Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ১০ || “এবং তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর রজ্জু আঁকড়ে ধরো এবং বিচ্ছিন্ন হয়ো না”|| শহীদ আলেমে রব্বানী মাওলানা আসেম উমর রহিমাহুল্লাহ'র || মুজাহিদের দাওয়াতে কোনো বিশেষ মাসলাকের (ধর্মীয় ঘরানা) ছাপ থাকা উচিত নয়।; ; তৃতীয় পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ১০ || “এবং তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর রজ্জু আঁকড়ে ধরো এবং বিচ্ছিন্ন হয়ো না”|| শহীদ আলেমে রব্বানী মাওলানা আসেম উমর রহিমাহুল্লাহ'র || মুজাহিদের দাওয়াতে কোনো বিশেষ মাসলাকের (ধর্মীয় ঘরানা) ছাপ থাকা উচিত নয়।; ; তৃতীয় পর্ব


    আস্-সাহাব মিডিয়া প্রকাশিত ও
    আন-নাসর মিডিয়া পরিবেশিত
    “এবং তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর রজ্জু আঁকড়ে ধরো এবং বিচ্ছিন্ন হয়ো না|| শহীদ আলেমে রব্বানী মাওলানা আসেম উমর রহিমাহুল্লাহ'।।মুজাহিদ সাথীদের সঙ্গে কথোপকথন||এরথেকে || তৃতীয়পর্বঃমুজাহিদের দাওয়াতে কোনো বিশেষ মাসলাকের (ধর্মীয় ঘরানা) ছাপ থাকা উচিত নয়

    ==================================================
    =====


    জিহাদী কাফেলাগুলোর মধ্যে যদি বিভাজন চলে আসে এবং মুজাহিদ ভাইয়েরা যদি নিজেদেরকে আলাদা আলাদা বিশেষণে পরিচিত করে, তাহলে সমস্যা। একটাতো হল, আপনি এক জায়গা থেকে এসেছেন, তিনি আরেক জায়গা থেকে এসেছেন, আর উনি আরেক জায়গা থেকে এসেছেন। এটা হতে পারে। কারণ মুজাহিদদের জামাত যত বড় হবে, সেখানে বিভিন্ন এলাকার লোকের সম্মিলন ঘটবে; এটাই স্বাভাবিক কথা। কিন্তু দাওয়াতের ক্ষেত্রে ঘরানা ভিত্তিক বিভাজন যেন প্রাধান্য না পায়।

    আপনার দাওয়াত - জিহাদী দাওয়াত এই জিহাদী দাওয়াতের মধ্যে ইখতেলাফি বিষয়গুলোর আলোচনা সামনে নিয়ে আসা – এটা ভুল । এই ভুল করার দ্বারা মুজাহিদ নিজে আলাদা একটা বিশেষণে চিহ্নিত হয়ে যান। অবশ্য বাস্তবেও ব্যক্তি আলাদা একটা বিশেষণে যুক্ত হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক।

    কেন আপনি নিজেকে বিশেষ কোনো নামে আলাদা করে ফেলবেন? কেন বিশেষ ওই নাম আরোপ করার দ্বারা বাকি অনেককেই বাদ দিয়ে দিবেন? আপনি যদি নিজেকে একটা স্তরে গুটিয়ে নেন, তবে অন্যরা আপনার কাছে কেনইবা আসবে? ফলে সেও নিজের জন্য একটি দল বানিয়ে নিবেএভাবে মতের ভিন্নতার নাম দিয়ে, ভিন্ন ভিন্ন দল তৈরি হয়

    পারস্পরিক দূরত্ব যত বেশি হবে, অবস্থা ততই নাজুক হবে আর ক্ষতিটা আমাদের জিহাদের উপর আপতিত হবে। ফলে আপনাদের জিহাদও সফল হবে না, অন্য ঘরানা থেকে আসা আমাদের ভাইদের জিহাদও সফল হবে না দিনশেষে শত্রুপক্ষই বিজয়ী হবে।

    জিহাদের গুরুত্ব আপনারা বুঝতে পেরেছেন আশা করছি, এটাও বুঝতে পেরেছেন যে, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে চলতে হবে।

    আল্লাহ তাআলা যার থেকে ইচ্ছা, তার থেকে কাজ নিবেন যার হাতে ইচ্ছা, ঝাণ্ডা দিবেনএ আমানত আল্লাহ যাকে দিবেন, তাঁর জিম্মাদারি হল, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে চলা। আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের যত স্তর রয়েছে, সবাইকে সাথে নিয়ে চলা। নিজের দাওয়াতের উপর এমন কোন ছাপ লাগতে দেয়া যাবে না, যার দ্বারা অন্যরা বিরক্ত হয়ে দূরে সরে যায়।

    আহলে ইলমগণ জানতেন যে, এটা সহজেই হতে পারে। ওই সময়গুলোর দিকে তাকান শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম শহীদ রহিমাহুল্লাহ দাওয়াতের যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন; সেখানে দাওয়াত ছাড়া অন্য কোন কিছুর ছাপ কি আপনাদের চোখে পড়ে? দিনশেষে কোন বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করলেও সে বলবে, তিনি 'মুজাহিদ' ছিলেন।

    তাঁর দাওয়াতের মধ্যে দরদ ছিলোকেবল উম্মাহরই দরদ ছিলোতিনি উম্মাহর কথা বলতেন। শুধু কোন একটা স্তরের কথা কিংবা কোন একটা অঞ্চল নিয়ে কথা বলতেন না। কোন সুনির্দিষ্ট ঘরানার ফিকিরের কথাও বলতেন না।

    অতঃপর শাইখ উসামা রহিমাহুল্লাহ'র দাওয়াতের কর্মপদ্ধতি দেখুন। তাঁর দাওয়াতের মধ্যে কি বিশেষ কোনো ছাপ লক্ষ্য করেছেন? তাঁকে বিশেষ কোন ফিকিরের লোকেরা মেনেছে আর বিরোধীরা মানেনিএমনটা হতে দেখেছেন?

    না, আলহামদুলিল্লাহ এমনটা হয়নি। তাঁর দাওয়াতের পরিধি ছিলো ব্যাপক তিনি কুফরী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাওয়াত দিয়েছেন। উম্মতকে ‘উম্মত’ হিসেবে কুফরী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর দাওয়াত দিয়েছেন। আর শ্রোতারাও সেটাই বুঝেছেন, তিনি যেটা বোঝাতে চেয়েছেন। দেখুন, শ্রোতারা ভুল বুঝেনি

    আপনারা যেটা বোঝাতে চান, শ্রোতারা সেটাই বোঝেনতাঁরা উম্মতকে যে দাওয়াত দিয়েছেন, উম্মত সেটাই বুঝেছে। উম্মাহ তাঁর এমন ব্যাপক দাওয়াতের কারণেই তাঁকে একজন মুজাহিদ হিসেবে আপন করে নিয়েছে

    সুতরাং সালাফী, হানাফী, হাম্বলী, শাফেয়ী, মালেকী যে দলেরই হোক না কেন, সবাই তাঁকে মুহাব্বাত করতোসবাই নিজের সর্বস্ব তাঁর সামনে উপস্থাপন করতো

    একইভাবে আমীরুল মুমিনীন মোল্লা উমর রহিমাহুল্লাহ এর কর্মপদ্ধতি দেখুন। তিনি সবাইকে এক মনে করে শরীয়তের হুকুম প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর কাছে সব ঘরানার লোকজনের উপস্থিতি ছিলোএকজন আফগানির অবস্থান তাঁর কাছে যেমন ছিলো, একজন পাকিস্তানির অবস্থান তেমনই ছিলোএকজন হানাফীর যে অবস্থান ছিলো, একজন সালাফীরও সেই অবস্থান ছিলোজিহাদের ব্যাপারে সবার জন্য একই স্বাধীনতা, একই সুযোগ-সুবিধা এবং একই খেদমতের ব্যবস্থা তিনি করেছিলেন। তাই উম্মাহও তাঁকে সকলের নেতা মনে করতেন।

    সালাফীগণ যেমন মনে করতেন, হানাফীগণও তেমনই মনে করতেন। হানাফীগণ ‘আমীরুল মুমিনীন’ বললে সালাফীগণও ‘আমীরুল মুমিনীন’ বলা থেকে পিছিয়ে থাকতেন না।

    আমার বলার মূল উদ্দেশ্য এটাই যে, জিহাদের দাওয়াতের উপর আপনারা বিশেষ কোন মাসলাকের ছাপ লাগতে দিবেন না।

    যখন উম্মাহ আপনাকে একজন দরদি দাঈ, কুফরী শক্তির বিরুদ্ধে একজন প্রাণবন্ত মুজাহিদ হিসেবে পাবে, তখন সবদিক থেকে লোকেরা আপনার কাছে ছুটে আসবে ইনশাআল্লাহ।

    আপনার দাওয়াতের মধ্যে, মারকাজের মধ্যে এবং জামাতের মধ্যেও এই পরিবেশ থাকা চাই। প্রত্যেক মুজাহিদ সাথির এটা স্পষ্ট থাকা জরুরি যে, জামাতের মধ্যে এ ধরনের মতবিরোধের কোন সুযোগ নেই এবিষয়ে আলোচনারও অনুমতি নেই। এমনটা নিশ্চিত করা গেলে আপনার কাছে যে-ই আসবে সে-ই বলবে, এদের শুরু থেকে শেষ ফিকির কেবল— ‘এলায়ে কালিমাতুল্লাহ’ তথা ‘আল্লাহর কালিমাকে সমুন্নত করা’আর এরা এই ‘এলায়ে কালিমাতুল্লাহ’কে নির্দিষ্ট কোন ঘরানার ফিকিরের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে না। তাদের মাঝে এই প্রবণতা নেই যে, পতাকা যার হাতে থাকবে সেই নেতা, তাঁরই প্রাধান্য চলবে; আর অন্য সবাই তুচ্ছ হয়ে যাবে।

    এভাবে উম্মাহ আপনা আপনিই আপনাকে চিনে নিবে। আর আসল তো আপনার আল্লাহ। তিনি আপনার অন্তর সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।


    আপনার অন্তরে যখন স্বজনপ্রীতি থাকবে না, তখন অবশ্যই আপনার দাওয়াতের প্রভাব শ্রোতার উপর পড়বে, ইনশাআল্লাহ।

    যদি আমরা ঐক্য বিনষ্টকারী বিভক্তি থেকে বাঁচতে পারি, আমাদের দাওয়াতকে পারস্পরিক ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে পূর্বসূরিদের কর্মপদ্ধতি অনুযায়ী চালিয়ে নিতে পারি এবং আমাদের জামাতকে সালফে সালেহীনের অনুসৃত পদ্ধতির উপর চালাতে পারি, তাহলে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে অবশ্যই কামিয়াবী দান করবেন, ইনশাআল্লাহ।


    আরও পড়ুন
    দ্বিতীয় পর্ব ------------------------------------------------------------------------------------------ চতুর্থ পর্ব


    Last edited by tahsin muhammad; 12-14-2023, 07:50 PM.

  • #2
    আপনার দাওয়াত - জিহাদী দাওয়াত এই জিহাদী দাওয়াতের মধ্যে ইখতেলাফি বিষয়গুলোর আলোচনা সামনে নিয়ে আসা – এটা ভুল।
    আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জিহাদী দাওয়াতে কাজে সকল ভুল-ভ্রান্তি থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment

    Working...
    X