মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচন কি শরীয়ত বিরোধী নয়?
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
অনেক আলেমকে বলতে শুনা যায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শরীয়ত বিরোধী নয়।
এখন প্রশ্ন, সে চেতনাটা কি?
সে চেতনা যদি হয় সেটা, যা আওয়ামীলীগ বলে থাকে; অর্থাৎ সাম্প্রদায়িক শরয়ী শাসন বাদ দিয়ে চারটি কুফরি মতবাদের আলোকে দেশ শাসন; যদি এ চেতনা হয় তাহলে তা যে কুফর তা তো কারও কাছে অস্পষ্ট থাকার কথা না।
কিন্তু সেসব আলেম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল জুলুম থেকে নিষ্কৃতি।
যদি এ দ্বিতীয়টিকেই ধরি, তাহলে তা কি শরীয়ত বিরোধী নয়?
এখানে কিন্তু হিসেব করে কথা বলতে হবে। কারণ, আইম্মায়ে কেরামের রাজেহ মত এটাই যে, জুলুমের কারণে মুসলিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা হারাম। যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জুলুম থেকে নিষ্কৃতি হয় তাহলে রাজেহ কওল মতে এ চেতনা হারাম ছিল।
এরপরও যদি বলতে চান, না হারাম ছিল না: তাহলে বুঝা গেল, আপনাদের মতে জালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাকে অপসারণ করা জায়েয। তাহলে আমরা আজ যারা তাগুতি শাসনের জুলুমের বিরুদ্ধে জিহাদের কথা বলছি, আমাদের দোষ কোথায়? আমরা কেনো হারাম করছি? আমরা কেন সন্ত্রাসী আখ্যা পাচ্ছি?
সদুত্তর কামনা করছি।
গণতান্ত্রিক নির্বাচন
ইসলামের নামে যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন করেন তারা বলেন, তারা জিহাদ করছেন।
এখন প্রশ্ন: জিহাদ তো কাফেরের বিরুদ্ধে হয়। তাহলে আপনারা কি শাসকদের কাফের মনে করেন?
এ প্রশ্ন শুনার সাথে সাথেই তারা হাজার বার না … না …না বলতে থাকবেন।
যদি মুসলিম মনে করেন, তাহলে অপসারণ করতে চাচ্ছেন কেন? জুলুমের কারণে অপসারণ করার জন্য মাঠে নেমে মুসলিমদের দলে দলে বিভক্ত করা কি জায়েয?
যদি বলেন, জায়েয; তাহলে আমরা জিহাদ করলে কেন নাজায়েয?
হয়তো বলবেন, শান্তিপূর্ণভাবে অপসারণ করা জায়েয, সংঘাতে যাওয়া হারাম।
তাহলে সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমস্যাটা এসে যাবে। তাহলে মুক্তিযুদ্ধ কি হারাম ছিল? সেটা তো শান্তিপূর্ণ ছিল না। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, ত্রিশ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে …. দাবি করা হচ্ছে। তাহলে মুক্তিযুদ্ধ হারাম বলছেন আপনারা?
এটার উত্তরেও হাজার বার না … না … না… বলবেন।
তখন সেই আগের কথা এসে যাবে, আমরা অস্ত্র ধরলে হারাম হবে কেন?
সদুত্তর প্রত্যাশী।
Comment