Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাকিস্তান দখলকারী জেনারেল এবং শাসকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা || পর্ব - ৩

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাকিস্তান দখলকারী জেনারেল এবং শাসকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা || পর্ব - ৩

    পাকিস্তান দখলকারী জেনারেল এবং শাসকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা
    পর্ব - ৩

    তোমাদের দাবি যদি জাতির কল্যাণের হয়, তাহলে জাতির সামনে সত্য বলে দেখাও!

    যদি তোমাদের জাতির প্রতি সহানুভূতির ইচ্ছা থাকে, তাদের দুঃখে দুঃখিত হওয়া এবং তাদের সুখে সুখী হওয়ার দাবি যদি করে থাক, তাহলে তাদের সামনে মিথ্যা না বলে, বরং সত্য বলে দাও৷

    বলে দাও যে, এদেশে আমরা ইসলাম চাইনা। এখানে আমাদের জন্য লজ্জা এবং ইমান অসহ্য। জাতীয় পর্যায়ে অন্যায় ও খারাপ কাজের প্রচলন করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য এবং কুফর ও ধর্মহীনতার চর্চা আমাদের রাষ্ট্রীয় লক্ষ্য। স্পষ্ট করে দাও যে, আমাদের চেষ্টা হলো জাতিকে উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং জৈবিক চাহিদার গোলাম বানিয়ে রাখা। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, শয়তানী এবং স্বার্থপরতার উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য জাতির ইহকালীন স্থিতিশীলতা ধ্বংস এবং পরকালীন জীবন সম্পূর্ণ নষ্ট করা। এ উদ্দেশ্যে জাতির বাচ্চাদেরকে প্রবৃত্তি এবং শয়তানের বন্দি বানানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।

    বলে দাও! ঢোল পিটিয়ে বলে দাও যে, আমাদের ইশতেহার হলো আল্লাহর দ্বীনের সাথে শত্রুতা এবং ধার্মিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। দ্বীনকে শুধুমাত্র মসজিদে সীমাবদ্ধ রাখা আমাদের উদ্দেশ্য এবং কুরআনে কারীমকে প্রবৃত্তি–পূজারীদের অনুগত রাখা আমাদের পবিত্র আইন…..

    জিহাদ নবীদের (আলাইহিস সালাম) অযীফা, মহান ইবাদত, কুরআনে কারীমের শত শত আয়াতের নির্যাস এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের স্পষ্ট এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ। অতঃপর এই জিহাদের মৌলিক শরয়ী সংজ্ঞা হলো, আল্লাহর জমিনে, আল্লাহর শরী‘য়াকে কার্যত শাসক বানানোর জন্য যুদ্ধ করা। কিন্তু তোমরা ঘোষণা করে দাও যে, জিহাদের এই শিক্ষাকে বিকৃত করা এবং জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর এই অর্থকে সমাজ থেকে শেষ করা আমাদের মৌলিক দায়িত্ব। জাতির কাছে গোপন করো না যে, আমাদের ‘জিহাদই’ হলো ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মাধ্যমে শত্রুর প্রতিরক্ষা করা। বরং বলে দাও যে, তোমাদের ‘জিহাদের’ উদ্দেশ্যই হলো জালেম এবং কাফেরদের গোলামী করা। তাগুতের প্রতিরক্ষার জন্য নিজেদের মা–বোনদের অপহরণ করে উধাও করা বা মার্কিনীদের কাছে বিকিয়ে দেওয়াটাই হলো ‘জিহাদের’ নতুন অর্থ, এটা বুঝিয়ে দাও!

    তাদেরকে আন্তর্জাতিক জিহাদের সংজ্ঞা পড়িয়ে দাও যে, যে ব্যক্তি আল্লাহর শরী‘য়াহ প্রতিষ্ঠার জন্য পা বাড়াবে, তাদের জনপদগুলো ধ্বংস করা এবং তাদের বাচ্চা, বৃদ্ধ এবং যুবকদেরকে ধরে ধরে গুলির দ্বারা ঝাঁযরা করা!

    বলে দাও! নির্দ্বিধায় ঘোষণা করো যে, মদিনার বাদশাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শরী‘য়াহ এবং প্রতিষ্ঠিত সমাজ আমাদের জন্য নমুনা নয়। আজ আমাদের জন্য হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ন্যায় বিচার ও ইনসাফ উপমা থাকেনি, বরং আমাদের আদর্শ হলো নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন এবং প্যারিসে প্রতিষ্ঠিত শাসনব্যবস্থা ও সমাজব্যবস্থা। সেখানের শাসন পদ্ধতি এবং সমাজের রীতি–নীতিই আমাদের ‘ইসলামিক’ এবং ‘কল্যাণজনক’ রাষ্ট্রের পদ্ধতি এবং নীতি হবে। আর এই ‘উচ্চ’ মাকসাদ পর্যন্ত পৌঁছার রাস্তায় আগত সকল বাধাকে বোমা এবং মিসাইলের দ্বারা উড়িয়ে দেওয়াটা আমাদের মৌলিক ‘চিকিৎসা আইন’!

    এই পুরোপুরি এবং বাস্তব সত্য বলার পর এটা বলাও তোমাদের জন্য কোন কঠিন বিষয় হবে না যে, এদেশে আইন–কানুন, আদালত এবং মূলনীতি আছে। এখানে মানুষ, বাচ্চা এবং নারীদের ‘অধিকার’ এবং মুক্ত স্বাধীন মতামতের অবকাশও আছে। তবে এসমস্ত ‘অধিকার’ দ্বীন বিরোধীদের জন্য। এই ‘স্বাধীনতা’ তারাই ভোগ করবে যারা দ্বীনের বাস্তবায়ন চায় না।

    কিন্তু যারাই আজকের এই যুগে ইসলামের ‘কট্টরতাকে’ জয়ী রাখার এজেন্ডা রাখবে, পূর্ণাঙ্গভাবে কুরআনে কারীম অনুযায়ী চলার ইচ্ছা রাখবে, আমাদের এখানে তাদের জন্য পূর্ণ নীতি–হীনতাই হলো নীতি। এমন ‘বিপদজনক’ ব্যক্তির জানেরও মর্যাদা নেই এবং ইজ্জতেরও মর্যাদা নেই। এমন লোকদেরকে শেষকরা, দোষারোপ করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে ভীতিকর বানানোর জন্য সত্যকে মিথ্যা বানানোটাই প্রকৃত সত্য এবং নিকৃষ্টতম অন্যায়কে ন্যায় দেখানোই হলো প্রকৃত ন্যায়!

    এটাও বলে দাও যে, এদেশে চোর–ডাকাতদের জন্য স্থান আছে, সরকারি মহলে পদ পর্যন্ত আছে, কিন্তু কুরআনে কারীমের নির্দেশানুযায়ী জিহাদের ইবাদত–কারীদের জন্য এখানে কথা ও কাজের কোন স্বাধীনতা নেই। বুঝিয়ে দাও যে, এখানে নর্তকীদের সম্মান আছে, দেশ ভাগকারীদের জন্য প্রোটোকল আছে, জাতির কন্যাদের বিক্রয়কারীদের জন্য পুরষ্কার আছে এবং জাতির শত্রুদের জন্য, নিজেদের উপর গোলাবারুদ বর্ষণকারীদের জন্য উন্নতি এবং ফ্লাট আছে। কিন্তু নির্যাতিত জাতির জন্য, নিজেকে নিজে উৎসর্গকারী খাঁটি মুজাহিদীনদের জন্য এখানে জিরো–টলারেন্স। তাঁদের কোন অধিকার নেই, তাঁদেরকে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে পচে–গলে মরার জন্য উধাও করা হবে অথবা জেল থেকে বের করে গুলির দ্বারা ঝাঁযরা করে তাদের মৃতদেহগুলো ফেলে দেওয়া হবে। গোলাবারুদের বৃষ্টি বর্ষণ করে তাদের জনবসতিগুলোকে ভূপৃষ্ঠ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে। তাদের মা–বোনদেরকে অপহরণ করে উধাও করে ফেলা হবে অথবা ‘অসভ্য’, ‘সন্ত্রাসবাদী’ এবং ‘অন্যদের এজেন্ট’ – এরূপ মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হবে….। তোমাদের কাছে এগুলো শুধু জায়েজই নয় বরং প্রয়োজনীয় বিষয়। আর এটাই হলো তোমাদের যুদ্ধ কৌশল!
    .
    .
    চলবে...​


  • #2
    ভাই এসব বিষয় ষ্পষ্টই আছে। তাই হে মুসলিম, কাফেরদের ধোকা (ধোঁকা) বুঝ এবং গনতন্ত্র (গণতন্ত্র) পরিত্যাগ কর।
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 3 days ago.

    Comment

    Working...
    X