একটি অদ্ভুত ও বিব্রতকর বিষয়…
ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের মানদন্ড কী হওয়া উচিৎ? বিরোধিতা ও সমর্থনের ক্ষেত্রে আমাদের মূলনীতি কী?
অবশ্যই সবাই বলবে, কুর’আন ও সুন্নাহ।
এখন নিজেকে কয়েকটি প্রশ্ন করা যেতে পারে -
*আই এসের বিরোধিতায় আমরা আমেরিকাকে সমর্থন করব কি?
*সালাফিদের বিরোধিতায় আমরা শিয়াদের সমর্থন করব কি?
*তাবলীগের বিরোধিতায় আমরা কাদিয়ানিদের সমর্থন করব কি?
আশ্চর্যজনক হলেও সত্য-
বিষয়গুলো আমাদের সামনে প্রায়ই আসলেও আমরা সঠিক অবস্থান নিতে অক্ষম হই। অথবা, যুক্তির মারপ্যাঁচে আমরা সত্য উপেক্ষা করে মিথ্যাকে আকড়ে ধরি।
বিষয়টা এমন নয় যে, আল্লাহ্*’র দ্বীন এব্যাপারে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেয়নি।
আমাদের ব্যর্থতা হচ্ছে আমরা ইসলামকে বাদ দিয়ে মাসলাককে ওয়ালা-বা’রার মানদন্ড বানাই…
কাব বিন মালিক (রাদি)’র হাদিস থেকে আমরা জানি যে, তাবুকের যুদ্ধে না যাওয়ার পর ৫০ দিনের বয়কট চলাকালীন কাব (রাদি)’র কাছে রোমানদের পক্ষ থেকে আশ্রয়ের প্রস্তাব আসলে তিনি ঘৃণার সাথে ফিরিয়ে দেন।
লক্ষ্য করুন, রোমানরা কিন্তু কাব (রাদি)কে মুসলিমদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহ্বানও জানায় নি!!
মু’আবিয়া রাদি ও আলি রাদি’র মাঝে যুদ্ধ হয়েছে সত্য। কিন্তু আলি (রাদি)’র বিরুদ্ধে খাওয়ারিজদের পক্ষালম্বন কি মু’আবিয়া (রাদি) কল্পনাও করতে পারতেন!!!!
দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছে, এপ্রসঙ্গে ভুল কমবেশি অনেকের থেকেই পরিলক্ষিত হয়।
এরমধ্যে সবচেয়ে বেশী প্রচলিত ও পরিচিত হচ্ছে — “আলেম” গোষ্ঠীর মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে ন্যাটো-আমেরিকা-স্থানীয় মুরতাদ জোটের পক্ষালম্বনের বিষয়টি। এবিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।
বিষয়টা কি ইজতিহাদি মাস’আলার অন্তর্ভুক্ত!! ওয়াল্লাহু মুস্তা’আন।
যাই হোক। এব্যাপারে আলাদা আলোচনা হতে পারে।
উদাহারণ হিসেবে ইউটিউবে দেওবন্দি ঘরানার জনপ্রিয় চ্যানেল হানাফি ফিকহের উদাহারণ আমরা দেখে নিতে পারি-
অনেক মহান খেদমতের আঞ্জাম দেয়া সত্ত্বেও, তাদের মাঝে এই চিন্তাগত বিচ্যুতি দেখা যায়, সালাফিদের বিরুদ্ধে বিদ’আতি-পথভ্রস্টদের পক্ষাবলম্বন…
১/ আব্দুল হাকিম মুরাদ… কেম্ব্রিজের একজন সুফি… জামিয়া আযহার থেকে পড়ালেখা করে এসে ইংল্যন্ডে কুইলিয়াম প্রেস নামে একটি সুফিবাদি সংগঠন চালান। কেম্ব্রিয মুসলিম কলেজের ডিন হিসেবে কর্মরত। সরাসরি বেরলভি না হলেও সে তাদের ঘরানার… পশ্চিমা কুফফারদের একজন আস্থাভাজন আলেম।
তাসাওউফ নিয়ে চুড়ান্ত বাড়াবাড়িতে লিপ্ত। মিলাদুন্নবির কট্টর সমর্থক! সমকামিতার উপর একবার লেকচার দেয়াতে তাকে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় “হোমোফবিক” হিসেবে।
এবং এর জন্য সে পরবর্তীতে ক্ষমাপ্রার্থনাও করে!!!
তালেবান শাসনামলে তালেবানদের সমর্থনের জন্য সে তাবলীগের সমালোচনাও করেছে!
শায়খ উসামা রহঃকে বিভ্রান্ত, অজ্ঞ ও চরমপন্থী আখ্যায়িত করেছে।
Happy Muslims নামক ফাহেশাপূর্ণ ভিডিওতেও (ইন্সট্রুমেন্টাল মিউজিক সহ) তে আবির্ভূত হয়েছে এই ব্যক্তি।
অথচ, এই ব্যক্তির কয়েকটি ভিডিও আপনি পাবেন অতি পরিচিত Hanafi Fiqh চ্যনেলে… সালাফিদের আক্রমণের উদ্দেশ্য!
২/ উলামায়ে দেওবন্দ কি জামাতে ইসলামি ও সালাফিদের একই রকম গোমরাহ মনে করেন??
আমাদের উলামায়ে দেওবন্দের আকাবিরদের কিতাবাদি থেকে এটা পরিষ্কার। অবশ্যই না।
অথচ Hanafi Fiqh চ্যনেলে সালাফিদের আক্রমণের উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছে প্রকাশ্যে কুফর ছড়ানো জামাতি ঘরানার শীর্ষ নেতা ইউসুফ আল কারদাবির লেকচার।
৩/ Hanafi Fiqh চ্যনেল সামনে নিয়ে এসেছে আমেরিকান এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ইসলামিক রিফরমিস্ট ইয়াসির কাঁদিকে… উদ্দেশ্য একই। সালাফিদের আক্রমণ!!
অথচ ইয়াসির কাদি সালাফিদের তুলনায় কয়েক হাজারগুণ বেশী গোমরাহ (যদি হানাফি ফিকহ চ্যনেলের সকল আপত্তি সত্য মেনে নিয়ে সালাফিদের গোমরাহ মনে করেও থাকি)!
কেউ যদি বলে, ভালোটা নিয়ে খারাপটা ত্যাগে সমস্যা কোথায়?
তাদেরকে বলব, নাস্তিকদের যুক্তি খণ্ডনে কাদিয়ানিদের অনেক ভালো ভালো লেখা আছে।
সালাত, হাজ্জ কিংবা যাকাত নিয়েও আছে অসংখ্য লেখা ও বক্তব্য!
ব্যবহার করবেন সেগুলো?
আল্লাহ্* তা’আলার কাছে আশ্রয় চাই অন্যায়-অন্ধ বিদ্বেষ এবং বে-ইনসাফি থেকে… আল্লাহ্* তা’আলা আমাদের সকলকে হিদায়াত দিন। আমিন।
_______
শত্রুতার ভিত্তিতে আকৃষ্ট করার এই মূলনীতি আসলে কি কোনো নবউদ্ভাবিত বিষয়?
শায়খ আবুল হাসান আলি নাদভী রহঃ বলেন, "এজন্য কখনো তারা (ইউরোপিয়ান ও তাদের অনুসারীরা) তিলকে তাল বানায়।
তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে এবং অবাস্তব শত্রুকে সামনে এনে জাতির ভেতর ভয়ভীতি ও ক্রোধ-ঘৃণার অনূভুতি চাংগা রাখার প্রয়াস চালায়। কারণ এর মাঝেই রয়েছে তাদের অস্তিত্বের নিশ্চয়তা ও শাসন-নেতৃর্ত্বের নিরাপত্তা।"
(মা যা খসিরাল 'আলাম, পৃঃ৩৫৬, দারুল কলম)
শায়খ রহঃ A Guide To Modern Wickedness বই থেকে উল্লেখ করেছেন,
"কোনো সম্প্রদায়ে যে চেতনাটি সার্বজনীনভাবে বিদ্যমান এবং খুব সহজেই জাগিয়ে ও চাগিয়ে তোলা যায় এবং যার মাধ্যমে গোটা কওমকে উদ্দীপ্ত করা যায় তা কিন্তু সম্প্রীতি-ভালোবাসার অনুভূতি নয়, বরং ভয়ভীতি ও ক্রোধ-ঘৃণার অনুভূতি।
ভালোমন্দ যে কোনো উদ্দেশ্যে যারা কোনো শাসন ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাতে সফল হওয়া সম্ভব নয়, যতক্ষণ না ভয় বা ঘৃণা করার মত কিছু তারা মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারবে। হোক তা কোনো বস্তু বা ব্যাক্তি, কিংবা কোনো দল বা জনগোষ্ঠী।"
(A Guide to Modern Wickedness, p,150)
শত্রুতার ভিত্তিতে জমায়েত হওয়া একটি সাধারণ মানসিকতা। আরবরা যেমন বলে, "আত্মরক্ষার লড়াই ভ্রাতৃসংঘাত ভুলিয়ে দেয়।"
আমাদের উম্মতের সকল শ্রেনীর জন্য আবশ্যক ছিল- শয়তান, তাওয়াগিত ও তাদের সচেতন সাহায্যকারীদের শত্রু সাব্যস্তকরত নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করা। অথচ আমাদের আহলে সিয়াসাহ ও আহলে ইলমদের নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকার বিষয়টি, সমস্যা ক্রমাগত বৃদ্ধিই করে চলেছে কেবল। আর শত্রুতা ও মিত্রতার মাত্রা নির্ণয় করা ও মেনে চলা তো আরও সূক্ষ্ম বিষয়, যা নিয়ে আলোচনা শুরু করলে শেষ হবার নয়।
আল্লাহ তা আলা আমাদের হেফাজত করেন। আমিন।
ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের মানদন্ড কী হওয়া উচিৎ? বিরোধিতা ও সমর্থনের ক্ষেত্রে আমাদের মূলনীতি কী?
অবশ্যই সবাই বলবে, কুর’আন ও সুন্নাহ।
এখন নিজেকে কয়েকটি প্রশ্ন করা যেতে পারে -
*আই এসের বিরোধিতায় আমরা আমেরিকাকে সমর্থন করব কি?
*সালাফিদের বিরোধিতায় আমরা শিয়াদের সমর্থন করব কি?
*তাবলীগের বিরোধিতায় আমরা কাদিয়ানিদের সমর্থন করব কি?
আশ্চর্যজনক হলেও সত্য-
বিষয়গুলো আমাদের সামনে প্রায়ই আসলেও আমরা সঠিক অবস্থান নিতে অক্ষম হই। অথবা, যুক্তির মারপ্যাঁচে আমরা সত্য উপেক্ষা করে মিথ্যাকে আকড়ে ধরি।
বিষয়টা এমন নয় যে, আল্লাহ্*’র দ্বীন এব্যাপারে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেয়নি।
আমাদের ব্যর্থতা হচ্ছে আমরা ইসলামকে বাদ দিয়ে মাসলাককে ওয়ালা-বা’রার মানদন্ড বানাই…
কাব বিন মালিক (রাদি)’র হাদিস থেকে আমরা জানি যে, তাবুকের যুদ্ধে না যাওয়ার পর ৫০ দিনের বয়কট চলাকালীন কাব (রাদি)’র কাছে রোমানদের পক্ষ থেকে আশ্রয়ের প্রস্তাব আসলে তিনি ঘৃণার সাথে ফিরিয়ে দেন।
লক্ষ্য করুন, রোমানরা কিন্তু কাব (রাদি)কে মুসলিমদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহ্বানও জানায় নি!!
মু’আবিয়া রাদি ও আলি রাদি’র মাঝে যুদ্ধ হয়েছে সত্য। কিন্তু আলি (রাদি)’র বিরুদ্ধে খাওয়ারিজদের পক্ষালম্বন কি মু’আবিয়া (রাদি) কল্পনাও করতে পারতেন!!!!
দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছে, এপ্রসঙ্গে ভুল কমবেশি অনেকের থেকেই পরিলক্ষিত হয়।
এরমধ্যে সবচেয়ে বেশী প্রচলিত ও পরিচিত হচ্ছে — “আলেম” গোষ্ঠীর মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে ন্যাটো-আমেরিকা-স্থানীয় মুরতাদ জোটের পক্ষালম্বনের বিষয়টি। এবিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।
বিষয়টা কি ইজতিহাদি মাস’আলার অন্তর্ভুক্ত!! ওয়াল্লাহু মুস্তা’আন।
যাই হোক। এব্যাপারে আলাদা আলোচনা হতে পারে।
উদাহারণ হিসেবে ইউটিউবে দেওবন্দি ঘরানার জনপ্রিয় চ্যানেল হানাফি ফিকহের উদাহারণ আমরা দেখে নিতে পারি-
অনেক মহান খেদমতের আঞ্জাম দেয়া সত্ত্বেও, তাদের মাঝে এই চিন্তাগত বিচ্যুতি দেখা যায়, সালাফিদের বিরুদ্ধে বিদ’আতি-পথভ্রস্টদের পক্ষাবলম্বন…
১/ আব্দুল হাকিম মুরাদ… কেম্ব্রিজের একজন সুফি… জামিয়া আযহার থেকে পড়ালেখা করে এসে ইংল্যন্ডে কুইলিয়াম প্রেস নামে একটি সুফিবাদি সংগঠন চালান। কেম্ব্রিয মুসলিম কলেজের ডিন হিসেবে কর্মরত। সরাসরি বেরলভি না হলেও সে তাদের ঘরানার… পশ্চিমা কুফফারদের একজন আস্থাভাজন আলেম।
তাসাওউফ নিয়ে চুড়ান্ত বাড়াবাড়িতে লিপ্ত। মিলাদুন্নবির কট্টর সমর্থক! সমকামিতার উপর একবার লেকচার দেয়াতে তাকে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় “হোমোফবিক” হিসেবে।
এবং এর জন্য সে পরবর্তীতে ক্ষমাপ্রার্থনাও করে!!!
তালেবান শাসনামলে তালেবানদের সমর্থনের জন্য সে তাবলীগের সমালোচনাও করেছে!
শায়খ উসামা রহঃকে বিভ্রান্ত, অজ্ঞ ও চরমপন্থী আখ্যায়িত করেছে।
Happy Muslims নামক ফাহেশাপূর্ণ ভিডিওতেও (ইন্সট্রুমেন্টাল মিউজিক সহ) তে আবির্ভূত হয়েছে এই ব্যক্তি।
অথচ, এই ব্যক্তির কয়েকটি ভিডিও আপনি পাবেন অতি পরিচিত Hanafi Fiqh চ্যনেলে… সালাফিদের আক্রমণের উদ্দেশ্য!
২/ উলামায়ে দেওবন্দ কি জামাতে ইসলামি ও সালাফিদের একই রকম গোমরাহ মনে করেন??
আমাদের উলামায়ে দেওবন্দের আকাবিরদের কিতাবাদি থেকে এটা পরিষ্কার। অবশ্যই না।
অথচ Hanafi Fiqh চ্যনেলে সালাফিদের আক্রমণের উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছে প্রকাশ্যে কুফর ছড়ানো জামাতি ঘরানার শীর্ষ নেতা ইউসুফ আল কারদাবির লেকচার।
৩/ Hanafi Fiqh চ্যনেল সামনে নিয়ে এসেছে আমেরিকান এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ইসলামিক রিফরমিস্ট ইয়াসির কাঁদিকে… উদ্দেশ্য একই। সালাফিদের আক্রমণ!!
অথচ ইয়াসির কাদি সালাফিদের তুলনায় কয়েক হাজারগুণ বেশী গোমরাহ (যদি হানাফি ফিকহ চ্যনেলের সকল আপত্তি সত্য মেনে নিয়ে সালাফিদের গোমরাহ মনে করেও থাকি)!
কেউ যদি বলে, ভালোটা নিয়ে খারাপটা ত্যাগে সমস্যা কোথায়?
তাদেরকে বলব, নাস্তিকদের যুক্তি খণ্ডনে কাদিয়ানিদের অনেক ভালো ভালো লেখা আছে।
সালাত, হাজ্জ কিংবা যাকাত নিয়েও আছে অসংখ্য লেখা ও বক্তব্য!
ব্যবহার করবেন সেগুলো?
আল্লাহ্* তা’আলার কাছে আশ্রয় চাই অন্যায়-অন্ধ বিদ্বেষ এবং বে-ইনসাফি থেকে… আল্লাহ্* তা’আলা আমাদের সকলকে হিদায়াত দিন। আমিন।
_______
শত্রুতার ভিত্তিতে আকৃষ্ট করার এই মূলনীতি আসলে কি কোনো নবউদ্ভাবিত বিষয়?
শায়খ আবুল হাসান আলি নাদভী রহঃ বলেন, "এজন্য কখনো তারা (ইউরোপিয়ান ও তাদের অনুসারীরা) তিলকে তাল বানায়।
তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে এবং অবাস্তব শত্রুকে সামনে এনে জাতির ভেতর ভয়ভীতি ও ক্রোধ-ঘৃণার অনূভুতি চাংগা রাখার প্রয়াস চালায়। কারণ এর মাঝেই রয়েছে তাদের অস্তিত্বের নিশ্চয়তা ও শাসন-নেতৃর্ত্বের নিরাপত্তা।"
(মা যা খসিরাল 'আলাম, পৃঃ৩৫৬, দারুল কলম)
শায়খ রহঃ A Guide To Modern Wickedness বই থেকে উল্লেখ করেছেন,
"কোনো সম্প্রদায়ে যে চেতনাটি সার্বজনীনভাবে বিদ্যমান এবং খুব সহজেই জাগিয়ে ও চাগিয়ে তোলা যায় এবং যার মাধ্যমে গোটা কওমকে উদ্দীপ্ত করা যায় তা কিন্তু সম্প্রীতি-ভালোবাসার অনুভূতি নয়, বরং ভয়ভীতি ও ক্রোধ-ঘৃণার অনুভূতি।
ভালোমন্দ যে কোনো উদ্দেশ্যে যারা কোনো শাসন ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাতে সফল হওয়া সম্ভব নয়, যতক্ষণ না ভয় বা ঘৃণা করার মত কিছু তারা মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারবে। হোক তা কোনো বস্তু বা ব্যাক্তি, কিংবা কোনো দল বা জনগোষ্ঠী।"
(A Guide to Modern Wickedness, p,150)
শত্রুতার ভিত্তিতে জমায়েত হওয়া একটি সাধারণ মানসিকতা। আরবরা যেমন বলে, "আত্মরক্ষার লড়াই ভ্রাতৃসংঘাত ভুলিয়ে দেয়।"
আমাদের উম্মতের সকল শ্রেনীর জন্য আবশ্যক ছিল- শয়তান, তাওয়াগিত ও তাদের সচেতন সাহায্যকারীদের শত্রু সাব্যস্তকরত নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করা। অথচ আমাদের আহলে সিয়াসাহ ও আহলে ইলমদের নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকার বিষয়টি, সমস্যা ক্রমাগত বৃদ্ধিই করে চলেছে কেবল। আর শত্রুতা ও মিত্রতার মাত্রা নির্ণয় করা ও মেনে চলা তো আরও সূক্ষ্ম বিষয়, যা নিয়ে আলোচনা শুরু করলে শেষ হবার নয়।
আল্লাহ তা আলা আমাদের হেফাজত করেন। আমিন।
Comment