুঝেই শত্রুদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে, যেমন গুজব ছড়ানো যা মুসলিমদের মানসিক মনোবল ভেঙ্গে দিচ্ছে এবং পলায়নপর করছেআমাদের আইনের আওতায় থেকে এবং উম্মাহর মধ্যে এদের তালিকা প্রকাশ করে দিয়ে তাদের সতর্ক করে দিতে হবে, আর এই তালিকার সাথে প্রমান স্বরুপ সকল তথ্য উপাত্ত, তাদের ভাষন, উক্তি ইত্যাদি জুড়ে দিতে হবে এবং সাথে সাথে এগুলোর বিরুদ্ধে শরিয়া ভিত্তিক দালিলের ভিত্তিতে এগুলোকে খন্ডন করতে হবে। এখানে আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহর বানী মনে করিয়ে দিব:
    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُونُوا قَوَّامِينَ لِلَّهِ شُهَدَاءَ بِالْقِسْطِ ۖ وَلَا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَآنُ قَوْمٍ عَلَىٰ أَلَّا تَعْدِلُوا ۚ اعْدِلُوا هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَىٰ ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ ﴿٨﴾


    “হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনও ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না। সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত।” [৫.৮]

    মুনাফিকদের আসল পরিচয় প্রকাশ করে দেয়া একটি কুরআনের ত্বরিকা, আর আলেমরাও বিদআ’তি ও মুনাফিকদের পরিচয় প্রকাশ করাকে অবশ্য কর্তব্য বলে রায় দিয়েছেন। ইমাম আহমাদ রাহিমাহুল্লাহ কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, “আপনি কাকে বেশি পছন্দ করবেন, সেই ব্যক্তিকে যে সিয়াম রাখে, সালাত পড়ে ও ইতিকাফ করে নাকি সেই ব্যক্তিকে যে বিদআ’তির সম্পর্কে কথা বলে?” তিনি উত্তর করলেন, “সে যদি সালাত পড়ে ও ইতিকাফ করে তবে তা শুধুই তার জন্য, কিন্তু যদি সে বিদআ’তির সম্পর্কে কথা বলে তবে তা মুসলিমদের জন্য, সুতরাই এটাই উত্তম।”

    সকল ক্ষেত্রে মুনাফিকদের পরিচয় জানাটা এখন উম্মাহর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়বিশেষত গাজার পর তাদের থেকে সতর্ক থাকা, তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা, যেমন পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন:

    ۞ وَإِذَا رَأَيْتَهُمْ تُعْجِبُكَ أَجْسَامُهُمْ ۖ وَإِن يَقُولُوا تَسْمَعْ لِقَوْلِهِمْ ۖ كَأَنَّهُمْ خُشُبٌ مُّسَنَّدَةٌ ۖ يَحْسَبُونَ كُلَّ صَيْحَةٍ عَلَيْهِمْ ۚ هُمُ الْعَدُوُّ فَاحْذَرْهُمْ ۚ قَاتَلَهُمُ اللَّهُ ۖ أَنَّىٰ يُؤْفَكُونَ ﴿٤﴾‏
    يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ جَاهِدِ الْكُفَّارَ وَالْمُنَافِقِينَ وَاغْلُظْ عَلَيْهِمْ ۚ وَمَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ ۖ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ ﴿٧٣﴾


    “আপনি যখন তাদেরকে দেখেন, তখন তাদের দেহাবয়ব আপনার কাছে প্রীতিকর মনে হয়। আর যদি তারা কথা বলে, তবে আপনি তাদের কথা শুনেন। তারা প্রাচীরে ঠেকানো কাঠসদৃশ্য। প্রত্যেক শোরগোলকে তারা নিজেদের বিরুদ্ধে মনে করে। তারাই শত্রু, অতএব তাদের সম্পর্কে সতর্ক হোন। ধ্বংস করুন আল্লাহ তাদেরকে। তারা কোথায় বিভ্রান্ত হচেছ ?” [৬৩.৪] এবং “হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা।” [৯.৭৩]


    সার কথা হচ্ছে, আমাদের জন্য এখন অবশ্য জরুরী হচ্ছে সত ও সত্যবাদী নেতৃত্ব, আইনী এবং রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা, মুনাফিকদের মুখোশ খুলে দেয়া ও তাদের থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া ও নিজেদের আলাদা করে নেয়া, মনে রাখা যে শাসকদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই পৃথকিকরণ করা হয়ে গেছে। শাসকগোষ্ঠি তাদের নিজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ লালন পালন করছে যাদের কর্মী সংখ্যা হাজারে হাজারে, যারা উম্মাহর পরামর্শদাতাদের উপর তাদের নজরদারী রাখছে, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করছে যেন তাদের বিরুদ্ধে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে:

    তারা লোভ দেখিয়ে, মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে, চাকুরিচ্যুত করে, জেল জরিমানা করে, ভ্রমনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তাড়া করে, মর্যাদাহানী করার মাধ্যমে, এমনকি খুন করে শুধুমাত্র উম্মাহকে সেই হেদায়েতের রাস্তা থেকে দূরে রাখার জন্য যার মাধ্যমে উম্মাহকে পরামর্শ দেয়া হয়, ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সাবধান করা হয়; আর এর মধ্যে তারা তাদের পোষ্য উলামা এবং মিডিয়ার মাধ্যমে সর্বত্র খোলাখুলিভাবে তাদের প্রতারণাকে ছড়িয়ে দিতে থাকে এবং উম্মাহকে বিভ্রান্ত করতে থাকে।

    সময় সল্পতার জন্য শত্রুদের তালিকার মধ্যে আমি কেবলমাত্র আমাদের দেশগুলোর প্রবীন নেতৃবৃন্দের কথা উল্লেখ করবএই সব ঘটনার প্রেক্ষিতে কিছু মানুষকে আলাদা করে চিহ্নিত করা গেছে, বিশেষ করে উচ্চ বংশীয়, গোত্র নেতা, কিছু শাসক এবং উলামা; আর এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, আরব কিছু শাসকেরা ক্রুসেডার/জায়নিষ্টদের সাথে আমাদের ভাই বোনেদের বিরুদ্ধে গিয়ে মৈত্রীত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে: তারা হচ্ছে সেই শাসকেরা যাদের আমেরিকা নাম দিয়েছে ‘উদারপন্থী দেশের শাসক’। সত্যি কথা বলতে কি, ইন্দোনেশিয়া থেকে মৌরিতানিয়া পর্যন্ত সবগুলো দেশই কোন ব্যতিক্রম ছাড়াই এই দুইটি ধরনের যে কোন একটিতে পড়ে: দূর্নীতিপরায়ন দেশ, অথবা আরও বেশি দূর্নীতিপরায়ন দেশ; ইসলাম এদের শাসকদের অপকর্ম থেকে পৃথক ও পবিত্র।

    ইসলামের শুরুতে যে বিষয়গুলো শাসন ব্যবস্থাকে দৃঢ় ও মজবুত করেছিল যাতে তা নতুন সাম্রাজ্যের ভার বহন করতে পারে তা কোন গোপন বিষয় নয়, তাদের মধ্যে জনগনের ঈমান ও সাধারণ জীবনের পর সবচেয়ে জরুরী বিষয়গুলো হলো – মু’মিন এবং মুনাফিকদের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য। সেই অত্যন্ত কঠিন ঘটনাগুলো এবং হৃদয়বিদারক দু:খ কষ্টগুলো ভালোকে মন্দ থেকে এবং লোককে মুনাফিক থেকে তীব্রতার সাথে আলাদা করে ফেলেছিল, যেমন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা বলেন:

    وَمَا أَصَابَكُمْ يَوْمَ الْتَقَى الْجَمْعَانِ فَبِإِذْنِ اللَّهِ وَلِيَعْلَمَ الْمُؤْمِنِينَ ﴿١٦٦﴾‏ وَلِيَعْلَمَ الَّذِينَ نَافَقُوا ۚ وَقِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا قَاتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوِ ادْفَعُوا ۖ قَالُوا لَوْ نَعْلَمُ قِتَالًا لَّاتَّبَعْنَاكُمْ ۗ هُمْ لِلْكُفْرِ يَوْمَئِذٍ أَقْرَبُ مِنْهُمْ لِلْإِيمَانِ ۚ يَقُولُونَ بِأَفْوَاهِهِم مَّا لَيْسَ فِي قُلُوبِهِمْ ۗ وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا يَكْتُمُونَ ﴿١٦٧﴾


    “আর যেদিন দু'দল সৈন্যের মোকাবিলা হয়েছে; সেদিন তোমাদের উপর যা আপতিত হয়েছে তা আল্লাহর হুকুমেই হয়েছে এবং তা এজন্য যে, তাতে ঈমানদারদিগকে জানা যায়। এবং তাদেরকে যাতে সনাক্ত করা যায় যারা মুনাফিক ছিল। আর তাদেরকে বলা হল এসো, আল্লাহর রাহে লড়াই কর কিংবা শত্রুদিগকে প্রতিহত কর। তারা বলেছিল, আমরা যদি জানতাম যে, লড়াই হবে, তাহলে অবশ্যই তোমাদের সাথে থাকতাম। সে দিন তারা ঈমানের তুলনায় কুফরীর কাছাকাছি ছিল। যা তাদের অন্তত্মরে নেই তারা নিজের মুখে সে কথাই বলে বস'তঃ আল্লাহ ভালভাবে জানেন তারা যা কিছু গোপন করে থাকে।” [৩:১৬৬-১৬৭]

    উহুদের যুদ্ধের দিনে মুসলিমদের উপর যে ভয়াবহ বিপদ আপতিত হয়েছিল তার মধ্যে একটি হল, মুসলিম বাহিনীর এক তৃতীয়াংশ মুনাফিকদের সর্দার আব্দুল্লাহ বিন উবাই বিন সালুল এর কাছে আত্মসমর্পন করল, সে তাদের সাথে প্রতারণা করল এবং বলল যে শত্রুদের সাথে যুদ্ধ না করতে। আজকের দিনে সব মুসলিম দেশের সেনাবাহিনীই মুনাফিক শাসকদের অধীনস্ত, অপরপক্ষে বেসামরিক সেনাবহিনীর সিংহভাগই ইসলামিক দলগুলোর নেতাদের অধীনে আছে, যাদের অনেকেই মনে করেন যে আমাদের প্রচলিত সরকারই শারিয়াভিত্তিক সরকার এবং তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা যাবে না; তাই যদি হয় তবে আমাদের উপর এভাবে একের পর এক দু:খ দুর্দশা কেন আপতিত হচ্ছে?! গাজা আর এর অধিবাসীদের পরিত্যাগ করার মধ্য দিয়েই এইসব দলগুলোর অবস্থান পরিষ্কার হয়ে গেছে, তারা মুনাফিকদের কাছ থেকে জিহাদের হুকুমের অপেক্ষারত ছিল; যুবকদের উত্তম ব্যবহারের এটি কেমন নমুনা তারা পেশ করল?!

    আমাদের দায়িত্ব হল নেতৃত্ব এবং হেদায়েতের জন্য মুনাফিক এবং পরিত্যাগকারীদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা, যেমন উহুদের সফরের পর সাহাবীরা করেছিলেন; যখন ইবন সালুল বরাবরের মত মুসলিমদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে উঠদাঁড়াল (সে একজন গোত্র নেতা ছিল এবং মুসলিমদের প্রথম দলটিকে নির্দেশনা দিয়ে সে তার সেই প্রাধান্য বজায় রাখতে চেয়েছিল), সাহাবারা তখন চারিদিকে থেকে তার কাপড় মুঠি করে আঁকড়ে ধরল এবং বলল, ‘বসে পড় আল্লাহর দুশমন: তুমি যা করেছ তার পরে এই কাজ তোমাকে আর শোভা দেয় না।’

    আমাদের চারপাশে এখন অসংখ্য এমন আলেম আছে যারা হেদায়েতের ধারক হিসেবে নানাভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং উম্মাহকে মুনাফিক শাসকদের অধীনস্থ করবার জন্য বিভ্রান্ত করার সমস্ত আয়োজন করছে, ফিলিস্তিনকে অবমুক্ত করার জন্য জিহাদ থেকে বিরত রাখছে। কাজেই তাদের প্রত্যেকের সাথে মুখোমুখি বা ফোনে কথা বলা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় যেমন বলা হয়েছিল তাদের প্রথম এবং প্রধান ইবন সালুলকে, ‘‘বসে পড় আল্লাহর দুশমন: তুমি যা করেছ তার পরে এই কাজ তোমাকে আর শোভা দেয় না’। সাহাবারা রা: যা করেছিলেন ইবনে সালুলের মুখোশ খুলে দেবার জন্য এবং তাকে মুসলিমদের ধর্মীয় নেতাদের কাতার থেকে সরিয়ে দিতে, যাতে সে অন্য কোন জিহাদের সফরে একই ভাবে আবার এক তৃতীয়াংশ সেনা নিয়ে সরে যেতে না পারে আর মুসলিমরা আবার একই বিপদের সম্মুখিন হয়; আর আমাদেরও তাই করা উচিত, কারণ মুনাফিকরা এবং পরিত্যাগকারীরা দশকের পর দশক আমাদের মধ্য থেকে দলত্যাগী তৈরী করছে। এই হচ্ছে আমার কিছু পরামর্শ যা আমি মনে করি উম্মাহকে স্বাধীন করার জন্য কাজে দিবে এবং তাদের গলা থেকে পরাধীনতার যাবতীয় শিকলকে ভেঙ্গে ফেলবে, যাতে তারা মুক্ত হয়ে তাদের মধ্য থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্যের একটি দল তৈরী করতে পারে যারা আল্লাহর রাস্তায় তাদের ঈমানী ফরযকে আদায় করবে: সেই শত্রুদলকে হটিয়ে দিবে যারা দ্বীন এবং দুনিয়া উভয়ই ধ্বংস করছে। আমাদের গন্ডদেশ থেকে পরাধীনতার শিকলের একটি ভেঙ্গে ফেললেই তা বাকি সবগুলোকে ভেঙ্গে ফেলতে সাহায্য করবে ইনশা-আল্লাহ।

    আজ বেশকিছু জিহাদের উন্মুক্ত ময়দানের সুযোগ আমাদের সামনে আছে যেখানে আমরা এই ফরয কাজকে আনজাম দিতে পারি, বিশেষত ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সোমালিয়া এবং পশ্চিমা ইসলামিক মাগরেবে। তাই আমি আল্লাহর হেদায়েতের প্রার্থনা করি যেন তিনি আমাদের দ্বীন পালন করার এবং তাঁর রাস্তায় জিহাদ করার তৌফিক দান করেন, যাতে আমরা আমাদের মুসলিম দেশগুলোকে মুক্ত করতে পারি, বিশেষ করে ইরাক এবং ফিলিস্তিন থেকে যেন তাদের বিতাড়িত করতে পারি।

    শেষে আমি উম্মাহকে মুত্তাকি ও ঈমানী জোড় ওয়ালাদের সাথে তাদের হৃদয়কে কাছাকাছি রাখার গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আর লোভ ও মুনাফিকির জায়গা থেকে নিজেদের হেফাজত করতে বলতে চাই, আর আামাদের জিহ্বাকে আল্লাহ আযওয়াযালের স্মরণে সর্বদা সিক্ত রাখার মাধ্যমেই একাজকে সহজ করে নিতে পারি, আর প্রতিদিন কুরআনের তিরিশ পাড়ার মানে বুঝে তাতে মনোনিবেশ করে তিলাওয়াত করি, যা হৃদয়কে সজীব করে, মনকে প্রান্জল করে, আমাদের শত্রুদের, মুশরিকদের আর মুনাফিকদের স্বভাব চরিত্র বুঝতে সাহায্য করে। আল্লাহর আয়াত পড়ুন:

    يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ ﴿٥٧﴾‏


    “হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য।” [১০.৫৭]

    আমি আরও বলব, যে বই গুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা পড়তে এবং গুরুত্ব অনুধাবন করতে, তালিকার পুস্তিকাগুলো শেষ করতে, তা পালন করতে এবং সেগুলো প্রচার করতে, কারণ এগুলো হলো ঘরের এবং বাইরের শত্রুদের আক্রমণের আঁধারের মধ্যে আলোর রশ্মি।

    পরিশেষে আমি আমার নিজেকে এবং ভাইদের এই স্তবক দিয়ে অনুপ্রাণিত করতে চাই:
    আর আমার প্রত্যয় আমাকে জিজ্ঞাসা করে
    কেন এই কাপুরুষতা আর দূর্বল হয়ে থাকা
    যখন আমাদের পৃথিবী পূর্ণ হয়েছে
    সেই তাগুতদের দ্বারা যাদের ছবিগুলো ঝুলছে
    আমাদের ঈমানকে দূর্বলতর করার জন্য
    আর যাদের মধ্যেই আমাদের ক্ষতিগুলো বাসা বেঁধেছে
    আমার ভাই, হে পরাক্রমশালী
    আমাদের লক্ষ্য তো আল্লাহর পথে
    তুমি কি মৃত্যুকে ভয় পাও
    যখন মৃত্যুই তোমার জান্নাত?
    দ্বীনের ভিত্তি তো বুলন্দ হবে না
    ভোট দিয়ে বা পরিত্যাগ করে
    তলোয়ারের মত আর কিছুই উপকারে আসবে না
    বিশ্বাস করো, ও জামানার যুবকেরা

    ও আল্লাহ আামাদের সত্যকে সত্য হিসেবে চেনার এবং তা অনুসরন করার তৌফিক দিন, আর আমাদের মিথ্যাকে মিথ্যা হিসেবে চিনার ও তাকে বর্জন করার তৌফিক দিন। ও আল্লাহ এই উম্মাহকে একজন ন্যায়নিষ্ঠ শাসক দিন যাকে মান্য করলে আপনি সম্মানিত হন এবং যার অবাধ্য হলে আপনার অমর্যাদা হয়, এবং যার অধীনে ভালো কাজের আদেশ এবং খারাপ কাজের নিষেধ করা হবে। ও আল্লাহ, আমাদের রব, আামাদের এই দুনিয়ায় এবং আখিরাতে কল্যাণ দান করুন, আমাদের জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা করুন। ও আল্লাহ সর্বত্র মুজাহিদীনদের জয় দান করুন, তাদের শাহাদাত কে কবুল করুন, তাদের আঘাত প্রাপ্তদের শেফাদিন এবং বন্দীদের মুক্ত করুন। আপনি তো সর্ব বিষয়ে সর্ব ক্ষমতার অধিকারী। ও আল্লাহ ক্রুসেডার/জায়োনিষ্টদের মিত্র বাহিনীকে ধ্বংস করুন, তাদের সহযোগীদেরও। ও আল্লাহ আমাদের আপনি ছাড়া আর কোন শক্তি বা ক্ষমতা নেই, কাজেই আপনি আামদের সাহায্য প্রেরণ করুন এবং আমাদের কুফ্ফারদের উপর জয়ী করুন। ও আল্লাহ আমাদের নবী মুহাম্মদ, তার পরিবার ও সাহাবীদের উপর সালাত ও কল্যাণ পেশ করুন; আর আমাদের শেষ দুআ হল, সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি জগতসমুহের অধিপতি।

    রবি উল আউয়াল ১৪৩০
    মার্চ, ২০০৯
    : আস-সাহাব মিডিয়া
    পরিবেশনায়
    আল-ক্বাদিসিয়াহ মিডিয়া



    আরও পড়ুন

    ২য় পর্ব


  • #2

    [75] وَما لَكُم لا تُقٰتِلونَ فى سَبيلِ اللَّهِ وَالمُستَضعَفينَ مِنَ الرِّجالِ وَالنِّساءِ وَالوِلدٰنِ الَّذينَ يَقولونَ رَبَّنا أَخرِجنا مِن هٰذِهِ القَريَةِ الظّالِمِ أَهلُها وَاجعَل لَنا مِن لَدُنكَ وَلِيًّا وَاجعَل لَنا مِن لَدُنكَ نَصيرًا
    [75] আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।
    6] الَّذينَ ءامَنوا يُقٰتِلونَ فى سَبيلِ اللَّهِ ۖ وَالَّذينَ كَفَروا يُقٰتِلونَ فى سَبيلِ الطّٰغوتِ فَقٰتِلوا أَولِياءَ الشَّيطٰنِ ۖ إِنَّ كَيدَ الشَّيطٰنِ كانَ ضَعيفًا
    [76] যারা ঈমানদার তারা যে, জেহাদ করে আল্লাহর রাহেই। পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে শয়তানের পক্ষে সুতরাং তোমরা জেহাদ করতে থাক শয়তানের পক্ষালম্বনকারীদের বিরুদ্ধে, (দেখবে) শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল।أَلَم تَرَ إِلَى الَّذينَ قيلَ لَهُم كُفّوا أَيدِيَكُم وَأَقيمُوا الصَّلوٰةَ وَءاتُوا الزَّكوٰةَ فَلَمّا كُتِبَ عَلَيهِمُ القِتالُ إِذا فَريقٌ مِنهُم يَخشَونَ النّاسَ كَخَشيَةِ اللَّهِ أَو أَشَدَّ خَشيَةً ۚ وَقالوا رَبَّنا لِمَ كَتَبتَ عَلَينَا القِتالَ لَولا أَخَّرتَنا إِلىٰ أَجَلٍ قَريبٍ ۗ قُل مَتٰعُ الدُّنيا قَليلٌ وَالءاخِرَةُ خَيرٌ لِمَنِ اتَّقىٰ وَلا تُظلَمونَ فَتيلًا
    [77] তুমি কি সেসব লোককে দেখনি, যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তোমরা নিজেদের হাতকে সংযত রাখ, নামায কায়েম কর এবং যাকাত দিতে থাক? অতঃপর যখন তাদের প্রতি জেহাদের নির্দেশ দেয়া হল, তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে একদল লোক মানুষকে ভয় করতে আরম্ভ করল, যেমন করে ভয় করা হয় আল্লাহকে। এমন কি তার চেয়েও অধিক ভয়। আর বলতে লাগল, হায় পালনকর্তা, কেন আমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ করলে! আমাদেরকে কেন আরও কিছুকাল অবকাশ দান করলে না। ( হে রসূল) তাদেরকে বলে দিন, পার্থিব ফায়দা সীমিত। আর আখেরাত পরহেযগারদের জন্য উত্তম। আর তোমাদের অধিকার একটি সূতা পরিমান ও খর্ব করা হবে না।
    [78] أَينَما تَكونوا يُدرِككُمُ المَوتُ وَلَو كُنتُم فى بُروجٍ مُشَيَّدَةٍ ۗ وَإِن تُصِبهُم حَسَنَةٌ يَقولوا هٰذِهِ مِن عِندِ اللَّهِ ۖ وَإِن تُصِبهُم سَيِّئَةٌ يَقولوا هٰذِهِ مِن عِندِكَ ۚ قُل كُلٌّ مِن عِندِ اللَّهِ ۖ فَمالِ هٰؤُلاءِ القَومِ لا يَكادونَ يَفقَهونَ حَديثًا
    [78] তোমরা যেখানেই থাক না কেন; মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও। বস্তুতঃ তাদের কোন কল্যাণ সাধিত হলে তারা বলে যে, এটা সাধিত হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর যদি তাদের কোন অকল্যাণ হয়, তবে বলে, এটা হয়েছে তোমার পক্ষ থেকে, বলে দাও, এসবই আল্লাহর পক্ষ থেকে। পক্ষান্তরে তাদের পরিণতি কি হবে, যারা কখনও কোন কথা বুঝতে চেষ্টা করে না।
    [79] ما أَصابَكَ مِن حَسَنَةٍ فَمِنَ اللَّهِ ۖ وَما أَصابَكَ مِن سَيِّئَةٍ فَمِن نَفسِكَ ۚ وَأَرسَلنٰكَ لِلنّاسِ رَسولًا ۚ وَكَفىٰ بِاللَّهِ شَهيدًا
    [79] আপনার যে কল্যাণ হয়, তা হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে আর আপনার যে অকল্যাণ হয়, সেটা হয় আপনার নিজের কারণে। আর আমি আপনাকে পাঠিয়েছি মানুষের প্রতি আমার পয়গামের বাহক হিসাবে। আর আল্লাহ সব বিষয়েই যথেষ্ট-সববিষয়ই তাঁর সম্মুখে উপস্থিত।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment

    Working...
    X