Announcement

Collapse
No announcement yet.

দাওয়াতের তরিকার মধ্যে বাড়াবাড়ি কেন সৃষ্টি হয়? || "পর্ব - ৪"

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দাওয়াতের তরিকার মধ্যে বাড়াবাড়ি কেন সৃষ্টি হয়? || "পর্ব - ৪"

    দাওয়াতের তরিকার মধ্যে বাড়াবাড়ি কেন সৃষ্টি হয়?

    "পর্ব - ৪"

    চতুর্থ কারণ: তাড়াহুড়া এবং দাওয়াতের ইতিহাস বিষয়ে অজ্ঞতা

    দাওয়াতের তরিকার মধ্যে কঠোরতার বড় একটি কারণ হলো তাড়াহুড়া প্রবণতা। অনেক সময় ভালো ভালো মানুষও এর শিকার হয়ে যায়। যখন সে দেখে যে, দ্বীনদার শ্রেণি; বিশেষ করে ওলামায়ে কেরাম এবং দ্বীনী রাজনৈতিক দলগুলো তার সাথে নেই, তারা নীরব ভূমিকা পালন করে অথবা তার সাথে কোন বিষয়ে মতবিরোধ করে, তখন তার ধৈর্য ছুটে যায়। এর ফলে দাওয়াতে কঠোরতা সৃষ্টি হয়ে যায়। আমাদের সামনে যদি আমরা দাওয়াতের ঐতিহাসিক বাস্তবতা রাখি, তাহলে এই কঠোরতা করবো না। বাস্তবতাটা হলো, যখনই এমন কোন বিপ্লবের সূচনা হয়েছে যার দ্বারা পূর্বের শাসনব্যবস্থা উল্টে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সে দাওয়াতে মানুষের অংশগ্রহণ সহজ নয়। বর্তমানে আমাদের দাওয়াত কবুল করা শাসন ব্যবস্থার সাথে লড়াই করা সমস্ত বিপদকে ডেকে আনার মতো ।

    এজন্য এই ধরণের দাওয়াতের ফলে মানুষ তিন শ্রেণিতে বিভক্ত হয়ে যায়।
    .
    ১. সত্যসন্ধানী, সুউচ্চ মনোবলসম্পন্ন মানুষই এই দাওয়াতে ‘লাব্বাইক’ বলে। এরা নিজেই নিজের ওপর মুসিবতের পাহাড় বহন করার জন্য সামনে অগ্রসর হয়। এই শ্রেণি সর্বদা স্বল্পসংখ্যক হয়।
    .
    ২. দ্বিতীয় শ্রেণি তারা যারা নেতৃত্বের আসনে থাকে অথবা যারা প্রচলিত ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত থাকে। এই শ্রেণি এই আন্দোলনের বিরোধিতা করে এবং এটাকে নির্মূল করার জন্য মাঠে নেমে আসে।
    .
    ৩. তৃতীয় শ্রেণি, যারা স্বাভাবিক জীবনযাপনে নিমজ্জিত। এদের অনেকেই হক-বাতিলের মাঝে পার্থক্য করার ইচ্ছা রাখে এবং হকের সাথে থাকতে আগ্রহী। কিন্তু তাদের ক্ষমতাসীনদের ভয় প্রবল। এজন্য অনেক লাভকে ছেড়ে দেয়া এবং বহু ক্ষতি গ্রহণ করতে তাদের মন তৈরি হয় না। যতক্ষণ পর্যন্ত এই আন্দোলন শক্তিশালী না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তার মধ্যে এই আন্দোলনকে গ্রহণ করার জযবা তৈরি হয় না। সে অবস্থা পরিবর্তনের অপেক্ষায় থাকে। যখন এই আন্দোলন শক্তিশালী হওয়া শুরু করে তখন এই শ্রেণি দলে দলে সাহায্য করা ও সমর্থন দেওয়ার জন্য অগ্রসর হয়।
    .
    এটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাওয়াত ও তাঁর দাওয়াতি কাফেলার ইতিহাস। যতক্ষণ পর্যন্ত মক্কার মুশরিকদের শক্তি খর্ব না হয়েছে ততদিন মুসলমানের সংখ্যা কম ছিলো। এরপর যখন মক্কা বিজয় হলো তখন দলে দলে মানুষ মুসলমান হওয়া শুরু হলো।

    إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّـهِ وَالْفَتْحُ ﴿١﴾ وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّـهِ أَفْوَاجًا

    অর্থ: যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে (১) এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, (২) [সূরা আন-নাসর ১১০:১-২]

    সুতরাং সংখ্যাধিক্য, সেটা সাধারণ মানুষের হোক বা দ্বীনদার শ্রেণির হোক, তাদের নীরব অবস্থান বা কিছু বিরোধিতা দেখে জি#হা\দের দাঈ ধৈর্যহীন হবে না। এটা কখনই হয়নি যে, জি#হা\দি আন্দোলন কঠিন স্তর পার করছে আর সমাজের অধিকাংশ মানুষ তাদের সাথে আছে। সুতরাং আমাদের এই সংখ্যাধিক্যের সাথে (خُذِ الْعَفْوَ وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ وَأَعْرِضْ عَنِ الْجَاهِلِينَ) ”ক্ষমাকে গ্রহণ করুন, সৎ কাজের নির্দেশ দান করুন এবং মূর্খদেরকে এড়িয়ে চলুন” এর ওপর আমল করতে হবে।

    (খুযিল আফওয়া) অর্থাৎ যতটুকু সাহায্য ও কল্যাণকামিতা তারা আপনার সাথে করতে পারে কৃতজ্ঞতার সাথে তা গ্রহণ করুন। (ওয়া’মুর বিল উরফ) অর্থাৎ দরদের সাথে দাওয়াত, ইসলাহ, উৎসাহদান ও দিকনির্দেশনার কাজ চালু রাখুন। দলিল প্রমাণের মাধ্যমে তাদের বুদ্ধিকে কাবু করুন। তাদের মধ্য থেকে যারা (জবান ও কলম দ্বারা ) মূর্খতা প্রকাশ করে তাদেরকে এড়িয়ে যান। আপনার জ্ঞান, বুদ্ধি, অ/স্ত্র যেন কুফুরি শাসনব্যবস্থা নির্মূল করার কাছে ব্যয় হয়। অন্য কাজে যেন সময় নষ্ট না হয়।
    .
    .
    টিকা –
    .
    [১]সূরা আন-নাসর ১১০:১-২

    .
    দাওয়াতের পদ্ধতি ও জি@হা/দি মানহাজের হেফাযত
    উস্তাদ উ@স]ম। ম]হ-মুদ হাফিজাহুল্লাহ​

  • #2
    আল্লাহ তাআলা আমাদের তাড়াহুড়া প্রবণতা থেকে হিফাজত করুন, আমীন

    Comment

    Working...
    X