পিডিএফ ডাউনলোড লিংক https://archive.org/details/20250505_20250505_1358
ঘটনা পাচ:
একবার একটা তদন্তের সময় এক তরুণীর জবানবন্দী নেয়া হল। যদিও সে সন্দেহভাজন ছিল না। কিন্তু প্রাথমিক প্রশ্নোত্তরে তার দেহভঙ্গির রেকর্ড লেখক সংরক্ষণ করেছিলেন। কয়েক মাস পর আরেকটা মামলা হাতে আসলো। আর তখন মেয়েটি ঠিকই সন্দেহভাজন ছিল। লেখক সরাসরি কাইনেসিক প্রশ্নে চলে গেলেন। আর স্পষ্ট তফাত লক্ষ্য করা গেল। এক পর্যায়ে একটি ভুয়া ফাইল টেবিলে ছুড়ে দিলে সে স্বীকারোক্তি দিয়ে দিল।
শিক্ষা:আপনি অপরাধী না হলেও আপনার স্বাভাবিক আচরণ পুলিশকে কখনোই জানতে দেয়া যাবে না। আপনার আচরণ ডাটাবেসে সংরক্ষিত থাকে, যা অন্য পুলিশ পরবর্তীতে জেনে নিতে পারবে।
ঘটনা ছয়:
ড্যানি নামের একটা ছেলেকে তার ১২ বছর বয়সে লেখক প্রথম দেখেন। তখনই সে ৬ ফুট ছিল, আর ওজন ২ জন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের সমান ছিল। সে কাউকে ভয় পেত না। একটা বয়সে সে আরও বড় বড় অপরাধে জড়িয়ে যায়। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়। সে খুব আত্মবিশ্বাসী ছিল এবং একদম মুখ খুলছিল না। প্রায় ২ ঘণ্টা তার জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সে টেবিলের উপরে যা পাচ্ছিল তা নাড়াচাড়া শুরু করে। এটা মানসিক চাপ মুক্ত করার একটা অবচেতন কৌশল । শুধু তাই না, সে লেখকের ভিজিটিং কার্ড গিলে ফেলা শুরু করল। এক পর্যায়ে লেখক বললেন যে, তোমার কি খিদে পেয়েছে নাকি বেশি নার্ভাস হয়ে গেছ?
আরেকটু চাপ দিতেই সে মানসিক চাপ থেকে বাচতে স্বীকারোক্তি দিল।
ভুল: নিরপরাধ ব্যক্তিরাও মানসিক চাপের শিকার হয়। কিন্তু তারা ধীরে ধীরে চাপ মুক্ত হয়ে যায়। অপরাধীরা তা পারে না। তাদের চাপ বাড়তেই থাকে।
হাত নড়াচড়া করতে ইচ্ছা হলেই করা যাবে না। প্রয়োজনে হাত উরুর নিচে ঢুকিয়ে বসে থাকবেন।
ঘটনা সাত:
মিস রবারের নামে পূর্বের তরুণী আগেই কিছু তথ্য দিয়েছিল। তাই তাকে থানায় কোক পানের দাওয়াত দিতেই সে চলে আসে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে সে উঠে চলে যায়। যেহেতু তার নামে গ্রেফতারি পরওয়ানা আগেই বের করা ছিল। তাকে গ্রেফতার করে আবার নিয়ে আসা হয়। তাকে স্বীকারোক্তি দিলে আইনি সুবিধা দেয়া হবে আশ্বাস দিতেই সে স্বীকারোক্তি দিয়ে দেয়।
ঘটনা ৮:
একদল যুবক ভাড়ার গাড়ি (রেন্ট এ কার) চুরিতে বেশ দক্ষতা অর্জন করেছিল। অনেক পরিশ্রমের পর তাদের দুইজনকে একদিন ধরা হয়। তারপর উভয়কে ভিন্ন ভিন্ন কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এতে আসল নেতাকে আন্দাজ করা গেল। সে খুব দক্ষ ছিল এবং মুখ খুলছিল না। ইতিমধ্যে দলের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে আসা হয়। তারপর নেতাকে আলাদা করে থানায় নিয়ে রেখে দেয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে যায়।
বাকিরা সন্দেহ শুরু করে যে, কোন স্বীকারোক্তি নেতা দিয়েছে কিনা। এক পর্যায়ে পুলিশ নেতার স্বাক্ষর নকল করে ফেলে এবং একটি সাদা কাগজে স্বীকারোক্তি ও স্বাক্ষর লিখে টেবিলে রেখে দেয়। তারপর প্রথম ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়। সে ঢুকে টেবিলে স্বীকারোক্তি ও স্বাক্ষর দেখে পড়ে নেয়। একজন স্টাফ এসে দ্রুত সেই কাগজ তার হাত থেকে নিয়ে ফাইলবন্দি করেএবং চলে যায়।
সবার সাথে এই নাটক মঞ্চস্থ হয়। সবাই স্বীকার করে নেয়।
সমাধান:সহযোগী স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলেই আপনাকেও দিতে হবে এমন কথা নেই। আপনার উকিল সহজেই সহযোগীর স্বীকারোক্তি আদালতে গিয়ে হেসে উড়িয়ে দিয়ে আসবে।
২য় পদ্ধতি হল, মাসউল ভাই অপরাধের আগে পরে কিছু কিছু সম্ভাব্য প্রমাণ এদিকওদিক করে ফেলা। যেমনঃ ঘটনাক্রমে কোন দুর্বল ভাই স্বীকারোক্তি দিল, অমুক স্থানে অপারেশন শেষে মোটরসাইকেল লুকিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশ গিয়ে সেখানে কিছু পেল না। কারণ মাসউল ভাই সবার অগোচরে সেটা অন্যত্র নিয়ে লুকিয়েছে। এভাবে স্বীকারোক্তি প্রদানকারীর জবানবন্দী ভিত্তিহীন হয়ে যাবে। আর আদালতে প্রহসন তৈরি হবে। ততক্ষণে মিডিয়াকে জড়িয়ে ফেলতে পারলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।
ঘটনা ৯:
এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়, যার কয়েকটা নকল পরিচয় ছিল এবং আসল পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। তাই মধ্যরাতে লেখকের সহকর্মীরা তাকে আসামীর সামনে ধস্তাধস্তি করে মেরে নাক দিয়ে রক্ত বের করে দিল এবং আসামির কক্ষে বন্দি করে রাখলো। তারপর আসামির সাথে ভাব জমিয়ে তার আসল পরিচয় সহজেই বের করা গেল।
বই এখানেই শেষ । আশা করি, এর যথাযথ প্রয়োগ করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। মনে রাখবেন, পুলিশও নিত্য নতুন কৌশল বের করতে থাকবে। তাই এই বই শেষ হয়েও শেষ না।
আল্লাহ তা’আলা আপনাদের নিরাপদ রাখুন। - আমিন।
ঘটনা পাচ:
একবার একটা তদন্তের সময় এক তরুণীর জবানবন্দী নেয়া হল। যদিও সে সন্দেহভাজন ছিল না। কিন্তু প্রাথমিক প্রশ্নোত্তরে তার দেহভঙ্গির রেকর্ড লেখক সংরক্ষণ করেছিলেন। কয়েক মাস পর আরেকটা মামলা হাতে আসলো। আর তখন মেয়েটি ঠিকই সন্দেহভাজন ছিল। লেখক সরাসরি কাইনেসিক প্রশ্নে চলে গেলেন। আর স্পষ্ট তফাত লক্ষ্য করা গেল। এক পর্যায়ে একটি ভুয়া ফাইল টেবিলে ছুড়ে দিলে সে স্বীকারোক্তি দিয়ে দিল।
শিক্ষা:আপনি অপরাধী না হলেও আপনার স্বাভাবিক আচরণ পুলিশকে কখনোই জানতে দেয়া যাবে না। আপনার আচরণ ডাটাবেসে সংরক্ষিত থাকে, যা অন্য পুলিশ পরবর্তীতে জেনে নিতে পারবে।
ঘটনা ছয়:
ড্যানি নামের একটা ছেলেকে তার ১২ বছর বয়সে লেখক প্রথম দেখেন। তখনই সে ৬ ফুট ছিল, আর ওজন ২ জন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের সমান ছিল। সে কাউকে ভয় পেত না। একটা বয়সে সে আরও বড় বড় অপরাধে জড়িয়ে যায়। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়। সে খুব আত্মবিশ্বাসী ছিল এবং একদম মুখ খুলছিল না। প্রায় ২ ঘণ্টা তার জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সে টেবিলের উপরে যা পাচ্ছিল তা নাড়াচাড়া শুরু করে। এটা মানসিক চাপ মুক্ত করার একটা অবচেতন কৌশল । শুধু তাই না, সে লেখকের ভিজিটিং কার্ড গিলে ফেলা শুরু করল। এক পর্যায়ে লেখক বললেন যে, তোমার কি খিদে পেয়েছে নাকি বেশি নার্ভাস হয়ে গেছ?
আরেকটু চাপ দিতেই সে মানসিক চাপ থেকে বাচতে স্বীকারোক্তি দিল।
ভুল: নিরপরাধ ব্যক্তিরাও মানসিক চাপের শিকার হয়। কিন্তু তারা ধীরে ধীরে চাপ মুক্ত হয়ে যায়। অপরাধীরা তা পারে না। তাদের চাপ বাড়তেই থাকে।
হাত নড়াচড়া করতে ইচ্ছা হলেই করা যাবে না। প্রয়োজনে হাত উরুর নিচে ঢুকিয়ে বসে থাকবেন।
ঘটনা সাত:
মিস রবারের নামে পূর্বের তরুণী আগেই কিছু তথ্য দিয়েছিল। তাই তাকে থানায় কোক পানের দাওয়াত দিতেই সে চলে আসে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে সে উঠে চলে যায়। যেহেতু তার নামে গ্রেফতারি পরওয়ানা আগেই বের করা ছিল। তাকে গ্রেফতার করে আবার নিয়ে আসা হয়। তাকে স্বীকারোক্তি দিলে আইনি সুবিধা দেয়া হবে আশ্বাস দিতেই সে স্বীকারোক্তি দিয়ে দেয়।
ঘটনা ৮:
একদল যুবক ভাড়ার গাড়ি (রেন্ট এ কার) চুরিতে বেশ দক্ষতা অর্জন করেছিল। অনেক পরিশ্রমের পর তাদের দুইজনকে একদিন ধরা হয়। তারপর উভয়কে ভিন্ন ভিন্ন কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এতে আসল নেতাকে আন্দাজ করা গেল। সে খুব দক্ষ ছিল এবং মুখ খুলছিল না। ইতিমধ্যে দলের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে আসা হয়। তারপর নেতাকে আলাদা করে থানায় নিয়ে রেখে দেয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে যায়।
বাকিরা সন্দেহ শুরু করে যে, কোন স্বীকারোক্তি নেতা দিয়েছে কিনা। এক পর্যায়ে পুলিশ নেতার স্বাক্ষর নকল করে ফেলে এবং একটি সাদা কাগজে স্বীকারোক্তি ও স্বাক্ষর লিখে টেবিলে রেখে দেয়। তারপর প্রথম ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়। সে ঢুকে টেবিলে স্বীকারোক্তি ও স্বাক্ষর দেখে পড়ে নেয়। একজন স্টাফ এসে দ্রুত সেই কাগজ তার হাত থেকে নিয়ে ফাইলবন্দি করেএবং চলে যায়।
সবার সাথে এই নাটক মঞ্চস্থ হয়। সবাই স্বীকার করে নেয়।
সমাধান:সহযোগী স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলেই আপনাকেও দিতে হবে এমন কথা নেই। আপনার উকিল সহজেই সহযোগীর স্বীকারোক্তি আদালতে গিয়ে হেসে উড়িয়ে দিয়ে আসবে।
২য় পদ্ধতি হল, মাসউল ভাই অপরাধের আগে পরে কিছু কিছু সম্ভাব্য প্রমাণ এদিকওদিক করে ফেলা। যেমনঃ ঘটনাক্রমে কোন দুর্বল ভাই স্বীকারোক্তি দিল, অমুক স্থানে অপারেশন শেষে মোটরসাইকেল লুকিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশ গিয়ে সেখানে কিছু পেল না। কারণ মাসউল ভাই সবার অগোচরে সেটা অন্যত্র নিয়ে লুকিয়েছে। এভাবে স্বীকারোক্তি প্রদানকারীর জবানবন্দী ভিত্তিহীন হয়ে যাবে। আর আদালতে প্রহসন তৈরি হবে। ততক্ষণে মিডিয়াকে জড়িয়ে ফেলতে পারলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।
ঘটনা ৯:
এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়, যার কয়েকটা নকল পরিচয় ছিল এবং আসল পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। তাই মধ্যরাতে লেখকের সহকর্মীরা তাকে আসামীর সামনে ধস্তাধস্তি করে মেরে নাক দিয়ে রক্ত বের করে দিল এবং আসামির কক্ষে বন্দি করে রাখলো। তারপর আসামির সাথে ভাব জমিয়ে তার আসল পরিচয় সহজেই বের করা গেল।
বই এখানেই শেষ । আশা করি, এর যথাযথ প্রয়োগ করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। মনে রাখবেন, পুলিশও নিত্য নতুন কৌশল বের করতে থাকবে। তাই এই বই শেষ হয়েও শেষ না।
আল্লাহ তা’আলা আপনাদের নিরাপদ রাখুন। - আমিন।