আন নাসর মিডিয়া পরিবেশিত
এই তো গাজা...
যা পশ্চিমের ঘুম কেড়ে নিয়েছে
|| সালেম আল শরীফ || এর থেকে
শেষ পর্ব
===================
এই তো গাজা...
যা পশ্চিমের ঘুম কেড়ে নিয়েছে
|| সালেম আল শরীফ || এর থেকে
শেষ পর্ব
===================
চতুর্থ মূল্যায়ন: অতীত ও আধুনিক ক্রুসেডার উপনিবেশবাদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন:
রাষ্ট্রপতি পদে তার ফেরার সম্ভাবনা কম থাকায় তিনি আচ্ছন্ন ছিলেন। নেতানিয়াহুর চিৎকারে তার হুঁশ ফিরে আসে। নেতানিয়াহু হয়তো তার মাঝে কিছুটা আশার সঞ্চার করেছে। ইহুদী লবি আগামী নির্বাচনে তার জয়ের ব্যাপারে হয়তো তার সঙ্গে দর কষাকষি করে নিয়েছে। ইহুদী আগ্রাসনকে জো বাইডেনের বৈধতা ও সহায়তা দেয়ার বিনিময়ে পুনরায় ক্ষমতায় আসা – এ কারণেই প্রেসিডেন্ট জায়নবাদী মিত্রতা আরও জোরালো করেন এবং যুদ্ধের পতাকা বহন করেন।
তিনি তৎক্ষণাৎ ০৭ বিলিয়ন ডলার সহায়তার সিদ্ধান্ত দেন। ব্যর্থ আয়রন ডোমের স্টকের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়াতে, ক্ষতিপূরণ হিসাবে তিনি ক্ষেপণাস্ত্র প্রেরণ করেন। অধিকৃত ফিলিস্তিনে আমেরিকান মজুদের ক্ষতি না করে, নিজ দেশ থেকে আরও অধিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন। এয়ার ক্রাফট ক্যারিয়ার জেরাল্ড ফোর্ড পাঠিয়ে দেন। সাথে বিমানবাহী রণতরী ডট আইজেনহাওয়ার এবং তার আনুষঙ্গিক যাবতীয় সামগ্রী পাঠিয়ে দেন। বাইডেন দ্রুত তার ইহুদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনকে ইসরাইলে পাঠান। তার সহায়তার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকেও সঙ্গে দেন। শীঘ্রই তিনি নিজেও যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যাবেন।
বাইডেন আমেরিকান জনগণের মনস্তাত্ত্বিক ও নৈতিক অবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। শিশুদেরকে নির্বিচারে হত্যার বিষয়ে মিথ্যাচার করেন। তার মিথ্যাচার প্রকাশিত হবার পর তার মুখে কোনো লালা ছিল না। ফিলিস্তিনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে তার উস্কানি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, একজন ৭০ বছরের বৃদ্ধ একটি ছোট শিশুকে ২৬টি ছুরিকাঘাত করে এবং তার মাকে ১২টি ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। উস্কানির ফলে যুবকদের অবস্থা তাহলে কি হবে?
শয়তান বাইডেন এই হত্যাকাণ্ডকে ঘৃণ্য অপরাধ হিসাবে বর্ণনা করে। অথচ এগুলো তারই প্ররোচনা ও উস্কানির ফল। তাকে অবশ্যই এর দায়ভার এবং ইসলামী বিশ্বের প্রতিক্রিয়ার দায়ভার বহন করতে হবে। পশ্চিমাদেরকে যারা ন্যায়পরায়ণ ও নিরপেক্ষ বলে মনে করে, তাদের মধ্যে কিছু মাত্র সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন ব্যক্তির কাছেও আজ একথা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, এখন (২০২৩ সালে) গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমেরিকা পুরোপুরি যুক্ত।
আমেরিকা মুসলিমদের যেকোনো সংগঠন, সংস্থা এবং যেকোনো ধারা উপধারার বিরোধী। তাদের গণতান্ত্রিক ধর্ম শুধু সাদা চামড়া ও রঙিন চোখ বিশিষ্টদের জন্য। সকল মানুষের জন্য সমান অধিকার নয়, বরং সব মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে হবে এবং তাদেরকে দাস বানিয়ে রাখতে হবে – এটাই আমেরিকার মূলনীতি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক:
এমনকি তুমিও সুনাক! গাজায় যা ঘটছে তা কি তোমাকে ইংরেজ দখলদারের আমলে তোমার পূর্বপুরুষদের (ভারতের) কষ্টের কথা মনে করিয়ে দেয়নি? তোমার মৃত পূর্বপুরুষদের পিঠে খোদাই করা তাদের চাবুকের চিহ্ন কি চোখে পড়েনি? নাকি তুমি ওই সমস্ত বিশ্বাসঘাতক বাপ দাতাদের উত্তরসূরি, যারা স্বজাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল? কেউ অন্যায়ের তিক্ততার স্বাদ পেলে তার বংশধরদের কাছে সংবাদ পৌঁছে দেয়, যাতে তারা কোনো অত্যাচারীকে সমর্থন না করে। কিন্তু যারা জালিমদেরকে চেনে, তাদের পানি দিয়ে পরিতৃপ্ত হয়, তাদের ছায়ায় বসবাস করে, তারা তো জালিমদের নিকৃষ্ট পায়ের জুতা হয়ে যায়। জীর্ণ হবার পরে জুতা যেভাবে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া হয়, সেভাবেই তাদেরকেও ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করা হয়।
ম্যাক্রোঁ ও ফ্রান্স:
এমন হত্যাকারী দেশ থেকে কী আশা করা যায়, যারা ১২ হাজার আলজেরিয়ানকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়েছিল? এটা এমন একটা দেশ, যার নেতৃবৃন্দ বিশ্বের কাছে সম্মান হারিয়েছে। তারা এখনও সাম্রাজ্যবাদের মায়ায় জীবন যাপন করছে। এমনকি মরক্কো ও মালিতে আমাদের ভাইয়েরা তাদেরকে বহিষ্কার করার পরেও।
ম্যাক্রোঁর মুখে ক্রমাগত থাপ্পড় পড়েছে – তার নিজের জনগণের কাছ থেকে হোক কিংবা আফ্রিকান নেতাদের কাছ থেকে। সে অপমান লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে ন্যাটোর কয়েকজন সদস্যের কাছেও, যারা ফ্রান্সকে অস্ট্রেলিয়ান সাবমেরিন চুক্তি থেকে বের করে দেয়। এলিসি প্যালেসের ছায়া দুর্ভাগ্যজনক ইহুদীবাদীর সাথে রয়েছে। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহুদী সমর্থকদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের অনুমতি দেন। আর যারা ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে চান তাদের বারণ করেন। ফিলিস্তিন সমর্থকদেরকে কারাদণ্ড ও জরিমানার হুমকি দেন।
কি হাস্যকর তোমাদের গণতান্ত্রিক ধর্ম! তোমরা এই গণতন্ত্রকে নীতি বানিয়েছ, যা এখন নিজেরাই ভঙ্গ করছো। এটা তোমাদের নিজেদের জন্য এবং তোমাদের কথিত স্বাধীনতার জন্য দুর্ভাগ্য। তোমাদের গণতান্ত্রিক দেশের প্রধান ব্যক্তিত্ব ইহুদীদের দ্বারা নির্দেশিত বিবৃতি দেয়ার জন্য তৈরি হয়ে যায়। অযৌক্তিকভাবে; এমনকি কিছু মাত্র আত্মসম্মানের বালাই না রেখে সে বিবৃতি নিয়ে তোমাদের প্রধান ব্যক্তি বড়াই করতে আরম্ভ করে। তার আশা হলো, জায়নবাদের স্বর্ণের বাছুরে তারও ভাগ থাকবে। যাই হোক না কেন, সাধারণভাবে ফরাসি মডেল আমাদেরকে বৈশ্বিক পরিসরে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে পশ্চিমাদের অন্তর্ধানের সুসংবাদ দেয়। পশ্চিমা বিশ্বের পতনের ইঙ্গিত সর্বপ্রথম পাওয়া যায়- যখন মুনতাজর আল-জাইদির জুতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের মুখে ছুঁড়ে মারা হয়। বুশ জুনিয়র একপাশে সরে গেলে জুতো তার পিছনে আমেরিকার পতাকায় আঘাত করেছিল। আফ্রিকা তোমাদেরকে তার সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার পরে শীঘ্রই তোমাদের শহরের ধ্বংসাবশেষে কাক ডাকবে।
জার্মান চ্যান্সেলর শুলজ:
অন্যান্য ইউরোপীয় ট্রাম্পেটের মতো মিত্রতা ও আনুগত্যের দায়িত্ব উপস্থাপনে পূর্বের মতো আরও একটি প্রদর্শিত চিত্র হলো জার্মান চ্যান্সেলরের অবস্থান। এ নিয়ে মন্তব্য করার কোনো অর্থ নেই। কারণ তাদের খেলোয়াড়দের দ্বারা সমকামীদেরকে সমর্থন করার মতো ঘটনার পরে জার্মানিতে দেখার মতো কোনও পুরুষ নেই। জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে যখন আমেরিকার হাতের পুতুল ছিল না, ওই অবস্থায় ফিরে যাবার আগ পর্যন্ত জার্মানি নিয়ে কোনো মন্তব্য নেই।
ইউরোপের অবশিষ্ট নেতাদের অবস্থা পূর্বোক্ত অবস্থা থেকে ভিন্ন নয়। তাই তাদের কথা উল্লেখ করার কোনো অর্থ নেই।
ফিলিস্তিন ঘেরা আরব রাষ্ট্রপুঞ্জের কাজের ওপর একটি প্রতিক্রিয়ামূলক মন্তব্য করে নিবন্ধ শেষ করবো।
তোমরা ১৯৪৮ সালের মতো ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতির পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেই অজুহাতে বর্ডার ক্রসিংগুলি বন্ধ করে দিয়েছো। তোমরা ক্রসিং গেটে ত্রাণ কনভয়গুলি থামিয়ে দিয়েছো, ইহুদীবাদীদের কাছ থেকে সেগুলো প্রবেশ করানোর অনুমতি লাভের অপেক্ষায়। আল্লাহর কসম তোমাদের এমন কর্মকাণ্ডে শোকাহত ব্যক্তিরাও হাসবে। তোমাদের কিছু করতে পারার সাধ্য বুঝি এটুকুই ছিল? দখলদারিত্বের ৭৫ বছর পরেও যদি তোমাদের চতুর বাহিনী প্যালেস্টাইনকে মুক্ত করতে না পারে, তাহলে যারা পারেন, তাঁদের কাছে তোমাদের নেতৃত্ব ছেড়ে দাও। নিষ্ঠাবান সেনাবাহিনী ও তোমাদের জনগণের জন্য অস্ত্রের গুদাম খুলে দাও, যেন তাঁরা আল্লাহর পথে জিহাদ করতে পারে। নিজেদের সামরিক যোগ্যতা ও জন্মগত প্রতিভা দিয়ে তাঁরা এমন এক যুদ্ধে নেতৃত্ব দেবেন, যা অত্র অঞ্চল থেকে ইহুদী অস্তিত্ব মিটিয়ে দেবে। যেমনিভাবে ইতিপূর্বে নিষ্ঠাবান আফগানরা করেছেন। তারা কোনো সামরিক কলেজে পড়াশোনা করেনি। তারপরও আমেরিকান সেনাবাহিনী ও ন্যাটোর সমস্ত সামরিক সরঞ্জাম, প্রযুক্তি ও অহঙ্কার মাটিতে মিশিয়ে তাদেরকে হতাশ বানিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছেন।
সরকারগুলোর প্রধান মিশন যেহেতু প্যালেস্টাইনে ইহুদীদের পাহারা দেওয়া, তাদেরকে আমাদের জনগণের প্রতিশোধ থেকে রক্ষা করা; তাই এরা জনগণ ও সেনাবাহিনীকে লাঞ্ছিত হওয়ার পথ ছাড়া অন্য কোনো পথ দেখাবে না। তাই আমাদের মুসলিম উম্মাহর সাধারণ জনগণের উপর দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাদেরকে উপেক্ষা করে সামনে অগ্রসর হওয়া। যেমনিভাবে মুজাহিদীন অক্টোবরের ০৭ তারিখে জায়নবাদী শত্রুর দেয়ালগুলো টপকে অগ্রসর হয়েছিলেন।
মিশর, লেভান্ট, জর্ডান, আরব উপদ্বীপ, ইরাক ও তুরস্কে থাকা আমাদের মুসলিম উম্মাহর সন্তানেরা!
জেনে রাখুন, জিহাদ আপনাদের উপর ফরয। সামরিক প্রশিক্ষকবৃন্দ ঝড়ের গতিতে বর্ডার ক্রসিং ও সীমান্ত অতিক্রম করে গাজায় নিজেদের ভাইদের সাহায্যে এগিয়ে যেতে বিলম্ব করবেন না। স্পেসিফিক অপারেশন চালাতে যারা সক্ষম, তাদের উচিত: তাদের সামনে দিয়ে বিশেষ করে লোহিত সাগর দিয়ে ইহুদীদের জন্য কোনো বণিক জাহাজ যেন যেতে না পারে।
সিনাই উপত্যকায় আমাদের গর্বিত গোত্রগুলোর কাছে আমরা বলবো: আপনারা সিনাই গ্যাস পাইপ লাইনগুলি দিয়ে ইহুদীদের কাছে গ্যাস সরবরাহ হতে দেবেন না।
জর্ডানে আমাদের নাশামি উপজাতির ভাইদের উদ্দেশ্যে বলবো: তেলের পাইপ লাইন দিয়ে আপনারা ইউরোপ আমেরিকায় কোনো তেল সরবরাহ হতে দেবেন না।
কবি, সাহিত্যিক, লেখক, প্রবন্ধকার এবং অনুপ্রাণিত অন্য ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বলবো: জীবন দিয়ে জিহাদ করার সুযোগ যদি আপনারা নাও পেয়ে থাকেন; তবে জবান ও চিন্তা-চেতনা দিয়ে জিহাদ যেন আপনাদের ছুটে না যায়।
আমাদের অন্যান্য ভাইয়ের উদ্দেশ্যে বলবো: রিং-এস্টেটগুলোতে জায়নবাদী ইহুদী ও পশ্চিমাদের স্বার্থে আঘাত করুন। তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ুন। আমাদের মুসলিম ভূখণ্ডগুলোতে জায়নবাদী ইহুদী ও পশ্চিবাদের যত স্বার্থ আপনাদের হাতের কাছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, সেগুলো সব পুড়িয়ে দিন।
হে মুসলিম উম্মাহর সন্তানেরা!
যে যেখানেই আছেন, আপনারা আমাদের ফিলিস্তিনের ভাইদেরকে একা ছেড়ে যাবেন না। কারও হাতে যদি শুধু একটি পাথর থাকে, তাহলে সেটি বিশ্বের যেকোনো জায়গায় জায়নবাদী ক্রুসেডার যৌথ শক্তির বিরুদ্ধে ছুঁড়ে মারুন। পৃথিবীকে তাদের জন্য জাহান্নাম বানিয়ে দিন। আমাদের সম্পদ ও অর্থবিত্ত থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করুন, যেভাবে তারা আমাদের মা-বোনদেরকে, শিশুদেরকে ফিলিস্তিনে সবকিছু থেকে বঞ্চিত করেছে। আপনারা একেকজন একান্তে নিজেকে প্রশ্ন করুন: কেমন করে আপনার চোখ ঘুমাতে পারে, অথচ আমাদের মা-বোনেরা, আমাদের শিশুরা গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসাবশেষ ও বোমার নিচে ঘুমাচ্ছে?
হে উম্মাহ জেনে রাখুন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন:
مَا مِنَ امْرِئٍ يَخْذُلُ امْرَأً مُسْلِمًا فِي مَوْضِعٍ تُنْتَهَكُ فِيهِ حُرْمَتُهُ وَيُنْتَقَصُ فِيهِ مِنْ عِرْضِهِ، إِلَّا خَذَلَهُ اللَّهُ فِي مَوْطِنٍ يُحِبُّ فِيهِ نُصْرَتَهُ، وَمَا مِنَ امْرِئٍ يَنْصُرُ مُسْلِمًا فِي مَوْضِعٍ يُنْتَقَصُ فِيهِ مِنْ عِرْضِهِ وَيُنْتَهَكُ فِيهِ مِنْ حُرْمَتِهِ، إِلَّا نَصَرَهُ اللَّهُ فِي مَوْطِنٍ يُحِبُّ نُصْرَتَهُ
অর্থ: “যে ব্যক্তি অপর মুসলিমের মান-ইজ্জত নষ্ট হওয়ার স্থানে তাকে ত্যাগ করে, আল্লাহ তাকে এমন স্থানে সাহায্য করা থেকে বিমুখ থাকবেন যেখানে সে তাঁর সাহায্য কামনা করে। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের মান-ইজ্জত নষ্ট হওয়ার স্থানে তাকে সাহায্য করে আল্লাহ তাকে এমন স্থানে সাহায্য করবেন যেখানে সে তাঁর সাহায্য প্রত্যাশা করে।” (সুনান আবূ দাউদ – ৪৮৮৪)
বরকতময় ঐতিহাসিক অভিযানের চূড়ান্ত ফলাফল এখনও আসেনি। বিশেষ করে ওই ফলাফলের কথা বলছি, যা অপ্রত্যাশিত; যা এমন অবস্থায় সামনে আসবে, যার জন্য পরিকল্পনা করা থাকবে না। স্বভাবতই অপ্রত্যাশিত বিষয়গুলো আগ্রাসী শত্রুর স্থায়িত্ব ও ভবিষ্যতের জন্য অধিক হুমকি হয়ে থাকে।
ইনশাআল্লাহ খুব অচিরেই ইসলামী বিশ্বের জনগণ এমন বিপ্লব নিয়ে আবির্ভূত হবে, যা ক্ষমতায় থাকা রাজা, রাজপুত্র এবং রাষ্ট্রপতিদের শাসনকে অপসারণ করবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় তারা এমন একটি যুদ্ধের নেতৃত্ব দেবেন, যেখানে ইহুদী গোষ্ঠী এবং তার মিত্রদের জন্য শয়তানের কুমন্ত্রণা নিয়ে কিছু করার সুযোগটাও অবশিষ্ট রাখবেন না। আরব ও ইসলামী দেশগুলির সমস্ত শাসক ও মুনাফিক, যারা ইহুদীবাদী ও ক্রুসেডার পশ্চিমকে সমর্থন করে, তারা যেন এই বিষয়টা ভালো করে বুঝে নেয়।
***
আরও পড়ুন
১ম পর্ব