“দাওয়াতে খিলাফত ও মানহাজে রাসূল ﷺ” ।।
মাওলানা আসেম উমর হাফিযাহুল্লাহ||
এর থেকে–৪র্থ পর্ব
===================
মাওলানা আসেম উমর হাফিযাহুল্লাহ||
এর থেকে–৪র্থ পর্ব
===================
তিন. সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়া বিপজ্জনক
যে কোন আন্দোলন যখন আমভাবে দাওয়াতের সূচনা করে তখন তার দাঈদের মাঝে আবেগ ও উদ্যম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যেহেতু দাঈ এবং কর্মীগণ সত্যকে বর্ণনা করতে কারো তিরস্কারের পরওয়া করবে না। কিন্তু দায়িত্বশীলদের জন্য জরুরি হলো, তারা এই জজবা-আবেগের মূল্যায়ন করার পাশাপাশি নিজস্ব দাঈ ও কর্মীদের এই কথা বুঝাবে, সত্য কথা সর্বদা সর্ব জায়গায় বলা যায় না। বরং অনেক সময় চুপ থাকাই আন্দোলনের জন্য উপকারী। আপনার দাওয়াতের বিরোধীরা আপনাকে এমন প্রশ্নের বাণে জড়াতে চায় যাতে মুখ খোলা অথবা সুস্পষ্ট জবাব দেয়া উভয়টিই আপনার আন্দোলনের জন্য অনাকাক্ষিত ক্ষতির কারণ হতে পারে। কুরআন ও সুন্নাহ আমাদের এটাই শিক্ষা দেয় যে এমন স্থানে বুদ্ধিমত্তার সাথে কেটে পড়বে।
ইবনে আবি শায়বা রাহিমাহুল্লাহ বর্ণনা করেন, উৎবা বিন রাবীয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন যে, তুমি উত্তম না কি আব্দুল মুত্তালিব? যদি তুমি মনে করে যে সে তোমার থেকে উত্তম তাহলে সেও তো সেই দেবতাদের পূজা করতো তুমি যার নিন্দা করো আর যদি তোমার খেয়াল এই হয় যে তুমি তার থেকে উত্তম তাহলেও বলল আমরা শুনি। হাদীসে এসেছে যে,
فسكت رسول الله صلي الله عليه وسلم
অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চুপ ছিলেন। কারণ এটা এক বিপদজনক প্রশ্ন ছিলো যা আরবের এক অভিজ্ঞ ও বিদগ্ধ বৃদ্ধ খুব বুঝে শুনে করেছেন। এমন মুহূর্ত যে কোন দাঈর জন্য বিশেষত দাওয়াতের সূচনা লগ্নে খুবই বিপদজনক হয়ে থাকে। সামান্য দ্রুততা ও জজবা এবং শরীয়তের মেজাজ ও প্রকৃতির অজ্ঞতা তার দাওয়াতকে সূচনালগ্নেই বাধাগ্রস্ত করতে পারে। একটু ভাবুন তো, যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাব দিয়ে দিতেন এবং বলে দিতেন আমি আব্দুল মুত্তালিবের চেয়ে উত্তম; তাহলে এই সূচনালগ্নেই নবীজীর বংশের সেই সকল লোকই নবীজীর বিরুদ্ধে চলে যেতেন যারা তখন পর্যন্ত তার পক্ষে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং যাদের কারণে কাফেররা নবীজীকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও সহ্য করে যাচ্ছিল। আব্দুল মুত্তালিব কুরাইশের একজন বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন। সুতরাং যদি সামান্য একজন যুবক এমন প্রসিদ্ধ ব্যক্তিকেই ভুল আখ্যা তখনই দিয়ে দিতেন; প্রাথমিক অবস্থায় নবীজীর এতটুকু পৃষ্ঠপোষকতাও মিলতো না যতটুকু ঐ সময় নিজ বংশের নিকট মিলেছিল। কিন্তু তিনি তো আল্লাহ তা’আলার রাসূল ছিলেন তাই তিনি কোন উত্তর দেননি চুপ ছিলেন। অতঃপর উৎবা সামনে কথা শুরু করল। এমন প্রশ্ন ফিরাউন হযরত মুসা (আ.) কে করেছিলেন যখন হযরত মুসা (আ.) ফিরাউনের দরবারে দাঁড়িয়ে তাকে এবং তার রাজসভাসদকে দাওয়াত দিলেন তখন ফিরাউন জিজ্ঞেস করল-
قَالَ فَمَا بَالُ الْقُرُونِ الْأُولَى
অর্থাৎ ফিরাউন বলল, হে মুসা! তুমি যে দাওয়াত দিচ্ছ, আমাদের রব আল্লাহ এবং তাকে ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত যে করবে সে গোমরাহ এবং জাহান্নামে যাবে; তাহলে পূর্বের লোকদের যারা আমাদের এই ধর্মের ওপর ছিল তাদের কী হবে? তারা কি জাহান্নামে যাবে? [সূরা ত্ব-হা: ৫১]
হযরত মুসা (আ.) উত্তরে বললেন,
قَالَ عِلْمُهَا عِندَ رَبِّي فِي كِتَابٍ لَّا يَضِلُّ رَبِّي وَلَا يَنسَى
অর্থাৎ এই কথার ইলম আমার প্রতিপালকের নিকট কিতাবে সংরক্ষিত আছে। আমার প্রভু কারো ব্যাপারে ভুল করেন না। [সূরা ত্ব-হা: ৫২]
যদিও হযরত মুসা (আ.)- এর মতো নির্ভীক নবীর জন্য এই প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাব দেয়া কোন কঠিন ছিল না; কিন্তু যেহেতু সুস্পষ্ট জবাব দিলে দাওয়াতের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিলো এবং লোকদের শুরুতেই তার দাওয়াতের প্রতি ঘৃণা চলে আসতো তাই তিনি অস্পষ্ট জবাব দিয়েছেন এবং পুনরায় তার নিজ দাওয়াত দেয়া আরম্ভ করলেন, আমার প্রভু তিনি যিনি জমিনকে তোমাদের জন্য বিছানা বানিয়েছেন।
যেহেতু হযরত মুসা (আ.) এখনো তার দাওয়াতের সূচনালগ্নে ছিলেন এবং দাওয়াতকে পুরা খোলাখুলি বর্ণনা করতে পারেন নি, লোকেরাও তার দাওয়াতকে এখনো পুরোপুরি গ্রহণ করে নি বরং এখনো ঠিকমতো শুনেও নাই, এজন্য যদি তিনি এই অবস্থায়ই তাদের বাপ-দাদাদেরকে মুরতাদ ও কাফির ঘোষণা দিয়ে দিতেন তাহলে এই বাক্য শুধু হাওয়ায় উড়ন্ত কথাই হতো না বরং অত্যন্ত ভারি ও অসহ্যকর এক বাক্য হতো। তবে যখন দাওয়াত ব্যাপক হয়ে যাবে এবং মানুষ দাওয়াত গ্রহণ করে নেবে তখন তাদেরকে তাদের বাপ-দাদাদের হুকুম বয়ান করার প্রয়োজন হবে না বরং কুফরের প্রতি ঘৃণা তাদের হৃদয়ে এমন বদ্ধমূল হয়ে যাবে, যে কোন অবস্থাতেই তারা কুফরকে সহ্য করতে প্রস্তুত হবে, চাই সেটা তাদের বাপ – দাদাদের মধ্যেই হোক না কেন?
দাঈর তরবিয়ত এমন হওয়া চাই যেনো তার জানা থাকে যে কোথায় মুখ খুলবে এবং কোথায় মুখ একেবারে বন্ধ থাকবে। কোন কথার জবাব দিবে আর কোন কথায় প্রকৃত উত্তর না দিয়ে কোন রকমে গা-বাঁচিয়ে আসতে হবে। বিরোধী শক্তি কিভাবে ফাসাতে চেষ্টা করে এবং তার থেকে বের হয়ে আসার পথ কী হবে?
আমাদের মুরুব্বীরা সর্বযুগে দাওয়াতের এই সূক্ষ্ম বিষয়গুলো খেয়াল রাখতেন। যেমন কেউ যদি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) কে সাহাবাদের মতবিরোধ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেন তাহলে তিনি বলতেন-
تلك أمة قد خلت
যে তারা এক জাতি ছিল যারা অতীত হয়ে গেছেন, তাদের আমল তাদের জন্য এবং তোমাদের আমল তোমাদের জন্য।
এমনই হযরত ইমাম মালেক (রহ.)- কে কেউ আল্লাহ তা’আলার গুণাবলী সম্পর্কে অধিক প্রশ্ন করলে বলতেন, এগুলোর ওপর ঈমান আনা ওয়াজিব এবং এ সম্পর্কে অধিক প্রশ্ন করা বিদ’আত।
উপরোক্ত সকল আলোচনা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয়, দাঈকে তার দাওয়াতের বেলায় এমন সকল বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে, যে বিষয়গুলো তার দাওয়াতের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। যে কথা ও যে বিষয়ের দাওয়াত দিবে সেই বিষয়ের ওপর কোনরকম দুর্বলতা দেখানো উচিৎ নয়। তবে শব্দ চয়ন ও বর্ণনাভঙ্গি স্থান, কাল, পাত্র ভেদে নির্বাচন করা চাই। যেমন ফিরাউনের মতো জালিমকে দাওয়াত দেয়ার জন্য যখন আল্লাহ তা’আলা হযরত মুসা (আ.) কে পাঠালেন তখন বললেন-
قَالَ لَقَدْ كُنتُمْ أَنتُمْ وَآبَاؤُكُمْ فِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
অর্থাৎ নিঃসন্দেহে তুমি এবং তোমার বাপ-দাদাগণ সুস্পষ্ট গোমরাহিতে আছো। [সূরা আম্বিয়া-৫৪] কিন্তু এমন জবাবও অবস্থার পরিপেক্ষিতে দেয়া হয়েছে। যখন পন্থা অবলম্বন করা ও নির্ভয় কথা বলা বুদ্ধিমত্তার চাহিদা ছিলো।
চার.অবস্থার প্রেক্ষিতে আলোচনা করা
মক্কার কাফিররা যখন মুসলমানদের ওপর নির্যাতন- নিপীড়ন আরম্ভ করল তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর নির্দেশে সাহাবায়ে কিরামের একটি দল হাবশা (ইথিউপিয়া) হিজরত করে চলে গেলেন। হাবশার বাদশা একজন ন্যায়পরায়ন খ্রিস্টান ছিলেন, যাকে নাজ্জাশী বলা হতো। যখন মক্কার কাফিররা এই ঘটনা জানতে পারল তখন তারা তাদের একটি প্রতিনিধি দল পাঠাল যেন তারা নাজ্জাশীর সাথে কথা বলে তাদের বিদ্রোহীদেরকে (মুসলমানদের) হাবশা থেকে বের করে দিতে বাধ্য হয়।
তাই উক্ত প্রতিনিধি দল হাবশা পৌছে নাজ্জাশীকে বলল যে, আমাদের কিছু বিদ্রোহী যারা নতুন এক ধর্ম আবিষ্কার করেছে এবং ভাইকে ভাইয়ের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে, তারা আপনার দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। আপনি তাদেরকে আমাদের নিকট সোপর্দ করে দিন অথবা তাদেরকে আপনার দেশ থেকে বের করে দিন। এ কথা শুনে নাজ্জাশী মুসলমানদেরকে তাঁর দরবারে ডেকে পাঠালেন। মুসলমানরা পুরো ব্যাপারটি জানতে পেরে সকলে খুব চিন্তিত হয়ে পড়লেন যে, যদি আমাদেরকে মক্কার কাফিরদের নিকট সোপর্দ করে দেয়া হয় তাহলে তো আমাদের ওপর পূর্বের চেয়েও আরো বেশি নির্যাতন – নিপীড়ন করবে। হযরত জাফর ইবনে আবী তালেব (রা.) ও এই মুহাজের কাফিলায় ছিলেন। তিনি বললেন, পেরেশান হয়ো না, আমি যা বলি তার ওপর আমল করো। নাজ্জাশী যদি কোন প্রশ্ন করে তাহলে কেউ জবাব দিবে না শুধু আমি জবাব দিব। মুসলমানরা যখন নাজ্জাশীর দরবারে পৌছল তখন নাজ্জাশী মক্কার কাফিরদের কথা পুনরাবৃত্তি করলেন যে, এই প্রতিনিধি দল কুরাইশ সর্দারদের পক্ষ থেকে এসেছে এবং তোমাদের সম্পর্কে এমন এমন বলছে। হযরত জাফর ইবনে আবী তালেব (রা.) তখন দাঁড়িয়ে আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করার পরে বললেন, হে বাদশা! আমরা মূর্খ ও অসভ্য ছিলাম, আমাদের মাঝে না আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিলো না অন্য কোন সম্পর্কের মূল্য, শিরিক ও মূর্তিপূজায় এবং অজ্ঞতায় লিপ্ত ছিলাম। তারপরে আল্লাহ তা’আলা আমাদের ওপর অনুগ্রহ করেছেন। আমাদের হিদায়েতের জন্য আমাদের মধ্য হতেই এমন এক ব্যক্তিকে তার রাসূল বানিয়ে পাঠিয়েছেন যার বংশ ও বংশীয় মর্যাদার সাক্ষ্য গোটা আরববাসী দেবে। এই যুবক কখনো মিথ্যা বলেন না। তিনি এসে আমাদেরকে শিখিয়েছেন আল্লাহ কে এবং দ্বীন কী?
এই বক্তব্যের পরে নাজ্জাশী জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের নবীকে যেই কুরআন দিয়ে পাঠানো হয়েছে তা থেকে আমাকে শুনাও তো দেখি। হযরত জাফর (রা.) যে আয়াত তখন তিলাওয়াত করলেন তা উপস্থিত সভাসদদের মেজাজ অনুযায়ী ছিলো। এবং তাদের ওপর প্রতিক্রিয়াশীল ছিলো, কেননা তারা ছিলো খ্রিস্টান, এজন্য হযরত জাফর (রা.) সূরা মরিয়মের শুরুর দিকের আয়াতগুলোই তিলাওয়াত করেছেন। যা শুনে নাজ্জাশীর চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে ছিলো এবং মুসলমানদেরকে কাফিরদের সোপর্দ করতে অস্বীকার করলেন।
মক্কার কাফিররা যখন দেখলো তখন তারা কৌশলে কাজ আদায় করার জন্যে অন্য পথে নাজ্জাশীর কান ভারি করে বলতে লাগলেন যে এই মুসলমানগণ নিজেদের ব্যতীত অন্য সবাইকে ভ্রান্ত মনে করে। আপনি তাদেরকে আপনার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করুন; দ্বিতীয় দিন নাজ্জাশী পুনরায় মুসলমানদেরকে ডেকে পাঠালেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা হযরত মাসিহ (আ.) সম্পর্কে কী বলে?
মুসলমানদের জন্য এই পরিস্থিতিটা অনেক কঠিন ছিলো; সত্যকে গোপন করা যাচ্ছে না আবার প্রকাশও করা যচ্ছিল না। এমন পদ্ধতিতে বয়ানও করতে পারছিলেন না যাতে মুসলমানদের জন্য সেখানে থাকা কঠিন হয়ে যায়। তাই হযরত জাফর ইবনে আবী তালেব (রা.) বললেন যে, আমরা তাঁর সম্পর্কে ঐ কথাই বলি যা আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। আর তা হলো তিনি আল্লাহ তা’আলার বান্দা এবং তার রাসূল। তার আত্মা যা তিনি পুতপবিত্রা কুমারী মরিয়মের ওপর অবতীর্ণ করেছেন।
এটা শুনে নাজ্জাশী নিজের হাত জমিনের উপর মারলেন এবং একটু ধুলিকণা উঠালেন এবং বললেন যে, খোদার কসম! যা কিছু তুমি বললে হযরত ঈসা (আ.) এই ধুলিকণার পরিমাণও বাড়িয়ে বলেননি। তারপরে নাজ্জাশী কুরাইশদের প্রতিনিধি দলকে সুস্পষ্ট বলে দিলেন, আমি এই লোকদেরকে কখনোই তোমাদের সোপর্দ করবো না।
ফায়দা.
নাজ্জাশীর প্রশ্নের উত্তরে হযরত জাফর (রা.) এমন জবাব দিলেন যা কুরআনে ছিলো কিন্তু ইঞ্জিলেও তা উল্লেখ ছিল। জাফর (রা.) এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে না সত্যকে লুকিয়েছেন না এমন উত্তেজনামূলক জবাব দিয়েছেন যা শুনে নাজ্জাশী এবং হাবশাবাসী মুসলমানদের বিরোধী হয়ে যায় এবং মুসলমানদেরকে মক্কার কাফিরদের নিকট সোপর্দ করে দেয়। এমনকি এই ঘটনা থেকে আমরা এটাও জানতে পারি যে, এমন পরিস্থিতিতে এমন কোন বক্তাকে নির্বাচন করবে যে চমৎকারভাবে সম্মিলিত অবস্থানকে তুলে ধরতে পারেন এবং পরিবেশ ও পরিস্থিতির ভয়াবহতা সামলে রেখে কথা বলতে পারেন।