Announcement

Collapse
No announcement yet.

“ফুরসান তাহতা রায়াতিন নাবিয়্যি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” সিরিজ-৪৯

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • “ফুরসান তাহতা রায়াতিন নাবিয়্যি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” সিরিজ-৪৯

    তৃতীয় অধ্যায়: ময়দানে প্রত্যাবর্তন- পঞ্চম পরিচ্ছেদ:দাগিস্তান: উপায় শেষ হওয়ার পর সাহায্য- দ্বিতীয় বিষয়:কারাগারের অবস্থাগুলো নিয়ে কিছু ভাবনা

    (পূর্ব প্রকাশের পর)

    কয়েকদিন পর আমাদেরকে কারা কর্তৃপক্ষের নিকট নিয়ে গেল, বিভিন্ন সেলে ভাগ করে দেওয়ার জন্য। আমাদের প্রত্যেককেই একেকটি সূতার স্বচ্ছ কম্বল, পাতলা বালিশ, কোল বালিশ, গ্লাস ও চামচ দিল এবং আমাদেরকে ৭১ নং সেলে নিয়ে গেল, যা কখনো আমার স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাবে না। জেলখানার বাকি ছয় মাস আমরা সেখানে কাটিয়েছিলাম। অবশেষে আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহে মুক্তি পেয়েছি।

    দারোয়ান তার গেট খুলতেই আমরা বিস্মিত হলাম। কারণ সেলটি ছিল উষ্ণ। তার ফ্লোর কাঠের। সুন্দর আলোকিত। তাতে দু’টি প্রশস্ত জানালা। তার মাঝে একটি কাঠের ডেস্ক। যার দু’পাশে দু’টি সরু বেঞ্চ। মাটিতে স্থাপিত। তার কোণে একটি পানির ট্যাপ, বেসিন টয়লেট, যার প্রায় এক মিটার উঁচু একটি অসম্পূর্ণ দেয়াল আছে। সেলের বাসিন্দাদের পোষাক পরিচ্ছন্ন, চেহারা পরিচ্ছন্ন। স্পষ্টভাবেই বুঝা যাচ্ছে যে, তারা স্থিতিশীল এবং তাদের সব বিষয় সুশৃঙ্খল। তার দৈর্ঘ ছিল প্রায় ৮ মিটার। প্রস্থ প্রায় ৬ মিটার। তাতে প্রায় বিশজন বন্দি ছিল। তারা কক্ষের দুই পাশে দুই বা তিন ধাপে ঘুমায়।

    আমরা তাতে প্রবেশের সাথে সাথেই আমি আনন্দ ও উচ্ছাসের সাথে উচ্চস্বরে তাদেরকে সালাম দিলাম। তারা সালামের জবাব দিল এবং দ্রুত অগ্রসর হয়ে আমাদেরকে বসাল। আমরা আরব জেনে তারা বিস্মিত হল এবং যেকোন নতুন বন্দিকে অভ্যর্থনার ক্ষেত্রে তাদের চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী আমাদের জন্যও চা প্রস্তুত করতে শুরু করল।

    তারপর আমরা উক্ত বন্দিদের চেহারা ও পোষাক-পরিচ্ছদ পরিচ্ছন্ন হওয়ার রহস্য জানতে পারলাম। অধিকাংশ বন্দিদেরই পরিবার তাদের জন্য পোষাক, খাবার ও সাবান পাঠায়, যেগুলো ছাড়া জীবন কষ্টকর হয়ে যায়। কারণ কারা কর্তৃপক্ষ বন্দিদের জন্য রুটি, চা, মিষ্টান্ন এবং দু’টি গরম টিফিন পাঠাত। একটি সকালে, আরেকটি দুপুরে। তা কি সবজির, না শস্যের তা বুঝতে পারিনি। তাতে বিস্ময়করভাবে পেট ফুলে যায়। কখনো কখনো দুপুরে তার সাথে আলু ভর্তাও যোগ করে, যা পেলে বন্দিরা খুশি হয়। অথবা স্যুপ পাঠায়, যা তারা দাবি করে মুরগির বা মাছের। কিন্তু তাতে মুরগি বা মাছের পরিমাণ মায়ের পাতিলের অবশিষ্ট অংশের মত।

    মাগরিবের নামাযের সময় হলে আমাদের একজন কক্ষের মধ্যখানে দাঁড়িয়ে মাগরিবের নামাযের আযান দিল। আযানের ছন্দময় আওয়ায শোনার সাথে সাথে কক্ষের বাসিন্দাদের মাঝে যেন চেতনার এক বিদ্যুতপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ল। আমরা যখন নামায আদায়ের জন্য ফ্লোরের উপর কিছু বিছানোর ইচ্ছা করলাম, সঙ্গে সঙ্গে কক্ষের মধ্যে আজিব সাড়া পড়ে গেল।

    তাদের কয়েকজন দ্রুত আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলল: এই ফ্লোর অপরিচ্ছন্ন। এখানে নামায পড়বেন না। বরং আসুন, আমাদের উপর তলার রোমে নামায পড়ি। আমরাও নামায পড়ব। আমরা তাদের সাথেই নামায পড়লাম। তারা আমাকে ইমাম হিসাবে সামনে বাড়িয়ে দিল। তারা ইতিপূর্বে জামাতে নামায পড়ত না।

    কক্ষের মধ্যে বিস্ময়কর তৎপরতা ছড়িয়ে পড়ল। যাদের কক্ষে নামায আদায় করলাম, যাদেরকে কক্ষের নেতা হিসাবে গণ্য করা হত, সে সকল বন্দিরা নতুন করে রোম পরিপাটি করল। যারা জামাতে নামায পড়তে আগ্রহি, তাদের সকলকে পাশাপাশি দাড় করাল। আর বাকিদেরকে অন্য রোমে সরিয়ে দিল।

    আল্লাহর অনুগ্রহে সে সময় থেকে আমরা কক্ষে পাঁচ ওয়াক্ত নামায নিয়মিত জামাতে আদায় করতে লাগলাম এবং যারা নামায পড়ে না তাদেরকে দাওয়াত দিতে লাগলাম। ফলে আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়ায় মাত্র একজন বা দু’জন ব্যতিত রোমের সকল বাসিন্দা নিয়মিত আমাদের সাথে নামায আদায় করত। এভাবে আযানের মাধ্যমে আমাদের জন্য সকলের অন্তর খুলে গেল।

    আমরা ককেশাশবাসির ইসলামের দিকে ফেরার ব্যাকুলতা এবং তাদের অন্তরে ইসলামের কী পরিমাণ মর্যাদা তা বুঝতে পারলাম। এছাড়া উদারতা, বদান্যতা, বীরত্ব ও সৌজন্যতার গুণাবলীর প্রতি তাদের মর্যাদাবোধ এবং শরির চর্চা, বিশেষ করে শক্তির খেলা, আরো বিশেষ করে, কুস্তি লড়ার প্রতি তাদের আসক্তির পরিমাণও বুঝতে পারলাম।

    কারাগারের ধাপটি দাওয়াতের পদ্ধতির উপর একটি প্রশিক্ষণ মূলক ধাপও ছিল। বিশেষ করে সাধারণ মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার পদ্ধতির উপর। যার ব্যাপারে কখনো কখনো মুজাহিদগণের অভিজ্ঞতা খুব কম থাকে। কিন্তু যেকোন জনযুদ্ধে জনতাকে ভেড়ানোর জন্য এটি একটি মৌলিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই সেলে আমার দাওয়াতের ক্ষেত্রে কয়েকটি মজাদার ঘটনা ঘটেছে। উদাহরণ স্বরূপ উল্লেখ করছি- আমি কক্ষের ইমাম ছিলাম, একবার একজন লোক আমার নিকট আসল, যাকে কক্ষের লিডার হিসাবে গণ্য করা হয়। সে খুনের অপরাধে আসামী। কারাগারের বাইরের কীর্তিমান পুরুষ। কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করেছে। হজ্জের ফরজ দায়িত্বও পালন করেছে। তীক্ষ্ম মেধার অধিকারী ছিল। আমাদের ব্যাপারে অন্তরে বিরাট সম্মানবোধ রাখত। উক্ত লোক আমার নিকট এসে আমাকে জিজ্ঞেস করল: আপনি নামাযের পর তাসবীহ পাঠ করেন না কেন? আমি বললাম: আমি পড়ি, কিন্তু মনে মনে। বলল: আমাদের গ্রামের ইমাম সাহেব তো উচ্চস্বরে পড়েন। ফলে আমরাও তার পিছনে পড়তে পারি। তাই আপনিও উচ্চস্বরে তাসবীহ পড়ুন, যাতে আমরা আপনার পিছনে পড়তে পারি।

    আমি ভেবে দেখলাম, এখানে এই ব্যাখ্যা করা অনর্থক যে এটা বিদআত। কারণ আমি তার সাথে বুঝ আদান-প্রদান করি খুব কষ্টের সাথে। আর সে কখনো বুঝবেও না যে, বিদআত আসলে কী? সব থেকে আশঙ্কার বিষয় হল, হতে পারে এর কারণে সে আমাকে ওয়াহাবি বলে অভিযোগ করবে। আর যখন কেউ একবার আপনাকে অভিযোগ করবে যে, আপনি ওয়াহাবি, তখন সে আপনার উপর, তার সাথে আপনার যে সম্পর্ক ছিল তার উপর এবং আপনার থেকে যত উপদেশ প্রকাশ পাবে, সবকিছুর উপর সালাম জানিয়ে দিবে। কোন সন্দেহ নেই যে, যখন আমাকে ওয়াহাবি বলে অভিযোগ করা হবে, তখন আমি আর কক্ষের ইমাম থাকব না। এখানে কোন জামাতে নামাযও হবে না। এই বরকতময় জামাত শেষ হয়ে যাবে এবং আমাদের সকল চেষ্টাগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। তখন আমি মনে মনে বললাম, তারা আজ ফরজ পড়বে। আগামিকাল সুন্নাত শিখবে। কোন সমস্যা নেই।

    তাই আমি তাকে বললাম: ঠিক আছে। আমি উচ্চস্বরেই তাসবীহ পাঠ করব। তারপর সে একের পর এক প্রশ্ন চালিয়েই গেল। বলল: আপনি আয়াতুল কুরসি উচ্চস্বরে পড়েন না কেন? আমি বললাম: আমি এটা মনে মনে পড়ি। বলল: না, আপনি উচ্চস্বরে পড়ুন, যেভাবে আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব পড়ে থাকেন। কারণ আমরা এটা পড়তে পারি না। আমি তাকে বললাম: ভাল, উচ্চস্বরেই পড়ব। আবার বলল: আপনি নামাযের পর উচ্চস্বরে দু’আ করেন না কেন? আমি তাকে বললাম: আমি মনে মনে করি। বলল: না, আপনি উচ্চস্বরে করুন, যেভাবে আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব করে। যাতে আমরা আপনার দু’আয় আমিন আমিন বলতে পারি। আমি তাকে বললাম: ভাল, উচ্চস্বরেই দু’আ করব। এভাবে আমি তার প্রত্যেকটা দাবির সাথেই একমত হয়ে গেলাম। আমি এর মাধ্যমে তাদের মনোতুষ্টি ও তাদেরকে জামাতে নামায পড়ার ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ করার নিয়ত করলাম। আমি ইসলাম ও মুজাহিদগণের বিজয়ের জন্য দু’আ করতাম। তারা তাতে না বুঝেই বিনয়ের সাথে আমিন আমিন বলত। আমি আমার দু’আর উপর তাদের বিনয়ভরা ‘আমিন’ বলাকে বরকতপূর্ণ মনে করতাম এবং আশা করতাম, এটা আমার দু’আ কবুলের মাধ্যম হবে।

    ইমাম ইবনুল কায়্যিম রহ. বলেন:

    “যে লোকজনের মাঝে আল্লাহর সাথে ঘনিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলে, কিন্তু একাকিত্বে তা পায়, সে দুর্বল বন্ধু। আর যে তা মানুষের মাঝে পায়, কিন্তু একাকিত্বে হারিয়ে ফেলে সে রোগাক্রান্ত। যে মানুষের মাঝেও তা হারিয়ে ফেলে, একাকিত্বেও হারিয়ে ফেলে, সে মৃত, বিতাড়িত। আর যে নির্জনেও তা অনুভব করে, মানুষের মাঝেও অনুভব করে, সে সত্য ও আপন অবস্থায় শক্তিশালী বন্ধু।

    যার শুরু হয় নির্জনতায়, তার বৃদ্ধিও তা থেকেই হয়। আর যার শুরু হয় মানুষের মাঝে এবং তাদেরকে উপদেশ ও দিকনির্দেশনা দেওয়ার মাঝে, তার বৃদ্ধিও তাদের সাথেই হয়। আর যার শুরু হয় আল্লাহর উদ্দেশ্যের বাস্তবায়নের মাধ্যমে, তথা আল্লাহ তা কোথায় রেখেছেন এবং কোন জিনিসের উপর ব্যবহার করেছেন, সে অনুযায়ী চলার মাধ্যমে, তা নির্জনতায়ও বৃদ্ধি পায়, মানুষের মাঝেও বৃদ্ধি পায়। তাই সর্বশ্রেষ্ঠ অবস্থা হল, তিনি আপনার জন্য যা নির্বাচন করেন এবং যাতে আপনাকে রাখেন, তা ব্যতিত আপনি নিজে নিজের জন্য কোন অবস্থা নির্বাচন করবেন না। তাই আপনার থেকে তিনি কী চান, সেটা নিয়ে থাকুন; তার থেকে আপনি কী চান, সেটা নিয়ে থাকবেন না।”

    আমার মনে পড়ে, একবার জনৈক বন্দি। যিনি বয়স্ক লোক ছিলেন। তার ব্যাপারে অভিযোগ হল, তিনি একজন যানবাহন ড্রাইভার হিসাবে একটি ট্রাফিক দুর্ঘটনার সাথে জড়িত, যা কয়েকজন মানুষের প্রাণহানির কারণ হয়। ধর্মের ব্যাপারে শৈশবের শিক্ষার সম্বলটুকু ব্যতিত কিছুই জানতেন না।

    ওই লোকটি আমার কাছে আসল। এসে আমাকে বলল: আজ আমার মায়ের মৃত্যুর বার্ষিক স্মৃতিচারণের দিন। কারাগারে আসার পূর্বে আমি প্রতি বছর এই দিনে একটি পশু জবাই করে উৎসর্গ করতাম। তা দ্বারা খাবার পাকিয়ে শায়খদেরকে সূরা ইয়াসিন ও মিলাদ পড়তে ডাকতাম। তারপর এর সাওয়াব আমার মায়ের আত্মার প্রতি নিবেদন করতাম। আমি এখন কারাগারে। তাই আশা করছি, আপনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করবেন। আমরা মাগরিবের পর একত্রিত হব। আপনি সূরা ইয়াসিন পাঠ করে আমার মায়ের জন্য দু’আ করবেন।

    আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না, তাকে কী জবাব দিব? আমি যদি তাকে বলি, আমি কখনো এটা করব না, কারণ এটা বিদআত, তাহলে সে কখনো বুঝবে না এবং আমি কী বলছি তা একটুও গ্রহণ করবে না। আর মনে করবে, আমি তার উপর বড়ত্ব ও অহংকার দেখাচ্ছি, তার অনুভূতিগুলোর মূল্যায়ন করি না। নইলে কেন তার মায়ের জন্য রহমতের দু’আ করব না? এ হল, যদি আমাকে ওয়াহবী বলে টেগ না লাগায়।

    তখন আমি তাকে দাওয়াত দেওয়ার একটি কৌশল খুঁজে পেলাম। আমি তাকে বললাম: ঠিক আছে, মাগরিব নামাযের পরে ইনশাআল্লাহ। মাগরিব নামাযের পর আমি নামায শেষ করতে লাগলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন: রোমের লোকদেরকে একত্রিত হতে বলবেন না? আমি তাকে বললাম: সবর করুন। আমি আযকার ও নফল নামায শেষ করার পর তাকে বললাম: আপনি যাদেরকে পছন্দ করেন তাদেরকে ডেকে আনুন। তখন তিনি রোমের প্রায় চারজন লোক একত্রিত করলেন। আমি তাদের সাথে বসলাম এবং সূরা ইয়াসিন ও ছোট ছোট সূরাগুলোর কয়েকটি পাঠ করলাম। অতঃপর তার মায়ের জন্য, আমাদের জন্য এবং সমস্ত মুসলমানদের জন্য দু’আ করলাম। আমি যখন দু’আ শেষ করলাম, তখন তিনি মহা খুশি। আমার প্রতি ভরপুর কৃতজ্ঞতা আদায় করলেন এবং আমাকে জানালেন যে, আমি তার জন্য একটি বিরাট ভালো কাজ করে দিয়েছি।

    তখন আমি তাকে বললাম: কিন্তু আমি আপনার নিকট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্পষ্ট করতে চাই। তা হল, আপনার উপর আপনার মায়ের বিরাট হক রয়েছে। আপনি শুধু বছরে একদিন নির্দিষ্ট করে তার জন্য দু’আ করবেন- এটা আপনার পক্ষ থেকে তার হকের ব্যাপারে অবহেলা। বরং আপনাকে প্রতিদিন দু’আ করতে হবে। তিনি স্বতস্ফুর্তভাবে তা সমর্থন জানালেন। তখন আমি আরেকটু বাড়িয়ে বললাম: আপনার উচিত বছরে একদিন নির্দিষ্ট করে তার জন্য দু’আ না করা। এটা জায়েয নেই। বরং আপনার কর্তব্য হল প্রতিদিন তার জন্য দু’আ করা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা। তখন তিনি আনন্দিতচিত্তে ও সন্তুষ্টির সাথে তা মেনে নিলেন।

    আমরা নিয়মিত আযান ও জামাতে নামায আদায়ের কয়েক মাস পর আরেকটি সেল থেকে আযানের শব্দ শুনতে শুরু করলাম। আমরা এটাকে শুভ লক্ষণ মনে করত: ভাবলাম, হয়ত আমাদের সেলে আযান ও জামাতে নামায আদায়ের সুন্নাত জীবিত করার বরকতেই এটা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টা সীমা ছাড়িয়ে গেল। আমরা আমাদেরই ওয়ার্ডের একটি সেলের এক কোণা থেকে জনৈক সুফীর কণ্ঠ থেকে ককেশাশবাসির রীতিতে শক্তিশালী যিকরের আওয়ায শুনতে পেলাম। আমরা কারণ জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম, উক্ত সেলে একজন সুফী আছে, যিনি প্রতি নির্দিষ্ট তারিখে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তখন আমরা এজন্য আল্লাহর প্রশংসা করলাম যে, সে আমাদের সেলে নয়। নয়ত আমরা তার পাশে থাকতে পারতাম না এবং এর কারণে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হত।

  • #2
    আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা ভাইয়ের কাজগুলো কবুল করুন এবং এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার তাউফিক দান করুন, আমিন!
    “দ্বীনের জন্য রক্ত দিতে দৌড়ে বেড়ায় যারা,সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর উত্তরসূরী তারা”–TBangla

    Comment


    • #3
      আল্লাহ ভাইয়ের মেহনতে কবুল করুন এ-থেকে আমাদের উপকৃত করুন।
      আমিন!!
      "এখন কথা হবে তরবারির ভাষায়, যতক্ষণ না মিথ্যার অবসান হয়"

      Comment


      • #4
        আল্লাহ ভাইয়ের মেহনতে কবুল করুন এ-থেকে আমাদের উপকৃত করুন।
        আমিন!!
        "এখন কথা হবে তরবারির ভাষায়, যতক্ষণ না মিথ্যার অবসান হয়"

        Comment


        • #5
          ধারাবাহিক ভাবে চলমান থাকুক......এই শুভ কামনা।
          গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

          Comment


          • #6
            আলহামদুলিল্লাহ, আপনার প্রতিটি পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করি ও উপকৃত হতে চেষ্টা করি। আর আপনার জন্য দিল থেকে দু‘আ করি।
            হে আল্লাহ, আমার ভাইয়ের ইলম, আমল, সময় ও কাজে বরকত দান করুন ও উম্মাহকে উপকৃত করুন। সকল খেদমতকে কবুল করুন। আমীন
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              আল্লাহ তায়ালা এই মহৎ কাজের উত্তম বিনিময় দান করুন। সামনের পর্বগুলো কি অনুবাদ হয়ে আসবে? ধারাবাহিক চালিয়ে গেলে ভাল হত ইনশাআল্লাহ।

              আর এই পর্যন্ত যা হয়েছে সবগুলো একটা word ফাইল আকারে দিলে উপকার হত।
              মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
              রোম- ৪৭

              Comment


              • #8
                Originally posted by আবু মুহাম্মাদ View Post
                আল্লাহ তায়ালা এই মহৎ কাজের উত্তম বিনিময় দান করুন। সামনের পর্বগুলো কি অনুবাদ হয়ে আসবে? ধারাবাহিক চালিয়ে গেলে ভাল হত ইনশাআল্লাহ।

                আর এই পর্যন্ত যা হয়েছে সবগুলো একটা word ফাইল আকারে দিলে উপকার হত।
                জি ভাই, অনুবাদ শেষ হওয়ার পরই পোষ্ট দেওয়া শুরু করা হয়েছে। আর হ্যা, আপনি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য জাযাকাল্লাহ। আমি কয়েকদিন পর থেকে আবার নিয়মিত পোষ্ট দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আামি একটু স্থির অবস্থায় গিয়ে নিই ইনশাআল্লাহ।

                Comment


                • #9
                  আলহামদুলিল্লাহ! বড় সুসংবাদ!! আবারো ফুরসানের অনুবাদ আসছে!!!

                  Originally posted by salahuddin aiubi View Post
                  জি ভাই, অনুবাদ শেষ হওয়ার পরই পোষ্ট দেওয়া শুরু করা হয়েছে। আর হ্যা, আপনি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য জাযাকাল্লাহ। আমি কয়েকদিন পর থেকে আবার নিয়মিত পোষ্ট দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আামি একটু স্থির অবস্থায় গিয়ে নিই ইনশাআল্লাহ।
                  জাজাকাল্লাহ খাইরান! আল্লাহ তায়ালা আপনার কাজে ভরপুর বারাকাত ও পূর্ণ নিরাপত্তা দান করুন!!
                  ইসলামই দিয়েছে প্রকৃত বাকস্বাধীনতা

                  Comment

                  Working...
                  X