ফুঁ দিয়ে এই চেরাগ নিভানো যাবে না!
পর্ব - ১১
পরীক্ষা থেকে পলায়নকারীদের ভূমিকা :.
আসল পরীক্ষার সময় অবস্থান পরিবর্তন করা!
.
আরও একটি গুণ ইতিহাসে পাওয়া যায় এবং ভবিষ্যতেও পাওয়া যাবে। কিছু হতভাগা এমনও আছে, যে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ অবস্থায় হকের কথা বলে। কেননা এই সময়ে হক কথা বলতে কষ্ট হয় না। এই সময়ে হক কথা বললেও পুরষ্কার পাওয়া যায়। কিন্তু যখনই পরীক্ষার সম্মুখীন হয়, বিপদাপদ বেড়ে যায়, তখনই তাঁর ঈমান, দৃষ্টিভঙ্গি এবং তার উচ্চ লক্ষ্য নড়বড়ে হয়ে যায়। সে নিজের পথ ও দৃষ্টিভঙ্গির তরীকার উপর দ্বিতীয়বার দৃষ্টি ফেলে ফায়সালা করে।
.
কুরআনের নকশা টেনে আনে!
.
কিন্তু এই নজরে সানি তখন হয় যখন পরীক্ষা মাথার উপরে আসে। নিরাপত্তার সময় নয়। বুঝদার ও জ্ঞানীদের এই কথা তখন আর এলহাম হয় না, যখন দেহ ও জীবন আশঙ্কার সম্মুখীন না হয়। অপারেশন না হয়। যখন মুজাহিদরা বিজয়ী হয়, যখন অনেক এলাকা তাদের ক্ষমতাধীন থাকে, তখন মুজাহিদদের কথা শোনা হয়। তাদের উপমা আল্লাহ তা‘আলা এভাবে দেন-
وَلَئِنْ جَاءَ نَصْرٌ مِنْ رَبِّكَ
যদি তোমার রবের পক্ষ থেকে সাহায্য ও বিজয় আসে
لَيَقُولُنَّ إِنَّا كُنَّا مَعَكُمْ
তাঁরা বলে আমরা তো তোমাদের সাথেই ছিলাম।
.
আমরা তো পূর্বেও তোমাদের সাথে ছিলাম এখনও আছি। আমরা যখন ঐ দিকে ছিলাম, তখন ঐ দিকে তোমাদের কথাই বলতাম, তোমাদের প্রশংসা করতাম, লিখলে তোমাদের পক্ষে লিখতাম। আমরা যেখানেই থাকি তোমাদের মুজাহিদদের পক্ষপাতিত্ব ও অভিভাবকত্ব করি। তোমরা কষ্ট ও বিপদে ছিলে তো আমরা সেদিকে আরও বেশি বিপদে ছিলাম।
إِنَّا كُنَّا مَعَكُمْ
আমরা তোমাদের হাত ও বাহু, তোমাদের জবান।
أَوَلَيْسَ اللَّهُ بِأَعْلَمَ بِمَا فِي صُدُورِ الْعَالَمِينَ
আল্লাহ কি বিশ্বজগতের সকলের অন্তরের বিষয়ে অধিক অবগত নন?
.
তিনি জানেন কার অন্তরে কী আছে। অতঃপর তিনি বলেন, আমি এ অবস্থায় ছেড়ে দেব না।
وَلَيَعْلَمَنَّ اللَّهُ الَّذِينَ آَمَنُوا وَلَيَعْلَمَنَّ الْمُنَافِقِينَ
আল্লাহ অশ্যই জেনে নেবেন কারা প্রকৃত মুমিন এবং কারা মুনাফিক।
.
আল্লাহ আমাদের নিফাকের সিফাত থেকে হেফাজত করুন।
.
মানুষ থেকে আগত বিপদ আল্লাহর আযাবের সমতুল্য মনে করা!
.
যখন বিপদ আসে তখন এই লোকেরা এই বিপদকে আল্লাহর আযাব মনে করতে থাকে। উন্মাদনা, দুশমনের মোকাবিলা করা, ভয়ভীতি, অসুস্থতা এবং অবরোধ ইত্যাদিকে আল্লাহর আযাবের সমতুল্য মনে করে। এবং ‘আইএসআই’ এজেন্সিগুলোর শাস্তিপ্রদান, বন্দি করা আল্লাহর আযাবের সমান মনে করে।
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ آَمَنَّا بِاللَّهِ
কিছু লোক এমন আছে যারা বলে যে, আমরা ঈমান এনেছি আল্লার উপর,
فَإِذَا أُوذِيَ فِي اللَّهِ
যখনই আল্লাহর জন্য তাদের কষ্ট দেওয়া হয়,
جَعَلَ فِتْنَةَ النَّاسِ كَعَذَابِ اللَّهِ
তারা তখন মানুষের দেওয়া শাস্তিকে আল্লাহর আযাব মনে করতে থাকে।
.
সে নিজের ধারনা অনুযায়ী এই উন্মাদনা, অবরোধ, গ্রেপ্তার হওয়া এবং দৌড়-ঝাপকে সে আসল শাস্তি মনে করতে থাকে। আর আল্লাহর আযাব এটা তো তাদের খেয়ালেই আসে না। এটা ঈমানী দূর্বলতার কারণে হয়। এটাই কারণ যে, এই হতভাগারা এই শাস্তিকে আসল শাস্তি মনে করতে থাকে। অথচ আল্লাহর আযাব এমন, যার কোনো কল্পনাই করা যায় না।
فَيَوْمَئِذٍ لَا يُعَذِّبُ عَذَابَهُ أَحَدٌوَلَا يُوثِقُ وَثَاقَهُ أَحَدٌ
সে দিন এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যেমন শাস্তি কেউ কখনো দেয়নি। এমন পাকড়াও করা হবে, যেমন পাকড়াও কেউ কখনো করেনি।
.
চলবে...
Comment