মৃত্যুপুরি গাযা, করণীয় কী?
গাযা এমন এক উপত্যকা, যেখানে প্রতিদিন লাশের সারি গণকবরে দাফন করা হয়। ক্ষুধা আর পিপাসায় কাতর হয়ে জীবন উৎসর্গ করা বা মৃতপ্রায় অবস্থায় দিনাতিপাত করা সেখানকার নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। সন্তান পিতামাতার বা পিতামাতা সন্তানদের লাশ বহন করা, স্বামী স্ত্রীর বা স্ত্রী স্বামীর লাশ বহন করা সেখানের মানুষের দৈনন্দিনের কাজ। ছিন্নঅঙ্গ, নষ্টঅঙ্গ নিয়ে সেখানে যেন বেঁচে থাকাটাই জীবনের সবচে বড় সফলতা।
আমাদের জীবন পার হয় পিতামাতা, স্ত্রী-সন্তানদের সাথে আনন্দ উপভোগ করে। হরেক রকম খাবার আর রকমারি বস্ত্র, আনন্দভ্রমণ আর খেলাধূলায় ফূর্তি-মাস্তিতে দিন কাটানো যেনো আমাদের জীবনের প্রধান লক্ষ্য। বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজি, টাকা কামানো আর বিলানোতেই যেনো সকল সার্থকতা। আর দ্বীন পালন তো কেবল নামায, রোযা, হজ-যাকাত ইত্যাদির মাঝে সীমাবদ্ধ।
এমন এক খন্ডিত দ্বীন আমরা চর্চা করে যাচ্ছি যুগের পর যুগ। সেই চর্চা শিখিয়ে যাচ্ছি বংশ পরম্পরায়। যিল্লতি আর গোলামির শেকল গর্দানে ঝুলিয়ে রাখাই আজ আমাদের নিরাপত্তালাভের একমাত্র মাধ্যম। বরং যে যতো বেশি গোলামির শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে পারবে, সে ততো বেশি ভালো থাকতে পারবে। এ যেনো গোলামিত্বের এক বিশাল প্রতিযোগিতা। মাআযাল্লাহ!
একদিকে পৃথিবীতে চলছে গোলামির প্রতিযোগিতা। অপরদিকে একই পৃথিবীতে স্বল্পসংখ্যক বীর-বাহাদুর, স্বাধীনচেতা, বর্ষীয়ান নওজোয়ান, ঈমানী বলে বলিয়ান একদল মুজাহিদবাহিনী স্বপ্ন দেখছে স্বাধীন, ন্যায়নীতিপূর্ণ, ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠিত এক নতুন পৃথিবী গড়ার। একদল নিম্নমুখী (পৃথিবীমুখী), আরেকদল ঊর্ধ্বমুখী (পরকালমুখী)। মুসলিমদের এদুটি দলের মধ্যবর্তী আরও একটি দল আছে, যারা যেদিকে বিজয় দেখে সেদিকেই ঝুঁকে পড়ে। তারা চলমান পরিস্থিতিকে বিশ্লেষণ করে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নির্ণয় করতে চেষ্টা করে। কিন্তু, সত্যের সঙ্গ দিয়ে মিথ্যার মুকাবেলা করার মতো সৎসাহস তাদের নেই। এহচ্ছে আমজনতা, যাদের জীবনের বড় কোনও লক্ষ্য নেই। খেয়ে-দেয়ে নিরাপদে জীবন পার করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।
পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকেই আল্লাহ তায়ালা দুটি বাহিনীতে মানুষ ও জিন জাতিকে বিভক্ত করে দিয়েছেন। আল্লাহর বাহিনী এবং শয়তানের বাহিনী। দুই বাহিনীর মাঝে কেয়ামত পর্যন্ত লড়াই চলমান থাকা আল্লাহ তায়ালারই মানশা ও ইচ্ছা। এ লড়াই, এ যুদ্ধ বন্ধ করার সাধ্য কারও নেই। আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় ঈসা মাসীহ ও মাহীহে দাজ্জালের চূড়ান্ত যুদ্ধের মাধ্যমে দুই বাহিনীর মীমাংসা হবে, ইনশাআল্লাহ।
হে প্রিয় মুসলিম ভাই আমার! আপনি পৃথিবীর চলমান পরিস্থিতিকে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বুঝতে চেষ্টা করুন। পৃথিবীর সকল ময়দানের চলমান যুদ্ধের প্রকৃত কারণ উপলব্ধি করুন। সমগ্র পৃথিবীকে দুই তাবুতে বিভক্ত করুন। ঈমানের বাহিনী সনাক্ত করে তাতে যোগদান করুন। সরাসরি যোগদান করতে না পারলে তাদের দিক-নির্দেশনা মেনে চলুন। মনে রাখবেন, আপনার একার সিদ্ধান্তের ওপর আন্তর্জাতিক আমীর-উমারাদের সিদ্ধান্তই উম্মাহর জন্য অধিক কল্যাণকর ও ফলপ্রসু।
লক্ষ্য করুন! পরাজিত উম্মাহ এতদিন কেবল মার খেতো। কিন্তু, এখন মার খাওয়ার পাশাপাশি মার দেওয়ার সুন্নাহকে পুনরুজ্জীবিত করছে আলহামদুলিল্লাহ। একদিকে ফিলিস্তিন, মায়ানমার, চীন দেশে মুসলিমরা মার খাচ্ছে, অপরদিকে আফগানিস্তান, সোমালিয়া, সিরিয়াতে মার দিচ্ছে। তাই, পরাজিত মানসিকতা ঝেড়ে ফেলে বিজয়ের স্বপ্নে জেগে উঠুন।
উম্মাহর সাময়িক কল্যাণের চিন্তা বাদ দিন, স্থায়ী সমাধানের চিন্তা করুন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালার মানশা ও ইচ্ছানুযায়ী জীবনযাপনের তাওফীক দান করুন, আমীন।
গাযা এমন এক উপত্যকা, যেখানে প্রতিদিন লাশের সারি গণকবরে দাফন করা হয়। ক্ষুধা আর পিপাসায় কাতর হয়ে জীবন উৎসর্গ করা বা মৃতপ্রায় অবস্থায় দিনাতিপাত করা সেখানকার নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। সন্তান পিতামাতার বা পিতামাতা সন্তানদের লাশ বহন করা, স্বামী স্ত্রীর বা স্ত্রী স্বামীর লাশ বহন করা সেখানের মানুষের দৈনন্দিনের কাজ। ছিন্নঅঙ্গ, নষ্টঅঙ্গ নিয়ে সেখানে যেন বেঁচে থাকাটাই জীবনের সবচে বড় সফলতা।
আমাদের জীবন পার হয় পিতামাতা, স্ত্রী-সন্তানদের সাথে আনন্দ উপভোগ করে। হরেক রকম খাবার আর রকমারি বস্ত্র, আনন্দভ্রমণ আর খেলাধূলায় ফূর্তি-মাস্তিতে দিন কাটানো যেনো আমাদের জীবনের প্রধান লক্ষ্য। বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজি, টাকা কামানো আর বিলানোতেই যেনো সকল সার্থকতা। আর দ্বীন পালন তো কেবল নামায, রোযা, হজ-যাকাত ইত্যাদির মাঝে সীমাবদ্ধ।
এমন এক খন্ডিত দ্বীন আমরা চর্চা করে যাচ্ছি যুগের পর যুগ। সেই চর্চা শিখিয়ে যাচ্ছি বংশ পরম্পরায়। যিল্লতি আর গোলামির শেকল গর্দানে ঝুলিয়ে রাখাই আজ আমাদের নিরাপত্তালাভের একমাত্র মাধ্যম। বরং যে যতো বেশি গোলামির শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে পারবে, সে ততো বেশি ভালো থাকতে পারবে। এ যেনো গোলামিত্বের এক বিশাল প্রতিযোগিতা। মাআযাল্লাহ!
একদিকে পৃথিবীতে চলছে গোলামির প্রতিযোগিতা। অপরদিকে একই পৃথিবীতে স্বল্পসংখ্যক বীর-বাহাদুর, স্বাধীনচেতা, বর্ষীয়ান নওজোয়ান, ঈমানী বলে বলিয়ান একদল মুজাহিদবাহিনী স্বপ্ন দেখছে স্বাধীন, ন্যায়নীতিপূর্ণ, ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠিত এক নতুন পৃথিবী গড়ার। একদল নিম্নমুখী (পৃথিবীমুখী), আরেকদল ঊর্ধ্বমুখী (পরকালমুখী)। মুসলিমদের এদুটি দলের মধ্যবর্তী আরও একটি দল আছে, যারা যেদিকে বিজয় দেখে সেদিকেই ঝুঁকে পড়ে। তারা চলমান পরিস্থিতিকে বিশ্লেষণ করে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নির্ণয় করতে চেষ্টা করে। কিন্তু, সত্যের সঙ্গ দিয়ে মিথ্যার মুকাবেলা করার মতো সৎসাহস তাদের নেই। এহচ্ছে আমজনতা, যাদের জীবনের বড় কোনও লক্ষ্য নেই। খেয়ে-দেয়ে নিরাপদে জীবন পার করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।
পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকেই আল্লাহ তায়ালা দুটি বাহিনীতে মানুষ ও জিন জাতিকে বিভক্ত করে দিয়েছেন। আল্লাহর বাহিনী এবং শয়তানের বাহিনী। দুই বাহিনীর মাঝে কেয়ামত পর্যন্ত লড়াই চলমান থাকা আল্লাহ তায়ালারই মানশা ও ইচ্ছা। এ লড়াই, এ যুদ্ধ বন্ধ করার সাধ্য কারও নেই। আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় ঈসা মাসীহ ও মাহীহে দাজ্জালের চূড়ান্ত যুদ্ধের মাধ্যমে দুই বাহিনীর মীমাংসা হবে, ইনশাআল্লাহ।
হে প্রিয় মুসলিম ভাই আমার! আপনি পৃথিবীর চলমান পরিস্থিতিকে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বুঝতে চেষ্টা করুন। পৃথিবীর সকল ময়দানের চলমান যুদ্ধের প্রকৃত কারণ উপলব্ধি করুন। সমগ্র পৃথিবীকে দুই তাবুতে বিভক্ত করুন। ঈমানের বাহিনী সনাক্ত করে তাতে যোগদান করুন। সরাসরি যোগদান করতে না পারলে তাদের দিক-নির্দেশনা মেনে চলুন। মনে রাখবেন, আপনার একার সিদ্ধান্তের ওপর আন্তর্জাতিক আমীর-উমারাদের সিদ্ধান্তই উম্মাহর জন্য অধিক কল্যাণকর ও ফলপ্রসু।
লক্ষ্য করুন! পরাজিত উম্মাহ এতদিন কেবল মার খেতো। কিন্তু, এখন মার খাওয়ার পাশাপাশি মার দেওয়ার সুন্নাহকে পুনরুজ্জীবিত করছে আলহামদুলিল্লাহ। একদিকে ফিলিস্তিন, মায়ানমার, চীন দেশে মুসলিমরা মার খাচ্ছে, অপরদিকে আফগানিস্তান, সোমালিয়া, সিরিয়াতে মার দিচ্ছে। তাই, পরাজিত মানসিকতা ঝেড়ে ফেলে বিজয়ের স্বপ্নে জেগে উঠুন।
উম্মাহর সাময়িক কল্যাণের চিন্তা বাদ দিন, স্থায়ী সমাধানের চিন্তা করুন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালার মানশা ও ইচ্ছানুযায়ী জীবনযাপনের তাওফীক দান করুন, আমীন।
Comment