তৃতীয় অধ্যায়: ময়দানে প্রত্যাবর্তন- পঞ্চম পরিচ্ছেদ:দাগিস্তান: উপায় শেষ হওয়ার পর সাহায্য- প্রথম বিষয়: ককেশাসের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু ভাবনা- তৃতীয় ভাগ:
(পূর্ব প্রকাশের পর)
ঙ- গেরিলা যুদ্ধে প্রচার ও প্রকাশনার ভূমিকা:
চেচনিয়ার মুজাহিদগণ ও তাদের সহযোগীগণ কয়েকটি নতুন চ্যানেল ও তথ্যনেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন। যেন তাদের বিজয়ের প্রকৃত অবস্থা আর রাশিয়ান বাহিনীর প্রকৃত ক্ষয়-ক্ষতি এবং তারা চেচনিয়ার মুসলিম জনগণের ক্ষেত্রে যে ন্যাক্কারজনক অপরাধ সংঘটিত করেছে, তার চিত্র তুলে ধরতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে খাত্তাব বলেন:
“আল্লাহ আমাদেরকে আদেশ করেছেন কাফেররা যেভাবে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, আমরাও যেন সেভাবেই তাদের মোকাবেলা করি। তারা এখন প্রচারণা ও মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এজন্য আমাদের উপরও আবশ্যক হল আমাদের মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের মোকাবেলা করা।”
চ- আত্মিক মনোবল বিজয় অর্জনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান
আবু বকর আকিদাহ বলেন:
“চেচনিয়ার মুজাহিদগণ রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধে এমন বীরত্ব প্রকাশ করেছেন, যা ইতিহাস দীর্ঘ যুগ পর্যন্ত স্মরণ করবে। এমন বীরত্ব, যা রাশিয়ানদেরকে এই বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছে যে, যত শক্তিই থাকুক, চেচেনদেরকে কিছুতেই পদানত করা যাবে না।
তারা বীরত্বের সর্বোৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কারণ আল্লাহর সাহায্যে তাদের যুদ্ধের প্রথম ভিত্তিটিই ছিল ব্যক্তিগত উদ্যোগ। এটা কোন বিরল ঘটনা ছিল না যে, একজন চেচেন মুজাহিদ ট্যাংকের অপেক্ষায় থাকবে। অতঃপর যখনই ট্যাংক তার সামনে দিয়ে যাবে, তখনই তার উপর লাফিয়ে পড়বে এবং তার ভিতরে বোমা নিক্ষেপ করে তা ধ্বংস করে দিবে!! অথবা রাত্রিবেলা রাজধানী ‘ক্রোজনী’র ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনসমূহের ধ্বংসাবশেষের মধ্য থেকে বের হয়ে অত্যন্ত ঝুকি নিয়ে রাশিয়ান বাহিনীর ফ্রন্টের ভিতরে ঢুকে পড়বে এবং কোন পরিত্যাক্ত ভবনের উপর উঠে সেখানে চেচনিয়ার পাতাকা উত্তোলন করবে! সকালবেলা যখন রাশিয়ান বাহিনীর সেনারা তাদের মধ্যখানে চেচনিয়ার পতাকা দেখতে পাবে, অমনি বিল্ডিংয়ের উপর বোমা বৃষ্টি বর্ষণ করতে থাকবে, এ ধারণায় যে, মুজাহিদগণ সেখানে ঢুকে পড়েছে এবং ঘাটি স্থাপন করেছে।
এ কাজগুলো এবং অন্যান্য কাজগুলো ছোট হলেও রাশিয়ান বাহিনীর মানসে মারাত্মক ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলে। বস্তুত সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্য।”
এবার অপর পক্ষের মনোবলের অবস্থা: রাশিয়ার আধা সামরিক বাহিনী ‘আমুন’, যা রাশিয়ার শ্রেষ্ঠ বাহিনী হিসাবে বিবেচিত এবং যার প্রতি রাশিয়ান সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তার একজন মেজরের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে আনাতুল লেভিন বলেন: জনৈক অফিসার তার সৈন্যদের সামনেই তাকে বললেন:
“একটাই ভালো কাজ, যা আমরা করতে পারি। তা হল আমরা নিজেদের দেশে ফিরে যাই এবং কথিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও বের হয়ে যাক, এটাই উত্তম হবে।”
খাসাউর্টে মাসখাদেভের সঙ্গে লেভিডের স্বাক্ষরিত চুক্তি সম্পর্কে আলোচনায় তিনি বলেন:
“লেভিডের প্রতি যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বলছি: আমাদের এটা বুঝা উচিত যে, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়িত হয়ে গেছে। কারণ চেচেনরা বিশাল বিজয় অর্জন করে ফেলেছে। এছাড়া যেহেতু রাশিয়া এটা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে যে, চেচেনদের এ বিজয়কে পরিবর্তন করতে হলে তাদেরকে আরো কয়েক বছর যুদ্ধের কষ্ট সহ্য করতে হবে এবং আরো হাজারো প্রাণ দিতে হবে। অথচ সোজা কথায়, তারা তা বহন করার জন্য প্রস্তুত নয়।
আর সেনাবাহিনীর কমান্ডাররাও উপলব্ধি করেছেন যে, তাদের সৈন্যরা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাচ্ছে না।
আলজেরিয়ায় ফরাসী সৈন্যদের এবং ভিয়েতনামে আমেরিকান সৈন্যদের যেমনটা ঘটেছিল, এখানে রাশিয়া তার চেয়ে এক স্তর বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
খাসউর্টের চুক্তি সম্পর্কে রাশিয়ান জনমতের জরিপে এ চেতনা আরো বড় আকারে প্রতিফলিত হয়েছে।”
ছ- মুজাহিদগণের উদ্ভাবনসমূহ
১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ এ চেচেন-রাশিয়া যুদ্ধ থেকে আরেকটি অর্জিত শিক্ষা হচ্ছে, মুজাহিদগণের মাঝে অস্ত্র ও তার ব্যবহারে উন্নতি। এ সকল উদ্ভাবনসমূহের কয়েকটি উদাহরণ হল:
মুজাহিদগণ কর্তৃক হেলিকপ্টার ধ্বংসের জন্য ফ্যাকাউট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার। এ উদ্ভাবন সম্পর্কে আবু বকর আকিদাহ বলেন:
“নতুন প্রযুক্তি
ফ্যাকাউট ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে হেলিকপ্টার ধ্বংস করা
২৯/৫/১৯৯৬ খৃষ্টাব্দ
চেচনিয়ায় রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুজাহিদগণের উদ্ভাবিত একটি নতুন প্রযুক্তি হচ্ছে, পাহাড়ি ঘাটিতে অবতরণের সময় হেলিকপ্টারের বিরুদ্ধে তারযুক্ত ফ্যাকাউট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা।
রাশিয়ান বাহিনীর গড়ে তোলা কিছু ঘাটি ছিল রাস্তা বা চৌরাস্তামুখী উঁচু পাহাড়েরর চূড়ায়। এ ঘাটিগুলোর যদিও বিরাট উপকারিতা ছিল, যেমন পরিবেশের উপর এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা যে, মুজাহিদগণ যখনই রাস্তায় বা বনে নড়াচড়া করবে, তখনই আশঙ্কায় থাকবে যে, দেখে ফেলল কি না। যা তাদের কৌশল, তৎপরতা ও পরবর্তীতে ফলাফলে বিরাট প্রভাব ফেলবে।
কিন্তু এ সকল ঘাটিগুলোর কোন কোনটিতে সাহায্য পৌঁছানো এতটা কঠিন ছিল যে, হেলিকপ্টার ছাড়া সম্ভব ছিল না। ফলে রসদ ও সরঞ্জাম নিয়ে বিমান আসত এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঘাটির এমন স্থানে অবতরণ করত, যা স্থির, নির্দিষ্ট ও পরিচিত। কারণ ঘাটির সৈন্যরা সেই স্থানের মধ্যভাগে একটি লাল ঝলমলে আলোর প্রতিক রেখে দিত, যেখানে হেলিকপ্টার অবতরণ করতে হবে।
একারণে এ ঘাটিগুলো শুধু মুজাহিদগণের জন্য কষ্টদায়ক হওয়ার পরিবর্তে তাদের জন্যও পীড়াদায়ক হয়ে গেছে। কারণ তাদের শূন্যের সাহায্যপথ মহান আল্লাহর অনুগ্রহে, অতঃপর ফ্যাকাউট ক্ষেপণাস্ত্রের কল্যাণে মুজাহিদগণের আঘাতের পরিপূর্ণ টার্গেট হয়ে গেছে।”
আবু বকর আকিদাহ তার বক্তব্যের ধারাবাহিকতায় আরো বলেন:
“কারণ শত্রুরা তাদের নিরাপত্তা ও কর্তৃত্বের দিক বিবেচনা করে এ ঘাটিগুলো অকেজো করে দিতে বা এর সাহায্য বন্ধ করে দিতে পারছিল না। একারণে এ ঘাটিগুলোতে অবতরণের জন্য নতুন পন্থা অনুসরণ করতে বাধ্য হল। তাই বিমান অবতরণের সময় ইঞ্জিন থামানো বা বন্ধ থাকার পরিবর্তে ইঞ্জিন চালুই থাকত এবং তার পাখাগুলো উচ্চ গতিতে ঘুরতে থাকত। ফলে এটি শূণ্যের মধ্যে ঝুলন্ত বা আধা ঝুলন্ত হয়ে থাকত। এমনিভাবে বিপদকাল হ্রাসের জন্য কয়েক মিনিটের মধ্যে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ দ্রুত গতিতে আনলোড হয়ে যেত। কারণ নিচের দিকে তীব্র বাতাস ঠেলে দেওয়ার কারণে তা পিছনে পাখা বিশিষ্ট যেকোন ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথ পরিবর্তন করে দিতে সক্ষম ছিল। যেমন আরবিজি ক্ষেপণাস্ত্র, ফ্যাকাউট ক্ষেপণাস্ত্র। এ বিষয়টির কারণে ক্ষেপণাস্ত্র হয়ত মাটিতে পড়ে যেত অথবা তার গতিপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে বিমান থেকে দূরে চলে যেত।
রাশিয়ার অনুসৃত এ পদ্ধতির কারণে মুজাহিদগণের একটি অভিযান ব্যর্থ হয়। কারণ তাদের ক্ষেপণাস্ত্র বিমানের পাখার নিকটবর্তী হওয়ার সাথে সাথেই বিমান থেকে দূরে সরে যায় এবং বিমানের পাশে নিচে বিস্ফোরিত হয়। যেমন হাকিম আলমাদানির ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি। বিমানের পাখা যাকে ঠেলে পাশে সরিয়ে দিয়েছিল, ফলে বিমান পর্যন্ত পৌঁছার সামান্য কয়েক মিটার পূর্বে বিমান থেকে দূরে গিয়ে বিস্ফোরিত হয়। তবে এতেই বিমান নষ্ট হয়ে যায়, তার ইঞ্জিন থেমে যায়। আর তার স্ফুলিঙ্গগুলো বিমান চালকের গায়ে লাগে। কারণ হাকিম আলমাদানির ক্ষেপণাস্ত্র তার বিমানের নিকট দিয়ে অতিক্রম করার পর সে দ্রুত পলায়নের উদ্দেশ্যে বিমান থেকে নেমে গিয়েছিল। আর ক্ষেপণাস্ত্র তার সামান্য দূরেই বিস্ফোরিত হয়।
এরপর থেকে মুজাহিদগণ বিমান অবতরণের সময় বিমানে নিক্ষেপের জন্য ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা এবং প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্ধারিত ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের হেলিকপ্টার-আক্রমণের পদ্ধতি পরিবর্তন করেন। এতে আশা করা যায়, বিস্ফোরিত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর কোন একটি তরঙ্গ বা তার স্ফুলিঙ্গ বিমানের পাখায় প্রভাব সৃষ্টি করে তাকে থামিয়ে দিবে বা তার ইঞ্জিন থামিয়ে তাকে নষ্ট করে দিবে। অতঃপর অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম ও তার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর জন্য বিমান সহজ শিকারে পরিণত হবে।”
৩- যে শহরগুলো লড়াইয়ে ক্লান্ত হয় না
ক- ভূমিকা
(১) সাধারণভাবে গেরিলা যোদ্ধাগণ এবং বিশেষভাবে নগর যোদ্ধাগণ দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি আগ্রহি থাকেন:
এক. সংঘর্ষ এড়িয়ে যাওয়া এবং শত্রুর সাথে স্থিরযুদ্ধে না জড়ানো।
দুই. ভূমি আঁকড়ে না থাকা।
(২) কিন্তু কিছু কিছু অবস্থায় যোদ্ধাগণ অনড় থাকা ও শহর প্রতিরক্ষা করাকেও সমর্থন করেন। তবে একটি মৌলিক শর্ত সাপেক্ষে, তা হল: যোদ্ধা ও মুজাহিদগণের প্রতি পরিপূর্ণ জনসমর্থন ও সাহায্য থাকতে হবে। সে সকল অবস্থাগুলোর মধ্যে কয়েকটি হল:
(ক) যখন যোদ্ধাগণ তাদের প্রতিরোধের মাধ্যমে শত্রুপক্ষকে ভারি লোকসানে ফেলার আশা করবে। যা দূরবর্তী সময়ে হলেও যুদ্ধের পট পরিবর্তন করবে।
(খ) যখন একটি শহরের পতন মনস্তাত্ত্বিক পরাজয়ের কারণ হবে এবং এটা অন্যান্য শহরগুলোরও পতনের ইঙ্গিত বহন করবে। তখন সে শহর রক্ষার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোললে সমস্যা নেই। যদিও পতন বিলম্বিত করার লক্ষ্যেই হোক না কেন, যাতে জাতি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে এবং তাতে অভ্যস্ত ও উৎসাতি হয়। আর হতাশার আঘাতে আক্রান্ত না হয়, যা দীর্ঘ মেয়াদি মনস্তাত্ত্বিক পরাজয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
(গ) যখন শত্রুর টার্গেট হয় দ্রুতগতিতে শহর নিয়ন্ত্রণে নেওয়া। কারণ এতে তারা অভ্যন্তরীণ চাপ এড়ানোর জন্য নিজেদের স্বার্থে অবস্থান চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে কাজ করবে।
(ঘ) যখন প্রতিরোধকারীগণ শহরের পতন বিলম্বিত করার মাধ্যমে আসন্ন দীর্ঘ মেয়াদি গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসাবে অন্যান্য স্থানে প্রতিরক্ষা সূচি সাজানো এবং সুশৃঙ্খলভাবে বা সবচেয়ে কম ক্ষতির মাধ্যমে সরে পড়ার কৌশল সাজানোর ইচ্ছা করবে।
(ঙ) যখন শত্রুরা দীর্ঘ সময় ধরে শহর আক্রমণ করার ক্ষমতা রাখবে না এবং সক্ষমতার অভাবে বা মানসিক দুর্বলতার কারণে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে যুদ্ধ থামিয়ে দিতে বাধ্য হবে।
(চ) যখন সংশ্লিষ্ট শহরের প্রতিরক্ষা করলে অন্যান্য ফ্রন্ট, অঞ্চল বা অন্যান্য বাহিনীগুলো পতন বা শত্রুর অবরোধে পড়া থেকে রক্ষা লাভ করবে। এখানে ১৯৭৩ এর যুদ্ধে সুয়েজ এলাকায় শায়খ হাফেজ সালামার নেতৃত্বে গড়ে তোলা সাহসি প্রতিরোধের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। যা ইহুদিদেরকে সুয়েজে প্রবেশ করতে বাঁধ সেধেছিল এবং খালের পূর্বতীরে অবরূদ্ধ তৃতীয় বাহিনীর নিকট সাহায্য পৌঁছা নিরাপদ করেছিল। পরিতাপের বিষয়, এই সাহসী কীর্তি লিখে রাখার মত কাউকে পাওয়া যায়নি আর এই দুনিয়াবিমুখ মুজাহিদের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করার মতও কাউকে পাওয়া যায়নি।
(ছ) যখন প্রতিরোধকারীদের এমন কোন সাহায্য লাভের আশা থাকে, যা কিছু সময় পরে পৌঁছবে এবং তা যুদ্ধের পাল্লায় প্রভাব ফেলতে পারে।
(জ) যখন প্রতিরোধকারীদের জন্য ভিন্ন কোন সুযোগ না থাকে।
Comment