Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইমারতে ইসলামী কি কাশ্মিরের পেহেলগাম হামলার নিন্দা জানিয়েছে?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইমারতে ইসলামী কি কাশ্মিরের পেহেলগাম হামলার নিন্দা জানিয়েছে?

    বর্তমানে একটি বিষয় বেশ আলোচিত হচ্ছে যে, ভারতের পেহেলগামে হামলায় ২৬ পর্যটক নিহতের ঘটনায় ইমারতে ইসলামী নাকি নিন্দা জানিয়েছে। এর কিছুদিন পর আবার ভারতীয় কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করে। এই নিয়ে অনেকে তালিবানকে হিন্দুপ্রেমী বলছেন। তালিবানকে নিয়ে অনেক ধরণের সমালোচনা হচ্ছে।
    এখন আমার জানার বিষয় হল-
    ১। ইমারতে ইসলামী কি সত্যিই এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে? জানিয়ে থাকলে ইসলামী তুরাস ও কূটনীতির দিক থেকে এটা কতটা উচিত কাজ হয়েছে?
    ২। পাকিস্তানে গত কয়েক দিন আগে ভারত কয়েকটি মসজিদে হামলা করেছে যাতে প্রায় ৩০/৪০ জন মুসলিম শহীদ হয়েছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কি ইমারতে ইসলামী কোন নিন্দা বা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে?

  • #3
    ভাই আপনি একটি পুরনো পোস্ট দেখতে পারেন, ভালো আইডিয়া পাবেন ইনশাআল্লাহ

    যুদ্ধ বিরতি চুক্তি : পরিচয়, শরয়ী বিধান, বর্তমান প্রেক্ষাপট
    https://dawahilallah.com/forum/মূল-ফোরাম/শরিয়াতের-আহকাম/21551-যুদ্ধ-বিরতি-চুক্তি-পরিচয়-শরয়ী-বিধান-বর্তমান-প্রেক্ষাপট


    এখানে আমার কিছু পয়েন্ট-

    - পাকিস্তান এবং ভারত উভয় রাষ্ট্রেই মুসলিম আছে। কিন্তু শাসন উভয় রাষ্ট্রেই সেকুলার।
    - ভারত পাকিস্তানের এই যুদ্ধ শরিয়াহ বাস্তবায়নের জন্য হচ্ছে না।
    - ভারতের পক্ষ থেকেও কিছু নামধারি মুসলিমকে তাদের পক্ষে প্রদর্শন করার সাথে সাথে অফিসিয়ালি বিবৃতি তে বলেছে এটা ধর্মীয় যুদ্ধ না।


    - ইমারত ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে এখন পর্যন্ত শক্তিবৃদ্ধির পর্যায়ে আছে। রাষ্ট্র হিসেবে কোন দেশের সাথে ফুলস্কেলে যুদ্ধে জড়ানোর মত সামর্থ্য ইমারতের এখনো হয় নাই।

    - এদিকে ইমারতের সাথে বর্তমানে ভারতের কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ চলছে না, অপরদিকে পাকিস্তান নিজেই আগবেড়ে বেশ কয়েকবার আফগানিস্তানে হামলা করেছে। সেই হিসেবে ইমারত পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত বলা যায়। কিন্তু ইমারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত কে সাহায্য বা সমর্থন কিছুই করে নাই। শুধু একটা বিবৃতি দিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত হতে বলেছে।

    তবে ভারত নিজেদের সেকুলারের সাথে সাথে হিন্দুত্ববাদি রাষ্ট্র বলে পরিচয় দেয়, আর পাকিস্তান গঠিত হয়েছিল ইসলামের নামে। তাই আমাদের সাহায্য সমর্থন সবসময় পাকিস্তানের পক্ষে।

    আবার ভারতেও প্রায় বিশ কোটি মুসলমান আছে, আমাদের অসংযত আচরণ যেন তাদের গনহত্যার মুখোমুখি না দাঁড় করিয়ে দেয়, সেদিক লক্ষ্য রেখেই ভারত, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের অনেক মুসলিম নেতা বক্তব্য বিবৃতি দিয়ে থাকেন।
    বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

    Comment


    • #4
      Originally posted by Ibnul Irfan View Post
      আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

      ভাই এই লেখাটা দেখতে পারেন।

      https://dawahilallah.com/forum/%E0%A...A7%8D%E0%A6%A6
      এটা তো আমাদের শাইখদের বার্তা, ইমারতে ইসলামীর স্টেটমেন্ট না। কিন্তু পেহেলগাম হামলার নিন্দা বিষয়ে অনেকগুলো মিডিয়াতে নিউজ হয়েছে, ভারতীয় কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের ব্যপারেও অনেক আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নিউজ হয়েছে।

      Comment


      • #5
        Originally posted by Sabbir Ahmed View Post
        ভাই আপনি একটি পুরনো পোস্ট দেখতে পারেন, ভালো আইডিয়া পাবেন ইনশাআল্লাহ

        যুদ্ধ বিরতি চুক্তি : পরিচয়, শরয়ী বিধান, বর্তমান প্রেক্ষাপট
        https://dawahilallah.com/forum/মূল-ফোরাম/শরিয়াতের-আহকাম/21551-যুদ্ধ-বিরতি-চুক্তি-পরিচয়-শরয়ী-বিধান-বর্তমান-প্রেক্ষাপট
        আস ছালামু আলাইকুম...
        প্রিয় ভাই আপনার শেয়ার করা ফোরামের লিঙ্কটা কীভাবে ইডিট‌ করেছেন একটু বিস্তারিত বললে কী ?আশা করি অনেকে এ বিষয়ে
        জানতে পারবে

        জাযাকুমুল্লাহ খায়রান
        Last edited by Rakibul Hassan; 2 days ago.
        বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

        Comment


        • #6
          abu kasim vai, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

          আপনার প্রশ্নটি দেখার পর আমি বিষয়টির প্রকৃত সত্য উদঘাটনের লক্ষ্যে অনুসন্ধান শুরু করি। তথ্য খুঁজতে গিয়ে আমি কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখতে পাই, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে আফগানিস্তান থেকে পেহেলগাম ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে।

          এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে আমি আফগানিস্তানের বিভিন্ন দপ্তর ও সরকারি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পর্যালোচনা করি। তবে, দুঃখজনকভাবে কোথাও এই ঘটনার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি বা প্রেস রিলিজ পাওয়া যায়নি।

          বিভিন্ন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পেহেলগামের ঘটনাটির পর ভারত থেকে একটি কূটনৈতিক প্রতিনিধি দল আফগানিস্তান সফর করে এবং সেখানে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলাভী আমির খান মুত্তাকি সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। বলা হয়, ওই আলোচনায় তিনি মন্তব্য করেন যে, এই ধরনের ঘটনা আমাদের উপমহাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে।

          তবে আমি যতদূর অনুসন্ধান করেছি, আফগান সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের কোনো মন্তব্য সরাসরি বা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি যেসব সংবাদে এই মন্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে, সেগুলোতেও নির্ভরযোগ্য উৎস বা প্রমাণস্বরূপ কোনো ভিডিও, বিবৃতি বা অফিসিয়াল নথি উপস্থাপন করা হয়নি।

          এখানে একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, Times of India, Indian Express, এবং Livemint—এই তিনটি সংবাদমাধ্যমই ভারতীয় এবং মূলত অমুসলিম বা মুশরিকদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এ কারণে, তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশেষ করে মুসলিম বিশ্ব, ইসলামপন্থী নেতৃত্ব, কিংবা আফগানিস্তানের মতো একটি ইসলামী রাষ্ট্রকে ঘিরে—তাদের সংবাদ পরিবেশনে নিরপেক্ষতা নিয়ে আমি স্বাভাবিকভাবেই যুক্তিপূর্ণ সংশয়ে আছি।

          এই গণমাধ্যমগুলোর পক্ষ থেকে আফগান সরকারের তরফ থেকে পেহেলগামের ঘটনার নিন্দা এবং কূটনৈতিক সাক্ষাৎ নিয়ে যে বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে, তা যাচাই-বাছাই ছাড়া গ্রহণ করা যুক্তিযুক্ত নয়। এরকম সংবেদনশীল ইস্যুতে তাদের প্রচারিত তথ্য মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি কিংবা ঐক্য বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতে পারে—এমন আশঙ্কা অমূলক নয়।

          এই ধরনের সংবেদনশীল পরিস্থিতিতে আমি মনে করি আমাদের করণীয় হলো—ধৈর্য ধারণ করা, এবং আমাদের শায়খদের ও ইমারাহর প্রতি সুধারণা (হুসনে যন) পোষণ করা।

          সাময়িক বিভ্রান্তি বা অসমর্থিত কোনো বক্তব্য সামনে এলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখানোর পরিবর্তে, তথ্য যাচাই-বাছাই করা এবং বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে প্রকৃত ঘটনা বোঝার চেষ্টা করা উচিত। যদি পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় যে কোনো মন্তব্য বা অবস্থান বাস্তবেই এসেছে, তবে তা তানজিমের দায়িত্বশীলদের অথবা কোনো হাক্কানী আলেমের মাধ্যমে বুঝে নেওয়া উচিত—কেন ও কী প্রেক্ষিতে সে মন্তব্য করা হয়েছে।

          এতে করে আমাদের মাঝে বিষয়গুলো আরও পরিষ্কার হবে এবং অপ্রয়োজনীয় ভুল ধারণা বা বিভ্রান্তি সৃষ্টির আশঙ্কা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
          এই দৃষ্টিভঙ্গি শুধু ব্যক্তিগত পরিপক্বতারই পরিচায়ক নয়, বরং তা মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও পারস্পরিক আস্থার রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

          فَاَعۡرِضۡ عَنۡهُمۡ وَ انۡتَظِرۡ اِنَّهُمۡ مُّنۡتَظِرُوۡنَ

          Comment


          • #7
            [সোশাল মিডিয়া থেকে সংগৃহীত এই পোস্টের সাথে সম্পর্কিত একটি লিখা]


            সেই ঘটনাটা স্মরণ করুন, যখন জিহাদের নির্দেশ আসলো, তখন বনী ইসরাইলীরা মূসা (আলাইহিস সালাম) কে বলেছিলো যে, আপনি এবং আপনার আল্লাহ গিয়ে জিহাদ করুন। আমরা এখানে বসলাম।

            আমরা অবস্থাটার সাথে নিজেদের তুলনা করতে পারি। আমরা কাফিরদের সাথে সবরকম সম্পর্ক রাখছি। প্রয়োজন নেই, এরকম বিলাসিতার পণ্যগুলোও আমরা কাফিরদের থেকে নিয়মিত কিনছি। তাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখছি। তাদের দেশে পড়তে গিয়ে, সেখানেই থেকে যাচ্ছি, তাদের জিডিপিতে কন্ট্রিবিউট করছি। তাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরী করে, সেটাকেই শক্তিশালী করছি। আমরা নিজেদের জন্য এইসবই জায়িজ মনে করছি।

            হ্যাঁ আমিও বলি, এসব জায়িজ হবার বিভিন্ন সুরত আছে। যেমন তাদের উপকারের চেয়ে মুসলিমদের উপকার যদি বেশী হয়, উপার্জিত অর্থ, জ্ঞান, অবস্থান যদি মুসলিমদের কাজে লাগানো যায়, যা তাদের সহায়তাকেও ছাপিয়ে যায়। কিন্তু আমরা ক'জন সেই বিষয়গুললো খেয়াল করি?

            একটু ভিন্ন আলাপের দিকে যাচ্ছি। আপনারা জানেন যে, ২০০১ সালে ইমারাহ নিজেদের কুরবানী করে দিয়েছিল শুধুমাত্র কিছু মুসলিম মেহমানকে কাফিরদের হাতে তুলে দিতে রাজি না হওয়ায়। তারা তাদের জনগণ কি খাবে, কি পরবে, কিভাবে চলবে - সব কিছুর উপরে স্থান দিলো কিছু বিদেশী মুসলিমদের জান-মালের মর্যাদাকে। ক'জন লোক তাদের এ্যাপ্রিশিয়েট করেছে? বরং বেশীরভাগই তাদের এই সিদ্ধান্তকে মাথামোটাগিরী বলে টিটকারী দিয়ে গেছে।

            তারা ২০ টা বছর যুদ্ধ করলো। কাফির-মুনাফিকদের পরাজিত করলো। এই ২০ টা বছরে এক দিনের জন্যও পাকিস্তানের করাচী বন্দর আমরিকার জন্য বন্ধ হয় নি। কিন্তু যখন শরীয়াহর প্রশ্ন সামনে আসলো। ইমারাহ পাকিস্তানে শরীয়াহ কায়েমের পক্ষের শক্তি এবং বিপক্ষ শক্তির মধ্যে বিপক্ষের শক্তিকে সাহায্য করতে অপারগতা প্রকাশ করলো, ঠিক তখন থেকে করাচী বন্দর তাদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হল।

            একটা দেশ ২০ বছর এর আগে আরো ২০ বছর, মোট ৪০ বছর ধরে কেবল যুদ্ধই করছে। তারা বিজয়ী হবার পর এখন প্রশাসন চালানোর ক্ষেত্রে নিজেদের প্রমাণ করার পালা। নিজেদের জনগণকে আশ্বস্ত করার পালা যে তারাও যোগ্য শাসক। তারা জনগণের খাওন-পরনের দায়িত্ব নিতে পারে। অথচ এরকম একটা সময়ে আন্তর্জাতিক আমদানী রপ্তানীর জন্য তাদের একমাত্র ভরসা পাকিস্তানের করাচী বন্দর তাদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হল। এখন তারা যদি বিশ্বের সাথে বাণিজ্য করতে না পারে, তাহলে তো তারা টিকতেই পারবে না।

            তারা অপশন খুঁজে পায় না। পূর্ব দিকে সুন্নী অধ্যুষিত পাকিস্তানের ইস্টাবলিশমেন্ট তাদের অগ্রগতিতে বাঁধা দেয়ার জন্য এই রকম নোংরা পথ বেছে নিলো। ২০ টা বছর আমরিকার জন্য তারা করাচী বন্দর, আকাশ সীমা সব খুলে রাখলেও, বিজয়ের পর তারা বলাবলি করতে লাগলো যে, তারা নাকি আমরিকাকে সাহায্য করার মাধ্যমে আমরিকাকে পরাজিত করেছে! তারাও বিজয়ের ভাগ চাইলো। যখন তারা তা পেলো না, তাদের শত্রুতা শুরু হয়ে গেলো, ঠিক যেমন আগে ছিল।

            একটা বিকল্প আছে। পশ্চিম দিকে শিয়া অধ্যুষিত ইরানের চাবাহার বন্দর। পাকিস্তানের ইস্টাবলিশমেন্টের মত, ইরানের ইস্টাবলিশমেন্টও আহলুস সুন্নাহর শরীয়াহ কায়েমের বিরোধী শক্তি। এবং উভয়পক্ষেরই সাধারণ মুসলিমদের উপর দ্বীনের কারণে, দুনিয়ার কারণে জুলুম করার রেকর্ড আছে। কিন্তু করাচীর বিপরীতে চাবাহার ছাড়া আর কোনো উপায়ও নেই। কারণ পাকিস্তান না করাচী বন্দর দিবে, আর না গোয়াদার বন্দর দিবে। তাই গোয়াদারের কাছে ইরানের চাবাহার দিয়েই আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানী-রপ্তানী করা ছাড়া ইমারাহর হাতে আর একটা অপশনও নেই।

            এখানে আরেকটা সমস্যা। এই চাবাহার বন্দর ইরান ইন্ডিয়াকে দিয়ে রেখেছে। ইন্ডিয়া
            এই বন্দর ব্যবহার করে পাকিস্তানের উপরও নযরদারি করে। তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। ইরান এগুলো জানে, তবুও তাদের এই বন্দর দিয়ে রেখেছে। এখন ইমারাহ যখন এই বন্দরটা ব্যবহার করতে চাচ্ছে, ইন্ডিয়ার সাথেও তাদের একটা বোঝাপাড়ায় যেতে হচ্ছে। কারণ তাদেরকে পাকিস্তান বাধ্য করেছে ওইদিকে যেতে। নতুবা তাদের দেশে দূর্ভিক্ষ লেগে যাবে, অর্থনীতি ধ্বসে পড়বে, কারণ ব্যবসা-বাণিজ্য নাই। তখন ইমারাতের পতন হলে, সেকুলার ডেমোক্রেটিক ফোর্সগুলো পশ্চিমের আশীর্বাদে আবারো ক্ষমতায় বসবে।

            এখন অনেকে বলছে, চরম ইসলাম এবং মুসলিম বিদ্বেষী, চরম অপরাধী ইন্ডিয়া
            র সাথে ইমারাহ কেনো সম্পর্ক ছিন্ন করছে না? অথচ ইমারাহ তো তাদের সাথে সম্পর্কই সেভাবে গড়ে তোলে নি। তারা তো কোন কাফির গোষ্ঠির সাথে জোট বেঁধে কোন মুসলিম কমিউনিটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে না। তারা কেবল কিছু আলোচনা করছে যদি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তারা কিনতে এবং বেঁচতে পারে।

            আপনারা যারা খুব কষ্ট পাচ্ছেন যে, ইমারাহর মত একটা শক্তি কেনো কাফিরদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করবে, যেই কাফিররা কিনা মুসলিমদের নির্যাতনকারী, তারা আমাকে একটিবার বলেন, আপনারা কি ইমারাহর জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য হারাম মনে করেন, যখন কিনা তাদের সামনে আর কোন বিকল্প রাখা হয় নি? তারা তো এসব কাফিরদের সাথে কূটনৈতিকভাবে আগালেও, ঠিকই আবার এসব কাফিরদের বিরুদ্ধে থাকা বিপ্লবী শক্তিগুলোকেও ব্যাক চ্যানেলে স্পন্সর করছে। যেই স্পন্সরের কারণে তারা ২০ বছর যুদ্ধ করেছ, সেই স্পন্সরিং তারা এখনো করছে, একটু রেখে ঢেকে। আপনি চান যে, তারা সব খুল্লাম-খুল্লা করুক। এতে আপনি কেবল আপনার ডিভাইস স্ক্রিন থেকে সাময়িক জজবা পাবেন। কিন্তু এতদিন ধরে তারা এই লাইনে কাজ করে এসেছে। তাদের প্রতি তো এতটুকু আস্থা রাখা চাই।

            মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের পক্ষ না নেয়ার প্র্যাকটিকাল প্রমাণ আমরা এই যামানায় তাদের কাছ থেকে শিখেছি। তারা ভুল করতে পারে না, তা না। কিন্তু তাদের উপর তো এই ব্যাপারে আস্থা রাখা চাই। কেবল আশংকা, হয়ত এসবের কারণে তাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব, অথচ হুসনুয যন আমাদের কাদের প্রতি রাখা উচিত ছিল? তাদের কথার চেয়ে আমাদের কাছে যারা দুনিয়ার স্বার্থের কারণে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সুযোগ পেলেই বিভিন্ন সময়ে কাফিরদের সাহায্য করার রেকর্ড আছে, তাদের কথা বেশী গুরুত্বপূর্ণ আমাদের কাছে কিভাবে হয়ে গেলো? আমরা কি তাহলে মিডিয়া স্ট্যান্সের কাছে পরাজিত হলাম?​
            বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

            Comment

            Working...
            X