Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ১৪ || ভারতের মুসলিমদের প্রতি পয়গাম | ইসলাম তোমার দেশ, তুমি মুহাম্মাদের সৈনিক! ।। উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ || ১ম পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ১৪ || ভারতের মুসলিমদের প্রতি পয়গাম | ইসলাম তোমার দেশ, তুমি মুহাম্মাদের সৈনিক! ।। উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ || ১ম পর্ব



    আন নাসর মিডিয়া পরিবেশিত
    ভারতের মুসলিমদের প্রতি পয়গাম

    ইসলাম তোমার দেশ, তুমি মুহাম্মাদের সৈনিক!
    ।। উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ এর থেকে || ১ম পর্ব

    ==================================================
    =====


    بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ.
    الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على رسوله الكريم.


    উপমহাদেশ, বিশেষত ভারতের আমার প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা!


    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!


    আমার এ নিবেদন ভারতের মুসলিমদের প্রতি। এ নিবেদন উলামায়ে কেরাম, দ্বীনের দা‘য়ী, চিন্তাবিদ, মুসলিম যুবসমাজ এবং সে সব বিবেকবান মুসলিমদের প্রতি, যারা এ অঞ্চলের মুসলিমদের দুরবস্থার কারণে ব্যথিত এবং তাদের ভবিষ্যত নিয়ে খুবই চিন্তিত। বিশেষ করে সে সব রাসূলে আরাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রেমিকদের প্রতি- যাদের হৃদয় ঈমানের আলোয় আলোকিত ও ইসলামের ভালোবাসায় ভরপুর, যারা কুফর ও শিরকের ঘোর অন্ধকারকে না ভয় পান, না তার কারণে চলার গতি কমিয়ে দেন, যারা কুফর ও নাস্তিকতার মহাপ্লাবনের মোকাবেলা করতে এবং ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল কারসাজির স্রোতকে ইসলামের দিকেই ফিরিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর।



    প্রিয় ভাইয়েরা!


    ভারত বিভক্তির পর থেকে আজ পর্যন্তএ পুরা সময়ে উপমহাদেশের ভূমিতে ইসলাম ও মুসলমানদের উপর চালানো সকল নির্যাতনের উপর একটু দৃষ্টি বুলিয়ে নিন। আহমদাবাদ ও গুজরাটের দাঙ্গা, বাবরি মসজিদের শাহাদাত, সেখানে আজ রাম মন্দির নির্মাণের এই সরকারি ঘোষণা, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন তথা বিদেশী তাড়ানো অভিযান, এরপর বিশেষ নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন। এ সকল ঘটনা তো কিছু অগ্নিস্ফুলিঙ্গ মাত্র। প্রকৃতপক্ষে জুলুম নির্যাতনের এ তালিকা অনেক দীর্ঘ। আপনাদের চেয়ে এ ইতিহাস আর কারা ভালো জানবে?


    ভারতের গন্ডির ভিতরে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে শত্রুতা আর বিদ্বেষের তালিকাও আপনাদের সামনে আছে। যাদের হাতে ক্ষমতা আর কর্তৃত্ব ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের শত্রুতাও আপনারা দেখতে পাচ্ছেন...!



    প্রিয় ভাইয়েরা!


    এসব ঘটনা কি আমাদের জন্য কোন বার্তা দেয় না? ধোঁয়া কি জ্বলন্ত আগুনের অস্তিত্বের প্রমাণ বহন করে না? এসব ঘটনা আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে, ঐ পরিস্থিতি কোন এক সময় আসবেই, যা মূলত: এক ভয়াবহ বিপদ। তা এমন এক বিপদ, যদি উপস্থিত প্রস্তুতি নিয়ে তার সাথে টক্কর লাগাতে যাই, তবে জান নিয়ে ফিরে আসতে পারব না।


    ভারতের আমার প্রিয় ভাইয়েরা!


    বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা মানি আর না মানি, প্রস্তুতি নেই বা না নেই, এ বাস্তবতা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে, ভারতের ভূমিতে এক ভয়াবহ তুফান আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে। এমন নির্দয় ঝঞ্ঝা ধেয়ে আসছে, যার কল্পনা করলেও হৃদয়-আত্মা কেঁপে উঠে, শরীরের পশম দাঁড়িয়ে যায়। যদি এ ভয়াবহ তুফানের মোকাবেলার প্রস্তুতিতে বেশি দেরী হয়ে যায়, তবে আল্লাহ না করুন! ভারতের ভূমিতেও সেই হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটবে, যা কিছুদিন পূর্বে মিয়ানমারে আমাদের রোহিঙ্গা ভাইদের উপর নেমে এসেছিল। সেটা এমনই এক বিভৎস দৃশ্য, যার কল্পনা হলে যে কোন ঈমানদার মাত্রই চেতনা হারিয়ে ফেলার উপক্রম হয়


    প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা!


    আপনারাই বলুনএতে কি কারো সন্দেহ আছে যে, ভারতের জমিন আমাদের উপর সংকীর্ণ করতে এবং আমাদের রক্ত নদী প্রবাহিত করতে পুরা ভারত জুড়ে প্রস্তুতি চলছে? হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় এবং আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর সহযোগিতায় তা সারা ভারতে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং সরকারী সকল প্রতিষ্ঠানের উপর ঐ সন্ত্রাসী দলগুলোর কর্তৃত্ব চালু করা হচ্ছে...! যাদের শ্লোগান, দৃষ্টিভঙ্গি আর নীতিই হচ্ছে, হিন্দু হও নতুবা ভারত ছাড়ো’! এ শ্লোগানধারীরা মিয়ানমারের মুসলিমদের উপর চলা নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রকাশ্য সমর্থন দিচ্ছে এবং কোন প্রকার ভয়-ভীতি ছাড়া হিন্দু গুন্ডাদেরকে মিয়ানমারের সেই হত্যাকান্ডকে রোলমডেল হিসাবে গ্রহন করতে উৎসাহ দিচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দুএকটি রাজনৈতিক দল মুসলিমদের সমব্যথী হয়ে অসাম্প্রদায়িকতার গরম বক্তব্য দিচ্ছে বটে। কিন্তু কে না জানে, এ অসাম্প্রদায়িক ভাষণ আর মুসলিমদের প্রতি সমবেদনা শুধুমাত্র তাদের ক্ষমতায় আরোহণ করার একটি মাধ্যম? এরা প্রকৃতপক্ষেই আরাম পিয়াসী। তাই তো, যদি সকল মুসলিমদের উপর আল্লাহ না করুন!বিভীষিকাময় অবস্থা চলে আসে, তবে তারা ঘরের দরজা তো বন্ধ করবেই, সাথে কানেও আঙ্গুল দিয়ে বসে থাকবে। কিন্তু মুসলিমদের গগণবিদারী চিৎকারে তাদের একজনও ঘর থেকে বের হবে না। কোন মুসলিমের জান বাঁচাতে অন্ততপক্ষে একজন গুন্ডার ধারে কাছে যাওয়ারও তাদের সাহস হবে না। এজন্য এ নরপশু হিংস্র হায়েনা হিন্দুদের থেকে যদি বাঁচতেই হয়, তাহলে অন্য কেউ নয়, স্বয়ং মুসলিমদেরই উঠে দাঁড়াতে হবে


    আমার প্রিয় ভাইয়েরা!


    তুফানের মোকাবেলা তো তখনই হতে পারে, যখন চোখ কান খোলা রাখা হবে এবং বিপদের ভয়াবহতার বাস্তবতা মেনে নেওয়া হবে। কিন্তু বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে তুফানকে আসতে দেখেও যদি অস্বীকার করা হয়, তবে এমন পরিস্থিতিতে আত্মপ্রবঞ্চনাই সবচেয়ে বড় দুশমন হিসেবে দেখা দিবে। দুঃখের ব্যাপার হল, হিন্দুস্তানে মুসলিমদের পা মরণ ফাঁদে ফেঁসে যাওয়া দেখেও কিছু কিছু মহল তা অস্বীকার করে নিশ্চিন্ত মনে বসে আছে। তারা মুসলিমদের মনে এ ধারণা বদ্ধমূল করছে যে, দেশের এসব ঘটনা প্রবাহ আমাদেরকে যে দিকে নিয়ে যাবে; কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই আমাদেরকে সে দিকে চলে যাওয়া উচিত। এ মহলটি আবার আশংকাও প্রকাশ করে। অথচ এ ধরণের আশংকা প্রকাশ করার কী অধিকার আছে তাদের? সামনের বিপদ নিয়ে চিন্তা করলে বা কথা বললে, এটাকে তারা অদূরদর্শিতা বলে। তুফানের আগ মুহুর্তে তার পূর্বপ্রস্তুতিকে কাজের বাধা মনে করে। ছেলে ভোলানো কথা বলে তা উড়িয়ে দেয়। এরা বলে, শত সহস্র বছর ধরে আমরা হিন্দু মুসলিম এক সাথে বাস করে আসছি। এখানে মুসলমানদের কোন ভয় নেই... এসব বলে তারা এটা ভুলে থাকতে চায় আসল কথা হলো: যদিও আমরা এক সাথে বাস করে এসেছি, কিন্তু কখনো দুর্বল হয়ে থাকিনি। হিন্দুদের দয়া-দক্ষিণা পেয়ে, তাদের কোন ধরণের উদারতা বা নামসর্বস্ব অসাম্প্রদায়িকতার তাঁবুতেও থাকিনি। আমরা মূলত: এখানে বিজয়ী বেশে এসেছি, বিজয়ী থেকে ঈমানী শক্তি ও কর্তৃত্ব এবং বাহুবলের সাথেই থেকেছিআমাদের ঈমানি বোধ আর প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনই ছিল যে, যার কারণে আমরা নিজেরাও যেমন সম্মান মর্যাদার সাথে ছিলাম, তেমন অন্যদেরকেও ইনসাফ ও নিরাপত্তার মাঝে রেখেছিলাম। কিন্তু ইংরেজদের অবৈধ দখলদারী এবং ভারত বিভক্তি অবধি আমরা আর সেই অবস্থায় নেই। রাজা প্রজায় পরিণত হয়েছেশক্তিশালী দুর্বলে রুপান্তরিত হয়ে গেছে। বর্তমানে কি আমাদের এতটুকু শক্তিও আছে, যার মাধ্যমে আমরা কোন জালেমের হাতকে ফিরিয়ে রাখতে পারি? নিশ্চয় না। আমরা তো আজ এতটুকু শক্তি থেকেও বঞ্চিত। এতদসত্ত্বেও বলা হচ্ছে, আমরা সংখ্যালঘু নই, আমরা দ্বিতীয় সংখ্যাগুরু জাতি। আমাদের কোন অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না...!


    প্রিয় ভাইয়েরা!


    এই দুনিয়াতে শুধু অধিকার নিয়ে থাকা এবং অধিকার চেয়ে কি কোন ব্যক্তি অধিকার লাভ করতে পারে? এমন হলে কী অবস্থাটাই না হত। অতঃপর মিয়ানমার, পূর্বতুর্কিস্তান এবং ঝিনঝিয়া প্রদেশ থেকে নিয়ে ফিলিস্তিন ও সিরিয়া পর্যন্ত মুসলিমদের কখনো নিজের মাতৃভূমি ছাড়তে হত না। কাশ্মীরী মুসলিমদের কখনো এভাবে বের করে দেওয়া হত না এবং এমন নির্দয়ভাবে তাদের রক্ত ঝরানো হত না। আহমদাবাদ আর মুজাফফরনগর জুড়ে মুসলিম নিধন দাঙ্গা হত না। বাবরী মসজিদ আজও স্বগৌরবে দাঁড়িয়ে থাকত। তার মিনার থেকে সুমধুর আযানের ধ্বনি ভেসে আসত। ভারতবর্ষে অবশ্যই মুসলিমদের অধিকার আছে। কিন্তু সে অধিকার কি হাত পেতে ভিক্ষা চেয়ে পাওয়া যাবে? পাষাণ হৃদয়ের শত্রুকে কি তোষামোদ করে গলানো যাবে? হিংস্র হায়েনার সামনে কি দয়া-মায়ার আবেদন করে প্রাণ রক্ষা করা যাবে? অধিকার আদায়ের জন্য নিজের ভেতর অধিকার চেনার শক্তি সৃষ্টি করতে হবে। জুলুম ঠেকাতে বুক টান করে জালিমের সামনে দাঁড়াতে হবে। ঘরে বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে জীবন লাভ করা যাবে না। বরং মৃত্যুই জীবনের হেফাযত করতে পারে।



    আরও পড়ুন


    Last edited by tahsin muhammad; 1 week ago.

  • #2
    দুঃখের ব্যাপার হল, হিন্দুস্তানে মুসলিমদের পা মরণ ফাঁদে ফেঁসে যাওয়া দেখেও কিছু কিছু মহল তা অস্বীকার করে নিশ্চিন্ত মনে বসে আছে। তারা মুসলিমদের মনে এ ধারণা বদ্ধমূল করছে যে, দেশের এসব ঘটনা প্রবাহ আমাদেরকে যে দিকে নিয়ে যাবে; কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই আমাদেরকে সে দিকে চলে যাওয়া উচিত।
    আল্লাহ্‌ আমাদের এসকল আত্মপ্রবঞ্চকদের থেকে নাজাত দিন,
    আমাদের বাস্তব অবস্থা বুঝার তৌফিক দিন,
    আগ্রাসনের মোকাবেলায় জেগে উঠার তৌফিক দিন,
    যথাযথ প্রস্তুতি নেয়ার তৌফিক দিন।

    Comment


    • #3
      হে আমাদের রব! আমাদের ঈমানকে জাগ্রত করে দিন। আমাদেরকে যথাযথ প্রস্তুতি নেয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।।।

      Comment


      • #4
        আজ ভারতের মত বাংলাদেশেও হিন্দুরা নিরপরাধ মুসলিমদের শুধু সন্দেহের বশে পিটিয়ে মেরে ফেলে। সুতরাং এই পয়গাম একইভাবে আমাদের জন্যেও। আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের হিন্দুত্ববাদিদের বিরুদ্ধে এবং তাদের অনুচর গুপ্তচরদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর তাওফিক দান করুন, আমীন

        Comment

        Working...
        X