Announcement

Collapse
No announcement yet.

হেফাজতে ইসলামের কসাই মুদি বিরোধী আন্দোলনের ব্যাপারে মুজাহিদিনের প্রত্যাশা-কর্মপন্

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #46
    Originally posted by Abdul Muqaddim View Post
    ( আগের কমেন্ট পর...)
    আর্টিক্যালটির আলোকে এবার তাহলে প্রশ্নঃ
    ১। হেফাজাতের ' মোদীর বাংলাদেশে পদার্পন বিরোধী আন্দোলন ' কি আমাদের রিজিওনাল টার্গেট কে কিছুটা হলেও স্পর্শ করেছে না? -- আমার তো মনে হয় একটা লেভেলে ভাল ভাবেই করছে বরং একটি স্ট্রং মেসেজও গেল সব দিকে (বাকি হয়ত উনারা সজ্ঞানে এই আঙ্গিক থেকে আন্দোলনটি করেন নি) ,
    ২। হেফাজতের এই আন্দোলন বাংলাদেশের ময়দানে একটি বড় দাওয়াহ এর কাজ করেছে, আমভাবে জিহাদকে উজ্জীবিত করেছে, ভবিষ্যতের জন্য আমাদের মননকে প্রস্তুত করতে সাহায্য করছে। ( সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ )
    ৩। তাহলে উনাদেরকে কে আমাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা দরকার কিনা (যদি নেন, জঙ্গিত্বের খেতাব আলিঙ্গন করে ), কম সে কম মিডিয়া দিয়ে, কিছু সমর্থন দিয়ে ?
    দাওয়াত পৌঁছে দিয়ে তাদের সুবিশাল যে মাদ্রাসা ফোর্স - 'সাবিলুনা সাবিলুনা, আল জিহাদ জিহাদ' বলে তৃষনার্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এই বিরাট যুবশক্তিকে জিহাদি কাফেলায় ইন্টিগ্রেট করা যায় কিনা ?
    আর যদি করা যায় ইনশাআল্লাহ, তাহলে এই সুবিশাল ফোর্সকে শুধু রিজিওনাল নিশানাটা আর একবার আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া..... আর এখনকার মত কন্সেন্ট্রেটেড আন্দোলন অনুৎসাহিত করে 'লোণ উলফ মেথড' বা 'আরবান গেরিলা ওয়ারফেয়ার' শিখিয়ে দেওয়া.......ব্যাস ( বি ইযনিল্লাহ)
    মাশাআল্লাহ ভাই, সুন্দর কিছু প্রশ্ন রেখেছেন। আমার খেয়ালেঃ

    ১। হেফাজাতের ' মোদীর বাংলাদেশে পদার্পন বিরোধী আন্দোলন ' কি আমাদের রিজিওনাল টার্গেট কে কিছুটা হলেও স্পর্শ করেছে না? -- আমার তো মনে হয় একটা লেভেলে ভাল ভাবেই করছে বরং একটি স্ট্রং মেসেজও গেল সব দিকে (বাকি হয়ত উনারা সজ্ঞানে এই আঙ্গিক থেকে আন্দোলনটি করেন নি) ,
    == আংশিক বা এর চেয়েও কম। কারণ এখানে শুধু ব্যক্তি মুদি মুখ্য। ভারতের অন্য কোন রাষ্ট্র-প্রধান হলে তেমন সমস্যা হতো না - বার বার বলা হয়েছে। অথচ ভারতের পুরো শাসন ব্যবস্থাই মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। মুদি হয়তো অদের মধ্যে একটু বেশী উগ্র - এই যা পার্থক্য।

    ২। হেফাজতের এই আন্দোলন বাংলাদেশের ময়দানে একটি বড় দাওয়াহ এর কাজ করেছে, আমভাবে জিহাদকে উজ্জীবিত করেছে, ভবিষ্যতের জন্য আমাদের মননকে প্রস্তুত করতে সাহায্য করছে। ( সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ )
    == আলহামদুলিল্লাহ একমত।

    ৩। তাহলে উনাদেরকে কে আমাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা দরকার কিনা (যদি নেন, জঙ্গিত্বের খেতাব আলিঙ্গন করে ), কম সে কম মিডিয়া দিয়ে, কিছু সমর্থন দিয়ে ?
    == জ্বি একমত।

    দাওয়াত পৌঁছে দিয়ে তাদের সুবিশাল যে মাদ্রাসা ফোর্স - 'সাবিলুনা সাবিলুনা, আল জিহাদ জিহাদ' বলে তৃষনার্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এই বিরাট যুবশক্তিকে জিহাদি কাফেলায় ইন্টিগ্রেট করা যায় কিনা ?
    == আমার খেয়ালে না কারণ সেই সামর্থ্য তানজিমের নেই - এত বেশী জনশক্তি কোন গোপন জিহাদই সংগঠন মেনেজ করতে পারবে না। আর সবাই গোপনে কাজ করা জরুরীও না। অধিকাংশ কাজই প্রকাশ্য দাওয়াতের কাজ। শুধু খাছ কিছু কাজের জনয় যোগ্য লোককে গোপন সংগঠনে এড করা যায়। আল্লাহু আ'লাম।

    আর যদি করা যায় ইনশাআল্লাহ, তাহলে এই সুবিশাল ফোর্সকে শুধু রিজিওনাল নিশানাটা আর একবার আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া..... আর এখনকার মত কন্সেন্ট্রেটেড আন্দোলন অনুৎসাহিত করে 'লোণ উলফ মেথড' বা 'আরবান গেরিলা ওয়ারফেয়ার' শিখিয়ে দেওয়া.......ব্যাস ( বি ইযনিল্লাহ)
    == লোণ উলফ মেথড - উৎসাহিত করা - একমত। আচরণবিধি বর্নিত টার্গেটে।
    আরবান গেরিলা ওয়ারফেয়ার - দ্বিমত কারণ বাংলাদেশে গেরিলা যুদ্ধের বেশ কিছু জরুরী শর্তাবলী অনুপস্থিত। আল্লাহু আ'লাম।

    Comment


    • #47
      Originally posted by Power of Eman View Post
      প্রিয় ভাই আমার প্রশ্ন হলো ঃ
      ১/ রাসুলুল্লাহ সাঃ কি আমাদেরকে মিছিল মিটিং সভা সমাবেশ হরতাল এসব করার নির্দেশ দিয়েছেন????
      ২/জিহাদ এখন ফরজ এটা কি বাবু নগরী বলেন আর মামুনুল হক তারা ভাল করেই জানে কিন্তু তারপরেও তারা জিহাদের জন্যে আমাদের বের হতে বলছে না। আমাদেরকে কাফেরদের শিখানো শয়তানি নিয়মের দিকে ধাবিত করছে। এই অবস্থায় আমাদের করণীয় কি??
      ৩/ ফেইসবুকে দেখলাম অনেক হাফেজ আলেম ভাইয়েরা বলছে যে ঃ যারা ছাত্রদের হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই সরকারের কাছে ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি বুঝি না ভাইয়েরা কি আল ওয়ালা ওয়াল বারা বুঝেন না নাকি কাফেরদেরকে ভয় পায় বড়ই আফসোসের বিষয়। মাদ্রাসায় পড়া ভাইদের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে সাধারণ মানুষের কি হবে??? আমাদের করণীয় কি??? তাগুতের কাছে বিচার চাওয়া কি রাসূল সাঃ এর দেখানো নিয়ম???
      ৪//অনেক ভাই কাদা ছুরাছুরি করছে। হাফিজুর রহমান মেজবাহ দালাল ইত্যাদি
      আর হাফিজুর রহমান মেজবাহ বলছে অন্য কথা। আলেমদের মাঝে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আমরা যারা সাধারণ লাইনে লেখাপড়া করেছি তাদের জন্যে কোনটি হক কোনটি বাতিল তা বুঝা মুশকিল হয়ে যায় ফলে আমরা ফিতনায় পড়তে পারি। তাহলে হক দলের বৈশিষ্ট্য কোন গুলো হবে তা আমাদের সামনে তুলে ধরা হক বা বাতিল দলকে সাধারণ মানুষ কি করলে বুঝবে???

      অস্ত্র তুলে না নিলে আরও মার খাওয়া লাগবে এটা যদি মাদ্রাসার আলেম ভাইয়েরা না বুঝে তা হলে এত লেখাপড়া করে লাভ কই??আপনারা নিজের শত্রুকে ও চিনেন না আফসোস লাগে।

      ১/ রাসুলুল্লাহ সাঃ কি আমাদেরকে মিছিল মিটিং সভা সমাবেশ হরতাল এসব করার নির্দেশ দিয়েছেন????
      == সরাসরি নির্দেশ নেই। তবে মনে হয় - শরীয়াতের কোন আদেশ-নিষেধের খেলাফ না করলে এতে সমস্যা হবার কথা না বিশেষত - হরতালে রাস্তা বন্ধ রাখা, বাস ভাঙ্গা ইত্যাদি বাদ দিলে। বিশেষত মিছিল বা সমাবেশ এ (যদি তাগুতের কাছে কোন দাবী পেশ করা না হয়) সমস্যা হবার কথা না। আল্লাহু আলাম। আলেম ভাইরা এই ব্যাপারে আরো ভাল বলতে পারবেন।

      ২/জিহাদ এখন ফরজ এটা কি বাবু নগরী বলেন আর মামুনুল হক তারা ভাল করেই জানে কিন্তু তারপরেও তারা জিহাদের জন্যে আমাদের বের হতে বলছে না। আমাদেরকে কাফেরদের শিখানো শয়তানি নিয়মের দিকে ধাবিত করছে। এই অবস্থায় আমাদের করণীয় কি??
      == হেফাজত সরাসরি 'কাফেরদের শিখানো শয়তানি নিয়মের' দিকে ধাবিত করছে - এমন মনে হচ্ছে না। বাকী কিছু গণতান্ত্রিক ইসলামী দল গণতন্ত্রের দিকে নিয়ে যায় - এটি হয়তো আপনি বুঝাতে চাইছেন।

      ৩/ ফেইসবুকে দেখলাম অনেক হাফেজ আলেম ভাইয়েরা বলছে যে ঃ যারা ছাত্রদের হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই সরকারের কাছে ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি বুঝি না ভাইয়েরা কি আল ওয়ালা ওয়াল বারা বুঝেন না নাকি কাফেরদেরকে ভয় পায় বড়ই আফসোসের বিষয়। মাদ্রাসায় পড়া ভাইদের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে সাধারণ মানুষের কি হবে??? আমাদের করণীয় কি??? তাগুতের কাছে বিচার চাওয়া কি রাসূল সাঃ এর দেখানো নিয়ম???
      == এই ব্যাপারে সঠিক পথ সবাইকে বুঝানোর চেষ্টা করা, নিজেরা বেঁচে থাকা।

      Comment


      • #48
        Originally posted by ibn jiad View Post
        আমার একটা পরামর্শ, লোন উলফ ম্যাগাজিন গুলোর আরো ব্যপকভাবে প্রচারণা করা যায় কিনা?
        মাশাআল্লাহ ভাল আইডিয়া। আরেক ভাইও দেখলাম - এই মাশওয়ারা দিয়েছেন।

        Comment


        • #49
          Originally posted by salahuddin aiubi View Post
          যেহেতু আমাদের আচরণবিধিতেই ইসলামী আন্দোলনগুলোকে নিজেদের সাধ্যানুযায়ী সহযোগীতা করার কথা এসেছে, তাই বর্তমানে হেফাজতকে সাহায্য করা সময়ের দাবি এবং বাস্তব প্রয়োজন মনে হয়। হেফাজতকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে এবং বৃহত্তর জিহাদের কাজে লাগাতে তাদেরকে সাহায্য করা একান্ত প্রয়োজন মনে হয়।
          সেক্ষেত্রে আমরা প্রথমত: বুদ্ধি দিয়ে তাদেরকে সহযোগীতা করতে পারি। যদি একটা দিকনির্দেশনাপত্র লিখে পাঠানো হয়, তাহলে ভালো হতে পারে। আর সেই দিকনির্দেশনামতে যদি আন্দোলনের কর্মীদেরকে কিছু অস্ত্র দেওয়ারও প্রয়োজনবোধ হয়, তাহলে সেটাও করা যেতে পারে।
          আমরা দেখেছি, সর্বশেষে হেফাজত কঠিন আন্দোলন ও কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়েছে। জানি না সেটা কী? তবে যদি কঠিন কোন কর্মসূচি দেয়, তাহলে তাদেরকে সাহয্যহীনভাবে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না। আমাদের জিহাদী নেতৃবৃন্দের দীর্ঘ দিনের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা থেকে তাদেরকে তো সুপরামর্শ অন্তত দেওয়া যায়। তাই তাদের প্রতি কোন দিকনির্দেশনা পত্র প্রেরণ করলে কেমন হয়, সেটা ভেবে দেখা উচিত বলে আমি মনে করি।

          আমি দেখেছি, শায়খ যাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ তার কোন একটি বয়ানে সাধারণ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে জিহাদী নেতৃবৃন্দ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করতে উদ্ধুদ্ধ করেছেন। তাদেরকে ভরসা ও আশা দিয়েছেন।
          হেফাজতের নেতৃবৃন্দ এখন আগের তুলনায় অনেকটুকু জিহাদের দিকে ধাবিত হতে পারে ইনশাআল্লাহ।

          মহান আল্লাহ সবকিছুকে সঠিকপথে পরিচালিত করুন!
          প্রিয় ভাই, অস্ত্র দেয়ার পয়েন্ট ছাড়া বাকী কথাগুলোতে একমত।

          Comment


          • #50
            জাজাকাল্লাহ খাইরান সম্মানিত ভাই, যত্ন করে প্রশ্নগুলো পর্যালোচনা করার জন্য।

            Originally posted by Zakaria Abdullah View Post

            দাওয়াত পৌঁছে দিয়ে তাদের সুবিশাল যে মাদ্রাসা ফোর্স - 'সাবিলুনা সাবিলুনা, আল জিহাদ জিহাদ' বলে তৃষনার্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এই বিরাট যুবশক্তিকে জিহাদি কাফেলায় ইন্টিগ্রেট করা যায় কিনা ?
            == আমার খেয়ালে না কারণ সেই সামর্থ্য তানজিমের নেই - এত বেশী জনশক্তি কোন গোপন জিহাদী সংগঠন মেনেজ করতে পারবে না। আর সবাই গোপনে কাজ করা জরুরীও না। অধিকাংশ কাজই প্রকাশ্য দাওয়াতের কাজ। শুধু খাছ কিছু কাজের জনয় যোগ্য লোককে গোপন সংগঠনে এড করা যায়। আল্লাহু আ'লাম।
            => " জিহাদী কাফেলায় ইন্টিরগ্রেট করা " বলতে অবশ্য শুধু গোপন ভাবে কাজকে বুঝিয়েছিলাম না অবশ্য ( জিহাদের গোপন + প্রকাশ্য উভয় কাজই উদ্দেশ্য ) । আর বুঝিয়েছিলাম যে, হয় তাদেরকে জিহাদি তানজীমে যোগদান করিয়ে বিভিন্ন আঙ্গিক এর কাজ আঞ্জাম দেওয়ানো, অথবা, তাদের সংগঠনটিই জিহাদি মানহাজ অনুযায়ী পরিচালনা করে তাদেরকে জিহাদি স্ট্রিমে নিয়ে আসা।

            Originally posted by Zakaria Abdullah View Post

            আর যদি করা যায় ইনশাআল্লাহ, তাহলে এই সুবিশাল ফোর্সকে শুধু রিজিওনাল নিশানাটা আর একবার আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া..... আর এখনকার মত কন্সেন্ট্রেটেড আন্দোলন অনুৎসাহিত করে 'লোণ উলফ মেথড' বা 'আরবান গেরিলা ওয়ারফেয়ার' শিখিয়ে দেওয়া.......ব্যাস ( বি ইযনিল্লাহ)
            == লোণ উলফ মেথড - উৎসাহিত করা - একমত। আচরণবিধি বর্নিত টার্গেটে।
            আরবান গেরিলা ওয়ারফেয়ার - দ্বিমত কারণ বাংলাদেশে গেরিলা যুদ্ধের বেশ কিছু জরুরী শর্তাবলী অনুপস্থিত। আল্লাহু আ'লাম।
            => আফোয়ান আফোয়ান ভাই, এখানে 'হিন্দ' উদ্দেশ্য ছিল মূলত।
            রিজিওনাল নিশানাটা আর একবার আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া.= হিন্দ কে নিশানা হিসাবে দেখিয়ে দেওয়া।

            আর, আরবান গেরিলা ওয়ারফেয়ার বলতে, আরবান গেরিলা ওয়ারফেয়ার এর অপারেশন গুলো শুধু উদ্দেশ্য ছিল যেমনঃ
            মিনি ম্যানুয়াল অফ দ্যা আরবান গেরিলা ( ৭০ দশকের সাও পাওলো শহরের সামরিক জান্তাবিরোধী গেরিলা নেতা কার্লোস মারিঘেলার বই ‘Mini-Manual of Urban guerilla’র অনুবাদ) অনুযায়ী আরবান গেরিলা সাধারণত যে ধরনের অপারেশন চালাতে পারেঃ
            ১. আস্যল্ট। ২. রেইড অ্যান্ড পেনিট্রেশন। ৩. অকুপেশন। ৪. অ্যামবুশ। ৫. স্ট্রীট ট্যাকটিক্স। ৬. স্ট্রাইক অ্যান্ড ওয়ার্ক স্টপেজ। ৭. ডাইভার্শন, ডেজারশন, এক্সপ্রোপ্রিয়েশন অফ উয়েপন্স, অ্যামিউনিশন্স অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস। ৮. লিবারেশন অফ প্রিজনার। ৯. এক্সিকিউশন। ১০. কিডন্যাপিং। ১১. স্যাবোটাজ। ১২. টেরোরিজম। ১৩. আর্মড প্রোপাগান্ডা। ১৪. ওয়ার ওফ নার্ভস - যেগুলোর সব না হলেও কিছু কিছু হিন্দ এবং বাংলাদেশ উভয় ভূমিতেই করা যাবে হয়ত ।


            বাকি, আরবান গেরিলা ওয়ার ( বা শহুরে গেরিলা যুদ্ধ) যে রুরাল গেরিলা ওয়ার ( বা গ্রামীণ গেরিলা যুদ্ধের) একটি ফেইজ / ধাপ বা এক্সটেনশন সেটাও রেখেছি মাথায়।

            পাশপাশি, এটা নিয়েও এখনো পড়াশুনা করছি যে, আরবানে যদি কোন ভাবে অস্ত্র লুকিয়ে রাখার এবং লজিস্টিক সাপোর্ট চালিয়ে যাওয়ার জায়গা থাকে কিংবা ধরুন ছোট ছোট দলে ( ২ জন করে হলেও) বহু বিভক্ত হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে জনগণের মাঝে মিশে থেকে হিট এ্যান্ড রান করা যায়, তাহলে রুরালের যে নিরাপদ আশ্রয়স্থলের সুবিধা সেটা আর না নিলেও চলবে কিনা, এবং রুরাল বেইজ এর সাথে শুধু কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সংক্রান্ত কমিউনিকেশন রেখে লজিস্তিক্যালি এবং অপারেশনালি আরবানেই স্বাধীন ও আলাদা ছোট আকারের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া যাবে কিনা। অর্থাত নতুন এক ধরনের গেরিলা যুদ্ধ যার অপারেশনের সংখ্যা কম, দীর্ঘ বিরতি সম্পন্ন, যাকে 'আশ্রয়স্থলহীন শহুরে গেরিলা যুদ্ধ' বলা যেতে পারে।

            গৃহ যুদ্ধের প্রকারভেদে এর অবস্থান নিম্নের সিরিয়াল ২। (গ) তে হতে পারেঃ

            সিভিল ওয়ার ৩ প্রকার, যথাঃ
            ১। Conventional civil wars (প্রচলিত গৃহ যুদ্ধ - যেখানে বড় অস্ত্র ব্যাবহৃত হয় এবং ফোর্স ফোর্স এর বিরুদ্ধে লড়ে )
            ২। guerrilla wars (গেরিলা যুদ্ধ - ছোট অস্ত্র দিয়ে , ফোর্স বা সরকার বনাম গেরিলা ছোট দল )
            ক। গ্রামীণ গেরিলা যুদ্ধ ( অন্য দেশে বা বর্ডারে নিরাপদ আশ্রয়স্থল ওয়ালা)
            খ। শহুরে গেরিলা যুদ্ধ যা গ্রামীণ গেরিলা যুদ্ধ ( অন্য দেশে বা বর্ডারে নিরাপদ আশ্রয়স্থল ওয়ালা) এর বর্ধিত একটি অংশ,
            গ। শহুরে গেরিলা যুদ্ধ যার কোন নিরাপদ আশ্রয়স্থল নেই
            ৩। symmetric non-conventional civil wars ( প্রচলিত ও গেরিলা যুদ্ধের মাঝামাঝি একটি রুপ যেখানে ছোট অস্ত্র থাকে এবং দলওগুলো প্রায় সমান সমান ধরনের যারা নিজেরা ছোট ছোট অঞ্চল দখলে রেখে পরস্পর যুদ্ধ করে)

            সূত্রঃ
            "যতদিন পৃথিবীতে ফিতনা আছে, ততদিন জিহাদ প্রাসংগিক।
            আর যুগে যুগে কিছু মানুষের ফিতরাতই হচ্ছে ফিতনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, তাঁদের কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়ে না
            "

            Comment


            • #51
              Originally posted by abu ahmad View Post
              খুনীর কাছেই খুনের বিচার চাওয়াটা কেমন? আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়।
              আল্লাহ আমাকে ও আপনাদের সকলকে ক্ষমা করে দিন। আল্লাহুম্মা আমীন।

              আসলে তারা উদ্ভ্রান্তের মত। তারা মনে করছে, এছাড়া কোন উপায় নেই। কিছুই করার নেই। তাই সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে চাপ দিয়ে যতটুকু করা যায়। এমনকি যদি আদায় নাও হয়, তথাপি দাবি তো করতে হবে। যেহেতু ভিন্ন কোন উপায়ই নেই। তাই এই ময়দানে তীহ এ ই ঘুরতে হবে। নেতারা স্বশস্ত্র জিহাদের কল্পনাও করে না বলে মনে হয়। তারা যত জিহাদের কথা বলে, সেক্ষেত্রে তারা মনে করে, যখন মায়ানমারের মত প্রকাশ্যে ব্যাপক আক্রমণ হবে, তখন স্বশস্ত্র জিহাদের সময় হবে এবং তখন এটার কল্পনা করা যায়।

              “তারা পিছনে থেকে যাওয়া নারী-শিশুদের সঙ্গে থাকাতেই আনন্দবোধ করে এবং তাদের অন্তরে মোহর করে দেওয়া হয়েছে। তাই তারা বুঝবে না। অনুধাবন করবে না।” (সূরা তাওবাহ: ৮৭)

              Comment


              • #52
                হেফাজতের এই অপরিকল্পিত আন্দোলনের জন্যই তাগুত সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে। আর আমরা যদি পরিকল্পিতভাবে এখন ১০০/১৫০ ছোট আসকারী দল তৈরি করে গেরিলা আক্রমণ করি আমাদের সুবিধাজনক জায়গায়। তাহলে আশা করা যায় ইনশাআল্লাহ আমরা বিজয়ী হবো। একটা যুদ্ধ লাগিয়ে দিতে পারলে দাওয়াতে ময়দানে কাজ আর সহজ হবে ইনশাআল্লাহ
                فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

                Comment


                • #53
                  Originally posted by salahuddin aiubi View Post

                  আসলে তারা উদ্ভ্রান্তের মত। তারা মনে করছে, এছাড়া কোন উপায় নেই। কিছুই করার নেই। তাই সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে চাপ দিয়ে যতটুকু করা যায়। এমনকি যদি আদায় নাও হয়, তথাপি দাবি তো করতে হবে। যেহেতু ভিন্ন কোন উপায়ই নেই। তাই এই ময়দানে তীহ এ ই ঘুরতে হবে। নেতারা স্বশস্ত্র জিহাদের কল্পনাও করে না বলে মনে হয়। তারা যত জিহাদের কথা বলে, সেক্ষেত্রে তারা মনে করে, যখন মায়ানমারের মত প্রকাশ্যে ব্যাপক আক্রমণ হবে, তখন স্বশস্ত্র জিহাদের সময় হবে এবং তখন এটার কল্পনা করা যায়।

                  “তারা পিছনে থেকে যাওয়া নারী-শিশুদের সঙ্গে থাকাতেই আনন্দবোধ করে এবং তাদের অন্তরে মোহর করে দেওয়া হয়েছে। তাই তারা বুঝবে না। অনুধাবন করবে না।” (সূরা তাওবাহ: ৮৭)
                  ঠিক বলেছেন ভাই। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment


                  • #54
                    আমি বুঝি না শাইখ মামুনুল হক ও বাবুনগরী ও আরও যারা আছে তারা কেন দ্বীনের মধ্যে মডিফাই করছে। তাগুতের সাথে সম্পর্ক বিছিন্ন করা ইমানের জন্য অপরিহার্য বিষয় তার পরেও। তারা বলে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে নয়। আফসোস!!!


                    আমার একটদ প্রশ্ন আমি শাতিমে রাসূকে হত্যা করার কথা বলা আমাকে একজন মুসলিম খারেজি পুলাপাইন বলেছে। এখন আমি কি সত্যিই খারেজি। আর আমি যদি খারেজি না হয়ে থাকি তাহলে যে আমাকে খারপজি বলেছে তাকে আমি বলব???মুরজিয়া নাকি অন্য কিছু।
                    আমি আল্লাহর তরবারি
                    আমি খালিদ বিন ওলিদ
                    আমি পারস্য বাহিনীর মৃত্যুর দূত

                    Comment


                    • #55
                      আহারে...! বর্তমান হেফাজতের প্রতি খুব দুঃখ হয়! তাদেরকে এক এক করে গ্রেফতার করছে। রিমান্ডে নিচ্ছে। এবং এখন তারা অসহায়ের মত কথা বলছে। সরকারের কাছে মাফ চাওয়ার মত কথাই। যেমন: আওয়ামীলীগ শত বছর রাজত্ব করুক, আমাদের সমস্যা নাই। শুধু ইসলাম বিরোধী কাজ না করলেই হল, কওমী মাদরাসা থাকবে। থাকতে দিন।
                      হেফাজতের নেতারা এখন পরিপূর্ণ অসহায় হয়ে পড়েছে। এখন অল্পতেই ক্ষমা চাওয়ার মত কথাবার্তা।

                      তাদের উচিত ছিল, এখন সকলের আত্মগোপন করা। হিজরত করা। হাইড আউট বা কাটঅফ হয়ে যাওয়া। যেটা জিহাদের পূর্বশর্তের মত। কিন্তু তারা তো এই সুন্নাহর সাথে পরিচিতই না। তারা এটা কল্পনাও করতে পারে না। এতদিন জঙ্গীদেরকে বলে এসেছে, আমরা গোপন কর্মকাণ্ড সমর্থন করি না, গোপন কর্মকান্ডে বিশ্বাস করি না। এখন কি তারা সেটা করতে পারবে? পারবে না।

                      আল্লাহ তাদেরকে হেদায়াত দান করুন। তারাই তো বর্তমানে বাংলাদেশে প্রকাশ্য ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করছে, (মানে যতটুকু নিজেরা বুঝে সেমতে) এখন তাদের এমন ছন্নছাড়া অবস্থা, অস্তিত্ব সংকটের অবস্থা মানে প্রকাশ্য ইসলামেরই অস্তিত্ব সংকটের অবস্থা। মানে প্রকাশ্যে যা ছিল, সেটাও সমূলে উৎপাটিত হওয়ার পরিস্থিতি হয়ে গেছে।

                      খুব দুঃখ!!! হায় পরিতাপ!!

                      আছে কি আর কেউ দুঃখ প্রকাশ করবেন?

                      Comment


                      • #56
                        অধমের মতে হেফাজতের মধ্যে থাকা সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে বাদ দিয়ে বেফাকের মহাসচিব পদের মতো অরাজনৈতিক দায়ীত্বশীলদের দ্বারা ঈমানী আন্দোলনকে চাঙ্গা রাখা।আর তা না হলে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে দায়ীত্বশীল পদে সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক থেকে মুক্ত থাকাকে পূর্বশর্ত করা।এটা না করা অন্যান্য দল যেমন বি এন পি জামাত, আওয়ামী লীগ এর যাতাঁকলে পড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।
                        আল্লাহ তায়ালা হেফাজত করুন। আমীন!!
                        দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

                        Comment


                        • #57
                          যাজাকাল্লাহ অনেক সুন্দর বক্তিতা(বক্তৃতা)
                          অনেক পাইদা(ফায়দা) হয়েছে
                          তবে আরো একটু সহজ করে লিখলে সবাই বুঝবে আশা করি সাধারন মানুষদের বুঝতে একটু কষ্ট হবে
                          তাই আরো একটু সহজ ভায়া(ভাষায়) লিখার আবেদন করছি

                          Comment

                          Working...
                          X