Announcement

Collapse
No announcement yet.

“ফুরসান তাহতা রায়াতিন নাবিয়্যি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” সিরিজ-৭

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • “ফুরসান তাহতা রায়াতিন নাবিয়্যি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” সিরিজ-৭

    ৫- প্রসিকিউশন বিভাগের তদন্ত প্রহসন:

    পুলিশি তদন্ত বিভাগ ও সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ আসামীদেরকে যথাক্রমে প্রশাসনিক ও সামরিক অফিসে হস্তান্তর করল। উক্ত অফিসদ্বয়ের তদন্ত ছিল আরেক প্রহসন। কারণ অফিসার তার তদন্তের রেকর্ড তদন্ত কর্মকর্তার নিকট প্রকাশ করে দিত। যাতে তারা আবার ওই ব্যাপারগুলোতে আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং যা বলে, তা লিপিবদ্ধ করে ফেলে। অতঃপর তাদের কী বলতে হবে তা শিখিয়ে দেয়।

    আমার মনে পড়ে, আমি একবার প্রসিকিউটর মাহমুদ মাসউদকে বললাম, (যে আমার অধিকাংশ তদন্ত কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করেছে): আমার কি কোন আইনজীবি গ্রহণ করার অধিকার নেই?

    সে উপহাসের সাথে আমাকে উত্তর দিল: এমন কোন্ আইনজীবি আছে, যাকে আপনি আপনার সাথে কারারূদ্ধ দেখতে চান?

    কিন্তু এবার সরকারের প্রতি প্রসিকিউশন বিভাগের আস্থা নড়বড়ে ছিল। কারণ তারা স্বচক্ষে সরকার ও তার প্রতিপক্ষের মাঝে লড়াইয়ের তীব্রতা প্রত্যক্ষ করেছে। এজন্য তাদের কামনা ছিল, যেন তদন্ত বিভাগের সাথে তাদের যোগসাজস ওই পরিমাণ না থাকে, যা আকস্মিক পরিস্থিতি পাল্টে গেলে বা সরকারের পতন হয়ে গেলে তাদেরকে সুনির্দিষ্ট প্রমাণে জড়িয়ে ফেলে।

    ফলে আমার সাথে একটি ঘটনা ঘটল, আমি প্রসিকিউটর মাহমুদ মাসউদের নিকট আমাকে দূর্গের কারাগারে যে সমস্ত নির্যাতনের সম্মুখীন করা হয় এবং অন্যদের উপর যে সব নির্যাতন হতে দেখেছি, তা উল্লেখ করলাম এবং বললাম যে, এই তদন্তে আমার যত বক্তব্য আছে এগুলো হল নির্যাতন ও বলপ্রয়োগের ফল। আমি দূর্গের কারাগারের তদন্ত রিপোর্টগুলো প্রত্যাহার করে নিব। আমি আমার জখমগুলো এবং এগুলোতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও এ সংক্রান্ত বিস্তারিত বিবরণ পেশ করলাম। আরো জানালাম যে, আমি এ সকল আঘাতগুলো প্রমাণিত করার জন্য আমাকে ফরেনসিক চিকিৎসকের সামনে পেশ করার আবেদন করছি। ফলে সে আমার কথাগুলো রেকর্ড করে দ্রুতই আমার তদন্ত শেষ করে দেয়। তারপর আমাকে ফরেনসিক চিকিৎসকের কাছে হস্তান্তর করার আদেশ দেয়।

    আমি যখন দূর্গের কারাগারে ফিরে গেলাম, তখন কর্ণেল মুহাম্মদ আব্দুল ফাত্তাহ ওমর ও লেফটেনেন্ট কর্ণেল মুহসিন হিফজি আমাকে ডেকে নিল। তারা আমাকে হুমকি দিল, আমার বিরুদ্ধে ইরানের পক্ষে গুপ্তচর বৃত্তির মামলা ফাঁস করে দিবে এবং তাদের কাছে এ তথ্য আছে যে, আমি ইরান ভ্রমণ করে সেখানে গুপ্তচরবৃত্তির প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমি এটা সম্পূর্ণ অস্বীকার করলাম। তারা জবাব দিল, আমি গোয়েন্দা-এটা তারা জানা সত্ত্বেও আমার সুখ্যাতি ঠিক রাখার জন্য এটা ছড়াচ্ছে না, যাতে এটা আমার মৃত্যুদণ্ডের পর আমার সন্তানদের জন্য লজ্জার কারণ না হয়।

    এজন্য আমার বিরুদ্ধে যেন গুপ্তচরবৃত্তির মামলা ফাঁস না করে, তার জন্য আমাকে আবার প্রসিকিউশন বিভাগে গিয়ে পূর্বের রেকর্ডে যা কিছু বলেছিলাম, তা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। মুহাম্মদ আব্দুল ফাত্তাহ ওমর আমাকে বলল: আপনি যেন প্রেসিডেন্টের ক্ষমা লাভ করতে পারেন আমি সে ব্যবস্থা করছিলাম। কিন্তু আপনি সেই রান্না করা খাবারে মাটি ঢাললেন, যা আমি আপনার জন্য রাঁধছিলাম। আপনি এটা মনে করবেন না যে, আমার আঙ্গুল আপনার দাঁতের নিচে। আপনাকে যদি মুক্তিও দেওয়া হয়, তথাপি আপনি প্রতিবার গ্রেফতারির প্রথম সূচকে থাকবেন।

    আমি এ সকল পাপিষ্ঠদের অন্তরে আমার কথা ও দুর্বল ব্যক্তিত্বের গাম্ভীর্যের মাত্রা দেখে বিস্মিত হলাম। অথচ আমা থেকে একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা ও তার রহমতের আশা ব্যতিত শক্তির সকল উপকরণ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাই এটা আমাকে সকল মুসলমানদের নিকট তাদের নির্যাতনের কথা ফাঁস করে দিতে প্রেরণা যোগাল। আমি বুঝতে পারলাম যে, সরকার তার সকল দাপট সত্ত্বেও ভবিষ্যতের ব্যাপারে অনিশ্চিত এবং সেই ভয়াবহ ঘটনাবলী স্বচক্ষে দেখার পর কারারূদ্ধ বন্দিদের ভয়েই তাদের শিরা-ধমনি কম্পিত হচ্ছে।

    প্রায় একদিন পর লেফটেনেন্ট কর্ণেল মুহসিন হিফজী আমাকে ডেকে নিয়ে বলল: আমরা হলাম রাষ্ট্র আর আপনি হলেন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। তাই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধ যুদ্ধে জড়ানো থেকে সাবধান! আমি চাই না, আপনি আপনার গলায় ফাঁসির রশি পেচান। কিন্তু আপনাকে পূর্বের রেকর্ডের জবানবন্দিগুলো পরিবর্তন করতে হবে। এখনই আপনাকে নিয়ে মুহাম্মদ তাজ বেগ রাষ্ট্রীয় তদন্ত বিভাগের প্রসিকিউটরের নিকট যাবেন, যাতে আপনি আপনার বক্তব্যগুলো পরিবর্তন করেন। কার্যতই গাইড মুহাম্মদ তাজ বেগ আমাকে নিয়ে আইনজীবি রজা আল আরাবির নিকট গেল। রজা আমাকে আমার বক্তব্য পরিবর্তনের প্রতি গুরুত্ব দিল। অতঃপর রজার অফিস থেকে তারা আমাকে একটি দরজা পেরিয়ে প্রসিকিউটর মাহমুদ মাসউদের নিকট নিয়ে গেল। মাহমুদ মাসউদ দুষ্টের হাসি হেসে বলল:

    এবার তাহলে স্বীকার করবেন?

    আমি তাকে বললাম: আমি যে কামরা থেকে এসেছি, সে কামরার তদন্ত অফিসার আমাকে আমার দূর্গের কারাগারের বিস্তারিত জবানবন্দিগুলো তাকে জানানোর জন্য চাপ দিয়েছে এবং আমি কথা পরিবর্তন করেছি কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমার সঙ্গে লোকও পাঠিয়েছেন। অথচ আমি একজন আসামি। আমার অধিকার আছে তদন্তের গোপন বিষয়গুলো সেভ করার। কিন্তু দুর্গের কারাগারের তদন্ত অফিসার আমার সাথে সংঘটিত প্রসিকিউশন তদন্তের ছবিগুলোর জন্য আমাকে চাপ দিচ্ছে এবং আমি যদি কথা পরিবর্তন না করি, তাহলে আমাকে পুনরায় নির্যাতন করা ও নতুন অপবাদ দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। ফলে মাহমুদ ভয়ে নড়েচড়ে উঠল। তারপর বলল: তদন্ত শেষ হওয়ার সাথে সাথেই রেকর্ডের সাথে তার যাবতীয় সম্পর্ক শেষ। সে ওটা প্রসিকিউশন সচিবের হাতে সুপর্দ করে দেয়। এরপরে কী হয় সে তা জানে না।

    এরপর সে দ্রুত কামরা থেকে বের হয়ে আবার ফিরে আসল। তার সাথে দু’জন আইনজীবি মাহেল আল-জুনদি ও রজা আল-আরাবি ছিল। মাহেল আল-জুনদি নিজের দোষমুক্তি প্রকাশ করে বলল: আমাদের নিকট পুলিশের পক্ষ থেকে প্রমাণস্বরূপ কিছু রেকর্ড আসে। আমরা সেগুলো নিয়েই তদন্ত করে থাকি। আর রজা আল-আরাবি তো আমার সাথে এমনভাবে কথা বলে, যা নির্বোধদের কথাবার্তার সাথে সর্বাধিক সামঞ্জস্যশীল।

    শুনুন হে আইমান.. তারা আমাকে শাস্তি দিয়েছে, মেরেছে।

    তখন আমি তাকে বললাম: আমি একজন আসামী। আমার তো জবানবন্দির গোপনীয়তা সংরক্ষণ করার অধিকার আছে।
    বলল:

    তারা সব প্রয়োজনই বুঝেন। এমনকি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মাথাও তা বুঝেন। আর আমি যা করেছি তা যেমন তারা জানেন, তেমনি আমি কী করবো তাও তারা জানেন। এখন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল: আপনি কি স্বীকার করবেন, নাকি করবেন না?

    আমি বললাম: না।

    ফলে মাহমুদ মাসউদ আমার তদন্ত শেষ করে পুনরায় দূর্গের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল।

    শুধু তাই নয়, আনওয়ার সাদাত হত্যাকাণ্ডের তদন্তে দায়িত্বরত সামরিক প্রসিকিউটরের অবস্থা এ পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, সে তার দায়িত্বের কথাও ভুলে যায়। সে ঘটনা ঘটার পূর্ণ একদিন পর সামরিক কুচকাওয়াজ অঞ্চলে যায়, যদিও ঘটনাটি সম্পূর্ণ তার বিশেষ এড়িয়ায় ঘটেছে। নিহত হয়েছে স্বয়ং স্বশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি। আর আক্রমণকারীরাও স্বশস্ত্র বাহিনীরই সদস্য। ঘটনাটিও ঘটেছে সামরিক এলাকায়। কিন্তু সে সরকারের উপর আগত ভূমিকম্প-পরবর্তী ফলাফলগুলোর অপেক্ষায় ছিল। তাই তার এক প্যারালাইসিস অবস্থা সৃষ্টি হয়।

    সামরিক প্রসিকিউটর এটা দেখার অপেক্ষা করছিল যে, অচিরেই কার আদেশে কাকে তদন্ত করা হবে? কে কাকে আসামী বানাবে? এবং কে কার উপর মামলা দায়ের করবে?

    একটি রসাত্মক ব্যাপার (যা সুযোগসন্ধানী ও ঢেউয়ের তালে প্রবাহিতদের নমুনা) হল, আনওয়ার সাদাত হত্যার পর ওই সময়ের তোরা সংবর্ধনা কারাগারের অফিসার কর্ণেল মুহসিন সারসাওয়ী রাজনৈতিক বন্দিতে ভরা চার তলা বিশিষ্ট কারগারের প্রাঙ্গনে এসে চিৎকার করে ডেকে বলল: “সংগ্রামের সৈনিকগণ!! রণাঙ্গনের বাহাদুরগণ!! আনওয়ার সাদাত নিহত হয়েছে।”

    ৬- সামরিক আদালত:

    সামিরক অফিস দ্রুতগতিতে আনওয়ার সাদাত হত্যার আসামীদেরকে সামরিক আদালতে পেশ করল এবং মুহাম্মদ সামির ফাযিলের নেতৃত্বে সামরিক ট্রাইবুনাল গঠিত হল। মিশরের যে সেনাবাহিনী ইতিপূর্বে ইসরাঈলের সামনে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে আর নিজ জনগণের দিকে অস্ত্রের মুখ ঘুরিয়ে দেয় এবং অপমানিত হয়ে মস্তক অবনত করে দেয়, তারা এখন নিজ প্রতিপক্ষ মুসলিমদের উপর আগ্রাসনের ক্ষেত্রে নতুন করে সামরিক ধর্মনিরপেক্ষতা আনয়নের এক প্রহসন শুরু করে।

    সামরিক আদালত ছিল সচ্ছতা, পরিচ্ছন্নতা ও ত্যাগে উজ্জল ইসলামী আন্দোলনের মাঝে ও তার অগ্রভাগ জিহাদী আন্দোলনের মাঝে আর মিথ্যাচার, কপটতা ও বিকৃতিতে আচ্ছন্ন সামরিক ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের মাঝে বাকযুদ্ধের একটি নিয়মিত মহড়া। সামরিক ধর্মনিরপেক্ষতাবাদিরা গণতন্ত্র ও আইনের সার্বভৌমত্বের দাবি করেছিল। কিন্তু সকল প্রত্যক্ষদর্শীর সর্বসম্মত মতে এটি ছিল পূর্ব প্রস্তুতকৃত একটি আদেশ প্রকাশ করার ভ্রান্ত ও ঘৃণ্য নাটক।

    সামরিক ধর্মনিরপেক্ষতাবাদিরা সর্বদাই দাবি করত, তারা ইসলামকে সম্মান করে। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতাবাদিদের নিকট এর একটি অর্থ আছে। তা হল: একশ্রেণির আলেমদেরকে চাকুরি দেওয়া, যেন তারা সরকার যা কিছু করে, তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করতে পারে। সত্য সত্যই আদালত সে সময়ের মিশরের রাষ্ট্রীয় মুফতি, অতঃপর শায়খুল আযহার শায়খ যাদুল হকের দ্বারস্থ হয়। অতঃপর তার ফাতওয়ার আলোকেই মুজাহিদ যুবকদেরকে যবাই করে।

    আব্দুল্লাহ ইবনে মোবারক রহ. বলেন:

    • রাজা-বাদশা আর অসৎ পণ্ডিত ও দরবেশরাই তো দ্বীনকে নষ্ট করল!


    ***
    ১ম পর্ব

    ২য় পর্ব

    ৩য় পর্ব

    ৪র্থ পর্ব

    ৫ম পর্ব

    ৬ষ্ঠ পর্ব

  • #2
    আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহ আমাদের প্রিয় শাইখকে হিফাজতে রাখুন আমীন। বইটির সাথে আমাদের জীবন ও আমাদের দেশের পরিস্থিতি হুবহু মিলে যাচ্ছে। যখন পাপিষ্ঠরা শক্তিশালী হয় তখন পাপ করাটাই সামাজিকতা হয়ে যায়। ইন্নাহুম উনাসুন ইয়াতাত্বহহারুন। এটি হচ্ছে পাপিষ্ঠদের কথা। এই পাপিষ্ঠ কিন্তু আলিমও হতে পারে। ফতুয়া লিখে জিহাদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করে। দেশে দেশে ঘুরেফিরে সেই জঘণ্য(জঘন্য) ফতুয়া নিয়ে ফেরি করে। কাজেই খুব চিন্তাশীল হতে হবে, নাস্তিকদের কোন ছাড় নয়। তারা জিহাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, ইনশাআল্লাহ আমরা মুর্তাদের হত্যা করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব। মুর্তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
    আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

    Comment


    • #3
      আব্দুল্লাহ ইবনে মোবারক রহ. বলেন:

      • রাজা-বাদশা আর অসৎ পণ্ডিত ও দরবেশরাই তো দ্বীনকে নষ্ট করল!
      হে আল্লাহ! আপনি আমাদের দ্বীনকে হিফাযত করুন এবং আপনার দ্বীনের খেদমতে আমাদেরকেও কবুল করুন।
      প্রিয় ভাইয়ের অক্লান্ত মেহনতকে কবুল করুন ও জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        Originally posted by abu ahmad View Post
        হে আল্লাহ! আপনি আমাদের দ্বীনকে হিফাযত করুন এবং আপনার দ্বীনের খেদমতে আমাদেরকেও কবুল করুন।
        প্রিয় ভাইয়ের অক্লান্ত মেহনতকে কবুল করুন ও জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন
        আমীন! আমীন! আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দান করুন!

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তায়া-লা মুসলিম উম্মাহ্ কে হেফাযত করুন
          জালিমদের ধ্বংস করুন আমিন ইয়া রব্ব।

          Comment

          Working...
          X