তৃতীয় অধ্যায়: ময়দানে প্রত্যাবর্তন-দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: আব্দুল্লাহ আয্যাম- হিন্দুকুশ পর্বত চূড়ায় আল কুদসের জখম
(পূর্ব প্রকাশের পর)
৩- আমেরিকার প্রতি তার প্রচণ্ড শত্রুতা ছিল
তিনি বলেন:
“অতএব, আল্লাহর শত্রুরা উপলব্ধি করতে পারে যে, কারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বুঝে আর কারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বুঝে না। যারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বুঝে, আল্লাহর শত্রুদের নিকট তাদের নাম হল ‘গোড়া সাম্প্রদায়িক’। আর যারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বুঝে না, আল্লাহর শত্রুদের নিকট তাদের নাম হল মু’তাদিল বা উদারপন্থী। তারা কোন রাখঢাক ছাড়াই এগুলো ব্যবহার করে থাকে। যেমন বলে: আমরা কখনোই কট্টর ইসলাম মেনে নিব না, আমরা শুধুমাত্র উদার ইসলাম মেনে নিব। আমরা মৌলবাদী ইসলাম মেনে নিব না, আমরা শুধু নমনীয় ইসলাম মেনে নিব। আমরা চাই আমেরিকান পদ্ধতিতে নমনীয় ইসলাম। যার ফলে একদলকে কমিউনিজম বলা হবে, তাই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে। আর আরেকদলকে বলা হবে আমেরিকান, ফলে তাদের ব্যাপারে বলা হবে: ﴿وَلَتَجِدَنَّ أَقْرَبَهُمْ مَوَدَّةً لِلَّذِينَ آمَنُوا الَّذِينَ قَالُوا إِنَّا نَصَارَى﴾ “আর তুমি (অমুসলিমদের মধ্যে) মুসলিমদের সাথে বন্ধুত্বে সর্বাপেক্ষা নিকটবর্তী পাবে তাদেরকে, যারা নিজেদেরকে নাসারা বলে।”
তিনি নেক্সনের পাকিস্তান ভ্রমণ সম্পর্কে বলেন:
“সে আমেরিকায় ফিরে গিয়ে আমেরিকান টেলিভিশনে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করল। প্রথম সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞেস করল: অমুক সমস্যাটির জন্য আপনারা কী করেছেন? বলল: এটা তো সহজ ব্যাপার। অমুক সমস্যা? বলল: এটাও সহজ ব্যাপার... সহজ...। বলল: তাহলে সমস্যা কোনটি? বলল: সমস্যা হল ইসলাম। আমেরিকার জন্য জরুরী হল, রাশিয়ার সাথে সকল মতবিরোধ ভুলে যাওয়া, যেন সেই ইসলামী ঢল থামাতে পারে, যা বৃদ্ধি ও প্রসার লাভ করতে শুরু করেছে।”
তিনি আরো বলেন:
“বাস্তবতা হল: আমি দেখেছি, যেমন পূর্বেও আপনাদেরকে বলেছি যে, ইসলামের অধিকাংশ বিধি-বিধান কর্তৃত্ব চায়, যা এই দ্বীনের একটি খুটি হিসাবে থাকবে। যখন কর্তৃত্বের খুটি লুটিয়ে পড়বে বা ধ্বসে পড়বে, তখন ইসলামের সিংহভাগই ধ্বসে পড়বে। আমি দেখেছি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেশ নষ্ট হয় এবং মানুষ নষ্ট হয় নেতৃত্বের কারণে। কাফেরদের নেতৃত্বের কারণে। আমেরিকা এসে জহির শাহের মত একজনকে বলবে: হয়ত তুমি অমুক অমুক কাজ করবে বা নারীদেরকে উলঙ্গ ও নির্লজ্জভাবে বের হতে দিবে, নয়ত তোমার শাসন উল্টিয়ে দেওয়া হবে। তখন সে এসে নারীদের হিজাব পায়ের নিচে রেখে বলবে: অন্ধকার যুগ শেষ হয়ে গেছে। তারপর সে নারীদেরকে ধ্বংস করতে থাকে। আফগান নারীদেরকে তাদের পর্দা খুলে ফেলতে আদেশ করে। যখন ইসলাম পালনে কট্টর, অনমনীয় ও অবিচল বলে পরিচিত কান্দাহারবাসীগণ তাদের নারীদেরকে নগ্ন করতে বা তাদের চেহারা উম্মুক্ত করতে অস্বীকৃতি জানাল, তখন বাদশা সেনাবাহিনী পাঠিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল, যার নেতৃত্ব দেয় তার চাচা শাহ ওয়ালি। বাদশার সেনাবাহিনী ও কান্দাহারবাসীর মাঝে একটি যুদ্ধ সংঘটিত হল, যার নাম হল ‘খিমারের যুদ্ধ’- তথা ওড়নার যুদ্ধ। কান্দাহারের প্রায় এক হাজার শহীদ মাটিতে লুটিয়ে পড়ল।”
তিনি আরো বলেন:
“আমাদেরকে এই হুকুম বুঝতে হবে যে, যে আমেরিকার সাথে বন্ধুত্ব করে সে কাফের। যে ইহুদীর সাথে বন্ধুত্ব করে সে ইহুদী। যে খৃষ্টানের সাথে বন্ধুত্ব করে সে খৃষ্টান-
: ﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاءَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ﴾
“হে মুমিনগণ! ইহুদি ও খৃষ্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা নিজেরাই একে অন্যের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাদেরকে বন্ধু বানাবে, সে তাদেরই মধ্যে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ জালিমদেরকে হেদায়াত দান করেন না।”
এর দু’ আয়াত পরেই মহান আল্লাহ বলেন:
﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَنْ يَرْتَدَّ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَه﴾
“হে মুমিনগণ! তোমাদের মধ্য হতে কেউ যদি নিজ দ্বীন থেকে ফিরে যায়, তবে আল্লাহ এমন লোক সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং তারাও তাকে ভালোবাসবে।”
অর্থাৎ ইহুদী বা নাসারাদের সাথে বন্ধুত্ব করা, ধর্মচ্যুতকারী কুফর ও ধর্মত্যাগ।
তিনি আরো বলেন:
“আমেরিকা রাশিয়াকে বলল: খতম। রাশিয়া বলল: আমি সরে যেতে একমত, তবে আমার একটি শর্ত আছে: আপনারা আপনাদেরই পছন্দকৃত একজনকে নির্ধারণ করুন, যে আমরা সরে পড়লে আমাদের বিকল্প হবে। ব্যাস। অর্থাৎ একটি জিনিস, তারা বলল: আমেরিকান পদ্ধতিতে ইসলাম। আমেরিকান ইসলাম। অর্থাৎ যার ধর্ম হবে নমনীয়, এমন বিছানার মত, যা পশ্চিমাদের ইচ্ছানুযায়ী বিছানো হবে। আমেরিকান চাহিদার উপর কী আছে? অর্থাৎ আমেরিকার পকেটে প্রস্তুতকৃত ফাতওয়া। কিভাবে প্রস্তুতকৃত? আমরা জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছি। এখন কয়েকজন শায়খকে নিয়ে আসল, যেন টেলিভিশনের পর্দায় বসে বলতে থাকে: “আমরা আযল করছিলাম, আর ওই সময় কুরআন নাযিল হচ্ছিল। যদি এটা কুরআনের নিষিদ্ধ কোন বিষয় হত, তাহলে অবশ্যই কুরআন আমাদেরকে নিষেধ করত।”আমরা সমাজবাদ প্রয়োগ করতে চাচ্ছি, তখন একজন শায়খ এসে ঘোষণা দিল: সমাজবাদই আল্লাহর দ্বীন। আর সমাজবাদিরা বলল: আপনিই আমাদের ইমাম। আমরা জাতীয়তাবাদ প্রচার করতে চাচ্ছি, তখন কোন শায়খ এসে ফাতওয়া দিল: দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। এভাবে যত প্রয়োজন..। আমেরিকা যেভাবে বলে, ঠিক সেভাবে প্রস্তুতকৃত ফাতওয়া প্রকাশ করা হয়। মুসলিম যুবকরা ফাতওয়া মেশিন চায়। বাটনে ক্লিক করুন, পেপসিকোলা ভেসে উঠবে, বাটনে ক্লিক করুন, মেরিন্ডা ভেসে উঠবে, বাটনে ক্লিক করুন, তৈরী ফাতওয়া বা ফাতওয়া মেশিন ভেসে উঠবে। তার দ্বীন হল ফাতওয়া মেশিন। মেশিনটাও হতে হবে পশ্চিমা। যা পশ্চিমা নিয়মানুযায়ী চলবে।”
তিনি আরো বলেন:
“জুনিজো’ এই ভেবে আনন্দিত ছিল যে, আমেরিকা, পশ্চিমা বিশ্ব এবং জাতিসঙ্ঘ তাকে ইহুদিবাদি ‘নোবেল’ শান্তি পদক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কারণ এটা ইহুদিবাদি পুরস্কার। তারা এটা কেবল এমন কাউকেই দেয়, যে ইহুদিবাদের সেবা করে। এজন্য নজিব মাহফুজকে এটা দেওয়া হয়েছিল এজন্যই যে, সে ইহুদি ও মিশরের মাঝে সম্পর্ক মসৃণ করার সেবা করেছে। তারা তাকে কী কাজের জন্য নোবেল পুরস্কার দিয়েছে? দ্বীনের ব্যাপারে কটুক্তি ও ইসলামের বিরোধিতায় পরিপূর্ণ একটি উপন্যাসের কারণে, যার নাম হল: ‘আমাদের পাড়ার শিশুরা’।”
তিনি আরো বলেন:
“বর্তমানে আমেরিকা, রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশে^র মন-মগজে সর্ব বৃহৎ ইস্যু হল আফগানিস্তান ইস্যু। কুফরি বিশ্ব ভয়ে আছে। অথচ মুসলিমগণ নিশ্চিন্ত। কিন্তু যে সকল একনিষ্ঠ মুসলিমগণ ইসলামের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের গভীরতা ও পরাজয়ের গ্লানি অনুভব করতে পারে এবং যারা চলমান ইতিহাসের তিক্ত স্বাদ আস্বাদন করেছে- বিশেষ করে এই শতাব্দির সূচনালগ্নের ইতিহাস, তারা জানে যে, আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্ত গুটি কয়েক শাসক ব্যতিত প্রতিটি শাসকই প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের খেলার গুটি। যারা হোয়াইট হাউস ও রেড হাউসের অনুমতি ব্যতিত একটি পদক্ষেপ বা একটু ঠোট নাড়াচাড়াও করতে পারে না।”
তিনি আরো বলেন:
“এখানে আমাদের উপর ইহুদিবাদি চাপ, আমেরিকা ও পশ্চিমাদের উপর এই মর্মে ইহুদীদের চাপ, যেন তারা আমাদেরকে পাকিস্তানের ভেতর থেকে বের করে দেয়, আরবদেরকে এবং বিশেষ করে ফিলিস্তীনীদের ভিসা প্রদান নিষিদ্ধ করার জন্য ইহুদিবাদি চাপ... ইত্যাদির মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয় যে, তারা বুঝতে পেরেছিল যে, হিন্দুকুশ পর্বতমালায় যে ভূমিকম্প শুরু হয়েছে তা অবশ্যই আল কুদসের মিনারেও প্রতিধ্বনিত হবে।”
তিনি আরো বলেন:
“হে ভাইয়েরা, আপনারা মুসলিমদের অবস্থা দেখুন, কোন জিনিস আমেরিকার চাহিদা অনুযায়ী হয়নি, তাই তার কোন শরয়ী অস্তিত্বও নেই এবং দেশীয় আইনী অস্তিত্বও নেই। আর কোন জিনিস আমেরিকান ইচ্ছা, আগ্রহ ও চাহিদা অনুযায়ী হয়েছে, তাহলে সেটা শরয়ী, আইনী, সাংবিধানিক ও আরো সব কিছু।”
তিনি আরো বলেন:
“তারা চায় না, আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল-জামাআহ শাসনক্ষমতা পর্যন্ত পৌঁছাক। তারা চায় মডারেটদেরকে, যাদের ধর্ম রাবারের মত, যা আমেরিকা যেভাবে প্রসারিত করে, সেভাবেই প্রসারিত হয়। তারা আমেরিকার চাহিদামত ফাতওয়া দেয়। আমেরিকার পকেটে প্রস্তুতকৃত ফাতওয়া কুকার। যখনই আমেরিকা তাকে ফাতওয়া দিতে বলবে, ফাতওয়া দিবে। ফাতওয়া দিবে: ইসরাঈলের সাথে সন্ধি করা জায়েয আছে। আল্লাহ তা’আলা বলেছেন:
﴿وَإِنْ جَنَحُوا لِلسَّلْمِ فَاجْنَحْ لَهَا وَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ﴾
“আর তারা যদি সন্ধির দিকে ঝুঁকে পড়ে, তবে তোমরাও সে দিকে ঝুঁকে পড়বে এবং আল্লাহর উপর নির্ভর করবে। নিশ্চয়ই তিনি সকল কথা শোনেন, সকল কিছু জানেন।”
৪- আরব শাসকদের প্রতি তার প্রচণ্ড শত্রুতা ছিল
তিনি বলেন:
“ইহুদিদের রাষ্ট্রটি কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হল? কাফেরদের তত্বাবধানে। আমেরিকান, বৃটিশরা এসে শাসকদেরকে (আরব শাসকদেরকে) বলল: হয়ত তোমরা ফিলিস্তীনে ইহুদিদের একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সহমত হবে, নয়ত আমরা তোমাদেরকে শাসন থেকে হটিয়ে দিব। তোমরা স্বাক্ষর কর। তারা স্বাক্ষর করে। হ্যা, তারা আমেরিকা, বৃটেন ও রাশিয়ার জন্য তারা যা চায় তাতেই স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত।”
জর্দানের বাদশার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন:
“কিন্তু আমরা কী করব? আমাদের হাতে তো বেড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়েছে, সীমানা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। হাতকড়া প্রস্তুত করা হয়েছে এবং যে-ই ইহুদিদের প্রতি সামান্য অনিষ্টের ছোঁয়া লাগাতে চেয়েছে বা তাদের দিকে হস্ত প্রসারিত করতে চেয়েছে বা তাদের দিকে একটু আঙ্গুল নাড়াতে চেয়েছে, তাদের পিঠেই গুলি চালানো হয়েছে। হ্যা, আমরা ফিলিস্তীনে যুদ্ধ করার চেষ্টা করেছি এবং ১৯৪৮ সালে এক বছর যুদ্ধ করেছি। তবে মহান আল্লাহ আমাকে তাদের সাথে অংশীদার বানিয়ে গর্বিত করেননি। বরং আমাকে ১৯৬৯-১৯৭০ এক বছর আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল-জামাআর সাথে মিলে যুদ্ধ করার মাধ্যমে সৌভাগ্যবান করেছেন। কিন্তু যখন তাগুতগোষ্ঠীর যমীন সংকীর্ণ হয়ে গেল, তখন তারা সিদ্ধান্ত নিল: তাদের দেশে যেকোন প্রতিরোধ আন্দোলনের অস্তিত্ব নির্মূল করেই ছাড়বে। চাই তা ড্রোন, ট্যাংক, বোমা বা কামানের মাধ্যমেই হোক না কেন।”
সৌদ পরিবারের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন:
“১৯৩৬ সালের আন্দোলন ছিল ইতিহাসের দীর্ঘতম ধর্মঘট। ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু করে একই বছরের ৮ ই অক্টোবর পর্যন্ত। বৃটেন ৬০ জন বৃটিশ সেনার মাধ্যমে ইহুদিদের পক্ষে যুদ্ধ করছিল এ ধর্মঘট ভাঙ্গার জন্য। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। অবশেষে ফিলিস্তীনী জনগনের সাথে প্রতারণাকারী আরব রাষ্ট্রগুলো মধ্যস্থতা করল। তাই সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে তার ‘ইসরা ও মিরাজ’ এর দিনে পরবর্তী বিবৃতি প্রচারিত হল: ফিলিস্তীনে চলমান অবস্থার জন্য আমরা খুব মর্মাহত। তাই আমির আব্দুল্লাহসহ আমরা সকল আরব শাসক এ ব্যাপারে একমত হয়েছি যে, আমরা আমাদের মিত্র বৃটিশ সরকারের শুভ ইচ্ছার উপর আস্থা রেখে রক্তপাত বন্ধের জন্য আপনাদেরকে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানাব।”
তিনি গাদ্দাফি সম্পর্কে বলেন:
“হীন, নিকৃষ্ট একটা বাচ্চা দেশটাকে ধ্বংস করে দিল। মানুষ তার দিকে তাকিয়ে বলে: কোথায় আছে মুহাম্মদ ইবনে মাসলামা? কোথায় আব্দুল্লাহ ইবনে আতিক? কেউ আছে তাকে গুপ্তহত্যা করবে? কেউ কি নেই? প্রত্যেকেই অন্যের দিকে তাকায়। কিন্তু যখন তাদের কোন যুবক জিহাদের জন্য বের হয়, তখন এক শত লোক পেয়ে যাবে, যাদের একজন তাকে বলবে: তুমি পাগল... আরেকজন বলবে: তুমি এই এই... আরো অনেক কিছু।”
Comment