তেহরিকের সদস্যদের পরিচালনার মূলনীতি সংক্রান্ত দিকনির্দেশক আলোচনায় ‘ইদারাতুত তাওয়াহহুশ’ গ্রন্থে শায়খ আবু বকর নাজী রহঃ বলেন,
.
“বিভিন্ন পর্যায়ের মুজাহিদদের ব্যাবস্থাপনার (বা সঠিকভাবে পরিচালনার) জন্য শরীয়াহ রাজনীতি অধ্যায়ন ও বোঝার বিষয়টি অবহেলা করা উচিৎ নয়।
অনেক সময় দেখা যায়, মুজাহিদিনদের মাঝে লোকজন যোগ দেয়।
তেমনিভাবে, যখন প্রকাশে পাবে যে, আমাদেরই মাঝে রয়েছে খারেজী, বিদ্রোহী, মুলহিদ বা পদলোভী এমনসব লোকজন- সেক্ষেত্রে তাদের সাথে আচরণ কিরূপ হবে তা আমাদের শিখতে হবে।
.
একইভাবে, যখন প্রকাশ পাবে যে, আমাদের মাঝে রয়েছে মদ পানকারী বা এমন ব্যাক্তি যার অপকর্মের দরুন হদ সাব্যস্ত হয়। এ সবগুলোই আমাদের সারিতে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের সাথে কিরূপ আচরণ করা হবর তা আমাদের শিখতে হবে।
.
বিশেষতঃ আমাদের কর্মকান্ড যখন একথার ভিত্তিতে যে বর্তমান জিহাদ পুরো উম্মাহর জিহাদ, বিশেষ কোনো দল বা গোষ্ঠীর নয়। সুতরাং যুদ্ধ চলাকালীন এসব দল প্রকাশ পাওয়ার ফলে খুবই স্পর্শকাতর ও জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
.
প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য শর’ই বিধান ও দলিল আদিল্লা দ্বারা এসব লোকদের মোকাবেলা করা যায়না।
বরং তা মোকাবেলা করতে হবে অতি সূক্ষ্ম শরয়ী রাজনৈতিক উপায়ে, যা আমরা রাসূলুলাহ (সাঃ) ও সাহাবীদের অনুসৃত পথ হতে পেতে পারি।
.
কিন্তু এটা করতে হবে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে যেন দ্বীন ইসলামের বিধিবিধানকে হালকাভাবে গ্রহণকারীদের (diluter) পথে আমরা না হাঁটি।”
(মূল আরবী কিতাবের ৪০ নং পৃষ্ঠা হতে গৃহীত, সংক্ষেপিত ও পরিমার্জিত)
.
.
অতএব, মুজাহিদিনদের দ্বারা কখনোই শরয়ী রাজনীতি চর্চা করতে গিয়ে গৎবাঁধা জনপ্রিয়তা পূজারী ও গতানুগতিক রাজনৈতিক দলগুলোর পদাঙ্ক অনুসরণ করা উচিৎ নয়।
.
এর প্রভাব আমরা বিভিন্ন ইসলামী রাজনৈতিক দলের মাঝে দেখতে পাই, যাদের আন্দোলনের বয়স ৫০-১০০ বছর এবং সদস্য ও কর্মী কোটি কোটি হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ্* তা’আলার সাহায্য ও বিজয় তাদের থেকে দূরে।
.
আরো দেখতে পাই কিছু জনপ্রিয় জিহাদি জামাতসমূহ অস্ত্রসস্ত্র ও বাহ্যিক বহু সক্ষমতার দিক থেকে অগ্রসর হওয়া সত্বেও, কাংখিত সাফল্য লাভে সমর্থ হননি।
শারঈ রাজনীতির জ্ঞান ও প্রয়োগের সীমাবদ্ধতার ফলে তাদের অনুসারীদের মাঝে বিলুপ্তি ঘটছে ইলম, প্রজ্ঞা ও সুউচ্চ হিম্মতের; যেমনটা সম্মীলন ঘটেছিল সাহাবায়ে কেরামের মাঝে। উগ্রতা, চারিত্রিক তারল্য ও কপটতার পরিবর্তে কোমলতা ও দৃঢ়তা ছিল যাদের পোশাক।
.
যার ফলশ্রুতিতে অনুসারীদের মনরক্ষার্থে ক্রমাগত ভুল ও আত্মঘাতী পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন জামাত বিরত থাকতে সক্ষম হচ্ছে না।
এবং এসকল অনুসারীদেরকে বাহ্যত অজানা ভবিষ্যতের 'সম্ভাবনা' মনে হলেও, বাস্তবে পরিণত হচ্ছে বোঝায়।
শায়খ আবু কাতাদা হাফিজাহুল্লাহ কত সুন্দর বলেছেন,
"শেক্সপিয়র বলেন, ‘জ্ঞানীদের জমায়েত করা কঠিন এবং জটিল একটি কাজ। অপর দিকে পশুপালের জমায়েত সাধারণ একটি ব্যপার, কিছু রাখাল ও কুকুর হলেই যথেষ্ট।
কেউ কেউ সামঞ্জস্য বিধানকে সহজ মনে করেছেন এ নীতির ভিত্তিতে যে, ‘বন্ধু কুকুর শত্রু সিংহের চেয়ে শ্রেষ্ঠ’।
তবে আসল কথা হলো, বিপদের সময় পশুপাল তোমার থেকে দূরে সরে পড়বে, তোমাকে একা রেখে চলে যাবে। এ জন্য সিংহদেরকে তোমার পাশে জমায়েত করো।
পরিচালনার ক্ষেত্রে যাদিও তারা তোমাকে কষ্ট দেবে, তবুও মনে রেখো, তাদের দ্বারা তুমি বড় হতে পারবে, নিশ্চিন্তে তোমার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।"
আর ওই ব্যাক্তি বা জামাত কী করে নিজের চারপাশে সিংহদের জমা করবে যখন জনপ্রিয়তা ও অনুসারীর সংখ্যাবৃদ্ধিই তার উদ্দেশ্য!!
যাদের আচরণে ও মননে শৈথিল্য ও জটিল রাজনীতির মারপ্যাঁচ আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়ানো। আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।
আল্লাহ্* তা’আলা আমাদের দ্বীনের ক্ষেত্রে কঠোরতা ও বাড়াবাড়ির ন্যায় শৈথিল্য ও ছাড়াছাড়ি থেকেও হেফাজত করুন। আমিন।
.
“বিভিন্ন পর্যায়ের মুজাহিদদের ব্যাবস্থাপনার (বা সঠিকভাবে পরিচালনার) জন্য শরীয়াহ রাজনীতি অধ্যায়ন ও বোঝার বিষয়টি অবহেলা করা উচিৎ নয়।
অনেক সময় দেখা যায়, মুজাহিদিনদের মাঝে লোকজন যোগ দেয়।
তেমনিভাবে, যখন প্রকাশে পাবে যে, আমাদেরই মাঝে রয়েছে খারেজী, বিদ্রোহী, মুলহিদ বা পদলোভী এমনসব লোকজন- সেক্ষেত্রে তাদের সাথে আচরণ কিরূপ হবে তা আমাদের শিখতে হবে।
.
একইভাবে, যখন প্রকাশ পাবে যে, আমাদের মাঝে রয়েছে মদ পানকারী বা এমন ব্যাক্তি যার অপকর্মের দরুন হদ সাব্যস্ত হয়। এ সবগুলোই আমাদের সারিতে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের সাথে কিরূপ আচরণ করা হবর তা আমাদের শিখতে হবে।
.
বিশেষতঃ আমাদের কর্মকান্ড যখন একথার ভিত্তিতে যে বর্তমান জিহাদ পুরো উম্মাহর জিহাদ, বিশেষ কোনো দল বা গোষ্ঠীর নয়। সুতরাং যুদ্ধ চলাকালীন এসব দল প্রকাশ পাওয়ার ফলে খুবই স্পর্শকাতর ও জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
.
প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য শর’ই বিধান ও দলিল আদিল্লা দ্বারা এসব লোকদের মোকাবেলা করা যায়না।
বরং তা মোকাবেলা করতে হবে অতি সূক্ষ্ম শরয়ী রাজনৈতিক উপায়ে, যা আমরা রাসূলুলাহ (সাঃ) ও সাহাবীদের অনুসৃত পথ হতে পেতে পারি।
.
কিন্তু এটা করতে হবে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে যেন দ্বীন ইসলামের বিধিবিধানকে হালকাভাবে গ্রহণকারীদের (diluter) পথে আমরা না হাঁটি।”
(মূল আরবী কিতাবের ৪০ নং পৃষ্ঠা হতে গৃহীত, সংক্ষেপিত ও পরিমার্জিত)
.
.
অতএব, মুজাহিদিনদের দ্বারা কখনোই শরয়ী রাজনীতি চর্চা করতে গিয়ে গৎবাঁধা জনপ্রিয়তা পূজারী ও গতানুগতিক রাজনৈতিক দলগুলোর পদাঙ্ক অনুসরণ করা উচিৎ নয়।
.
এর প্রভাব আমরা বিভিন্ন ইসলামী রাজনৈতিক দলের মাঝে দেখতে পাই, যাদের আন্দোলনের বয়স ৫০-১০০ বছর এবং সদস্য ও কর্মী কোটি কোটি হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ্* তা’আলার সাহায্য ও বিজয় তাদের থেকে দূরে।
.
আরো দেখতে পাই কিছু জনপ্রিয় জিহাদি জামাতসমূহ অস্ত্রসস্ত্র ও বাহ্যিক বহু সক্ষমতার দিক থেকে অগ্রসর হওয়া সত্বেও, কাংখিত সাফল্য লাভে সমর্থ হননি।
শারঈ রাজনীতির জ্ঞান ও প্রয়োগের সীমাবদ্ধতার ফলে তাদের অনুসারীদের মাঝে বিলুপ্তি ঘটছে ইলম, প্রজ্ঞা ও সুউচ্চ হিম্মতের; যেমনটা সম্মীলন ঘটেছিল সাহাবায়ে কেরামের মাঝে। উগ্রতা, চারিত্রিক তারল্য ও কপটতার পরিবর্তে কোমলতা ও দৃঢ়তা ছিল যাদের পোশাক।
.
যার ফলশ্রুতিতে অনুসারীদের মনরক্ষার্থে ক্রমাগত ভুল ও আত্মঘাতী পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন জামাত বিরত থাকতে সক্ষম হচ্ছে না।
এবং এসকল অনুসারীদেরকে বাহ্যত অজানা ভবিষ্যতের 'সম্ভাবনা' মনে হলেও, বাস্তবে পরিণত হচ্ছে বোঝায়।
শায়খ আবু কাতাদা হাফিজাহুল্লাহ কত সুন্দর বলেছেন,
"শেক্সপিয়র বলেন, ‘জ্ঞানীদের জমায়েত করা কঠিন এবং জটিল একটি কাজ। অপর দিকে পশুপালের জমায়েত সাধারণ একটি ব্যপার, কিছু রাখাল ও কুকুর হলেই যথেষ্ট।
কেউ কেউ সামঞ্জস্য বিধানকে সহজ মনে করেছেন এ নীতির ভিত্তিতে যে, ‘বন্ধু কুকুর শত্রু সিংহের চেয়ে শ্রেষ্ঠ’।
তবে আসল কথা হলো, বিপদের সময় পশুপাল তোমার থেকে দূরে সরে পড়বে, তোমাকে একা রেখে চলে যাবে। এ জন্য সিংহদেরকে তোমার পাশে জমায়েত করো।
পরিচালনার ক্ষেত্রে যাদিও তারা তোমাকে কষ্ট দেবে, তবুও মনে রেখো, তাদের দ্বারা তুমি বড় হতে পারবে, নিশ্চিন্তে তোমার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।"
আর ওই ব্যাক্তি বা জামাত কী করে নিজের চারপাশে সিংহদের জমা করবে যখন জনপ্রিয়তা ও অনুসারীর সংখ্যাবৃদ্ধিই তার উদ্দেশ্য!!
যাদের আচরণে ও মননে শৈথিল্য ও জটিল রাজনীতির মারপ্যাঁচ আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়ানো। আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।
আল্লাহ্* তা’আলা আমাদের দ্বীনের ক্ষেত্রে কঠোরতা ও বাড়াবাড়ির ন্যায় শৈথিল্য ও ছাড়াছাড়ি থেকেও হেফাজত করুন। আমিন।
Comment