Announcement

Collapse
No announcement yet.

“ফুরসান তাহতা রায়াতিন নাবিয়্যি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” সিরিজ-৮

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • “ফুরসান তাহতা রায়াতিন নাবিয়্যি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” সিরিজ-৮

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
    বিখ্যাত জিহাদ মামলা


    “হে আইন উপদেষ্টা! রাষ্ট্রীয় উচ্চ আদালতের প্রধান! প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে, সত্য প্রকাশিত হয়ে গেছে এবং প্রতিটি চক্ষুষ্মানের জন্য প্রভাত উদ্ভাসিত হয়ে গেছে। তাই আপনার জন্য শরীয়া অনুযায়ী ফায়সালা করা ও আল্লাহর বিধানাবলী কার্যকর করা আবশ্যক। কারণ আপনি যদি এটা না করেন, তাহলে আপনি কাফের, জালিম ও ফাসেক।
    .......
    হে আইন উপদেষ্টা বিচারক! হিসাব আপনার পিছনে অপেক্ষা করছে। চাবুকের বিনিময়ে চাবুক। ক্রোধের বিনিময়ে ক্রোধ। আল্লাহ নজরদারি করছেন।”

    - আদালতে ডক্টর ওমর আব্দুর রহমান

    তদন্ত, নির্যাতন ও তারপর প্রসিকিউশন তদন্ত পর্বগুলো শেষ হওয়ার পর প্রসিকিউশন বিভাগ আসামীদেরকে আদালতের সুপর্দ করে। যা ছিল মিশরীয় বিচার বিভাগের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ মামলা।

    প্রসিকিউশন বিভাগ ৩০২ জন অভিযুক্তকে আদালতের কাছে সুপর্দ করে এবং আনওয়ার সাদাত হত্যাকাণ্ডের দু’বছর পর বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
    এ বিচার ছিল অনন্যধর্মী ও বিস্ময়কর ঘটনাবলীতে পরিপূর্ণ। তবে এ বিচার পর্বে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দু’টি ঘটনা হল: ডক্টর ওমর আব্দুর রহমান কর্তৃক তিনদিন ব্যাপী তার বিখ্যাত ভাষণ প্রদান। আর তার সঙ্গে শায়খ সালাহ আবু ইসমাঈল রহ. এর ঐতিহাসিক সাক্ষ্য।

    আর তাতে সর্বাধিক বিস্ময়কর দু’টি বিষয় হল: ১. বিচারক এটা বুঝতে পারা যে, রাষ্ট্রীয় তদন্ত বিভাগ তার উপর এবং তার সাথে অংশগ্রহণকারী দুই বিচারকের কথোপকথনের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করছে। তিনি মামলার ফাইলগুলোতে এটা প্রমাণ করেছেন। ২. আর সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় হল, মামলার রায়। রায়ের ভূমিকাগুলোই ছিল রায়ের থেকে অধিক শক্তিশালী।

    শায়খ ওমর আব্দুর রহমান রহ. পরবর্তীতে তার ‘কালিমাতু হক’ (সত্য ভাষণ) বইয়ে এ বক্তব্যগুলো লিপিবদ্ধ করেন।

    এ বক্তব্যগুলোতে ডক্টর ওমর আব্দুর রহমান শরীয়াহ বিরোধী আইন দ্বারা শাসন করা এবং তার জন্য জিহাদ করার ব্যাপারটি কুরআন, সুন্নাহ ও উম্মাহর আলেমদের ইজমার মাধ্যমে বিস্তারিত দলিল সহ তুলে ধরেন। আর প্রসিকিউশন বিভাগ কর্তৃক এর পক্ষে ফাতওয়া চাওয়া ও আল-আযহার কর্তৃক তার পক্ষে ফাতওয়া প্রদানের বিরুদ্ধে জবাব দেন। এ সাক্ষ্য ডক্টর ওমর আব্দুর রহমান আল-কানুনীর অবস্থানকে বিপদজনক করে তুলেছিল। কারণ এ সাক্ষ্য এ প্রমাণ করেছিল যে, ডক্টর ওমর আব্দুর রহমান শরীয়া প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদের সযোগীতা করেছিলেন। বিচারক তাকে সতর্কও করেছিলেন যে, তার এ কথা তার জন্য বিপদের কারণ হতে পারে। আর আইনজীবিরা তার ব্যাপারে যে কথা বলবে, সেটা হল মক্কেলের পক্ষ থেকে ওকীলের কথা, যেটা তিনি চাইলে প্রত্যাখ্যানও করতে পারেন। কিন্তু তার নিজের কথার জন্য তাকে ধরা হবে।

    কিন্তু ডক্টর ওমর আব্দুর রহমান (আল্লাহ তাকে কারামুক্ত করুন!) আদালতে ইসলামের পক্ষে জবাব দিতেই থাকলেন, চাই তা তার জন্য যতই বিপদের কারণ হোক।

    বরং তিনি বিচারককেই আসামির পর্যায়ে নিয়ে আসেন এবং তার উপর সেই জুলুমের দায়ভার আরোপ করেন, যা কখনো কখনো মুসলমানদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে বিচারক করে থাকেন। তাকে আল্লাহর আযাব ও সমপরিমাণ বদলার ব্যাপারে হুশিয়ারী করেন। শরীয়া দ্বারা ফায়সালা করার প্রতি আহ্বান করেন এবং শরীয়ার ফায়সালা পরিত্যাগ করার পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেন।

    ডক্টর ওমর আব্দুর রহমানের চিন্তা ছিল, এটা হল আল্লাহর বিধান দ্বারা শাসন করার দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ, যা হাতছাড়া হতে দেওয়া যায় না। আর এটা নিজ ভাইদের রক্ষার জন্য সর্বোত্তম লড়াইও। বিশেষ করে যারা মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছেন। যেহেতু এর মাধ্যমে তাদের ন্যায়পরায়ণতা ও মহৎ উদ্দেশ্য প্রকাশ পাবে।

    কার্যতই বিচারক এ মামলায় কোন মৃত্যুদণ্ডাদেশ জারি করেননি। আসামীদের সম্মানিত লক্ষ্য ও মহৎ উদ্দেশ্য বিবেচনা করে পরিস্থিতি হালকা করে দেন, যেমনটা তিনি তার আদেশের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বর্ণনা দেন।

    আদালতে ডক্টর ওমর আব্দুর রহমান যে বক্তব্যগুলো দিয়েছেন, তার আলোচনা করতে গিয়ে এখানে আমি তার কতিপয় শক্তিশালী বক্তব্যের চুম্বকাংশ তুলে না ধরে পারছি না, যা ছিল কঠিন পরিস্থিতিতে হকের আওয়ায, সত্যের বজ্রাঘাত। যেখানে প্রসিকিউশন তার মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছিল এবং তার প্রতিটি কথার জন্য জবাবদিহিতার ভয় ছিল। কিন্তু তিনি তো হলেন মুজাহিদগণের আলেম ও আলেমগণের মুজাহিদ। আল্লাহই তার প্রকৃত তত্ত্ববাধয়ক।

    শায়খ ওমরের বক্তব্য:

    “প্রসিকিউটর বলেছিলেন: “এ সকল লোক ‘আল-হুকমু লিল্লাহ’ (শাসনক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর জন্য) স্লোগান তুলেছে। কিন্তু এদের উদ্দেশ্য হল নিজেদের শাসনক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করা। মুসলমানগণ ও ইসলামী ইতিহাস তাদেরকে খারিজী তথা মুসলিম সমাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারী বলে ভূষিত করেছে।”

    হ্যাঁ, إن الحكم إلا لله (‘শাসনক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর জন্য’) এটি একটি হক ও সত্য কথা। পূর্বে এর ঘোষণা দিয়ে গিয়েছিলেন মহান ব্যক্তিদের বংশধর আল্লাহর নবী ইউসুফ ইবনে ইয়াকুব ইবনে ইসহাক ইবনে ইবরাহিম। তিনি মিশরের কারাগারের ভিতর থেকে এর ঘোষণা দিয়ে গিয়েছিলেন। জেলখানার বন্দিত্ব তাকে সে সত্যের ঘোষণা দিতে বাধা দেয়নি, যার প্রতি তিনি আহ্বান করতেন এবং সমস্ত রাসূলগণ আহ্বান করতেন।

    তাই এটি যুগে যুগে মুসলমানদের দাওয়াত।

    খারিজীরা এটা বলেছিল সত্যের উপর অবিচল ও সত্যের ত্রাণকর্তা ইমামের বিরুদ্ধে, যিনি ছোট-বড় প্রতিটি হক প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং তার উপর আমল করেছেন।

    তারা এটা বলেছিল খোলাফায়ে রাশেদীনের চতুর্থ খলিফার বিরুদ্ধে।

    তাই যখন এটা প্রথম যুগে বলা হয়েছিল, তখন তার বক্তারা ছিল খারেজী। কিন্তু যখন এটা এ যুগে বলা হবে, তখন তার বক্তারা হবে মুজাহিদীন।
    প্রসিকিউশন আমাদের মাঝে ও ইহুদীদের মাঝে শান্তিচুক্তির পক্ষে দলিল দিয়েছেন। আমি প্রসিকিউশনের কথার জবাব দিব না। কারণ আমি আযহার কমিটির উপর যে খণ্ডন করেছি তাই এক্ষেত্রে যথেষ্ট। আমি শুধু প্রসিকিউশনের সেসকল পন্ডিত আলেমদের খণ্ডন করতে চাই, যারা আল্লাহর নিম্নোক্ত আয়াতগুলোর মাধ্যমে উক্ত চুক্তির শুদ্ধতার পক্ষে দলিল দিয়েছেন: আল্লাহ তা’আলা বলেছেন:

    { فَمَا اسْتَقَامُواْ لَكُمْ فَاسْتَقِيمُواْ لَهُمْ} “অতঃপর তারা যতক্ষণ তোমাদের সাথে সোজা থাকবে, তোমরাও তাদের সাথে সোজা থাকবে।” (সূরা তাওবা: ৭)

    আল্লাহ তা’আলা আরো বলেছেন:

    {وَإِن جَنَحُواْ لِلسَّلْمِ فَاجْنَحْ لَهَا وَتَوَكَّلْ عَلَى اللّهِ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ }“আর তারা যদি সন্ধির দিকে ঝুঁকে পড়ে, তোমরাও সেদিকে ঝুঁকে পড়বে এবং আল্লাহর উপর নির্ভর করবে। নিশ্চয়ই তিনি সকল কথা শোনেন, সকল কিছু জানেন।” (সূরা আনফাল: ৬১)

    আমরা বলবো: ইহুদীরা কি আমাদের সাথে সোজা থেকেছে?? তারা কি সন্ধির দিকে ঝুকেছে?? নাকি আমরা ঝুকেছি, আমরা তাদের জন্য সোজা থেকেছি?? আপনারা জেনে শুনে সংবাদ দিন, যদি সত্যবাদী হয়ে থাকেন।”


    তিনি আরো বলেন:

    “পরিশেষে বলবো: তাই আমার অপরাধ হল আমি রাষ্ট্রের সমালোচনা করেছি এবং সমাজে যে বিশৃঙ্খলা ও আল্লাহর দ্বীনের সাথে শত্রুতা চলছে তা প্রকাশ করেছি। প্রতিটি স্থানে সত্যের বাণী প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছি, যা আমার বদ্ধমূল দ্বীন ও আকিদা।

    আমি আমার দ্বীনের সামনে এবং আমার বিবেকের সামনে এ ব্যাপারে বাদি হব যে, আমি কি জুলুম ও স্বেচ্ছাচারিতা প্রতিহত করেছি কি না? আমি কি সংশয় ও বিভ্রান্তির জবাব দিয়েছি কি না? বক্রতা ও বিকৃতি উম্মোচন করেছি কি না? জালিমদেরকে মানুষের চোখে লাঞ্ছিত করেছি কি না? যদিও এতে আমার জীবন ও সর্বস্ব বিলীন হয়ে যায়।

    কোন কারাবরণ বা মৃত্যুদণ্ড আমাকে ভীত-সন্ত্রস্ত করবে না। ক্ষমা ও খালাসে আমি আনন্দিত হব না। আমাকে হত্যার আদেশ দেওয়া হলে আমি দুঃখিত হব না। কারণ এটা আল্লাহর পথে শাহাদাহ। তখন আমি বলব: কাবার রবের শপথ! আমি সফল হয়ে গিয়েছি। সে সময় আমি বলব:

    • আমি যখন মুসলিম হয়ে মারা যাব, তখন আমি এর প্রতি কোনই ভ্রুক্ষেপ করব না যে, আল্লাহর পথে কোন প্রান্তে আমার লাশ পড়ল।
    • আমি মুসলিম। আমি আমার দ্বীনের জন্য বেঁচে থাকি এবং তার পথেই মৃত্যুবরণ করি। সর্বস্থানে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে আর আমি চুপ থাকব, এটা কিছুতেই হতে পারে না।

    হে আইন উপদেষ্টা, রাষ্ট্রীয় উচ্চ আদালতের প্রধান! প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে, সত্য প্রকাশ হয়ে গেছে এবং প্রতিটি চক্ষুষ্মানের জন্য প্রভাত উদ্ভাসিত হয়ে গেছে। তাই আপনার জন্য শরীয়া অনুযায়ী ফায়সালা করা ও আল্লাহর বিধানাবলী কার্যকর করা আবশ্যক। কারণ আপনি যদি এটা না করেন, তাহলে আপনি কাফের, জালেম ও ফাসেক। আপনার ব্যাপারে আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী প্রযোজ্য:

    { وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ }
    “যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুসারে ফায়সালা করে না তারা কাফের।”

    وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ
    “যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুসারে ফায়সালা করে না তারা জালেম।”

    وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ
    “যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুসারে ফায়সালা করে না তারা ফাসেক।”

    শাসন ও ফায়সালা শুধু এই কক্ষ বা এই দুনিয়াতেই সীমাব্ধ নয়। বরং শাসনের বিষয়টির চূড়ান্ত গন্তব্য হল আখোত। সেখানে ন্যায়পরায়ণ শাসক ফায়সালা করবেন।

    {يَوْمَ تُبَدَّلُ الأَرْضُ غَيْرَ الأَرْضِ وَالسَّمَاوَاتُ وَبَرَزُواْ للّهِ الْوَاحِدِ الْقَهَّارِ }إ
    “যেদিন এ পৃথিবীকে অন্য এক পৃথিবী দ্বারা বদলে দেওয়া হবে এবং আকাশমণ্ডলীকেও (বদলে দেওয়া হবে) এবং সকলেই এক পরাক্রমশালী আল্লাহর সমানে উপস্থিত হবে।” (ইবরাহিম: ৪৮)

    আমরা কারাবরণ বা মৃত্যুদণ্ডকে ভয় করি না। আমরা কোন শাস্তি বা নির্যাতনকে ভয় করি না। যাদুকররা ফেরাউনকে যা বলেছিল, আমরাও তাই বলছি:

    {قَالُوا لَن نُّؤْثِرَكَ عَلَى مَا جَاءنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ وَالَّذِي فَطَرَنَا فَاقْضِ مَا أَنتَ قَاضٍ إِنَّمَا تَقْضِي هَذِهِ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا }
    “যাদুকরগণ বলল, যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন সেই সত্তার কসম! আমাদের কাছে যে উজ্জল নিদর্শনাবলী এসেছে, তার উপর আমরা তোমাকে কিছুতেই প্রাধান্য দিতে পারব না। সুতরাং তুমি যা করতে চাও কর। তুমি যাই করবে না কেন তা এই পার্থিব জীবনেই হবে।” (সূরা ত্বহা: ৭২)

    জেনে রাখুন হে আইনজীবি, আল্লাহ হুদুদ নাযিল করেছেন নিকৃষ্ট কাজ সমূহ থেকে বিরত রাখার জন্য। এখন যদি যারা নিজেরা এর সাথে জড়িত, তারাই তা প্রদান করে তাহলে কেমন হবে?? আল্লাহ তা’আলা বান্দার জীবন রক্ষার জন্য কিসাসের বিধান অবতীর্ণ করেছেন। এখন যদি যে তাদের জন্য কিসাস গ্রহণ করবে, সে ই তাদেরকে হত্যা করে, তাহলে কেমন হবে??

    হে আইনজীবি! মৃত্যু ও তার পরের বিভীষিকার কথা স্মরণ করুন। তার নিকট আপনার দলবল ও সাহায্যকারী না থাকার কথা ভাবুন। অতঃপর তার জন্য ও তার পরে যে মহাত্রাস আসবে তার জন্য পাথেয় সংগ্রহ করুন। হে আইনজীবি! আপনার বর্তমান বাড়ি ছাড়া আরেকটি বাড়ি আছে, যেখানে আপনি দীর্ঘদিন অবস্থান করবেন, আপনার প্রিয়জন আপনার থেকে পৃথক হয়ে যাবে। তারা আপনাকে একা নি:সঙ্গ অবস্থায় আপনার অবাসস্থলে রেখে আসবে। তাই যা আপনার সঙ্গে যাবে তার পাথেয় সংগ্রহ করুন!

    ﴿يَوْمَ يَفِرُّ الْمَرْءُ مِنْ أَخِيهِ {৩৪} وَأُمِّهِ وَأَبِيهِ {৩৫} وَصَاحِبَتِهِ وَبَنِيه﴾"
    “যেদিন মানুষ তার ভাই থেকেও পালাবে। নিজ পিতামাতা থেকেও। এবং নিজ স্ত্রী ও সন্তান-সন্তুতি থেকেও।”(সূরা আবাসা)

    তিনি আরো বলেন: (আল্লাহ তাকে কারামুক্ত করুন!)

    হে আইনজীবি, আদালত প্রধান! মৃত্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে। খুঁজতে কখনো বিরক্ত হয় না, পদক্ষেপ স্লোও করে না। তা প্রতিশ্রুত সময়ের থেকে একটুও ব্যতিক্রম করে না। স্ব-স্থানে অবস্থানকারী ব্যক্তি তাকে অক্ষম করতে পারে না আর পলায়নকারী তার থেকে ছুটে যেতে পারে না।
    ............
    এটা সৃষ্টির মাঝে ঘুর্ণনশীল এক চাক্কি।
    ..........
    সেই মৃত্যু, যা প্রিয়জনকে আলাদা করে দিবে। অতঃপর আপন পথে চলতে থাকবে, একটু থামবে না, ভ্রুক্ষেপ করবে না। কোন আর্তনাদকারী বা ফরিয়াদকারীর চিৎকারে সাড়া দিবে না। কোন বিরহির অনুতাপ, কোন আগ্রহির ব্যাকুলতা ও কোন ভয়কারীর ভয়ের প্রতি লক্ষ্য করবে না। সেই মৃত্যু, যার ব্যাপারে মানবজাতির কোন কৌশল নেই। এতদসত্ত্বেও তারা সেই পরাক্রমশালী শক্তির ব্যাপারে চিন্তা করে না।

    তাই তখন আপনার কেমন অবস্থা হবে, যখন সকল রাজাদের লাঞ্ছিতকারী, স্বৈরাচারীদের দমনকারী ও তাগুতদের নির্মূলকারী আপনার বিরুদ্ধে আসবে??”

    তিনি আরো বলেন: (আল্লাহ তাকে কারামুক্ত করুন!)

    “হে আইনজীবি! আদালতের প্রধান! আল্লাহ আপনাকে সরকারের সাথে থাকতে নিষেধ করতে পারেন, কিন্তু সরকার আপনাকে আল্লাহর সাথে থাকতে নিষেধ করতে পারে না। নিশ্চয়ই আল্লাহর আদেশ সকল আদেশের উপরে। আল্লাহর অবাধ্যতার মাঝে কোন আনুগত্য জায়েয নেই। আমি আপনাকে তার প্রচণ্ড আক্রমণের ব্যাপারে সতর্ক করছি, যা অপরাধী সম্প্রদায় থেকে হটানো যাবে না।

    হে আইনজীবি বিচারক! হিসাব আপনার পিছনে অপেক্ষা করছে। চাবুকের বিনিময়ে চাবুক। ক্রোধের বিনিময়ে ক্রোধ। আল্লাহ নজরদারি করছেন। ওয়াস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।”

    সোমবার
    ২৫ জুমাদাল উলা ১৪০৪ হিজরী।
    মোতা
    বেক ২৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৮৪ খৃষ্টাব্দ।”

    ১ম পর্ব


    ২য় পর্ব


    ৩য় পর্ব


    ৪র্থ পর্ব


    ৫ম পর্ব


    ৬ষ্ঠ পর্ব


    ৭ম পর্ব

  • #2
    খুবই গুরুত্বপূর্ণ পর্ব, সকলই পড়া উচিত
    আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

    Comment


    • #3
      আল্লাহ্ তায়া-লা শায়েখ ওমর আব্দুর রহমান
      রহিমাহুল্লাহর প্রতি রহম করুন, আমাদের কেও
      শায়েখের মত কবুল করুন আমিন ইয়া রব্ব।

      Comment


      • #4
        হে আল্লাহ! আপনি ডক্টর ওমর আব্দুর রহমান রহ. এর উপর রহম করুন ও জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন।
        আমাদের আলিম সমাজকেও তাগুতের সামনে দৃপ্তকণ্ঠে হক কথা বলার ও হক পথে চলার সুদৃঢ় হিম্মত দান করুন।
        প্রিয় ভাইয়ের খেদমতকে কবুল করুন ও শাহাদাতের মউত নসীব করুন। আমীন
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          Originally posted by abu ahmad View Post
          হে আল্লাহ! আপনি ডক্টর ওমর আব্দুর রহমান রহ. এর উপর রহম করুন ও জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন।
          আমাদের আলিম সমাজকেও তাগুতের সামনে দৃপ্তকণ্ঠে হক কথা বলার ও হক পথে চলার সুদৃঢ় হিম্মত দান করুন।
          প্রিয় ভাইয়ের খেদমতকে কবুল করুন ও শাহাদাতের মউত নসীব করুন। আমীন
          আমীন! ছুম্মা আমীন!

          Comment

          Working...
          X