যেকারাভোগ করেনি বা কাছে থেকে কারাগারকে জানেনি, তাকে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেতে হয় এর বাস্তবতা সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার পর।
আমরা দেখতে পাই, কারাবন্দী ব্যাক্তি কারাভ্যন্তরীণ বিভিন্ন প্রকারের শাস্তি-কষ্ট ও দুর্ভোগের স্বাদ আস্বাদনের দরূন কিংবা বিচারাধীন সময়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চিন্তা করতে করতে এক ঘোলাটে পরিস্থিতির সামনে এসে দাঁড়ায়। সে নিজেকে অনন্যোপায় মনে করে মানহাজের বিপরীতে চলার চিন্তাভাবনা করতে থাকে।
আবার এও দেখা যায়, বিভিন্ন চাপ ও বাধ্যবাধকতার কারণে বন্দী নিজের অক্ষমতাকে সঙ্গী করে সবর করে। এবং কারামুক্তির পরপরই স্বীয় তরবারীকে তাগুতের মুখে নিক্ষেপ করতে বিলম্ব করে না।যেহেতু বন্দিত্বের ওজর তাকে দায়িত্ব পালনে অপারগ করে দিয়েছিল, তাই পূর্ণ উদ্যমে সে হক্বের পতাকা বহনে অগ্রগামী হয়।
নিঃসন্দেহে কারাগার তখনই ফল দিবে যখন আল্লাহর পথের দা’ঈ বা মুজাহিদ আল্লাহ্* তা’আলার ইবাদত আনুগত্য, কিতাবুল্লাহ হিফয, ‘ইলম অর্জন, দাওয়াতের প্রসারতা এবং নিজের ও অন্যদের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হবে।
মানুষ যখন হাল ছেড়ে দেয় তখন সে ভেঙ্গে পড়ে। অতঃপর মানুষের শাস্তিকে আল্লাহ্*র আযাবের ন্যায় মনে করতে থাকে। ফলশ্রুতিতে তার পরিবর্তন ঘটে যায়।
হক্ব চেনার পর, হক্বের রাস্তায় সবর করা সত্বেও সে পশ্চাদপসরণ করে এবং দুনিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ে। এই বিষয়টি বিভিন্নভাবে বন্দীর সামনে এসে থাকে। আমরা আল্লাহ তা’আলার কাছে নিরাপত্তা, শান্তি এবং উত্তম মৃত্যু কামনা করছি।
কারাগারের বাস্তবতা বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটানোর মাধ্যমে, মানুষের স্বভাবজাত দূর্বলতাকে কেন্দ্র করে তার পদস্খলন ঘটাতে পারে।
বন্দীত্ব একজন মানুষকে শাস্তি, লাঞ্ছনার পাশাপাশি চরম বাড়াবাড়িতে লিপ্ত করে দিতে পারে। এজাতীয় লোকদের জড় চিন্তাধারা থেকে উগ্রতাই বের হয়ে আসে। কখনো তা সাধারন বা বিশেষ লোকদের তাকফির পর্যন্ত গড়ায়। আর না এসবের পিছনে কোন দলীল থাকে।
বরং, এমন উগ্রতা বা তাকফীরী নীতি চরম প্রতিশোধপরায়ণতা এবং সংকুচিত মানসিকতারই ফলাফল হয়ে থাকে। তাদের আক্রমণ থেকে কেউই রেহাই পায়না।
কারাগারে অবস্থানের সহজাত ফলাফল হলো বিষণ্ণতা, আধুনিক নবউদ্ভাবিত আপোষকামিতা, বাড়াবাড়ি, তোষামোদ, রুখসতের (শরীয়তের ক্ষেত্রে ছাড়ের নীতি) অনুসরণ।
কিংবা অল্প কিছু আলেমের ভুল-ভ্রান্তি বা বিচ্ছিন্ন মতের অনুসরণ, যা মূলত দলীলের উপস্থিতির কারণে নয় বরং প্রবৃত্তি/খাহেশের অনুগামী হওয়ার কারণে। কেননা, বন্দীত্বের ফলে জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী প্রভাবিত হয়ে থাকে।
জেনে রাখা প্রয়োজন, কারাবন্দীদের জন্য রয়েছে এই প্রত্যেক প্রকারের মুসীবত।
আল্লাহ তা’আলা স্বীয় অনুগ্রহ, দয়া, ইহসান, তাওফিক্ব ও দৃঢ়তা দানের মাধ্যমে বাড়াবাড়িকারীদের বাড়াবাড়ি থেকে এবং ছাড়াছাড়িকারীদের ছাড়াছাড়ি থেকে আমদের রক্ষা করুন। আমিন।
কারাগারের ফিতনা এবং আল্লাহর শত্রুদের নির্যাতন স্থানভেদে বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। দায়ীদের খোলাখুলি দাওয়াত কিংবা তাগুতের বিরুদ্ধে মুজাহিদিনদের শক্ত অবস্থান সাপেক্ষে কারাগারের ফিতনা এবং জুলুম নির্যাতন ভিন্ন রকমের হতে পারে।
গ্রেফতারের প্রথম দিন থেকে একাকী বন্দীত্বের কষ্টে ভুগে ক্রমাগত ইন্টারোগেশনের ভয়ঙ্কর নির্যাতনের সম্মুখীন হওয়া এবং দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্নাবস্থায় থাকা, দোষ স্বীকারে বাধ্য হয়ে কারাগারে স্থানান্তরিত হওয়া অপেক্ষা অত্যন্ত কঠিন ও দুর্বিষহ।
কেননা কারাগারে বিভিন্ন মানুষের সাথে সাক্ষাৎ যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে থাকে। কিন্তু গুমাবস্থায় তা সম্ভব হয় না।
এ বিষয়েও ভালোভাবে ধারণা রাখা প্রয়োজন, যে কোন সময় বন্দীকে অকস্মাৎ এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে স্থানান্তরিত হওয়া কিংবা যে কোন চাপের সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে।
এ আলোচনার অবতারণা তাদের জন্য করলাম যারা কারাবরণ করেনি বা কারাগারের ফিতনার সম্মুখীন হন নি। তাদের কেউ হঠাৎ বন্দী হলে যেন ফয়সালার ব্যাপারে তাড়াহুড়া না করে, বন্দীবস্থায় অস্থির হয়ে যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
বন্দীত্বকারী ব্যাক্তি শায়খ/আলেম হোক কিংবা অধীনস্থ কেউ। সবরকে আঁকড়ে ধরে ধীরস্থিরতার কোনো বিকল্প নেই।
যদি উক্ত ব্যাক্তি নের্তৃস্থানীয় বা আলেম হোন, তবে তিনি যেন দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করেন। যদিও বা তাকে কেটে ফেলার বা জ্বালিয়ে দেয়ার উপক্রম হয়। তারা যেন আল্লাহ্*র রাস্তায় নিহত হয়ে, কষ্ট ভোগ করে কিংবা লাঞ্ছিত হয়ে দ্বীনকে রক্ষায় নিজ ভূমিকা পালন করেন।
আমাদের যুগে মুজাহিদিনদের মানহাজ অবলম্বনকারীদের মাঝে এ বিষয়গুলো পরিলক্ষিত হয়। তারা স্বল্পসংখ্যক এবং শত্রুদের হুঙ্কারও তারা শুনছে। মানুষ তাদেরকে কসাইখানায় রক্ষিত পশুদের ন্যায় দেখতে পায়।
এই কঠিন পরিস্থিতিতে পূর্ববর্তীদের মধ্যে তাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ।
যেমন ইমাম আহমাদ ইব্*ন হাম্বাল রহিমাহুল্লাহ, ইমাম ইব্*ন তাইমিয়া রহিমাহুল্লাহ, ইমাম নাবালুসি রহিমাহুল্লাহ প্রমুখ।
তাদের সময়কার মুলহিদদের ব্যাপারে ফতওয়া পরিবর্তনের জন্য তাদের বেত্রাঘাত করা হয়েছে। কিন্তু তারা এবং তাদের মতো অন্যরা আমৃত্যু নিজ অবস্থানে অটল ছিলেন। আল্লাহ্* তা’আলা তাদের মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করুন। আমিন।
বন্দীত্ব বরণকারীগণ যেন আল্লাহ্* তা’আলার এই আয়াত হতে গাফেল না থাকেন –
يَـٰٓأَيُّہَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَخُونُواْ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَ وَتَخُونُوٓاْ أَمَـٰنَـٰتِكُمۡ وَأَنتُمۡ تَعۡلَمُونَ (٢٧)
“ হে ইমানদারগণ ! তোমরা আল্লাহ্* ও তাঁর রাসূলের সাথে খিয়ানত করোনা এবং তোমরা তোমাদের আমানতেরও খিয়ানত করো না”। ( সূরা আনফাল, ৮:২৭)
তারা যেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই হাদীসও স্মরণ রাখেন –
মক্কায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট মুশরিকদের নিপীড়নের ব্যাপারে কিছু সাহাবী অভিযোগ করেন।
অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
(শায়খ আবু মুহাম্মাদ আসিম আল মাকদিসি হাফিজাহুল্লাহ’র রিসালাহ থেকে অনূদিত, সংক্ষেপিত ও পরিমার্জিত)
আমরা দেখতে পাই, কারাবন্দী ব্যাক্তি কারাভ্যন্তরীণ বিভিন্ন প্রকারের শাস্তি-কষ্ট ও দুর্ভোগের স্বাদ আস্বাদনের দরূন কিংবা বিচারাধীন সময়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চিন্তা করতে করতে এক ঘোলাটে পরিস্থিতির সামনে এসে দাঁড়ায়। সে নিজেকে অনন্যোপায় মনে করে মানহাজের বিপরীতে চলার চিন্তাভাবনা করতে থাকে।
আবার এও দেখা যায়, বিভিন্ন চাপ ও বাধ্যবাধকতার কারণে বন্দী নিজের অক্ষমতাকে সঙ্গী করে সবর করে। এবং কারামুক্তির পরপরই স্বীয় তরবারীকে তাগুতের মুখে নিক্ষেপ করতে বিলম্ব করে না।যেহেতু বন্দিত্বের ওজর তাকে দায়িত্ব পালনে অপারগ করে দিয়েছিল, তাই পূর্ণ উদ্যমে সে হক্বের পতাকা বহনে অগ্রগামী হয়।
নিঃসন্দেহে কারাগার তখনই ফল দিবে যখন আল্লাহর পথের দা’ঈ বা মুজাহিদ আল্লাহ্* তা’আলার ইবাদত আনুগত্য, কিতাবুল্লাহ হিফয, ‘ইলম অর্জন, দাওয়াতের প্রসারতা এবং নিজের ও অন্যদের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হবে।
মানুষ যখন হাল ছেড়ে দেয় তখন সে ভেঙ্গে পড়ে। অতঃপর মানুষের শাস্তিকে আল্লাহ্*র আযাবের ন্যায় মনে করতে থাকে। ফলশ্রুতিতে তার পরিবর্তন ঘটে যায়।
হক্ব চেনার পর, হক্বের রাস্তায় সবর করা সত্বেও সে পশ্চাদপসরণ করে এবং দুনিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ে। এই বিষয়টি বিভিন্নভাবে বন্দীর সামনে এসে থাকে। আমরা আল্লাহ তা’আলার কাছে নিরাপত্তা, শান্তি এবং উত্তম মৃত্যু কামনা করছি।
কারাগারের বাস্তবতা বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটানোর মাধ্যমে, মানুষের স্বভাবজাত দূর্বলতাকে কেন্দ্র করে তার পদস্খলন ঘটাতে পারে।
বন্দীত্ব একজন মানুষকে শাস্তি, লাঞ্ছনার পাশাপাশি চরম বাড়াবাড়িতে লিপ্ত করে দিতে পারে। এজাতীয় লোকদের জড় চিন্তাধারা থেকে উগ্রতাই বের হয়ে আসে। কখনো তা সাধারন বা বিশেষ লোকদের তাকফির পর্যন্ত গড়ায়। আর না এসবের পিছনে কোন দলীল থাকে।
বরং, এমন উগ্রতা বা তাকফীরী নীতি চরম প্রতিশোধপরায়ণতা এবং সংকুচিত মানসিকতারই ফলাফল হয়ে থাকে। তাদের আক্রমণ থেকে কেউই রেহাই পায়না।
কারাগারে অবস্থানের সহজাত ফলাফল হলো বিষণ্ণতা, আধুনিক নবউদ্ভাবিত আপোষকামিতা, বাড়াবাড়ি, তোষামোদ, রুখসতের (শরীয়তের ক্ষেত্রে ছাড়ের নীতি) অনুসরণ।
কিংবা অল্প কিছু আলেমের ভুল-ভ্রান্তি বা বিচ্ছিন্ন মতের অনুসরণ, যা মূলত দলীলের উপস্থিতির কারণে নয় বরং প্রবৃত্তি/খাহেশের অনুগামী হওয়ার কারণে। কেননা, বন্দীত্বের ফলে জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী প্রভাবিত হয়ে থাকে।
জেনে রাখা প্রয়োজন, কারাবন্দীদের জন্য রয়েছে এই প্রত্যেক প্রকারের মুসীবত।
আল্লাহ তা’আলা স্বীয় অনুগ্রহ, দয়া, ইহসান, তাওফিক্ব ও দৃঢ়তা দানের মাধ্যমে বাড়াবাড়িকারীদের বাড়াবাড়ি থেকে এবং ছাড়াছাড়িকারীদের ছাড়াছাড়ি থেকে আমদের রক্ষা করুন। আমিন।
কারাগারের ফিতনা এবং আল্লাহর শত্রুদের নির্যাতন স্থানভেদে বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। দায়ীদের খোলাখুলি দাওয়াত কিংবা তাগুতের বিরুদ্ধে মুজাহিদিনদের শক্ত অবস্থান সাপেক্ষে কারাগারের ফিতনা এবং জুলুম নির্যাতন ভিন্ন রকমের হতে পারে।
গ্রেফতারের প্রথম দিন থেকে একাকী বন্দীত্বের কষ্টে ভুগে ক্রমাগত ইন্টারোগেশনের ভয়ঙ্কর নির্যাতনের সম্মুখীন হওয়া এবং দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্নাবস্থায় থাকা, দোষ স্বীকারে বাধ্য হয়ে কারাগারে স্থানান্তরিত হওয়া অপেক্ষা অত্যন্ত কঠিন ও দুর্বিষহ।
কেননা কারাগারে বিভিন্ন মানুষের সাথে সাক্ষাৎ যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে থাকে। কিন্তু গুমাবস্থায় তা সম্ভব হয় না।
এ বিষয়েও ভালোভাবে ধারণা রাখা প্রয়োজন, যে কোন সময় বন্দীকে অকস্মাৎ এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে স্থানান্তরিত হওয়া কিংবা যে কোন চাপের সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে।
এ আলোচনার অবতারণা তাদের জন্য করলাম যারা কারাবরণ করেনি বা কারাগারের ফিতনার সম্মুখীন হন নি। তাদের কেউ হঠাৎ বন্দী হলে যেন ফয়সালার ব্যাপারে তাড়াহুড়া না করে, বন্দীবস্থায় অস্থির হয়ে যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
বন্দীত্বকারী ব্যাক্তি শায়খ/আলেম হোক কিংবা অধীনস্থ কেউ। সবরকে আঁকড়ে ধরে ধীরস্থিরতার কোনো বিকল্প নেই।
যদি উক্ত ব্যাক্তি নের্তৃস্থানীয় বা আলেম হোন, তবে তিনি যেন দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করেন। যদিও বা তাকে কেটে ফেলার বা জ্বালিয়ে দেয়ার উপক্রম হয়। তারা যেন আল্লাহ্*র রাস্তায় নিহত হয়ে, কষ্ট ভোগ করে কিংবা লাঞ্ছিত হয়ে দ্বীনকে রক্ষায় নিজ ভূমিকা পালন করেন।
আমাদের যুগে মুজাহিদিনদের মানহাজ অবলম্বনকারীদের মাঝে এ বিষয়গুলো পরিলক্ষিত হয়। তারা স্বল্পসংখ্যক এবং শত্রুদের হুঙ্কারও তারা শুনছে। মানুষ তাদেরকে কসাইখানায় রক্ষিত পশুদের ন্যায় দেখতে পায়।
এই কঠিন পরিস্থিতিতে পূর্ববর্তীদের মধ্যে তাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ।
যেমন ইমাম আহমাদ ইব্*ন হাম্বাল রহিমাহুল্লাহ, ইমাম ইব্*ন তাইমিয়া রহিমাহুল্লাহ, ইমাম নাবালুসি রহিমাহুল্লাহ প্রমুখ।
তাদের সময়কার মুলহিদদের ব্যাপারে ফতওয়া পরিবর্তনের জন্য তাদের বেত্রাঘাত করা হয়েছে। কিন্তু তারা এবং তাদের মতো অন্যরা আমৃত্যু নিজ অবস্থানে অটল ছিলেন। আল্লাহ্* তা’আলা তাদের মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করুন। আমিন।
বন্দীত্ব বরণকারীগণ যেন আল্লাহ্* তা’আলার এই আয়াত হতে গাফেল না থাকেন –
يَـٰٓأَيُّہَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَخُونُواْ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَ وَتَخُونُوٓاْ أَمَـٰنَـٰتِكُمۡ وَأَنتُمۡ تَعۡلَمُونَ (٢٧)
“ হে ইমানদারগণ ! তোমরা আল্লাহ্* ও তাঁর রাসূলের সাথে খিয়ানত করোনা এবং তোমরা তোমাদের আমানতেরও খিয়ানত করো না”। ( সূরা আনফাল, ৮:২৭)
তারা যেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই হাদীসও স্মরণ রাখেন –
মক্কায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট মুশরিকদের নিপীড়নের ব্যাপারে কিছু সাহাবী অভিযোগ করেন।
অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
“তোমাদের পূর্বে কোনো এক লোককে ধরে গর্ত খুড়ে তাতে রাখা হয়, অতঃপর করাত তার মাথার উপর থেকে ধরে দ্বিখণ্ডিত করা হয়। আরেকজনকে লোহার চিরূনি দিয়ে শরীরের গোশত আলাদা করা হয়। এতদসত্বেও তাদেরকে তাদের দ্বীন থেকে ফেরানো যায় নি”।
(সহীহ বুখারী)
(সহীহ বুখারী)
Comment