বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রোযার মাহাত্ম্য, ২পর্ব
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ, শাশ্বত ও বিজ্ঞানসম্মত জীবন ব্যবস্থার নাম। এর প্রতিটি বিধানে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি। মানবতার সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। তাঁর যুগে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি প্রসার লাভ করেনি। তবুও বর্তমানে বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগে তাঁর জীবনের প্রতিটি কর্ম ও নির্দেশনা রহস্যময় এক বৈজ্ঞানিক ভিত্তি।
বিভিন্ন যুগের বিজ্ঞানীরা অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টিতে তাঁর নির্দেশিত প্রতিটি কাজ, চিন্তা-ভাবনা, নিয়মনীতি ও আইনকানুনের প্রতি মনোনিবেশ করেছেন সেই মহারহস্য উদঘাটনের প্রত্যাশায়। কেননা তাঁর জীবন অনুস্মরণেই রয়েছে মানব জীবনের সফলতার মূলমন্ত্র।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য একজন প্রফেসর এর অভিব্যক্তি,
আমি তখন ভূস্বর্গের সুইজারল্যান্ডে। বাংলাদেশ থেকে নতুন নতুন এসেছি। জাতিগত-ভাবে সুইসরা বেশ ভদ্র। এদেশের শহুরে মানুষের অধিকাংশ ইংরেজি জানে। তাই চলতে ফিরতে খুব একটা কষ্ট হয় না। কিন্তু বিড়ম্বনায় পড়লাম অন্য-খানে, সূর্যদেবী যেন মাথা উপর থেকে হেলতেই চায় না। প্রথম প্রথম খানিকটা চিন্তায় পড়তাম। ভাবতাম ঘড়ি নষ্ট না সূর্যের কিরণ বেশি, হেলতে চায় না যে। অবশেষে হরিমন্দ কহিলো বিষাদে বুঝলাম যে, এদেশের সূর্যাস্ত হয় অনেক দেরিতে।
জীবনের এ এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা । যুগটা ছিলো চিঠির। এ অভিজ্ঞতা রসিয়ে রসিয়ে শেয়ার করেছিলাম দেশে বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে।
সুইজারল্যান্ডে আসার কিছুদিন পরেই ছিলো পবিত্র মাহে রমজান । প্রায় উনিশ ঘণ্টার রোযা। কি এক সাংঘাতিক ব্যাপার। বুদ্ধি হবার পর থেকে কবে স্বেচ্ছায় রোযা ছেড়েছি মনে নেই। এদিকে বিগত এক বৎসর যাবত ভুগছি হাইপার এসিডিটিতে। কাজ করি পরিশ্রমের । রোযার সময় অনেক লম্বা তারপর আবার শরীর সুস্থ নয়। সব মিলিয়ে চিন্তায় আকাশ ভেঙে পড়লো মাথায় ।কিন্তু না, আমি তো হেরে যাবার ছেলে নই। হারতে শিখিনী আমি। সিদ্ধান্ত নিলাম, যা আছে কপালে রোযা আমি রাখবোই, যে কথা সে কাজ।
মাহে রমজান যে রহমত ও বরকত-পূর্ণ মাস তা আবারো প্রমাণিত হলো। তেমন কোনো সমস্যা ছাড়াই অতিবাহিত করলাম দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনা।
তবে মজার ব্যাপার হলো,
হাইপার এসিডিটি সংক্রান্ত পেটের ব্যথা রোযার প্রথম তিন সপ্তাহ থাকলেও রোযার শেষ সপ্তাহে একেবারেই তা অনুভব করিনি। রোযার শেষ সপ্তাহে কোন ঔষধও খেতে হয়নি। রোযার মাসের পরে কিছুটা ব্যথা অনুভব করলেও লাগাতার রোযা রাখার ফলে আজ পর্যন্ত কোন দিন পেট ব্যথার ঔষধ খেতে হয়নি আলহামদুলিল্লাহ।
চলবে ইনশাআল্লাহ,
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ, শাশ্বত ও বিজ্ঞানসম্মত জীবন ব্যবস্থার নাম। এর প্রতিটি বিধানে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি। মানবতার সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। তাঁর যুগে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি প্রসার লাভ করেনি। তবুও বর্তমানে বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগে তাঁর জীবনের প্রতিটি কর্ম ও নির্দেশনা রহস্যময় এক বৈজ্ঞানিক ভিত্তি।
বিভিন্ন যুগের বিজ্ঞানীরা অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টিতে তাঁর নির্দেশিত প্রতিটি কাজ, চিন্তা-ভাবনা, নিয়মনীতি ও আইনকানুনের প্রতি মনোনিবেশ করেছেন সেই মহারহস্য উদঘাটনের প্রত্যাশায়। কেননা তাঁর জীবন অনুস্মরণেই রয়েছে মানব জীবনের সফলতার মূলমন্ত্র।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য একজন প্রফেসর এর অভিব্যক্তি,
আমি তখন ভূস্বর্গের সুইজারল্যান্ডে। বাংলাদেশ থেকে নতুন নতুন এসেছি। জাতিগত-ভাবে সুইসরা বেশ ভদ্র। এদেশের শহুরে মানুষের অধিকাংশ ইংরেজি জানে। তাই চলতে ফিরতে খুব একটা কষ্ট হয় না। কিন্তু বিড়ম্বনায় পড়লাম অন্য-খানে, সূর্যদেবী যেন মাথা উপর থেকে হেলতেই চায় না। প্রথম প্রথম খানিকটা চিন্তায় পড়তাম। ভাবতাম ঘড়ি নষ্ট না সূর্যের কিরণ বেশি, হেলতে চায় না যে। অবশেষে হরিমন্দ কহিলো বিষাদে বুঝলাম যে, এদেশের সূর্যাস্ত হয় অনেক দেরিতে।
জীবনের এ এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা । যুগটা ছিলো চিঠির। এ অভিজ্ঞতা রসিয়ে রসিয়ে শেয়ার করেছিলাম দেশে বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে।
সুইজারল্যান্ডে আসার কিছুদিন পরেই ছিলো পবিত্র মাহে রমজান । প্রায় উনিশ ঘণ্টার রোযা। কি এক সাংঘাতিক ব্যাপার। বুদ্ধি হবার পর থেকে কবে স্বেচ্ছায় রোযা ছেড়েছি মনে নেই। এদিকে বিগত এক বৎসর যাবত ভুগছি হাইপার এসিডিটিতে। কাজ করি পরিশ্রমের । রোযার সময় অনেক লম্বা তারপর আবার শরীর সুস্থ নয়। সব মিলিয়ে চিন্তায় আকাশ ভেঙে পড়লো মাথায় ।কিন্তু না, আমি তো হেরে যাবার ছেলে নই। হারতে শিখিনী আমি। সিদ্ধান্ত নিলাম, যা আছে কপালে রোযা আমি রাখবোই, যে কথা সে কাজ।
মাহে রমজান যে রহমত ও বরকত-পূর্ণ মাস তা আবারো প্রমাণিত হলো। তেমন কোনো সমস্যা ছাড়াই অতিবাহিত করলাম দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনা।
তবে মজার ব্যাপার হলো,
হাইপার এসিডিটি সংক্রান্ত পেটের ব্যথা রোযার প্রথম তিন সপ্তাহ থাকলেও রোযার শেষ সপ্তাহে একেবারেই তা অনুভব করিনি। রোযার শেষ সপ্তাহে কোন ঔষধও খেতে হয়নি। রোযার মাসের পরে কিছুটা ব্যথা অনুভব করলেও লাগাতার রোযা রাখার ফলে আজ পর্যন্ত কোন দিন পেট ব্যথার ঔষধ খেতে হয়নি আলহামদুলিল্লাহ।
চলবে ইনশাআল্লাহ,
Comment