পঞ্চম পরিচ্ছেদ
দাগিস্তান: উপায় শেষ হওয়ার পর সাহায্য
দাগিস্তান: উপায় শেষ হওয়ার পর সাহায্য
১- ভূমিকা
২- প্রথম বিষয়: ককেশাসের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু ভাবনা।
৩- দ্বিতীয় বিষয়: কারাগারের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু ভাবনা।
ভূমিকা
أَمَّن يُجِيبُ الْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُّوءَ وَيَجْعَلُكُمْ خُلَفَاء الْأَرْضِ أَإِلَهٌ مَّعَ اللَّهِ قَلِيلًا مَّا تَذَكَّرُونَ
“তবে কে তিনি, যিনি কোন আর্ত ডাকলে তার ডাকে সাড়া দেন, তার কষ্ট দূর করে দেন এবং তোমাদেরকে পৃথিবীর খলিফা বানান? (তবুও কি তোমরা বলবে) আল্লাহর সঙ্গে অন্য প্রভু আছে? না, বরং তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর।”
১৯৯৬ সালের বসন্তের শুরু থেকেই সকল আরব মুজাহিদগণের বিরুদ্ধে উচ্ছেদের নতুন ঢেউ শুরু হল, যা পরিচালনা করছিল আমেরিকা আর কার্যকর করছিল তার আজ্ঞাবহ সরকারগুলো। প্রথমত: শায়খ উসামা বিন লাদেনের কথা, তিনি এক আশঙ্কাপূর্ণ সফরের মাধ্যমে আফগানিস্তানে হিজরত করতে বাধ্য হন। আর আমরা প্রকাশ্যে দেশে ফেরার চেষ্টা করার পথ বেছে নিলাম। হয়ত আল্লাহ আমাদেরকে আত্মগোপন ও স্থানত্যাগের যে অভিজ্ঞতা দান করেছেন তা কাজে লাগিয়ে কাজ পরিচালনার জন্য কোন উপযুক্ত স্থান আবিস্কার করার সুযোগ পেয়ে যাব।
এভাবে এক দেশ থেকে আরেক দেশে প্রস্থানের সফর শুরু হল।
১৯৯৬ সালের হেমন্ত শুরু হওয়ার সাথে সাথেই আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এ সফরের উপকারগুলোর চেয়ে ক্ষতিটাই বেশি। আমরা মুজাহিদগণের কোন স্থির ঘাটিতে স্থানান্তরিত হওয়া পর্যন্ত জিহাদি আন্দোলনের কোন উপকারই সাধন করতে পারব না। এমন কোন স্থির ঘাটিতে স্থানান্তরিত হওয়া আবশ্যক, যেখানে থেকে আমরা স্বাধীনভাবে ও নিরাপত্তার সাথে কাজ করতে পারব এবং আমাদের ভাইদের থেকে উপকৃত হতে ও তাদেরকে উপকৃত করতে পারব।
আমাদের সামনে আফগানিস্তান ও চেচনিয়া ব্যতিত কোন পথ ছিল না। প্রথমত: আফগানিস্তানের কথা, সেখানে কী হচ্ছে, তার ব্যাপারে আমাদের জানাশোনা কম। এছাড়া সেখানে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে আমরা অস্থিরতার মধ্যে ছিলাম। আমাদের আশঙ্কা ছিল, সেখানে গেলে আমরা ওই যুদ্ধে জড়িত হয়ে যাই কি না বা আমেরিকান বা পাকিস্তানিদের সাথে জড়িত পক্ষ আমাদের উপর আক্রমণ করে কি না। বিশেষত: বুরহানুদ্দিন রাব্বানী তার মিশর সফরে তাদের কথিত সন্ত্রাসীদেরকে সুপর্দ করার ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অথচ তার নিজেরই এমন লোকের প্রয়োজন ছিল, যারা তাকে রক্ষা করবে। কিন্তু নতুন বিশ্ব-মনিবের সুবিধা ও সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য খেদমত পেশ করার প্রতিযোগীতাই তার কাছে মুখ্য ছিল।
তাই আমরা চেচনিয়া সফরের জন্য কোমড় বেঁধে নামলাম। পথটি দাগিস্তানের উপর দিয়ে ছিল। আমরা পালিয়ে সেখানে প্রবেশ করলাম। কিন্তু পথে দাগিস্তানের দারবান্দ শহরে আমাদেরকে গ্রেফতার করা হল। কারণ আমাদের সাথে রাশিয়ায় প্রবেশের ভিসা ছিল না, দাগিস্তান যার অংশ হিসাবে পরিগণিত। পুলিশ আমাদেরকে গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে আমাদেরকে সীমান্ত প্রহরী বাহিনীর হাতে সুপর্দ করা হয়। এভাবে আমরা কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নিজেদেরকে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত দাগিস্তান সীমান্তরক্ষী বাহিনী কমান্ডারদের নেতৃত্বাধীন সামরিক কারাগারে আবিস্কার করি।
অতঃপর রাশিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত একটি দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশের জন্য আমাদের নিয়ে তদন্ত শুরু হল। তারা আমাদের সাথে এমন কিছুই পেল না, যা দ্বারা মুজাহিদগণের সাথে সম্পর্ক রাখার সন্দেহ করতে পারে। আমাদের সামনে দু’টি জটিলতা ছিল। প্রথমটি হল আইনী অপরাধ। তথা ভিসা ছাড়া দেশে প্রবেশ করা। আর দ্বিতীয়টি তার চেয়ে বিপদজনক, তথা আমাদের মূল অবস্থা ফাঁস হয়ে যাওয়া এবং তারপর যে ফলাফল হতে পারে।
আমরা সহজ ক্ষতিটি বরণ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমরা এমন ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্বের ভান করলাম, যাদেরকে কিছু লোক ধোঁকা দিয়ে কিছু অর্থের বিনিময়ে ভিসা ছাড়া এ দেশে প্রবেশ করিয়েছে। আর আমাদের একটি ব্যবসায়ী কোম্পানি আছে। আমরা দাগিস্তানে ব্যবসায়িক সুযোগ খোঁজার জন্য এসেছিলাম। কার্যতই আমরা তদন্তকারীদেরকে আমাদের সফরের বিস্তারিত বর্ণনা কিছু পরিবর্তন করে বর্ণনা করলাম। সেখানে আমরা আমাদের পথের কিছু বাস্তব তথ্যও উল্লেখ করলাম। ফলে তদন্তকারীরা ঘটনা বিশ্বাস করে নিল এবং আমাদের ব্যাপারে একটি অপরাধমূলক মামলা লিপিবদ্ধ করল। তারপর বিষয়টা আরো উপরে নিয়ে গিয়ে তারা আমাদেরকে রাজধানী মাখছালার কেন্দ্রীয় কারাগারে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিল। পুলিশ আমাদেরকে আইনী তদন্ত শুরু করল। তাতে আমরা একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি করলাম। অতঃপর গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় আমাদেরকে রাজধানীতে ডেকে পাঠাল এবং আমাদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা তদন্ত করল। আমরা একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি করলাম। ফলে তদন্তকারীরা আমাদের ব্যাপারটি সাধারণ বলে বিশ্বাস করে নিল এবং বুঝে নিল যে, এটা ভিসা ছাড়া দেশে প্রবেশ করার মামলার চেয়ে বেশি কিছু হবে না। আমাদের কাগজপত্র বিচার বিভাগের কাছে হস্তান্তর করল। বিচার বিভাগ আমাদের ব্যাপারে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিল, যার সাড়ে চার মাস আমরা ইতিপূর্বেই কাটিয়ে ফেলেছিলাম।
এ সময়গুলোতে আমাদের উপর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে হেফাজত ও অনুগ্রহের অনেক নিদর্শনাবলী ঘটল, যার শুকরিয়া আদায় করতে আমরা অক্ষম।
إِنَّ رَبِّي لَطِيفٌ لِّمَا يَشَاء إِنَّهُ هُوَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ
“নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ করেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।”
দাগিস্তানের জেলখানায় কাটানো এ ছয় মাস সময়ে এমন অনেক কিছু ঘটেছে, যা আমার চিন্তা-ভাবনাকে প্রভাবিত করেছে। এমনকি জনৈক ভাই আমাকে এ ঘটনাগুলো এত বেশি স্মরণ করার ব্যাপারে প্রশ্ন করেন। আমি তাকে উত্তর দেই, এতে অনেক অনেক শিক্ষা আছে।
এ সময়ের চিন্তা-ভাবনাগুলোর সামান্য অংশ তুলে ধরার ব্যাপারে পাঠক যদি আমাকে সুযোগ দেন, তাহলে ককেশাশ ও দাগিস্তানের কারাগারের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করার নিয়ত করছি। কারণ মুসলিম ককেশাশের ঐতিহাসিক, জিহাদি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া ব্যতিত আমার দাগিস্তান কারাগারের অভিজ্ঞতার চিত্রায়ন পূর্ণ হবে না।
প্রথম বিষয়:
মুসলিম ককেশাশের বিভিন্ন অবস্থা নিয়ে ভাবনা
প্রথম ভাগ: মুসলিম ককেশাশের সর্বপ্রথম ব্যক্তির সাথে আমার সম্পর্ক।মুসলিম ককেশাশের বিভিন্ন অবস্থা নিয়ে ভাবনা
দ্বিতীয় ভাগ: রাশিয়া ও মুসলিম ককেশাশের মাঝে লড়াইয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
তৃতীয় ভাগ: ডিসেম্বর ১৯৯৪ ইং থেকে আগষ্ট ১৯৯৬ ইং এ সংঘটিত প্রথম যুদ্ধ যে সামরিক তাৎপর্যসমূহ প্রকাশ করেছে।
চতুর্থ ভাগ: রাশিয়া ও মুসলিম ককেশাশের মধ্যকার লড়াই যে রাজনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো প্রকাশ করেছে।
প্রথম ভাগ:
মুসলিম ককেশাশের সর্বপ্রথম ব্যক্তির সাথে আমার সম্পর্ক
মুসলিম ককেশাশের সর্বপ্রথম ব্যক্তির সাথে আমার সম্পর্ক
আমার মুসিলম চেচনিয়ার প্রথম ব্যক্তি হিসাবে এমন এক সম্মানিত ব্যক্তির সান্বিধ্য লাভ হয়েছিল, যাকে আমার পরিবার বুকাইর বেক নামে চিনত। আমি আমার জনৈক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে তার সাথে পরিচিত হই। তারপর তিনি আমার পিতার বন্ধু হয়ে যান। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে-যেমন রমযানের ইফতারে তাকে দাওয়াত দিতেন। বুকাইর বেক মুসলিম ককেশাশের লোক ছিলেন। তবে আমি সুনির্দিষ্টভাবে জানি না, ককেশাশের কোন অঞ্চলের। কারণ সেসময় আমার মুসলিম ককেশাশ নিয়ে বিস্তারিত চিন্তা-ভাবনা ছিল না। বুকাইর বেক সেসকল মুজাহিদগণের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন, যারা ককেশাশে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। তারপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুরস্কে পালিয়ে যান। তিনি আমাদের নিকট সে সময়ের আঘাতের কথা বর্ণনা করতেন, যখন দেখেছিলেন খৃষ্টীয় শক্তিগুলো দারুল খেলাফতকে দখল করে নিচ্ছে। তারপর মিশরে হিজরত করেন এবং এটাকেই নিজ দেশ হিসাবে গ্রহণ করেন। তিনি একাধিক কাজ করেছেন। তার সর্বশেষ কাজ ছিল রৌপ্যদ্রব্যের ব্যবসায়। বুকাইর বেক একজন গম্ভীর ও প্রভাবশালী লোক ছিলেন। তার চুল সাদা হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ মোটা গোফ বিশিষ্ট আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, দীর্ঘ দেহের অধিকারী ও শক্তিশালী গঠন সম্পন্ন ছিলেন। অনর্গল আরবিতে কথা বলতেন। কিন্তু এমন একটি উচ্চারণে, যা মিশরে নাগরিকত্ব গ্রহণকারী তুর্কিদের উচ্চারণের সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। তিনি সত্তুর-আশি বছরের মাঝামাঝি বয়সে পৌঁছে যাওয়া সত্ত্বেও নিজের প্রবল শক্তির মাধ্যমে আমাদেরকে চ্যালেঞ্জ করতেন, অথচ আমরা যুবক ছিলাম।
তিনি মাঝে মাঝে তার ককেশাশি বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত বেশ-ভূষায় আমার আত্মীয়দের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসতেন। তিনি মুসলিম ককেশাশের দুর্ভোগ এবং অহংকারী রাশিয়া, অতঃপর কমিউনিষ্টদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের জিহাদের ব্যাপারে কথা বলতে বলতে বিরক্ত হতেন না। অনেক সময় আমাদেরকে ককেশাশের মুসলিমদের নির্যাতন সম্বন্ধে কিছু ছ্টো ছোট বই দিতেন। অনেক সময় তার শক্তিশালী কণ্ঠে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে প্রশংসামূলক সঙ্গীত আবৃত্তি করতেন। তারপর তার ককেশাশি অনন্য বৈশিষ্ট্যের সাথে দাঁড়িয়ে যেতেন, খঞ্জর কোষমুক্ত করতেন এবং লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলতে বলতে শক্তিশালী নৃত্যে মেতে উঠতেন।
তিনি যিল উকুদ বাজারের উপরস্থ আতাবা স্কয়ারের ছোট্ট একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। যেটা বাওয়াকিল আতাবা নামে পরিচিত ছিল। আমার মনে পড়ে, একবার আমি ওই ফ্ল্যাটে তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি মাঠের দিকের একটি জানালার দিকে ইঙ্গিত করে বললেন:
অচিরেই এমন একদিন আসবে, যখন ইসলাম বিজয়ী হবে। আর আমি এই জানালায় একটি মেশিনগান স্থাপন করে কাফেরদের দিকে ফায়ার করব। আর উচ্চস্বরে বলতে থাকব: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
আমার পরিবার বুকাইর বেকের সাথে পরিচিত হওয়ার কারণ হল, আমরুসী বেকের পরিবারের সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল। আর আমরুসী বেক একজন মর্যাদাবান লোক ছিলেন। সৌদি আরবে মিশরীয় দূতাবাসে চাকুরি করতেন। আর ওই সময়ই আমার নানা আল্লামা আব্দুল ওয়াহ্হাব আয্যাম সেখানে মিশরের দূত ছিলেন। মদিনায় আমরুসী বেক ইমাম শামিল রহ. এর জনৈকা নাতনীকে বিবাহ করেন। যাকে যুবাইদা হানম বলে ডাকা হত। একারণে যুবাইদা হানম আমার নানি ও খালাদের বান্ধবী হয়ে যান। যুবাইদা হানম একজন মর্যাদাবান নারী এবং নিজ পূর্বপুরুষদের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে গর্বিত ছিলেন। তাদের সম্পর্কে অনেক কথা বলতেন।
আমরুসি বেক ও যুবাইদা হানমের মাধ্যমেই আমার পরিবার বুকাইর বেকের পরিচয় লাভ করেছে। যিনি নিজ গাম্ভীর্য ও মর্যাদার উপর ছিলেন। যুবাইদা হানমের একজন অনুগত অনুসারীর মত চলতেন।
বুকাইর বেক তার জীবনের শেষ দিকে তুরস্কে হিজরত করেন। ফলে দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর তার পরিবার আবার একত্রিত হয়। অতঃপর বুকাইর রহ. সেভিয়েত ইউনিয়নের পতন ও চেচনিয়ার স্বাধীনতার পূর্বেই পরপাড়ে পাড়ি জমান।
আমি আমার দাগিস্তানের কারা জীবনে অনেক বেশি বুকাইর বেকের কথা স্মরণ করতাম এবং ভাবতাম, তার অবশ্যই ককেশাশে এসে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চেচনিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা আবশ্যক ছিল। তাই আল্লাহ এ মহান মুজাহিদ ও মুহাজিরের উপর এবং সমস্ত মুসলিমদের উপর রহম করুন!
আমার মনে হচ্ছে, গোটা মুসলিম ককেশাশের সাথে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং বিশেষ করে চেচনিয়ার সাথে তাদের যুদ্ধের ঐতিহাসিক, সামরিক, রাজনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক প্রেক্ষাপটগুলো এবং বিশেষ করে আমি কারাগারে প্রবেশের কিছুকাল পূর্বের অবস্থাগুলো সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করা ব্যতিত আমি আমার দাগিস্তানের কারাজীবনের অভিজ্ঞতার চিত্র পুরোপুরি স্পষ্ট করতে সমর্থ হব না। তাই দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ভাগ হিসাবে এটাই আলোচনা করার প্রয়াস পাব।
Comment