ফুঁ দিয়ে এই চেরাগ নিভানো যাবে না!
আত্মসমর্পন করে ‘জ্ঞানী’ মনে করা!
এমন বিজ্ঞ ও স্থান নির্ণয়কারী নিজের অবস্থাকে অত্যন্ত বিজ্ঞচিত ও বিশ্লেষক ভাবতে থাকে। সে তৎক্ষণাৎ পথ পরিবর্তন করে ফেলে। মিসাঈল, অবরোধ, বোম্বিং এবং উন্মাদনার মাঝে ভয় ও ত্রাসের মাঝে কি হয়েছে এর ফায়সালা? অতঃপর বিবেক ও নিজ বুঝের ফায়সালা হয়ে যায়। কিন্তু এই হতভাগা এখানেও থামে না। যখন শয়তানের কাছে নিজেরাই নিজেদেরকে সোপর্দ করে দেয় তখন শয়তান কিভাবে তাদের ছেড়ে দেবে? অতঃপর সে হক ও হকের পথিকদের ছেড়ে জালেমদের কাতারে পর্যন্ত গিয়ে দাঁড়ায়। আর এটাকেই সে বিজ্ঞতা মনে করতে থাকে। এটাকেই সমজদারী বলতে থাকে। সেই আবার নিজেকে জ্ঞানপাপী ভাবে। আল্লাহ এমন সমঝদারী থেকে আমাদের হেফাজত করুন। তিনি আমাদের প্রথম কাতারের মুনিদের অন্তর্ভুক্ত বানান। ঈমানের পর আমাদের বুঝ দান করুন।
.
আল্লাহর সাথে মুয়ামালা : আল্লাহ থেকে কোথায় গিয়ে বাঁচতে পারবে?
.
আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত মৃত্যু থেকে পলায়নকারী এই বিজ্ঞলোকদের সম্পর্কে কুরআনে বলেন,
قُلْ لَنْ يَنْفَعَكُمُ الْفِرَارُ إِنْ فَرَرْتُمْ مِنَ الْمَوْتِ أَوِ الْقَتْلِ
আপনি বলুন, যদি তোমরা মৃত্যুভয়ে পলায়ন কর যে, বোম্বিংয়ে মারা যাবে, গ্রেপ্তার হবে, নিহত হবে, এমনিভাবে যারা পরীক্ষা থেকে পলায়ন করে তাদের বলে দিন-
لَنْ يَنْفَعَكُمُ الْفِرَارُ
পলায়ন তোমাদের কোনো উপকারেই আসবে না।
চাই তোমরা আজ দুশমনের দূর্গে গিয়ে বসে থাক এবং সেখানে তোমাদের অনেক বন্ধুও হয়ে যাক, কিন্তু সেখানেও তোমরা বাঁচতে পারবে না।
وَإِذًا لَا تُمَتَّعُونَ إِلَّا قَلِيلًا
একেবারে অল্প কিছুদিন তোমরা ভোগ করতে পারবে।
.
কয়দিন বাঁচতে পারবে? পাঁচ বছর, দশ বছর, ষাট-সত্তর-আশি বছর? কয়দিন অতিবাহিত করবে? কোটি বছর? এত বছর জীবন যাপন করবে? আখেরাতের মুকাবেলায় এই জীবন কতটুকু? তাই আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
قُلْ مَنْ ذَا الَّذِي يَعْصِمُكُمْ مِنَ اللَّهِ
বলে দিন, আল্লাহ থেকে কে তোমাদের বাঁচাবে?
إِنْ أَرَادَ بِكُمْ سُوءًا أَوْ أَرَادَ بِكُمْ رَحْمَةً
যদি তিনি তোমাদের ব্যাপারে মন্দ ফায়সালা করেন বা অনুগ্রহের ইচ্ছ করেন,
وَلَا يَجِدُونَ لَهُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا
তারা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে তাদের অভিভাবক বা সাহায্যকারী পাবে না।
.
কেউ তোমাদের সাহায্য করবে না, তোমাদের বাঁচাবে না। কোনো সেফ হাউস পাবে না। আজ তোমরা দুশমনের সেফ হাউসে বসে আছ, কাল তোমাদের কোথাও স্থান হবে না। আমেরিকা তোমাকে বাঁচাতে পারবে না। কোনো মুলহিদ বা মুশরিক বাঁচাতে পারবে না। দুনিয়ার কোনো বাহিনী তোমাকে বাঁচাতে পারবে না।
.
হে আমার ভাই! আল্লাহ থেকে কোথাও গিয়ে বাঁচতে পারবে? আল্লাহ আমাদের ঈমান দান করুন। আমাদের সাহায্য করুন। তিনি আমাদের লাগাম ধরে রাখুন। সর্বদা আমাদের এই দোয়া করা উচিৎ-
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
হে রব! আমাদের মনে ধৈর্য্য সৃষ্টি করে দিন এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখুন! কাফির গোষ্ঠীর উপর আমাদের সাহায্য করুন।
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
হে আমাদের রব! আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করুন, আমাদের বাড়াবাড়িগুলোও মাফ করুন, আমাদের পা’গুলো দৃঢ় করুন, কাফির জাতির উপর আমাদের সাহায্য করুন।
হে আল্লাহ! আমাদের অন্তর মজবুত করুন, ফেতনার এই জামানায় অন্তরকে ঈমানের উপর জমিয়ে রাখুন। এবং এই দোয়া করা
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ
হে রব! আমাদের জন্য ধৈর্য্যের দ্বার খুলে দিন এবং আমাদেরকে মুসলমান হিসাবে মৃত্যু দান করুন।