Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ২৮ || “এই তো গাযা… উম্মাহর অগ্রবাহিনী আজ বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত ,, [যুদ্ধের পঞ্চম সপ্তাহ] ” ।। সালেম আল শরীফ || শেষ পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ২৮ || “এই তো গাযা… উম্মাহর অগ্রবাহিনী আজ বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত ,, [যুদ্ধের পঞ্চম সপ্তাহ] ” ।। সালেম আল শরীফ || শেষ পর্ব

    আন নাসর মিডিয়া পরিবেশিত
    এই তো গাযা
    উম্মাহর অগ্রবাহিনী আজ বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত

    [যুদ্ধের পঞ্চম সপ্তাহ]

    ।।সালেম আল শরীফ||

    এর থেকেশেষ পর্ব


    আমেরিকা ও ইউরোপবাসীর জন্য ‘অসহযোগ আন্দোলন’ এরপ্রয়োজনীয়তা:

    যারা আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির (যে দেশের সরকারগুলো ইহুদীদেরকে আকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে) গণ-বিক্ষোভগুলোতে অংশ নিয়েছে, তাদের জন্যও এই অসহযোগ আন্দোলন প্রয়োজন। যদি আপনাদের বিক্ষোভগুলো দেশের ভেতরের ও বাহিরের জালিম সরকারের অন্যায় ব্যবস্থা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে মৌলিক কোনো পরিবর্তন সাধন করতে না পারে, গাজাবাসী সহ অন্যান্য মজলুমের বিরুদ্ধে ইহুদীদের পরিচালিত গণহত্যা অভিযান যদি বন্ধ না হয় এবং সহজ ও মসৃণ পন্থায় ঔপনিবেশিকতার যুগের অবসান যদি না ঘটে, তবে আপনাদের প্রচারাভিযান ও জনসমাগমের কোনো মানে নেই। আপনারা প্রতিটি সংঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আপনারা আপনাদের সন্তান ও অর্থ-সম্পদ হারাবেন ঠিক, আবার মানুষ হিসাবে নিজেদেরকেও হারিয়ে বসবেন।

    আপনাদের শাসক এবং তার পিছনে দাঁড়ানো অর্থলোভী ও সুবিধাভোগী শ্রেণি সবকিছু লুণ্ঠন করবে। আপনারা বিভিন্ন রকম নৃশংসতা সহ্য করতে বাধ্য হবেন এবং সারা বিশ্বের নিপীড়িতদের প্রতিক্রিয়া দ্বারা পীড়িত হবেন। এখনো কি আপনাদের এই প্রশ্নের জবাব প্রয়োজন?—“কেন মানুষ আপনাদেরকে অপছন্দ করে?”

    আপনারা আপনাদের দেশে এমন বাস্তবমুখী কিছু করুন, যেন আপনাদের প্রতি মানুষের এই অপছন্দ ভাব দূর হয়ে যায়।

    (ম্যালকম এক্স নামে পরিচিত) মালিক আল-শাহবাজ এবং তাঁর সহযোগী মুহাম্মদ আলী ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে জুনিয়রের (Cassius Marcellus Clay Jr.) সিদ্ধান্তটা যেন আপনাদের সামনে থাকে। তা হল- আপনাদের বিক্ষোভ ইত্যাদি যেন জালিম সরকারের হাতের অস্ত্র না হয়ে দাঁড়ায়। এই উভয়জনের আদর্শ আপনাদের সামনের চলার পথকে আলোকিত করবে। মুহাম্মাদ আলী ক্লে সমগ্র বিশ্বের সম্মান অর্জন করেছিলেন। নিজেদের আদর্শের উপর অটল-অবিচল থেকে সকল অধিকার পুনরুদ্ধারে তারা সংগ্রাম করেছেন।

    হোয়াইট হাউস, কংগ্রেস এবং তাদের পিছনে থাকা ইহুদী অর্থদাতাদের নির্দেশ অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকুন। আপনাদের সন্তানদেরকে আপনাদের শাসকবর্গের পক্ষে যুদ্ধে যেতে বাধা দিন। নইলে তারা যুদ্ধের জ্বালানি হবে। আপনারা কর দেয়া থেকে বিরত থাকুন। যেগুলো ব্যয় করে গাজায় মজলুমদেরকে হত্যা করা হয়, সেগুলো কি আপনাদের দেয়া অর্থ-সম্পদ নয়? এই নৃশংস, অন্যায় রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তগুলো কি এমন প্রতিশোধ স্পৃহা তৈরি করছে না, যা দিনের পর দিন চলে গেলেও মোচন করা যাবে না?

    বরং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই প্রতিশোধ স্পৃহা বয়ে চলবে এবং অবশেষে প্রতিশ্রুত দিন এসে উপস্থিত হবে। আপনারা কি ঠিক ওই মুহূর্ত পর্যন্ত শুধু নীরব দর্শকের মতো দেখেই যাবেন, যখন আপনাদের দুর্দশার পালা আসবে? সে সময় আপনারা তিক্ততা অনুভব করবেন, যেমন করে আজ গাজার মজলুম জনগণ তিক্ততা অনুভব করছে?

    পশ্চিমের শক্তি শেষ হয়ে গেছে। তাদের অহংকারের সময়টা আর নেই। ঋণ পরিশোধের সময় ঘনিয়ে আসছে। তাদের সামরিক সরঞ্জামাদি আফগানিস্তান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে।

    ইউরোপ সম্পর্কে কথা হলো, এটি কার্যত শক্তিহীন। আপনাদের আদরের সন্তান - জায়নবাদী সত্তা - কিছু বীর সিংহের আঘাতে ভেঙে পড়েছে। সবকিছু স্পষ্ট হয়ে গেছে। আমেরিকান সামরিক নীতি নির্ধারকদের বিরুদ্ধে আপনাদের বিদ্রোহের সিদ্ধান্ত এখন আপনাদের হাতে। আপনাদের নাগরিক অবাধ্যতা ও ‘অসহযোগ আন্দোলন’ এই শাসন ব্যবস্থার পতন ঘটাবে।

    আপনাদের বাহু দিয়ে এমন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন, যা আপনাদের দেশকে মানবিক ব্যবস্থার মাঝে স্থান দেবে। আপনাদের হৃদয় উন্মুক্ত করুন এবং শাশ্বত ঐশ্বরিক বার্তাটি গভীরভাবে শুনুন। নিজেদের জন্য এই দুনিয়া ও পরকালের সুখ বেছে নিন, কারণ দীন কবুলের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ইরশাদ করেছেন:

    لَا إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ ۖ قَد تَّبَيَّنَ الرُّشْدُ مِنَ الْغَيِّ ۚ فَمَن يَكْفُرْ بِالطَّاغُوتِ وَيُؤْمِن بِاللَّهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَىٰ لَا انفِصَامَ لَهَا ۗ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ﴿٢٥٦﴾‏

    অর্থঃ দীনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা গোমরাহকারী তাগুতদেরকে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন।” [সূরা বাকারা ০২: ২৫৬]

    এখন আপনাদের ইচ্ছে আপনারা কি করবেন।

    ***

    হে আমেরিকা ও ইউরোপের অধিবাসীগণ!

    যদি পরিস্থিতি আগের মতোই থাকে; এমন দিন আসবে যখন আমেরিকা ও ইউরোপ গর্বিত গাজায় সংঘটিত আক্রমণের চেয়েও মারাত্মক আক্রমণের শিকার হবে। সেই সময় আপনারা আপনাদের পীড়া ও দুর্দশার জন্য দায়ী ইহুদীদেরকে অভিশাপ দেবেন। বাইডেনের সমাধিতে আপনারা পাথর নিক্ষেপ করবেন। সেই দিনটি কি খুব নিকটে নয়? আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ইরশাদ করেছেন:

    وَقَدْ مَكَرَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَلِلَّهِ الْمَكْرُ جَمِيعًا ۖ يَعْلَمُ مَا تَكْسِبُ كُلُّ نَفْسٍ ۗ وَسَيَعْلَمُ الْكُفَّارُ لِمَنْ عُقْبَى الدَّارِ﴿٤٢﴾‏

    অর্থঃ তাদের পূর্বে যারা ছিল, তারা চক্রান্ত করেছে। আর সকল চক্রান্ত তো আল্লাহর হাতেই আছে। তিনি জানেন প্রত্যেক ব্যক্তি যা কিছু করে। কাফেররা জেনে নেবে যে, পর জীবনের আবাসস্থল কাদের জন্য রয়েছে।” [সূরা রাদ ১৩: ৪২]

    আপনাদের আজকের ‘অসহযোগ আন্দোলন’ আপনাদেরকে অন্ধকার ভবিষ্যৎ ও অতল গহ্বর থেকে রক্ষা করবে।


    ***


    উপসংহার:


    মুসলিম উম্মাহর করণীয়:

    সকল মানুষের উচিত এই ঘটনার গুরুতর দিক সম্পর্কে সচেতন থাকা। কারণ ফিলিস্তিনে আমাদের ভাইদের গণহত্যা, তাদের সম্পদ ধ্বংস সাধন এবং তাদেরকে তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করার অপচেষ্টা এমন এক বিষয়, যা হৃদয়বানদের অন্তর ভেঙে দেয়। এ বিষয়গুলো কখনো কখনো তাদের হতাশ করে এবং তাদের অসহায়ত্বের অনুভূতিকে গভীর করে। কিন্তু আমরা মুসলিমরা কখনো হতাশ হই না; ভেঙে পড়ি না। যতক্ষণ আল্লাহর প্রতি আমাদের আস্থা আছে, আমরা কিছুতেই নিরাশায় ডুবে যাই না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ইরশাদ করেছেন:

    قُلْ هَلْ تَرَبَّصُونَ بِنَا إِلَّا إِحْدَى الْحُسْنَيَيْنِ ۖ وَنَحْنُ نَتَرَبَّصُ بِكُمْ أَن يُصِيبَكُمُ اللَّهُ بِعَذَابٍ مِّنْ عِندِهِ أَوْ بِأَيْدِينَا ۖ فَتَرَبَّصُوا إِنَّا مَعَكُم مُّتَرَبِّصُونَ﴿٥٢﴾

    অর্থঃ আপনি বলুন, তোমরা তো আমাদের জন্যে দুটি কল্যাণের একটি প্রত্যাশা কর; আর আমরা প্রত্যাশায় আছি তোমাদের জন্যে যে, আল্লাহ তোমাদের আযাব দান করুন নিজের পক্ষ থেকে অথবা আমাদের হস্তে। সুতরাং তোমরা অপেক্ষা কর, আমরাও তোমাদের সাথে অপেক্ষমাণ।” [সূরা তাওবা ০৯: ৫২]

    হতাশা আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করবে না। বরং, অপ্রতিরোধ্য সত্য হল: আমরা এবং মুসলিম উম্মাহ এখন ক্ষুব্ধ। এই ঘটনাগুলো আপনাদের (ইউরোপ ও আমেরিকার জনগণদের) হৃদয়কেও নাড়া দিয়ে যাওয়া উচিত। ইহুদী ও ক্রুসেডার পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে যতটা ক্রোধ আমাদের জাগ্রত হয়, তার চেয়ে বেশি আপনাদের মনে এ ঘটনাগুলো রেখাপাত করা উচিত। কারণ হক বাতিলের মধ্যকার দ্বন্দ্ব চিরকাল চলবে যতদিন না আল্লাহ এই পৃথিবী এবং এতে থাকা সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন।


    আমাদের অবশ্যই এই ক্রোধকে সঠিক দিকে পরিচালিত করতে হবে। এই ক্রোধ নিজেদেরকে প্রকাশ করার জন্য নয়। চলমান সমস্যায় আমাদের অধিকারের প্রতি আমাদের বিশ্বাস রয়েছে। এই বিশ্বাসের পর আমাদের পুরোটুকু ক্ষোভ ও ক্রোধ আমরা নিয়োজিত করতে চাই আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শক্তি তৈরির পেছনে। সর্বত্র সমস্ত ক্ষুব্ধ মানুষকে অবশ্যই নিজেদের ক্রোধকে উপযুক্ত ক্ষেত্রের দিকে নিয়ে যেতে হবে। এটি ইহুদীবাদী ও ক্রুসেডারদের প্রজ্বলিত আগুন। আপনারা এ থেকে রেহাই পাবেন না। যারা এ আগুন জ্বালিয়েছে তারা নিজেরা অচিরেই সেই আগুনে পুড়বে।

    এবার আসি উম্মাহর সন্তান মুজাহিদীন বিশেষ করে কেনান, জর্ডান, সিরিয়া, জাযীরাতুল আরব এবং সারা বিশ্বের আল-কায়েদার মুজাহিদীনের করণীয় কি হবে?


    সারা বিশ্বের মুজাহিদীনের করণীয়:

    আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আপনারা যে ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা আপনাদেরকে অবশ্যই পালন করতে হবে। আপনাদেরকেও গাজার মুজাহিদীনের সঙ্গে মিলে বিপ্লবমুখী উম্মাহর অগ্রদলে শামিল হতে হবে। প্রত্যেককেই নিজের রণাঙ্গনে নিজ নিজ ফ্রন্টে কাজ করতে হবে।

    একইভাবে আপনাদেরকে এমন বিস্তৃত ছাতা হতে হবে, যার ছায়ায় সকলের স্থান হয়ে যায়। জনগণের ভেতর থেকে উঠে আসা সকল আন্দোলন সেই ছায়াতলে অবস্থান গ্রহণ করতে পারবে। উম্মাহকে উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধ করতে পারবে এবং উম্মাহর প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পালন করতে পারবে।


    লেখক, কবি এবং কলম সৈনিকদের করণীয়:

    এরকম আন্তরিক যারা রয়েছেন, তাদের জন্য কলম যুদ্ধ বন্ধ করা উচিত নয়। আপনারা যোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধি করার জন্য, আবেগ জাগিয়ে দেবার জন্য, চেতনার বিচ্ছুরণ ঘটানোর জন্য, বাস্তবতা তুলে ধরার জন্য, জনগণের ভেতর থেকে উঠে আসা সকল আন্দোলনকে সমর্থনের জন্য কলম যুদ্ধে আত্মনিয়োগ করবেন। আপনাদের প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও প্রকাশনাগুলো যেন এমন গর্জনকারী জলধারা ও অপ্রতিরোধ্য প্রবাহের মত হয়, যা কোন ঘটনা বা ইস্যু থেকে পিছিয়ে পড়বে না। আপনাদের রচনা ও প্রকাশনা যেন ইতিবাচক কার্যক্রমের চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে।

    মসজিদগুলোর ইমাম সাহেবগণ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও জামিয়াগুলোর শিক্ষকদের করণীয়:

    বৈপ্লবিক কার্যক্রমে আপনাদের ভূমিকা কি হবে?

    আপনাদের ভূমিকা হল দিক-নির্দেশনা দেয়া, পথ দেখিয়ে দেয়া। অস্ত্র হাতে মুজাহিদীনের ভূমিকা থেকে আপনাদের কাজের গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয়। আপনারা আপনাদের শ্রোতা, শিক্ষার্থী, কর্মী, সমর্থক, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং আপনাদের অর্থ-সম্পদ কোনো কিছুই বৈপ্লবিক কার্যক্রমে নিয়োগ করা থেকে বিরত থাকবেন না। বৈপ্লবিক কার্যক্রম এ পক্ষের কাজ, সে পক্ষের নয় - এমনটা ভাবলে ভুল হবে। বিপ্লবের জন্য সামগ্রিকতা প্রয়োজন। এটা গোটা উম্মাহর দায়িত্ব ও কর্তব্য। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ইরশাদ করেছেন:


    قُلْ يَا قَوْمِ اعْمَلُوا عَلَىٰ مَكَانَتِكُمْ إِنِّي عَامِلٌ ۖ فَسَوْفَ تَعْلَمُونَ مَن تَكُونُ لَهُ عَاقِبَةُ الدَّارِ ۗ إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الظَّالِمُونَ﴿١٣٥﴾‏

    অর্থঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা তোমাদের জায়গায় থেকে কাজ করে যাও আমিও কাজ করে যাচ্ছি। কারণ অচিরেই তোমরা জানতে পারবে পরকালীন শুভ পরিণাম কার জন্য। নিশ্চয়ই জালিমরা সফল হবে না।” [সূরা আনআম ০৬: ১৩৫]

    কারখানা ও কোম্পানির পরিচালক, শ্রমিক, কর্মকর্তা, ক্ষেত-খামারের কৃষক, অর্থশালী বিত্তবান শ্রেণি এবং উম্মাহর অন্যান্য সেক্টরের ব্যক্তিদের করণীয়:

    বিপ্লবের ময়দান খুবই বিস্তৃত। সকলেই সেই ময়দানে উপস্থিত হতে পারবে। তাই আসুন! আমরা গাজায় আমাদের ভাই-বোনের ডাকে সাড়া দিয়ে অগ্রসর হই। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ইরশাদ করেছেন:

    وَالَّذِينَ صَبَرُوا ابْتِغَاءَ وَجْهِ رَبِّهِمْ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَأَنفَقُوا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً وَيَدْرَءُونَ بِالْحَسَنَةِ السَّيِّئَةَ أُولَٰئِكَ لَهُمْ عُقْبَى الدَّارِ ﴿٢٢﴾‏

    অর্থঃ এবং যারা স্বীয় পালনকর্তার সন্তুষ্টির জন্যে সবর করে, নামায প্রতিষ্ঠা করে আর আমি তাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্য ব্যয় করে এবং যারা মন্দের বিপরীতে ভাল করে, তাদের জন্যে রয়েছে পরকালের গৃহ।” [সূরা রাদ ১৩: ২২]





    আরও পড়ুন​

  • #2
    আল্লাহ তাআলা পাঠচক্র এর সকল পর্বগুলোকে কবুল করুন। উম্মাহর জন্য উপকারী বানান। আমীন
    আল্লাহ আপনাকে জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment

    Working...
    X