তৃতীয় অধ্যায়: ময়দানে প্রত্যাবর্তন- পঞ্চম পরিচ্ছেদ:দাগিস্তান: উপায় শেষ হওয়ার পর সাহায্য- প্রথম বিষয়: ককেশাসের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু ভাবনা- চতুর্থ ভাগ:রাশিয়া ও ককেশাশি মুসলিমদের মধ্যকার লড়াই যে রাজনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক তাৎপর্যগুলো প্রকাশ করেছে
(পূর্ব প্রকাশের পর)
খ- মানবাধিকার ইস্যুটি ব্যবহরের ক্ষেত্রে সমস্ত খৃষ্টজগতের একতা
শায়খ সেলিম খান ইয়ানদারবি এই স্ব-বিরোধী অবস্থা প্রসঙ্গে বলেন:
“মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যান্য অধিকারগুলো লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সমাজের রাজনীতিগুলো জনগণের মতামত এবং সাধারণ লোকদের নৈতিক আদর্শগুলো দ্বারা বড় আকারে প্রভাবিত হয় না। আন্তর্জাতিক সমাজ যে সমস্ত ভয়ংকর মানবাধিকার লঙ্ঘন বা গণহত্যামূলক অপরাধে লিপ্ত হওয়ার ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, তার প্রতি একটু দৃষ্টি দিলেই এটা প্রতীয়মান হয় যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সমাজের রাজনৈতিক লক্ষ্যের অনুকূল না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ ধরণের ক্ষেত্রে কোন অর্থবহ পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয়। একারণে মুসলিম গোষ্ঠীগুলো ভয়ংকর মানবাধিকার লঙ্ঘন, এমনকি প্রকাশ্য গণহত্যার সম্মুখীন হলেও এর বিরুদ্ধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করাটা অস্বাভাবিক বিষয় নয়। আর যখন কোন দেশের জনগণ ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই ও প্রতিরোধের কাতারে যুক্ত হবে, তখন তো অবশ্যই এই জনগণকে আন্তর্জাতিক সমাজের কথিত গণতান্ত্রিক জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে। যাতে এই জনগণকে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করা যায়।”
২- চেচেন জনগণের শ্রেষ্ঠত্ব
চেচেন জনগণের এমন কিছু শ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা দ্বারা তারা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। তবে এর অর্থ এই নয় যে, চেচেনদের মাঝে বিশ্বাসঘাতক, মুরতাদ ও পাপিষ্ঠদল নেই, কিন্তু তাদের কতিপয় শ্রেষ্ঠ উন্নত সাধারণ বৈশিষ্ট্য আছে, যা এই জনগণকে চার যুগ ধরে আত্মসমর্পণের ঘোষণা প্রদান বা লড়াই থেকে নিবৃত্ত হওয়া ব্যতিত অব্যাহতভাবে রাশিয়ান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবিচল থাকতে সাহায্য করেছে।
ক- ইসলাম ও মুসলিমদের সেবায় নিজেদের ভূমিকার ব্যাপারে চেচেনদের ভাবনা:
(১) রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে জিহাদের ব্যাপারে চেচেনদের উপলব্ধি:
চেচেনগণ নিজেদেরকে মুসলিম উম্মাহর একটি অংশ ব্যতিত কিছু মনে করে না, যাদের সাথে মিলে তারা ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে একই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে এবং ইসলামী খেলাফত পুনরূদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছে।
শায়খ সেলিম খান ইয়ানদারবি রহ. বলেন:
“যখন রাশিয়া চেচেনদেরকে ধ্বংস করার প্রতিজ্ঞা করল, তখন তারা কথিত আন্তর্জাতিক সমাজেরও সমর্থন লাভ করল। একারণে আমরা মনে করতে পারি যে, চেচেন মুজাহিদগণ শুধু রাশিয়ানদের মোকাবেলায়ই দাঁড়াবে না, বরং ইসলামের বিরুদ্ধে যে আন্তর্জাতিক জোট হয়েছে, তার বিরুদ্ধেও দাঁড়াবে। তারা চেচনিয়া রাষ্ট্রটিকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিন্তু তাদের আশা বাতাসে উড়ে গেছে। কারণ চেচেন জনগণ পরিস্কারভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা কখনোই তাদের (রাশিয়ানদের) কর্মকৌশলের কাছে মাথা নত করবে না।”
তিনি আরো বলেন:
“মানবের নিখূত জীবনের জন্য জিহাদই একমাত্র রূপ, যদি তারা আল্লাহর ফিরদাউসে ফিরে যাওয়ার আশা থেকে বঞ্চিত না হয়। ব্যক্তি, সমাজ ও জাতির আকিদা সংরক্ষণের জন্য এটাই একমাত্র পথ। ব্যক্তি, সমাজ ও মুসলিম জাতির মুক্তির জন্য এটাই একমাত্র পথ।
জিহাদ ব্যতিত রাশিয়া ও চেচেনদের মধ্যকার লড়াইয়ের সমীকরণ করা সম্ভব নয়, যা একটি বৃহৎ যুদ্ধের আকার ধারণ করবে। কারণ রাশিয়াই আমাদের সাথে আচরণ বিধি হিসাবে যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন:
“মুসলমানদের জন্য কি একথা প্রমাণের জন্য অন্য কোন দলিলের প্রয়োজন আছে যে, রাশিয়ান আগ্রাসন শয়তানি ক্রুসেড হামলার একটি অংশ এবং তাদেরকে ব্যর্থ করার জন্য যুদ্ধ করা সর্বার্থেই জিহাদ? এটাই প্রকৃত জিহাদ। কারণ এটা শুধু চেচনিয়া স্বাধীন করার জিহাদ নয়, রবং এটা মুসলিম জাতির প্রতিরক্ষার জিহাদ।”
তিনি আরো বলেন:
“ককেশাশ ও ইসলামী বিশ্ব জিহাদ শব্দটি কিভাবে বুঝে, সে সম্পর্কে আমরা বলতে পারি: জিহাদের ব্যাপারে এই বুঝই গৃহিত হয়েছে যে, এটা প্রতিটি মুসলিমের জিহাদ এবং চেচেন জিহাদকে এই দৃষ্টিতেই দেখা হয় যে, এটা ইসলামের মহান জিহাদের একটি অংশ, যার ইতিহাস খোলাফায়ে রাশিদীনের দিকে ফিরে যায়। এই জিহাদের লক্ষ্য হল ইসলামী ঐক্য পুনরুজ্জীবিত করা। সুতরাং এটি হল মুসলিম উম্মাহ, এমনকি সমস্ত বিশ্ব শয়তানের জাল ও শিকল হতে মুক্তি লাভ করার একটি উপায় ও মাধ্যম।
মুসিলম বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোও যে চেচেন জিহাদকে গুরুত্ব দেয়, তার দলিল হল, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু সংখ্যক মুসলিম এতে অংশগ্রহণ করেছেন। সর্বশেষ যুদ্ধে এবং এ যুদ্ধের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের এক শ’র অধিক মুসলিম শাহাদাত বরণ করেছেন। আর তাদের সাথীগণ এখনো কুরআনে কারীমে বর্ণিত আল্লাহ তা’আলার আদেশে পালন করত: ঈমান ও আকিদার সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। এ সকল মুজাহিদগণের মধ্য থেকে অনেককে আমি চিনি- যেমন: হাকিম আল ইয়ামানি, আবু তালহা আল মাক্কি, আবু মুসআব আত তাবুকি, আব্দুস সবুর আল মিসরী, আবু আনসুর আল জুনুবী, আব্দুর রহমান আল কুয়েতি এবং আবু ছাবেত আল জায়শি। এছাড়াও আরো অনেকে আছেন, যারা এক শ’রও অধিক রাষ্ট্র থেকে জিহাদের কাতারে যুক্ত হওয়ার জন্য এসেছেন।”
নিজ দাগিস্তানী ভাইদের সাহায্যে চেচেনদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে বলেন:
“আমরা দাগিস্তান সমস্যা ও চেচনিয়ার তাতে অংশগ্রহণের আলোচনায় ফিরে যাচ্ছি: দাগিস্তান একটি মুসলিম রাষ্ট্র। এটি ইমাম শামিলের নেতৃত্বাধীন এলাকারও একটি অংশ। রাশিয়া এটা দখল করেছে। একারণে আল্লাহর নামে ও ইনসাফ ফিরিয়ে আনার জন্য এই আগ্রাসীদের বিরুদ্ধে জিহাদে অংশগ্রহণ করা আমাদের সরাসরি দায়িত্বে পরিণত হয়।
দাগিস্তানী জনগণ ভালো করেই জানেন যে, কেউ তাদের উপর আক্রমণ করেনি। কারণ জিহাদি কর্মকাণ্ড রাশিয়ান যোদ্ধাদের টার্গেট করে হচ্ছে। তারাই (রাশিয়ানরাই) এই অজুহাত দিচ্ছে যে, তারা দাগিস্তানের ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। আর এর মাধ্যমে এমন সব বর্বর অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে, যা সমর্থন করা বা তার ব্যাপারে চুপ থাকা সম্ভব নয়।
তদুপরি দাগিস্তান ও চেচনিয়া অঞ্চল ছাড়াও ককেশাশের প্রতিটি অংশ ইসলামী খেলাফতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ হিসাবে আজ নাস্তিকদের আগ্রাসন থেকে দেশগুলোকে মুক্ত করার জন্য যে জিহাদ চলছে, তা প্রতিটি মুসলিমের কর্তব্য। আমাদের প্রত্যেকেই বিশ^জগতের রবের নামে তার কর্তব্য পালন করছে।”
(২) ইসলামী শরীয়া আইন অন্তর্ভূক্ত করণ:
শায়খ সেলিম খান ইয়ানদারবি রহ. বলেন:
“দেশ স্বাধীনের জন্য চেচনিয়ার জনগণের লড়াইয়ের ফল হিসাবে ১৯৯১ সালে আশকিরীয়া প্রজাতন্ত্রের গোড়াপত্তান ও প্রতিষ্ঠা হয়। রাশিয়ার সাথে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত দু’বছরের যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর চেচনিয়াকে সরকারিভাবে একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়। আশকিরীয়া চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রে ইসলামী শরীয়া আইন অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এটা হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ৮ ই জুলাই সরকারি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। এ আইন শরীয়তের ফৌজদারি আইন কার্যকর করাকেও সুদৃঢ় করে, যা একই বছরের ১২ সেপ্টেম্বরে কার্যকর হয়েছিল। স্বভাবতই এটা সে সমস্ত ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনকে অকার্যকর করে দেয়, যা শরয়ী আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। পরবর্তীতে আরো অন্যান্য সরকারি ফরমান জারি হয়, যা রাষ্ট্রের সরকারকে শরয়ী আইন-কানুনের অধীন করে দেয়। ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর আসার সাথে সাথেই সম্পূর্ণ বিচার ব্যবস্থা পরিবর্তিত হয়।”
(৩) ক্ষমতাসীন রাশিয়ান প্রজাতন্ত্রের উপর প্রভাব বিস্তারকারী একমাত্র স্বাধীনতা আন্দোলন:
চেচেনদের একটি বৈশিষ্ট্য হল, সেভিয়েত ইউনিয়নের অভ্যন্তরে তারাই একমাত্র জাতি, যারা ক্ষমতাসীন রাশিয়ান প্রজাতন্ত্রের উপর প্রভাব বিস্তার করতে, চেচনিয়াকে স্বাধীন ঘোষণা করতে এবং তার জন্য আজও পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।
এখানে একটি প্রশ্ন উঠে: কেন শুধু চেচেনগণই এমন তেজস্ক্রিয়তা ও শক্তির অধিকারী হলেন?
কোন সন্দেহ নেই যে, এটা মর্যাদাবান চেচেন জনগণের শ্রেষ্ঠত্ব। কিন্তু এই অবিচলতার কিছু অনুপ্রেরক আছে, যেমন চেচেন জনগণের প্রকৃতি এবং তাদের ইতিহাস ও ইসলামের বুঝ। এ সম্পর্কেই শায়খ সেলিম খান ইয়ানদারবি রহ. বলেন:
“দৃষ্টি আকর্ষণের বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হল: ককেশাশের অন্যান্য অঞ্চলগুলোর মধ্যে একমাত্র চেচনিয়াই এমন, যারা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে। সুতরাং আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে, এটি কেন? এবং এ অঞ্চলে চেচেনগণ কেমন জনসমর্থন লাভ করছেন?
..................
মানুষ ধ্যান-ধারণার ক্ষেত্রে বৈচিত্রময়। বিশ্বে যে সকল ঘটনাসমূহ ঘটে, তার ব্যাপারে বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে সাড়া দেয়। তথাপি মানুষের প্রকৃত অবস্থা বুঝার ক্ষেত্রে চেচনিয়া-রাশিয়ার সর্বশেষ যুদ্ধদু’টির ব্যাপক প্রভাব ছিল। অনেকগুলো বিষয় থাকা সত্ত্বেও এখনো পরিস্কার করার প্রয়োজনীয়তা বাকি আছে। অনেক মানুষের কাছে এটা পরিস্কার হয়ে গেছে যে, নতুন বাস্তবতার আত্মপ্রকাশ ঘটেছে এবং বিশ্বের মধ্যে তা গভীরতা লাভ করেছে। তেনিভাবে এটাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, এ বাস্তবতা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
এই নতুন বাস্তবতাগুলো প্রধানত জিহাদকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করে। কারণ জিহাদই আল্লাহর কালিমা বুলন্দ করার জন্য আল্লাহর দেওয়া পদ্ধতি। এটিই আল্লাহর বাণীসমূহকে ভ্রান্ত ধ্যান-ধারণা, মিথ্যা ও বিকৃতি থেকে মুক্ত করার লড়াই। জিহাদই জনগণকে নিপীড়নের খপ্পর থেকে এবং সর্বপ্রকার অশুভ শক্তি থেকে মুক্ত করার লড়াই। জিহাদই মানবজাতির নৈতিক আদর্শগুলো ধ্বংসের বিরুদ্ধে লড়াই। জিহাদ হল, যারা ইসলামের সাথে শত্রুতা করে, তাদের বিরুদ্ধে উম্মুক্ত তরবারি। তা চেচনিয়ায় কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আকৃতিতে উজ্জল অবয়বে প্রকাশিত হয়েছে।
চেচনিয়া এ যুদ্ধে জড়িয়েছে নিজেদের আকিদা ও অধিকার রক্ষার জন্য। যেন আল্লাহর অবতীর্ণ শরীয়তের ছায়াতলে জীবন যাপন করতে পারে এবং আল্লাহর শরীয়াই পৃথিবীতে সমস্ত মানবজাতির জন্য ইনসাফকারী ও একমাত্র ঐশী বিধান হিসাবে টিকে থাকে।
.............
অন্য কথায়, আমরা বলতে পারি যে, এ যুদ্ধ আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন কারণে এ যুদ্ধকে আমরা আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া দীর্ঘ ৪৫০ বছর ধরে, কখনো সাময়িক বিরতির সাথে চলমান যুদ্ধ হিসাবেও দেখতে পারি। তা সত্ত্বেও এ যুদ্ধ চলতেই থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত মুসলিম চেচনিয়ার জনগণ নিজেদেরকে স্বাধীন না করতে পারবে এবং আল্লাহর শরীয়তের বিধান অনুযায়ী জীবনব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারবে।
যখন আমরা আত্মসমপর্ণ করব বা আমাদের আকিদা থেকে সরে পড়ব, তখন এটা আমাদের জন্য স্থায়ী শাস্তির কারণ হবে। আর আমাদের এই নতি স্বীকারের কারণে আল্লাহর শত্রুরা দ্বিগুণ অত্যাচার থেকে মুক্ত হয়ে যাবে না বা ঐশী বিধানও মেনে নিবে না। এ কারণে আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে আছি, যেখান ভিন্ন কোন অপশন নেই, পলায়নের কোন সুযোগ নেই। সূক্ষ্ম অর্থে এটাই সে সকল মুজাহিদগণের নিকট জিহাদের তাৎপর্য, যারা চেচনিয়ায় জিহাদি কাতারে শামিল হয়েছেন।
চেচেন মুজাহিদগণ জীবন ও বাস্তবতার ব্যাপারে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে জিহাদের এ তাৎপর্যের সন্ধান পেয়েছেন। কারণ তারা তাদের জাতির বিরুদ্ধে ও আল্লাহর হকের বিরুদ্ধে সংঘটিত বর্বরতাগুলো প্রত্যক্ষ করেছেন এবং তার সঙ্গে জীবন কাটিয়েছেন। আর এর ফল হিসাবে তারা পৃথিবীর প্রকৃত অবস্থা এবং আল্লাহর উপর ঈমান থেকে বিচ্যুত হয়ে গেলে যে পরিণতিগুলো আসতে পারে, তা উপলব্ধি করেছেন।”
Comment