Announcement

Collapse
No announcement yet.

প্রতিবাদ সমাবেশে, বিক্ষোভ-মিছিলে ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ড থেকে সতর্ক থাকা জরুরী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • প্রতিবাদ সমাবেশে, বিক্ষোভ-মিছিলে ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ড থেকে সতর্ক থাকা জরুরী

    প্রতিবাদ সমাবেশে, বিক্ষোভ-মিছিলে ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ড থেকে সতর্ক থাকা জরুরী
    الْحَمد لله رب الْعَالمين وَالصَّلَاة وَالسَّلَام على سيدنَا مُحَمَّد وَآله وَصَحبه أَجْمَعِينَ


    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ.

    প্রিয় তাওহীদবাদি ভাইয়েরা! ভারতীয় আগ্রাসী আধিপত্যবাদি হিন্দুত্ববাদ মোকাবেলায় এদেশের আপামর মুসলিম জনসাধারণ মুজাহিদদের অন্যতম নির্ভরতার জায়গা। মুজাহিদরা এদেশের মুসলিম সমাজ থেকেই তাদের শক্তি অর্জন করে থাকে। যেমনটা আল্লাহ্‌ তা'আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন-

    هُوَ الَّذِي أَيَّدَكَ بِنَصْرِهِ وَبِالْمُؤْمِنِينَ
    “তিনিই আপনাকে তার সাহায্য ও মুমিনদের একতা দ্বারা শক্তিশালী করেছেন।”

    [সুরা আনফাল ৮:৬২]


    সুতরাং মুমিন মুসলিমদের সমর্থন আল্লাহর সাহায্যেরই একটি রূপ। এই সমর্থন যেন সর্বদা বজায় থাকে, সেদিকে সবারই বিশেষভাবে খেয়াল রাখা উচিত।

    মুজাহিদ ও তাওহীদি জনতার শত্রু সেকুলাররা, সাম্রাজ্যবাদীরা এবং হিন্দুত্ববাদিরা। তারা খুনি হাসিনার আমলে মুজাহিদ ও তাওহীদবাদি মুসলিমদের সরাসরি দমনপীড়ন আর নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিল। আর এখন এদেশের আলিম-ওলামা ও তাওহীদি জনতার ঈমান-আক্বিদা রক্ষার সংগ্রামকে যেকোন উপায়ে বিতর্কিত করতে সচেষ্ট। আলিম-ওলামা ও তাওহীদি জনতা যেন কোনভাবেই এদেশের মুসলিমদের তাদের ঈমান বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করতে না পারে, মুসলিমদের মাঝে একতা গড়ে তুলে, সামাজিক শক্তি অর্জন করে তাদের নীলনকশা রুখে দিতে না পারে, সেজন্য তারা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, করছে এবং করবে। আর তাদের পক্ষ থেকে এটাই কাঙ্ক্ষিত বিষয়।

    কিন্তু মুজাহিদীন ও তাওহীদি জনতা তাদের সেই ঘৃণ্য পরিকল্পনাসমূহ সফল করতে সুযোগ করে দেওয়া উচিত হবে না। সম্ভাব্য সকল উপায়ে তাদের এহেন কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে নিজেরা যেমন সতর্ক থাকতে হবে, তেমনি অপরাপর মুসলিম জনসাধারণদেরকেও সতর্ক করতে হবে। এজন্য যেকোন সমাবেশে, বিক্ষোভ-মিছিলে মানুষের অন্তর্দৃষ্টি খুলে দেয়, চোখের উপর সেকুলার মিডিয়ার তৈরি মিথ্যে পর্দা হটিয়ে দেয় এমন বক্তব্য রাখতে হবে। পাশাপাশি যেকোন প্রকারের উসকানিমূলক বক্তব্য পরিহার করে চলতে হবে।


    আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন-
    وَقُل لِّعِبَادِي يَقُولُوا الَّتِي هِيَ أَحْسَنُ ۚ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَنزَغُ بَيْنَهُمْ ۚ إِنَّ الشَّيْطَانَ كَانَ لِلْإِنسَانِ عَدُوًّا مُّبِينًا
    “আমার বান্দাদেরকে বলে দিন, তারা যেন এমন কথা বলে যা অতি উত্তম। শয়তান তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধায়। নিশ্চয় শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।”

    [সুরা আল-ইসরা ১৭:৫৩]


    আমার তাওহীদবাদি ভাইয়েরা! যেকোন আয়োজনে সমাবেশে, মিছিলে, বিক্ষোভে ইসলামের শি'য়ার বা চিহ্ন (যেমন- দাঁড়ি, টুপি, পাঞ্জাবী) পরা চলা আম দাওয়াতের একটা ভালো মাধ্যম ইনশাআল্লাহ্‌। তবে এমন চিহ্ন বহনকালে অথবা যেকোন পরিবেশেই আমাদের সতর্ক থাকা কাম্য। বহিরাগত কোন এজেন্সির লোক, বা সেকুলার ও হিন্দুত্ববাদিরা মুজাহিদীন বা তাওহিদী জনতকে বিতর্কিত করতে যেকোন নেগেটিভ ও ক্ষতিকর কাজে হয়তো উসকানি দিয়ে, তাঁদেরকে দিয়েই করাতে পারে, অথবা তারা করে বা ঘটিয়ে দায় তাঁদের উপর চাপিয়ে দিতে পারে।

    এমতাবস্থায়, এহেন ক্ষতিকর উসকানিমূলক কাজ থেকে নিজেকে তো বিরত রাখতে হবেই হবে। সাথে যারা উসকানি দিচ্ছে, তাদেরকেও থামাতে হবে। নিজেদের মধ্যে আগে থেকেই আন্ডারস্ট্যান্ডিং মজবুত করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। সুশৃঙ্খলভাবে সমাবেশ ও বিক্ষোভ-মিছিল শেষ করতে হবে। সকল ব্যবস্থাপনা গ্রহন করার পরেও কোথাও এমন কিছু হতে দেখলে কয়েকজন ভাই সাহস করে একত্রে রুখে দাঁড়াতে হবে। কোনভাবেই সাধারণ মানুষের জীবন এবং সম্পদের কোন ক্ষতি হতে দেয়া যাবে না। ইনশাআল্লাহ্‌ এমন কিছু দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে পারলে, দাওয়াতের ময়দানে সেটা মুজাহিদ ও তাওহিদী জনতার জন্য অনেক বড় ফায়দা বয়ে আনবে।

    একইসাথে এমন কোন দুষ্কৃতিকারী ধরা পড়ে গেলে, তাকেও গণপিটুনির হাত থেকে বাঁচাতে হবে। এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।

    সেকুলাররা আমাদের আলিম-ওলামা ও তাওহীদবাদি জনতার দাওয়াতি কার্যক্রমে ভীত হয়ে পড়েছে। তাই তারা কিছু অতি-আবেগি, অতি-উৎসাহী ভাইদের সামান্য কিছু অপরিকল্পিত কাজকে ফোকাস করে আমাদের দাওয়াতি কার্যক্রমকে বিতর্কিত করে দিতে চেষ্টার কমতি রাখছে না। আবার কখনো ভিন্ন কোন গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডকেও ইসলামপন্থী তাওহীদি জনতার 'মব' বলে চালিয়ে দিয়ে, নির্মূলের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং সতর্কতার কোন বিকল্প নেই। সবদিকে চোখ-কান খোলা রেখে সামনের পথ চলতে হবে ইনশাআল্লাহ্‌


    আল্লাহ্‌ তা'আলাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। আর আমরা তাদের মোকাবেলায় আল্লাহ্‌র সাহায্য কামনা করছি।
    *****
    “ধৈর্যশীল, সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”
    -শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

  • #2
    প্রতিবাদ যদি সত্যিই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হয়, তাহলে তার পদ্ধতিও হতে হবে শরিয়াহসিদ্ধ, দায়িত্বশীল ও পরিণামবোধসম্পন্ন। আমরা যদি ইসলামের পক্ষে কথা বলি, তাহলে আমাদের আচরণেও সেই ইসলামের সৌন্দর্য প্রতিফলিত হতে হবে।

    তাই, বিক্ষোভ হোক বুদ্ধিবৃত্তিক, শ্লোগান হোক শক্তিশালী কিন্তু শালীন, উপস্থিতি হোক জনসমর্থনের প্রতীক হিসেবে— তাণ্ডবের অভিশাপ হিসেবে নয়। রাস্তা নয়, হৃদয় জয় করতে হবে। বিশৃঙ্খলা নয়, আদর্শ দিয়ে আন্দোলনকে মর্যাদা দিতে হবে।

    এই দায়িত্বশীলতা আমাদের শুধু সভ্য মুসলমানই বানায় না, বরং আমাদের প্রতিবাদকে করে আরও প্রভাবশালী, এবং সেই সত্যকে পৌঁছে দেয় আরও বহু মানুষের কাছে।
    والله مع الصابرين।
    فَاَعۡرِضۡ عَنۡهُمۡ وَ انۡتَظِرۡ اِنَّهُمۡ مُّنۡتَظِرُوۡنَ

    Comment


    • #3
      আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার তাওফিক দিন, আমীন​​​
      বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

      Comment


      • #4
        ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
        এ লেখায় সময়োপযোগী বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে।
        আল্লাহ লেখককে জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment

        Working...
        X