আন নাসর মিডিয়া পরিবেশিত
“এই তো গাযা…
ধৈর্যশীলদের মা, যার পড়শিরা তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে
[যুদ্ধের চতুর্থ সপ্তাহ]”
।।সালেম আল শরীফ||
এর থেকে– ২য় পর্ব
“এই তো গাযা…
ধৈর্যশীলদের মা, যার পড়শিরা তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে
[যুদ্ধের চতুর্থ সপ্তাহ]”
।।সালেম আল শরীফ||
এর থেকে– ২য় পর্ব
গাজার জনগণ এবং মুজাহিদীনের দৃষ্টিকোণ থেকে:
আমাদের অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে যে, ০৭ই অক্টোবর থেকে মুজাহিদরা কী করেছেন? এই ঘটনা যতটা গুরুত্ববহ, ততটাই গভীরভাবে আমাদের এ বিষয়টা বিবেচনায় নিতে হবে। এই মহৎ ঘটনার দ্বারা দুর্নীতিগ্রস্ত ইহুদীবাদী সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলির আতঙ্ক এবং বিভ্রান্তি ছিল দেখার মতো। দখলদার সেনাবাহিনীর সামরিক স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ হয়; দক্ষিণাঞ্চলীয় ডিভিশন ধ্বংস হয়ে যায় এবং এর অনেক নেতা ও সৈন্যকে বন্দী করা হয়। প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি তো ওরা এখনো ঘোষণা করেনি।
দখলদারদের নিরাপত্তা সংস্থা তার ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী আঘাত পেয়েছিল। সমস্ত ইলেকট্রনিক বাধা এবং শারীরিক বাঁধা অতিক্রম করা হয়েছিল। বসতি স্থাপনকারীরা তাদের অস্তিত্বের কারণ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছিল সেদিন।
রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে বলবো: এটি অভ্যন্তরীণ সংঘাতের এক গোলকধাঁধায় প্রবেশ করেছিল। যেখান থেকে আজ পর্যন্ত উঠে আসতে পারেনি। এ বিষয়টা ফিলিস্তিনে সংঘাত পরিচালনা করার জন্য আমেরিকার হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করেছিল। যদি আমেরিকার অন্যায্য হস্তক্ষেপ না থাকত, তবে ঘটনাগুলি একটি বড় আকার ধারণ করত। পুরো ব্যাপারটা ভিন্ন দিকে মোড় নিত। ইহুদীবাদীদের পক্ষে সেটার প্রতিকার করা সম্ভব হত না। তখন এই ঘটনার আলোকে এই অঞ্চলের মানচিত্র পরিবর্তিত হয়ে যেত। তবে শীঘ্রই এই অঞ্চলের মানচিত্র অনিবার্যভাবে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হবে ইনশাআল্লাহ!
যেহেতু গণহত্যা (যুদ্ধ নয়) চতুর্থ সপ্তাহে প্রবেশ করেছে এবং স্থল বাহিনী গাজায় প্রবেশ করছে, তো এখন নতুন করে আর কী পরিবর্তন হবে?
আমাদের অবশ্যই ধৈর্যশীলদের মায়ের কাছ থেকে ধৈর্য শিখতে হবে! মানব জাতির শত্রুদের কাছে তিনি যে বার্তা প্রতিদিন প্রেরণ করছেন, তা বিবেচনা করতে হবে। আমাদেরকে ওই সমস্ত লোকের পরিচয় বুকে ধারণ করতে হবে, যারা তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে নির্ভীক, দুর্জয়! তারা কতটা ধৈর্যশীল ও অবিচল! তারা অনড়, অপ্রতিরোধ্য মানব। বোমা হামলা, ধ্বংস, নাশকতা এবং বিপুল সংখ্যক মৃত্যু তাদেরকে দুর্বল করতে পারেনি। একইভাবে এগুলো শত্রুপক্ষকেও বিজয় এনে দেয়নি।
০৭ই অক্টোবর মুজাহিদ কর্তৃক দেয়াল অতিক্রম করার পর, ইহুদীবাদী ও ক্রুসেডাররা এ যুদ্ধে হেরে গিয়েছে। ৭৫ বছর ধরে তাদের বর্বরতা ও পাশবিকতা চলমান। তবুও পুরো সময় জুড়ে মুসলিমদের লড়াইয়ের ইচ্ছা অটুট! এই মুসলিমদের কি ইতিহাসের দৃষ্টান্তহীন অভূতপূর্ব নৃশংস বোমা হামলা করে, কয়েক সপ্তাহের ভেতরেই নতজানু করা সম্ভব?
হে জায়নবাদীরা!
তোমরা দৈনন্দিন কোনো হিট অ্যান্ড রান অপারেশনে সফল হয়েছো, নাকি প্রতিবারই পালাতে বাধ্য হয়েছো? তোমরা কি তোমাদের ঘরের দুয়ারে আঘাত হানা মুজাহিদদের মিসাইলগুলোকে থামাতে পেরেছ? নিমর (Nimr) সাঁজোয়া যানগুলো কি আল-ইয়াসীন 105 এর আঘাত থেকে বাঁচতে পেরেছে? গেরিলা আক্রমণ করে কমান্ডো মুজাহিদরা কি তোমাদেরকে ভয় দেখাননি? পুরো বিশ্ব কি কমান্ডো মুজাহিদদের গেরিলা আক্রমণের পুরো প্যাকেজ দেখে হতভম্ব হয়ে যায়নি?
তোমরা তো এখনো কিছুই দেখনি। উম্মাহর সন্তানেরা যখন উঠে দাঁড়াবে এবং সর্বত্র তোমাদের স্বার্থ টার্গেট করে হামলা করবে, তখন ভয়াবহতা টের পাবে। তোমাদেরকে সেই দৃশ্য দেখাতে আমরা খুব বেশি দেরি করবো না, ইনশাআল্লাহ।
তোমাদের দাওয়াত ও মতবাদের পতন ঘটেছে। আমাদের দাওয়াত শুরু হয়েছে। ০৭ই অক্টোবরের হামলার সাফল্যের মাধ্যমে সামরিক লক্ষ্য অর্জন এর পাশাপাশি রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের অপেক্ষায় আছি আমরা। মূল লক্ষ্যের সাথে আমরা অন্যান্য লক্ষ্যও দেখতে পাচ্ছি।
ইহুদীরা জুলুমের শিকার ও নিপীড়িত—এমন দাবির অসারতা আজ সকলের সামনে চলে এসেছে। এ কথা দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, তারাই বর্ণবাদী জল্লাদ। মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, সমাজ এবং আন্তর্জাতিক মহল ইত্যাদি শিরোনামের পেছনে আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্ব প্রতারণার যে চেহারা লুকিয়ে রেখেছিল, তা থেকে মুখোশ খসে পড়েছে। তাদের বর্ণবাদী নগ্নতা, শ্রেণিবাদ, দুর্নীতি, এবং ইহুদীদের প্রতি নির্লজ্জ পক্ষপাতদুষ্টতা উন্মোচিত হয়ে গিয়েছে। তাদের দৃষ্টিতে বর্তমান সময়ে ইহুদী, প্রোটেস্ট্যান্ট এবং ক্যাথলিক খ্রিস্টানরাই শুধু মানুষ। এছাড়া বাকিরা মানুষের কাতারে পড়ে না।
তারা যা প্রচার করে, বাস্তবে সেগুলোর কোনো প্রয়োগ দেখা যায় না। অবশিষ্ট মানব গোষ্ঠী তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যবহৃত হাতিয়ার ছাড়া কিছুই নয়। বিকৃত জাপান এবং পৌত্তলিক ভারত ব্যস্ত রয়েছে চীনকে প্রতিহত করার জন্য। তাইওয়ান হল চীন সাগরের আরেকটি ইসরাঈল, যা ভোগবাদী পশ্চিমা শক্তির অনুপ্রবেশ সহজ করার সুবিধার্থে সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করছে।
দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছে উত্তর কোরিয়ানদের প্রলুব্ধ করার জন্য। অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইসলামিক দ্বীপগুলিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে যায়... ইত্যাদি। তোমরা কি মনে কর যে, এই পৃথিবীর কোথাও তোমাদের দাওয়াত অবশিষ্ট থাকবে? প্রযুক্তি সর্বত্র সবকিছু স্থানান্তরিত করেছে। আজকের পরে কেউ তোমাদের কথা শুনবে না, তোমাদেরকে কিছু দিবে না। প্রযুক্তি একটি বৈশ্বিক বিপ্লব, কিন্তু এই প্রযুক্তি তোমাদের প্রাপ্য অবস্থানে তোমাদেরকে নিয়ে গিয়েছে।
জন কিরবি (John Kirby) বিষণ্ণ মুখে জনসম্মুখে বলেছে, ‘ফায়ারিং বন্ধ করার সময় এখনও আসেনি।’ সে কী জন্য এই কথা বলেছে? কারণ মুজাহিদীনের সংকল্প ও ইচ্ছা শক্তি ধ্বংস করাটাই তাদের আসল লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্য এখনো তাদের অর্জিত হয়নি। ইনশাআল্লাহ, তাদের এ লক্ষ্য কখনোই অর্জিত হবে না। আফগানিস্তানে ইতিপূর্বে তোমরা যেভাবে মুজাহিদীনের ইচ্ছা ও সংকল্পের কাছে নতি স্বীকার করেছিলে, এবারও তাই হবে, ইনশাআল্লাহ!
হে আমেরিকা এবং জায়নবাদীরা!
তোমাদের নির্বুদ্ধিতাই তোমাদের পতন ডেকে এনেছে। শুধু মুসলিমরাই নয়; গোটা বিশ্ব এমনকি তোমাদের তৈরি করা প্রতিষ্ঠানগুলোও তোমাদেরকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। পশ্চিমা ও জায়নবাদীদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, ২৫ দিনের নিষ্ঠুর যুদ্ধের পর জন কিরবি (John Kirby) নিজ বক্তব্যে আমেরিকা এবং জায়নবাদীদের পরাজয়ের ঘোষণা দিয়েছে।
তোমাদের যুদ্ধ অনিবার্যভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তোমরা যুদ্ধাঙ্গন ছেড়ে পারাপারের পথ অবশ্যই খুব অচিরেই খুলে দিবে। কিন্তু আমাদের তো এখনই যুদ্ধের সময়। সামনের সময়টা তোমাদের জন্য হবে আরো শোচনীয়; এমনকি তোমরা আমাদের ভূমি থেকে সরে যেতে বাধ্য হবে। তোমাদের আমলাদেরকে তখন আমরা তোমাদের সাথে পাঠিয়ে দিবো।
মুসলিম উম্মাহকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করবো। আসমানের মালিকের নির্দেশনা মতে ঐক্য ও সংহতির ভিত্তিতে প্রকৃত শান্তির পথে আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবো। সেখানে তোমাদের এঁকে দেয়া ভৌগোলিক সীমারেখার আমরা কোনো তোয়াক্কা করব না। দীর্ঘ কাল যাবৎ তোমরা গোটা বিশ্বকে শান্তি শৃঙ্খলার সঙ্গে বসবাস করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত রেখেছো। তোমাদের স্বার্থ ও বিনোদনের জন্য ধোঁকা, প্রতারণা ও অস্ত্রশস্ত্রের মাধ্যমে তোমরা বিশ্বকে সত্যিকার শান্তি শৃঙ্খলার বাতাস থেকে বঞ্চিত রেখেছো।
***
স্বৈরাচারী শাসকদের দৃষ্টিকোণ থেকে:
পুরো বিশ্ব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং আরব শাসক গোষ্ঠীর হাস্যকর, বিরক্তিকর সিরিজ নাটক প্রত্যক্ষ করেছে। কিসিঞ্জার এবং আরব শাসকদের ঘটনাবলী আরও চক্রান্তময় ও উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। অবশ্য কিসিঞ্জারের সাথে অংশগ্রহণকারী শাসকগোষ্ঠী প্রভাবশালী ছিল। অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের পা চাটা গোলামদের ব্যাপারটা কিন্তু তাদের থেকে আলাদা। তাদের অবস্থান কারো পরিচিত নয়।
আশ্চর্যের বিষয় এই যে, তারা (ইহুদী, পশ্চিমা বিশ্ব, আরব শাসক গোষ্ঠী) এবং কতক মুসলিম মনে করে যে, এই রাজনৈতিক ঘটনাবলী গাজার ভূমিতে রক্তাক্ত দৃশ্যকে হালকা করে তুলবে। না, খোদার কসম! তোমরা এই ভূমিতে যে আগুন জ্বালিয়েছো, তা কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই তোমাদেরকে জাহান্নামে পৌঁছে দিবে।
বিশ্বের মানুষ গাজাকে সমর্থন করার জন্য জেগে উঠেছে। বিশাল বিশাল বিক্ষোভ, সমাবেশ মানুষকে হতাশার দিকে নিয়ে যাবে না, বরং পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাবে। যদি তোমাদের কাছে অস্ত্র থাকে; তবে জনগণেরও নাগরিক বিদ্রোহের অধিকার ও সুযোগ আছে। তাদের কতকের কাছে কিছু অস্ত্রশস্ত্রও আছে। খুব শীঘ্রই উম্মাহর এই উত্থান বিদ্রোহের চূড়ান্ত রূপ লাভ করবে, যা এই আগুন প্রজ্জ্বলনকারীদেরকে পুড়িয়ে ছাই করে দিবে।
শাসকদের অপমানজনক অবস্থান, ধর্ম ও মানবতার শত্রুদের কাছে তাদের লজ্জাজনক নতি স্বীকার, রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে তাদের লজ্জাজনক দাঁড়িয়ে থাকা এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের গেটে মনিবদের কাছে অনুমতির অপেক্ষায় থাকা—এসবের কথা আর কি বলবো? জাতিসংঘের কাছে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন করা এবং অনুগ্রহ ভিক্ষা করা কতটা অপমানজনক! এই ভিক্ষার অর্থ কী? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কি এই যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষমতা আছে? এই ভিক্ষার কি অর্থ? ইহুদীরা কি কখনো জাতিসংঘের জারি করা সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে? জাতির জনগণ ০৭ই অক্টোবরের বার্তা বুঝতে পেরেছে, কিন্তু তোমরা এখনো তোমাদের আগের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছো।
মিশর, জর্ডান, লেবানন, সিরিয়া এবং হারামাইন শরীফাইনের ভূমির মতো ইসলামী দেশের শাসকদের কাছ থেকে জাতি এই অবস্থান আশা করেছিল যে, তারা প্রথমত তাদের সেনাবাহিনীকে একত্রিত করবে। এরপর তাদের প্রশিক্ষিত বিশেষ বাহিনীকে ঠিক ঐ কাজের জন্য সুযোগ তৈরি করে দিবে, মুজাহিদীনের বিশেষ বাহিনীর মাধ্যমে যে কাজ সম্পাদিত হয়েছে।
নিশ্চয় ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা এবং মর্যাদার সাথে আমাদের সংগ্রামী জীবনের বিজয় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বিপরীতে পরাজয়, ব্যর্থতা ও বিপর্যয় এগুলো মূলত অত্যাচার ও নিপীড়নেরই প্রতিফলন। ফিলিস্তিন যে সময়টাতে আগ্রাসনের কবলে পড়ে, তখন কি রাজনৈতিক নিপীড়নের পরিবেশ বিরাজ করছিল না? ফিলিস্তিনের সরকার সে সময় জনগণের সামনে বড়াই জাহির করছিল কিন্তু শত্রুদের সামনে তারা ঠিকই নিরুপায় নিরীহ ছিল। এমনটাই কি হয়নি?
এ থেকেই আমরা বুঝতে পারি, মুসলিম রাষ্ট্রগুলি চলমান ইস্যুতে যা কিছু করেছে, সেগুলো তথাকথিত মুসলিম সরকারগুলোর ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা নয় বরং এগুলো মূলত জনগণের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার অভিব্যক্তি। নেতিবাচক বিক্ষোভের মাধ্যমে তাদের এই অভিব্যক্তি প্রকাশিত হয়েছে। এটি এমন একটি পরিস্থিতি, যা আমেরিকা এবং তার পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া ছোট্ট জায়নবাদী রাষ্ট্র এই পর্যায়ে মেনে নিতে পারে।
(অর্থাৎ এ জাতীয় বিক্ষোভ প্রদর্শনকে আমেরিকা ও ইহুদীবাদী রাষ্ট্র ততটা খারাপভাবে বিবেচনা করবে না। সংঘাতের এই পর্যায়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদেরকে তারা সরাসরি সশস্ত্র লড়াইকারীদের তুলনায় সহজভাবেই গ্রহণ করবে। তাদের প্রতি এতটা রাগান্বিত ও রুষ্ট হবে না, যতটা উত্তেজিত হয়ে থাকে সশস্ত্র সংগ্রামের কথায়। তাইতো গাজার জনগণের উপর তারা উন্মত্তের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে।) (উপর্যুক্ত যে বিষয়টা বলা হলো তার দাবি ছিল, বিক্ষোভ প্রদর্শনের এই সারিতে কোনো উল্লেখযোগ্য মুসলিম দেশ পিছিয়ে থাকবে না)
কিন্তু সত্যিই আমি অবাক হই: মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জাযীরাতুল আরবের মুসলিম জনসাধারণ কোথায়? তারা কি বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছে? নাকি অত্যাচারী যুবরাজ বিন সালমান এবং তার নির্বোধ ভাইয়েরা তাদেরকে বারণ করেছে!
হে আমাদের প্রিয় উম্মাহ!
এমন বিক্ষোভের কোনো মানে নেই, যেটা শাসক গোষ্ঠীকে উৎখাত করার জন্য ব্যবহার করা না হয়। যারা আপনাদেরকে হাতকড়া পরিয়ে দেয়, আপনাদের প্রভুর ইচ্ছা অনুযায়ী ভবিষ্যৎ নির্মাণের পথে আপনাদের সামনে বাধা সৃষ্টি করে, তাদের সাথে কোনো সমঝোতা নেই। যদি এদেরকে উৎখাত করা যায়, তবেই গোটা বিশ্বের সর্বত্র উম্মাহর সন্তানদের সাহায্যের জন্য আপনারা অগ্রযাত্রা করতে পারবেন। দুর্বলদের ডাকে আপনারা সাড়া দিতে পারবেন এবং শাশ্বত ঐশ্বরিক বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার পথ উন্মুক্ত হবে।