পাকিস্তান দখলকারী জেনারেল এবং শাসকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা
শেষ পর্ব
আমাদের চ্যালেঞ্জবর্তমানে তোমাদের এই আদালতের মাধ্যমে মুজাহিদীনদেরকে অপরাধী সাব্যস্ত করা এবং তাদেরকে ফাঁসি দেওয়ার বিষয়টি আছে। এটা তো মুজাহিদীনদের জন্য মর্যাদা এবং সৌভাগ্যের বিষয়। এরচেয়ে বড় গর্বের কথা আর কি হতে পারে যে, আলহামদুলিল্লাহ! তাঁদের এসমস্ত ‘আদালত’ থেকে ইজ্জত ও সম্মানের সার্টিফিকেট অর্জিত হচ্ছে না!!
ফেরাউনি ‘ইনসাফের’ ঐসকল কাঠগড়ায় হযরত মুসা (আলাইহিস সালামকে) ইজ্জত ও সম্মান দ্বারা সামান্যই মর্যাদা দান করা হয়েছিল। ফেরাউনের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আল্লাহর ভূমিতে, আল্লাহর রাজত্বের ঘোষণা দানকারীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই ছিল! ফেরাউনের মিথ্যাকে মিথ্যা বলা এবং মুসা (আলাইহিস সালামের) সত্যের সত্যায়নকারী জাদুগরদেরকে ‘সম্মানের সাথে’ মুক্তি দিয়ে দেয়া হয়নি। বরং তাদেরকে ‘উদাহরণ স্বরূপ’ বানানোর আগ্রহ পূর্ণ করা হয়েছিল!
পৃথিবী এখনও তেমনই আছে। দরবার এবং ভূমিকাও অভিন্ন, শুধুমাত্র চেহারা ভিন্ন। ফেরাউনও আল্লাহর অবাধ্য ছিল আর আজকের শাসক এবং জেনারেলরাও বর্তমান সময়ের ফেরাউন আমেরিকার গোলাম হয়ে আল্লাহর আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করছে।
এমনিভাবে মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর সুন্নাহর উপর আমলকারী যুবকদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অপারেশন হওয়া কোন তাজ্জবের বিষয় নয়। কেননা বন্দিত্ব এবং শাহাদাত তো নবীদের (আলাইহিস সালাম) পথের চিহ্ন!
আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আল্লাহর ভয় পোষণকারী উলামায়ে দ্বীন আমাদের এসমস্ত যুবকদের মামলা পরিচালনা করবেন এবং এসকল জেনারেল ও শাসকদেরকে কুরআনী ইনসাফের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন। তবে পাকিস্তানী আইন নামক ছল্লি–বল্লির অধীনে নয় এবং ঐ–সমস্ত কাফের এবং আমেরিকার গোলাম শাসকদের আদালতের নির্দেশের অধীনেও নয়। বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনীত শরী‘য়াহর আলো এবং আল্লাহর কর্মগত সাংবিধানিক ক্ষমতার অধীনে মামলা পরিচালনা করা হবে। আবদ্ধ কামরাও গ্রহণযোগ্য নয়। উন্মুক্ত মাঠে সমস্ত জনগণের সামনে শরয়ী আদালতের এই কর্ম–পরিচালনা হবে। একশত ভাগ বিশ্বাস এবং দায়িত্বের সাথে বলতেছি যে, জেনারেলদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানোর সিদ্ধান্ত হবে, শাসকদের শিরশ্ছেদের আদেশ আসবে এবং জেলে বন্দি দীর্ঘশ্বাস গ্রহণকারিণী ঐ–সমস্ত নিপীড়িত বোন এবং নিপতিত মুজাহিদীনরা সম্প্রদায়ের হিরো এবং বীরের সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হবে।
শেষ কথা……তোমরা অপেক্ষা করো!
বোনদের বন্দিত্ব, মুজাহিদীনদের ধর–পাকড় এবং আল্লাহর বন্ধুদের এই শাহাদাত জিহাদের পথের সকল পথিককে এই পথে আরো বেশি অবিচল করে দেয়। তাদের হৃদয় প্রতিশোধের ক্রোধ ও রাগে ফুসে উঠে এবং শাহাদাতের দিকে ধাবিত হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে। কোন একজন মুমিন বোনও যদি বন্দি থাকে অথবা কোন মুমিন পুরুষও যদি জিঞ্জিরাবদ্ধ থাকে, তখন একজন মজলুমের জন্য হলেও তোমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং তোমাদের জুলুমের সাথে লড়াই করা ফরযে আইন হয়ে যায়।
সুতরাং এসমস্ত জুলুম মুজাহিদীনকে অধিক তীব্রতা এবং উদ্যমতা দান করে এবং তাঁদেরকে তোমাদের বিরুদ্ধে নতুন সংকল্পের সাথে জিহাদের মাঠে অবতরণের প্রতি অনুপ্রাণিত করে। তোমাদের জুলুমকে বাধা দিতে এবং তোমাদের জালেম হাতগুলোকে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য প্রত্যেক দ্বীনদার এবং মুজাহিদ আশা করে।
অতঃপর এটাও মনে রাখতে হবে যে – আমাদের মা, বোন এবং বাচ্চাদের উপর হাত উঠিয়ে উল্টো আমাদের উপর মহিলা এবং বাচ্চাদের উপর জুলুমের অপবাদ দান কোন কাজে আসবেনা। আমরা যদি আল্লাহর অনুগ্রহে জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারি, তাহলে জালেমদেরকে চেনা এবং তাদের হাত ভেঙে দেওয়ার পদ্ধতিও ভালো করে জানা আছে। ঐ–সমস্ত মা, বোন এবং ভাইদের হয়ে প্রতিশোধ নেওয়া আমাদের উপর দায়িত্ব। বরং এটা ফরয এবং আমাদের উপর ঋণ হয়ে আছে। তবে আমাদের এই প্রতিশোধ জালেম এবং মাজলুম এর মধ্যে পার্থক্য করে দেয়। মহিলা, বাচ্চা এবং তোমাদের ন্যায় অপরাধীদের মধ্যে পার্থক্যও আমাদের জানা আছে।
সুতরাং তোমাদের এই জুলুমের কারণে আমাদের তরবারি তোমাদেরকেই খুঁজে বেড়াবে। কোন প্রতিষ্ঠান তোমাদেরকে রক্ষা করতে পারবে না এবং তোমাদের পলায়নও কোন উপকারে আসবে না ইনশা–আল্লাহ।
যেই অফিসার এবং যেই আমলারাই এই জুলুমে শরীক আছে, আমরা তাকে খুঁজে বের করে তাকে তার কৃতকর্মের কঠিন শাস্তি দিবো এবং অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত স্বরূপ বানাবো ইনশা আল্লাহ্। একাজকে আমরা মুজাহিদীনরা আল্লাহর অনুগ্রহে আমাদের প্রথম ও প্রধান কাজ মনে করি। তোমাদের রাজত্ব এবং নিরাপত্তা থাকুক বা না থাকুক, মুজাহিদীনরা থাকবেই ইনশা–আল্লাহ। প্রত্যেক আগত দিন আল্লাহর অনুগ্রহে তাঁদের অবস্থানের বিজয় এবং শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।
সুতরাং তোমরা অপেক্ষা করো, আমরাও অপেক্ষা করছি…!
والله غالب علي امره ولكن اكثر الناس لايعلمون
আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় কর্মে প্রবল, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানেনা। (সূরা ইউসুফ – ২১)
وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وآله وصحبه أجمعين.
তারিখ: ৫–ই নভেম্বর, ২০১৫ ঈসায়ী
Comment