জিহাদি আন্দোলনের রাস্তায় আসল বাধা
আমরা এটা মানছি যে, দ্বীনদার নেতাদের এক শ্রেণি খুব দুনিয়াদার। এটাও মানছি যে, সমষ্টিগতভাবে এই দ্বীনী র|জনৈতিক দলগুলোর কাজ সঠিক নয়। তাদেরই কারণে কু'ফু;রি শ|স'নব্যবস্থা শক্তি পাচ্ছে। ত|গু"তি শ|স'নব্যবস্থা তাদেরকে ইসলামের বিপক্ষে ব্যবহার করছে। এবিষয়ে সবাই একমত। রোগ নির্ণয়ে মতবিরোধ নেই, প্রশ্ন হলো চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে।
.
যদি আপনি এই সেকু$ল|র, দ্বীনের দু.শ"মন শ্রেণি, জ|লি;ম র|ষ্ট্রের অ$স্ত্র"ধারী রক্ষীবাহিনীকে ছেড়ে, এই দ্বীনদারদের হিসাবনিকাশ শুরু করেন, তাদের বি'রু;দ্ধে কু'ফু;রির ফতোয়া খুঁজতে থাকেন, তাহলে এটা চিকিৎসা নয়, বরং রোগবৃদ্ধি। এই শ্রেণি বর্তমান সময়ে জিহাদি আন্দো;লনের পথে আসল বাধা নয়। এরা নিঃশেষ হয়ে গেলেও আপনার কাজ শেষ হবে না।
.
এখানে আসল বাধা হলো, ওই সকল ধ'র্মহীন নেতারা যারা অ$স্ত্র", জু&লু!ম ও নিজেদের ভাড়া করা খু$নিদের মাধ্যমে জীবনের সর্বক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করছে। এরাই ব;ন্দু*ক উঁচিয়ে সাধারণ মানুষকে গো'লা'ম বানিয়ে রেখেছে। কু'ফু;র নেফাকের চিহ্নধারী শ|স*কশ্রেণি, টাকা পয়সার গো'লা'ম জেনারেলরা এবং মুসলমানদের হত$|কারী এই ভাড়াটে খু$নিরা এমন এক ক্ষত, যাদের অস্তিত্বের কারণেই সমস্ত ফাসাদের মূল -এই কু'ফু;রি শ|স'নব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত আছে। এরাই ওই ধোঁকা*বাজ শ্রেণি যারা এসমস্ত দ্বীনদারদেরকে আমাদের বি'রু;দ্ধে লাগিয়ে দিয়েছে। এই দ্বীনের শ"ত্রু"রা চায় আমরা দ্বীনদার শ্রেণির সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত থাকি, তাতে তারা বেঁচে যায়। এরপর তারা দ্বীনদারদের মাঝে অনৈক্য দেখিয়ে দ্বীনকেই দোষ|রোপ করে। তারা প্রোপ|গ|ন্ডা ছড়ায়, ধ'র্মই যত সমস্যার মূল, এজন্যই দ্বীনদাররা ঝগড়ায় লিপ্ত। অর্থাৎ এক তীরে দুই শিকার হয়ে যায়।
.
এমন অবস্থা হলে তো আমাদের দাওয়াত বদ-দ্বীন নয়, দ্বীনদ|রদের হাতেই নিঃশেষ হয়ে যাবে। আমরা যতই এই দ্বীনদ|রদের বি'রু;দ্ধে ফতোয়া লিখবো, তাদের বি'রু;দ্ধে ঝ*গড়|র ময়দান গরম করবো, ততই আমাদের দাওয়াত অস্পষ্ট হতে থাকবে এবং আমরা লক্ষ্য থেকে দূরে সরতে থাকবো। এরপর আমাদের আন্দো;লন খুব দ্রুত একাকীত্বের শিকার হয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
তাই আমরা এসব দ্বীনদ|রদের সাথে ফতোয়ার ভাষায় কথা বলব না, দাওয়াতের ভাষায় কথা বলবো। হু'ম"কি-ধ'ম"কি, অপদস্থকরণ, গ|লি-গ|ল|জ নয়, বরং দলিল-প্রমাণ, দরদ-ব্যথার সাথে দাওয়াত দেয়া শিখে নিব। আর এর শ*রয়ী আহকামও জেনে নেয়া জরুরি, যাতে নিজেদের থেকে ইতেদাল না ছুটে না যায়।
.
আ*ই$এস থেকেও নিকৃষ্ট চিন্তা
.
দ্বীনী র|জনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গ দ্বীনদার। তাদের সাথে কয়েক বিষয়ে আমাদের ঐক্য রয়েছে। আর কয়েক বিষয়ে মতবিরোধ আছে। তাদের মধ্যে ভালোও, আছে খারাপও আছে। সেকু$ল|র দলগুলোর তুলনায় তারা আমাদের মিত্র। প্র"তি"পক্ষ নয়। ধ'র্মহীনদের তুলনায় তাদের ও আমাদের অনেক বিষয়ে মিল আছে। আর দাঈর তো চাহিদাই থাকে মিল থাকা বিষয়কে তালাশ করা। তারপর সামনে অগ্রসর হয়ে ব|তি"ল বিষয়কে ব|তি"ল প্রমাণ করা। তারপর যোগ্যতা ও আখলাকের বিচারেও এই দ্বীনদ|ররা সবাই এক কাতারে নয়।
.
আমি আবারও বলছি, প্রচলিত শ|'স'নব্যবস্থার কথা হচ্ছে না। এটা তো কু'ফু;রি। এই ব্যবস্থায় শ*রয়ী তাবিলের ভিত্তিতে ইসলামের নামে যারা এতে অংশগ্রহণ করে তাদের কথা বলছি। এরা কি ক|ফে*র? নাউজুবিল্লাহ! কখনও নয়। তাদের শরয়ী হুকুম ওলামায়ে জি/হ|@দ বর্ণনা করেছেন। এই দ্বীনদার শ্রেণিকে ক|ফে*র বলা, সাধারণ মানুষকে ভোটের কারণে ক|ফে*র বলা অথবা হিলা-বাহানার দ্বারা মুসলমানের জ|ন-মালকে জায়েয বানানো বড় ধরনের বাড়াবাড়ি। আর এটা ওই তাকফিরি চিন্তা, যা আলজেরিয়া থেকে শাম, ইরাক পর্যন্ত জি/হ|@দি দাওয়াতকে ধ্বংস করেছে। এই চিন্তার অধিকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এমন ব্যক্তিও ছিল, যারা মুখে সাধারণ মুসলমানদেরকে বা অন্যান্য দ্বীনদারকে ক|ফে*র বলত না। তাদের কাছে যদি জানতে চাওয়া হয়, তাহলে সাধারণ মুসলমানদেরকে মুসলমানই বলত। কিন্তু তাদের কাজ ছিলো পুরোপুরি এই দাবির বিপরীত।
.
তারা এমন দলান্ধ ছিলো, তাদের দলের বাইরের সাধারণ মুসলমান তো পরের কথা দ্বীনদার, মু"জ|হি;দদের সাথে পর্যন্ত ক|ফে*র বা কমপক্ষে বিদ্রোহী মানুষের মতো আচরণ করত। তাদের জীবন, সম্পদ, সম্মানকে খুব হালকা করে দেখত। নিজেদের বানানো তাবীল দ্বারা তাদের জ|ন মাল নিজেদের জন্য বৈধ করে নিত। কেন? কারণ কী ছিল?
কারণ শুধুমাত্র নিজের দলে না থাকা। অমুক লোক মুসলমান, দ্বীনদার, মু"জ|হি;দও । শরিয়ত তার জ|ন মাল ইজ্জতকে সংরক্ষিত বলে। কিন্তু এই লোকেরা শুধুমাত্র এই কারণে তাকে সহ্য করে না যে, সে তাদের দলে নেই কেন? কেন সে আমার দলকে শ;ক্তিশালী করে না?
.
এই চিন্তার অধিকারী ব্যক্তিরা সর্বদাই দাওয়াত ও জি/হ|@দের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ আছে যারা নিজেদেরকে আ*ই$এস বলে না, অ|হলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের সাথে মিশে থাকে। শুধুমাত্র মিশে থাকার দ্বারা কি হয়?
এই চিন্তা চেতনা ‘অ|হলুস সুন্নাহ’র নয়। এই চেতনাই জি/হ|@দের অনেক বদনাম করেছে। বাস্তবতা হলো আ*ই$এস হওয়া কোন বিশেষ দলের সদস্য হওয়ার সাথে সম্পৃক্ত নয়। এটা চিন্তা-চেতনা, আমল, আখলাক, কীর্তির নাম। যদি কোন ব্যক্তি দলগতভাবে আ*ই$এস নাও হয়, কিন্তু তার চিন্তা চেতনায় গুলু থাকে, অ|হলুস সুন্নাহ ও বর্তমান সময়ের প্রসিদ্ধ জি/হ|@দি আলেমদের থেকে তার মানহাজ ভিন্ন হয়, নফসের পূ"জা, দলান্ধতা এবং নফসের অনুসরণে লিপ্ত হয় এবং হিলা বাহানায় মুসলমানের জ|ন-মাল বৈধ করে নেয়, তাহলে সে যতই আই-এসের বিরোধিতা করুক না কেন, সে প্রথম স্তরের আ*ই$এস । বরং বাস্তবতা হলো এসমস্ত লোক জি/হ|@দি আন্দো;লনের জন্য আ*ই$এস থেকেও ভয়ঙ্কর।
.
কারণ আ*ই$এসের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেছে। এখন আ*ই$এস শব্দটি ফাসাদকারী অর্থে ব্যবহার করা হয়। আর তারা এখন নিঃশেষের পথে। অথচ এই লোক নিজেকে আ*ই$এসের বিরোধী বলেও কথা ও কাজ দ্বারা দাওয়াত ও জি/হ|@দের ক্ষতি করছে। সুতরাং আ*ই$এস যেভাবে জি/হ|@দের ক্ষতি করেছে, তেমনি গুলুর শিকার চিন্তা-চেতনাও জি/হ|@দের দু.শ"মনদের কম খেদমত করেনি।
সুতরাং জি/হ|@দি আন্দো;লনকে বিপদাপদ থেকে রক্ষা করার জন্য গুলুর শিকার এই চিন্তা-চেতনা, আখলাক ও মানহাজকে জানতে হবে। এটি একটি অকল্যাণ, আর কল্যাণের ওপর আমল করার জন্য অকল্যাণের জ্ঞান থাকা ওয়াজিব। সুতরাং এই মানহাজকে চেনা, তার থেকে দূরে থাকা, মুসলিম যুবকদের এর থেকে দূরে রাখা জি/হ|@দের দাঈ ও মু"জ|হি;দদের জন্য ফরয হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর কোন বিষয়ে আমল করার জন্য সে বিষয়ে ইলম অর্জন করা ওয়াজিব, নতুবা আল্লাহ না করুন আমাদের মধ্য থেকে কেউ ওই দলে চলে যেতে পারে; যাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
هَلْ نُنَبِّئُكُم بِالْأَخْسَرِينَ أَعْمَالًا ﴿١٠٣﴾ الَّذِينَ ضَلَّ سَعْيُهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَهُمْ يَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ يُحْسِنُونَ صُنْعًا
অর্থ: . . . বলে দেন আমি কি তোমাদেরকে বলে দেব কারা আমলের দিক থেকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত? যাদের দুনিয়ার জীবনের সব পরিশ্রম নষ্ট হয়ে গেছে আর তারা ধারণা করছে যে, তারা ভালো কাজ করছে। [সূরা কাহাফ ৯:১০৩-১০৪]
.
.
টীকা –
.
[১]সূরা কাহাফ ৯:১০৩-১০৪
.
দাওয়াতের পদ্ধতি ও জি@হা/দি মানহাজের হেফাযত
উস্তাদ উ@স]ম। ম]হ-মুদ হাফিজাহুল্লাহ
Comment