Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইসলাম তোমার দেশ, তুমি মুহাম্মাদের সৈনিক! || শেষ পর্ব​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইসলাম তোমার দেশ, তুমি মুহাম্মাদের সৈনিক! || শেষ পর্ব​

    ইসলাম তোমার দেশ, তুমি মুহাম্মাদের সৈনিক!
    শেষ পর্ব​

    সম্মানিত ও প্রিয় ভাইয়েরা!
    .
    সে সব বিষয় কী, যা বিশেষ করে ভারতের মুসলমানদের সামনে থাকা আবশ্যক এবং সে কর্মকান্ডগুলো কী, যা করলে আমরা নির্দয় তুফান থেকে নিজেদেরকে হেফাযত করতে পারব? (আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে পথ প্রদর্শন করুন, তাওফিক ও সাহায্য দান করুন।) সে বিষয়ে পয়েন্ট আকারে কিছু কথা আপনাদের খেদমতে পেশ করছি-
    এক. সামগ্রিকভাবে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করা। আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা, তিনি আমাদের মালিক। তিনিই আমাদের উপাস্য এবং শাসক। এ কারণে আল্লাহর মহত্বের মোকাবেলায় অন্য কোন মাখলুকের মহত্বকে মেনে নেবো না। মহান রবের মোকাবেলায় কোন আদালত, কোন রাজত্ব, সাধারণ বা বিশেষ কোন ব্যক্তির হুকুম ও ফায়সালাকে পবিত্র মনে করব না। জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্র হচ্ছে এ যুগের কর্তিত মূর্তি। আর এগুলিকে তখনই প্রত্যাখান করা হবে, যখন আমরা শুধুমাত্র ইসলাম ও একাত্ববাদের ঘোষণা করব।
    .
    এই কর্তিত মূর্তিটি এক নতুন সভ্যতা
    যা নবী মুহাম্মাদের ধর্মের লুটেরা।
    বাহু তোমার তাওহীদের বলে বলিয়ান
    ইসলাম তোমার দেশ, তুমি মুহাম্মাদের সৈনিক!
    .
    আমরা শুধু আল্লাহর সামনে নত হব। আল্লাহর হুকুম-আহকামের আনুগত্য করব। তাঁর বিধানের সামনে অন্য কারো নিয়ম-নীতি ও আইন-কানুনের তোয়াক্কা করব না। এটাই হচ্ছে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’র দাবি।
    .
    দুই. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ এর এই দাওয়াতকে ব্যাপক করব। এ কালিমার অর্থ ও মর্ম, দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো আমরা নিজেরাও বুঝব এবং অন্যদেরও বুঝাব। এ কালিমা তখনই সব মিথ্যা উপাস্য আর ক্ষমতাধরদের প্রত্যাখান করবে, যখন শুধুমাত্র এক আল্লাহর ইবাদত ও আনুগত্যের ঘোষণা করা হবে। এ দাওয়াত আমরা নিজেরা গ্রহণ করব এবং অন্যদের সামনেও পেশ করব। সকলকে এ কথা বুঝাবো, আমাদের দুনিয়া ও আখেরাতের সার্বিক কল্যাণ ও শান্তি শুধুমাত্র এই কালিমা অনুসরণ এবং তার দাবি পূরন করার মাঝেই নিহিত। আমাদের আচার-ব্যবহার, উঠাবসা, লেনদেন, দাওয়াত, সৃষ্টির সেবা এবং বন্ধুত্ব ও শত্রুতা- এ সবকিছুই হবে শরীয়াহ মোতাবেক এবং কালিমায়ে তাওহীদের কার্যত সত্যায়নকারী ।
    .
    ইসলাম ও শরীয়ার উপর আমল এবং তার দাওয়াতের কারণে যদি ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়, তবে আমরা ঝুঁকির মুখে পড়ব। এর কারণে যদি আমাদের সর্বস্ব বিলিন করে দিতে হয়, তবে এতেও কোন কুন্ঠাবোধ করব না। আমাদের দাওয়াত ও আন্দোলন, চিন্তা-চেতনা ও চেষ্টা শরীয়ার মূলনীতির অনুকূলে হবে, জাতিগত বা ব্যক্তিগত কোন ফায়দার অনুকূলে হবে না। আমাদের বিশ্বাস, এ পদ্ধতির চিন্তা ও কর্ম ইসলামের উপকারে আসবে এবং জাতি হিসেবে আমাদের মুসলিমদেরও উপকারে আসবে। কিন্তু জাতির উপকারের নাম করে যদি আল্লাহর বিধানের বিপরীত পথে চলা হয়, তবে আমাদের বুঝতে হবে, এটা আমাদের জাতির জন্যও কখনো কাজে আসবে না।
    .
    তিন. ভারতে যে আমাদের কিছু বলবে না, অর্থাৎ যে আমাদের উপর হাত উঠাবে না, আমরাও তাকে কিছু বলব না। আমরা তাকে পরিপূর্ণরূপে নিরাপদে ছেড়ে দেব। কিন্তু যে আমাদেরকে, আমাদের মা-বোনদেরকে, আমাদের সন্তানদেরকে মারতে আসবে, তাকেও কি আমরা নিরাপদে ছেড়ে দেব? না, কখনই না... সকল ওলামা-ফুকাহার সর্বসম্মতিক্রমে আক্রমণকারী শত্রুকে প্রতিহত করা এবং নিজের দ্বীন ও দুনিয়া তার ক্ষতি থেকে হেফাযত করা নামাজের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরজ।
    হিন্দুদের খাছলত হল, এরা দুর্বলদের মারে। বিপদগ্রস্তদের আরো বিপদে ফেলে দেয়। পক্ষান্তরে ক্ষমতাবানদের এরা দেবতা মেনে পূজা করে। মিয়ানমারে শুধু সেখানেই গণহত্যা হয়েছে, যেখানে কোন মোকাবেলা হয়নি। কিন্তু যেখানে মোকাবেলা করা হয়েছে অথবা শুধু লাঠি ও পাথর দ্বারাও যেখানে মোকাবেলা করা হয়েছে, সেখান থেকে দুশমন পালাতে বাধ্য হয়েছে।
    .

    প্রিয় ভাইয়েরা!
    .
    যুদ্ধের প্রস্তুতি যেহেতু একটি স্বতন্ত্র ফরজ, তাই ওলামায়ে কেরাম ও দ্বীনের দা‘য়ীদের প্রতি নিবেদন করছি, আপনারা এর জন্য পরিপূর্ণ উৎসাহ দান করুন। তার জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে সঙ্ঘবদ্ধ হোন। হৃদয়ে শাহাদতের তামান্না জাগ্রত করুন। এটা তো জানা কথা, শাহাদাতের চেয়ে বড় কোন সৌভাগ্য নেই। আর নিজের দ্বীন ও ঈমান, নিজের পরিবার-পরিজন এবং মুসলিমদের রক্ষায় নিজের জীবন দিয়ে দেওয়া সবচেয়ে উত্তম শাহাদাত।
    .
    চার. আলহামদুলিল্লাহ, সারা বিশ্ব জুড়ে এখন জায়গায় জায়গায় জিহাদের ময়দান সরব হয়ে উঠেছে। এখানে দ্বীনের বিজয় আর মাজলুমদের সাহায্যের জন্য মুজাহিদীন এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। উম্মাহকে রক্ষার এই অগ্রবাহিনীর সাহায্য এবং ইসলামের এই বীরসেনানীদের থেকে সম্পর্কহীন হবেন না। দরকার হলো- এই ময়দানে আপনিও শরিক হবেন এবং জিহাদী আন্দোলনের সাহায্য ও সমর্থনে আপনারও যেন পরিপূর্ণ অংশ থাকে। আপনার সবচেয়ে নিকটবর্তী ময়দান হচ্ছে- কাশ্মীর জিহাদ। এই জিহাদে আপনার জান-মাল দুটোই ব্যবহার করুন। জিহাদের আন্দোলনে আপনার এ অংশগ্রহণ এবং যে কোন সেক্টরে আপনার অংশীদারিত্ব পুরা ভারত জুড়ে ইসলাম ও মুসলমানদের শক্তি বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়াবে, ইনশা আল্লাহ।
    .
    পাঁচ. এটি শেষ পয়েন্ট। উল্লিখিত আলোচনাগুলোর উপর যত বেশি সম্ভব একতা ও সংহতি সৃষ্টি করুন এবং এর সকল বিষয়াবলীকে পূর্ণাঙ্গ নিয়ম ও শৃঙ্খলার সাথে আঞ্জাম দেওয়ার চেষ্টা করুন।
    .
    আল্লাহর কাছে দু‘আ করছি, তিনি যেন ভারতের মুসলমানদের সম্মান, শক্তি ও দাপট দান করেন। ভারতে আমাদের ভাইদের দ্বীন ও সম্মান, জান-মাল ও পরিবার-পরিজনের হেফাযত করেন।
    .
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আমাদের সকলকে তাওফিক দান করুন, যেন উপমহাদেশে ইসলামের বিজয়ের জন্য আমাদের সবকিছু কাজে লাগাতে পারি। আল্লাহ আমাদের মাঝে ঐ দিন নিয়ে আসুন, যখন ভারত, পাকিস্তান এবং পুরা উপমহাদেশে আল্লাহ তা‘আলার বরকতময় শরীয়ার রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। জুলুম ও কুফরের ঝান্ডা ধূলায় ধূসরিত হবে। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।

    وَمَا ذَٰلِكَ عَلَى اللَّهِ بِعَزِيزٍ ﴿فاطر: ١٧﴾

    “এটা আল্লাহর পক্ষে কঠিন নয়।”(সূরা ফাতির: ১৭)

    وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين.

  • #2
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আমাদের সকলকে তাওফিক দান করুন, যেন উপমহাদেশে ইসলামের বিজয়ের জন্য আমাদের সবকিছু কাজে লাগাতে পারি। আল্লাহ আমাদের মাঝে ঐ দিন নিয়ে আসুন, যখন ভারত, পাকিস্তান এবং পুরা উপমহাদেশে আল্লাহ তা‘আলার বরকতময় শরীয়ার রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। জুলুম ও কুফরের ঝান্ডা ধূলায় ধূসরিত হবে। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
    বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

    Comment

    Working...
    X