"আমরা স্টুডেন্টরা পড়ালেখা করার সময় পড়ে থাকি দূর্ঘটনা হলে তার প্রতিকার করার চেয়ে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি।
যেমনটা আমরা সকলেই জানি রোগ হলে প্রতিকার হিসেবে ঔষধ খেতে হয়।কিন্তু আমরা প্রত্যেকেই প্রতিরোধ গড়ে তুলি এবং নিয়মমাফিক জীবনযাপন করি যাতে রোগ না হয়।
সুতরাং যুদ্ধক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
শত্রুরা আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং আমাদের নাকের ডগা দিয়ে রসদ সরবরাহ করতেছে।এই অবস্থায় প্রতিটা জেনারেলরাই যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা হলো শত্রুকে তার রসদ সরবরাহে বাধা দান করা এবং তার প্রস্তুতির সময়ই তাকে আঘাত করা।কেননা যদি শত্রু পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে ফেলে তাহলে শত্রু অনুকূল পরিস্থিতিতে আমাদের আক্রমণ করবে এবং আমাদের প্রতিকার তখন কোনো কাজই দেবে না।এইজন্য যখন আমরা সুবিধাজনক পর্যায়ে অবস্থান করবো তখনই শত্রুকে আঘাত করে তাকে নাজেহাল করে দেওয়া উচিত।
কিন্তু না!আক্রমণাত্মক যুদ্ধ তো ইসলামে নাই!আমাদের বসে থাকতে হবে কখন তারা পরিপূর্ণ প্রস্তুত হয়ে আমাদের আক্রমণ করবে!
আসলেই কি তাই?
ইসলামে কি আক্রমণাত্মক যুদ্ধ হারাম?
এই প্রশ্নের উত্তর আমরা গাজওয়ায়ে বদর থেকেই খুজে দেখি।
" আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে কুরাইশ বাণিজ্যিক কাফেলা মদিনার নিকট দিয়ে মক্কায় যাবে।এটা শুনেই রাসুলুল্লাহ সাঃ তাদের উপর আক্রমণ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিলেন।
কেন কেন?এটা তো আক্রমণাত্মক। সেটা তো ছিল বাণিজ্যিক কাফেলা।
কারণ ওই বাণিজ্যের সম্পদ কুরাইশদের হস্তগত হলেই তারা মক্কা এবং মদিনার মুসলমানদের উপর আক্রমণ করতো।তাই যুদ্ধের সাধারণ নীতি "প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ অধিক উত্তম" বিবেচনায় রেখে মদিনার সর্দার তাদের উপর আক্রমণ পরিচালনা করতে বাহিনী প্রেরণ করেন।
অতঃপর এই খবর পেয়ে কুরাইশগণ মক্কায় সাহায্য চেয়ে বার্তা পাঠায় এবং তাদের সাহায্যে আবু জাহেলের নেতৃত্বে কুরাইশ বাহিনী এগিয়ে আসে।প্রত্যেকটা সিরাতের কিতাবে এমনই বর্ণিত হয়েছে।আর এর পরের ঘটনা আমরা কমবেশি সবাই জানি।
আবার বুখারি ও মুসলিম শরিফে হযরত জাবের রাঃ বর্ণিত ঘটনা যেখান আবু উবাইদা রাঃ কে সেনাপতি করে যুদ্ধে পাঠানো হয় সেটাও ছিল এক কাফের বাণিজ্যিক কাফেলার উপর অতর্কিত আক্রমণ করে তাদেরকে ধরে নিয়ে আসা।সুতরাং এটাও আক্রমণাত্মকই ছিল।
এরকম অসংখ্য উদাহরণ দেওয়া যাবে।প্রকৃত কথা সেটাই যা প্রথমদিকে বলে এসেছি "শত্রুদেরকে সুবিধায় রেখে যুদ্ধে যাওয়া যাবে না।যখন জানা যাচ্ছে এইসব রসদ নিয়ে শত্রুরা মুসলমানদের উপর আঘাত হানতে পারে।তখন আঘাতের জন্য বসে থাকা যাবে না।বরং তারা যাতে মুসলমানদের উপর আক্রমণ করতে না পারে সেইজন্য তাদেরকে রসদ সংগ্রহ করতে দেওয়া যাবে না।সেটা হোক কুফফারদের জন্য পাঠানো অস্ত্র,অর্থ বা খাদ্য যাই হোক।" আর এটাই যুদ্ধের সাধারণ নীতি।
কিন্তু আমাদের দেশের একটা বড় কথিত ইসলামিক দল তাদের বাৎসরিক মাহফিলে লক্ষ লক্ষ জনতাকে এই বলে বিভ্রান্ত করেছে যে "আক্রমণাত্মক জিহাদ সম্পূর্ণ হারাম।"
আসলে তারা কি তাদের মস্তিষ্কের স্থলে সেখানে গোবর ঢুকিয়ে রেখেছে নাকি যে তারা সাধারণ বিষয়গুলোও বুঝতে পারে না।আমি তো এইখানে শুধু সাধারণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।অন্যদিকে সালফে সালেহীনদের দ্বারা এটা প্রমাণিত সত্য যে "আক্রমণাত্মক জিহাদ সম্পূর্ণ জায়েজ এবং ইমামের জন্য বছরে দুইবার কাফেরদের ভূমিতে গিয়ে তাদেরকে আক্রমণ করা ওয়াজিব।" আমি এই আলোচনায় সেসব আলোচনা আনিনি।
তারপরও কারো এটা বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা না যে আক্রমণাত্মক যুদ্ধ জায়েজ নাকি নাজায়েজ।
যেমনটা আমরা সকলেই জানি রোগ হলে প্রতিকার হিসেবে ঔষধ খেতে হয়।কিন্তু আমরা প্রত্যেকেই প্রতিরোধ গড়ে তুলি এবং নিয়মমাফিক জীবনযাপন করি যাতে রোগ না হয়।
সুতরাং যুদ্ধক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
শত্রুরা আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং আমাদের নাকের ডগা দিয়ে রসদ সরবরাহ করতেছে।এই অবস্থায় প্রতিটা জেনারেলরাই যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা হলো শত্রুকে তার রসদ সরবরাহে বাধা দান করা এবং তার প্রস্তুতির সময়ই তাকে আঘাত করা।কেননা যদি শত্রু পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে ফেলে তাহলে শত্রু অনুকূল পরিস্থিতিতে আমাদের আক্রমণ করবে এবং আমাদের প্রতিকার তখন কোনো কাজই দেবে না।এইজন্য যখন আমরা সুবিধাজনক পর্যায়ে অবস্থান করবো তখনই শত্রুকে আঘাত করে তাকে নাজেহাল করে দেওয়া উচিত।
কিন্তু না!আক্রমণাত্মক যুদ্ধ তো ইসলামে নাই!আমাদের বসে থাকতে হবে কখন তারা পরিপূর্ণ প্রস্তুত হয়ে আমাদের আক্রমণ করবে!
আসলেই কি তাই?
ইসলামে কি আক্রমণাত্মক যুদ্ধ হারাম?
এই প্রশ্নের উত্তর আমরা গাজওয়ায়ে বদর থেকেই খুজে দেখি।
" আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে কুরাইশ বাণিজ্যিক কাফেলা মদিনার নিকট দিয়ে মক্কায় যাবে।এটা শুনেই রাসুলুল্লাহ সাঃ তাদের উপর আক্রমণ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিলেন।
কেন কেন?এটা তো আক্রমণাত্মক। সেটা তো ছিল বাণিজ্যিক কাফেলা।
কারণ ওই বাণিজ্যের সম্পদ কুরাইশদের হস্তগত হলেই তারা মক্কা এবং মদিনার মুসলমানদের উপর আক্রমণ করতো।তাই যুদ্ধের সাধারণ নীতি "প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ অধিক উত্তম" বিবেচনায় রেখে মদিনার সর্দার তাদের উপর আক্রমণ পরিচালনা করতে বাহিনী প্রেরণ করেন।
অতঃপর এই খবর পেয়ে কুরাইশগণ মক্কায় সাহায্য চেয়ে বার্তা পাঠায় এবং তাদের সাহায্যে আবু জাহেলের নেতৃত্বে কুরাইশ বাহিনী এগিয়ে আসে।প্রত্যেকটা সিরাতের কিতাবে এমনই বর্ণিত হয়েছে।আর এর পরের ঘটনা আমরা কমবেশি সবাই জানি।
আবার বুখারি ও মুসলিম শরিফে হযরত জাবের রাঃ বর্ণিত ঘটনা যেখান আবু উবাইদা রাঃ কে সেনাপতি করে যুদ্ধে পাঠানো হয় সেটাও ছিল এক কাফের বাণিজ্যিক কাফেলার উপর অতর্কিত আক্রমণ করে তাদেরকে ধরে নিয়ে আসা।সুতরাং এটাও আক্রমণাত্মকই ছিল।
এরকম অসংখ্য উদাহরণ দেওয়া যাবে।প্রকৃত কথা সেটাই যা প্রথমদিকে বলে এসেছি "শত্রুদেরকে সুবিধায় রেখে যুদ্ধে যাওয়া যাবে না।যখন জানা যাচ্ছে এইসব রসদ নিয়ে শত্রুরা মুসলমানদের উপর আঘাত হানতে পারে।তখন আঘাতের জন্য বসে থাকা যাবে না।বরং তারা যাতে মুসলমানদের উপর আক্রমণ করতে না পারে সেইজন্য তাদেরকে রসদ সংগ্রহ করতে দেওয়া যাবে না।সেটা হোক কুফফারদের জন্য পাঠানো অস্ত্র,অর্থ বা খাদ্য যাই হোক।" আর এটাই যুদ্ধের সাধারণ নীতি।
কিন্তু আমাদের দেশের একটা বড় কথিত ইসলামিক দল তাদের বাৎসরিক মাহফিলে লক্ষ লক্ষ জনতাকে এই বলে বিভ্রান্ত করেছে যে "আক্রমণাত্মক জিহাদ সম্পূর্ণ হারাম।"
আসলে তারা কি তাদের মস্তিষ্কের স্থলে সেখানে গোবর ঢুকিয়ে রেখেছে নাকি যে তারা সাধারণ বিষয়গুলোও বুঝতে পারে না।আমি তো এইখানে শুধু সাধারণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।অন্যদিকে সালফে সালেহীনদের দ্বারা এটা প্রমাণিত সত্য যে "আক্রমণাত্মক জিহাদ সম্পূর্ণ জায়েজ এবং ইমামের জন্য বছরে দুইবার কাফেরদের ভূমিতে গিয়ে তাদেরকে আক্রমণ করা ওয়াজিব।" আমি এই আলোচনায় সেসব আলোচনা আনিনি।
তারপরও কারো এটা বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা না যে আক্রমণাত্মক যুদ্ধ জায়েজ নাকি নাজায়েজ।
Comment