Announcement

Collapse
No announcement yet.

একিউ যে কারণে অন্যদের চেয়ে অনন্য!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • একিউ যে কারণে অন্যদের চেয়ে অনন্য!

    একিউ যে কারণে অন্যদের চেয়ে অনন্য!
    যখন আইএস ইরাক ও সিরিয়াতে কিছু তামকিন পেল, কেমন যেন তারা সর্বগ্রাসী হয়ে উঠলো। অন্যান্য দল ও গ্রুপগুলোর সাথে বিবাদ লাগিয়ে দিল সামান্য সামান্য কারণে। এমনকি এক পর্যায়ে তাকফির শুরু করে হত্যাযজ্ঞ শুরু করলো, যা থেকে স্বয়ং একিউর ভাইরাও বাদ গেলো না।
    এক পর্যায়ে তো তারা খিলাফাহ ঘোষণা দিয়ে পৃথিবীর প্রায় সব দেশের মুজাহিদদের মাঝেই ফাটল সৃষ্টি করে নিজেদের অনুগত একটি করে দল তৈরি করে নিল। যদিও তা ১০/২০ জনের একটি দলও হোক না কেন! এভাবে তারা নিজেদের অস্তিত্ব দুনিয়া জুড়ে আছে বলে প্রমাণ করতে চাইলো, যা তাদের সর্বগ্রাসী নীতির একটি জ্বলন্ত উদাহরণ।

    এবার আসুন হামাসের ইতিহাসে, তারা গাজায় একিউ-র অনুসারীদেরকে সহ্য করলো না, ইবনে তাইমিয়াহ মসজিদে ইমারাহ ঘোষণার অপরাধে একটি জিহাদের দলের উপর অন্যায় আক্রমণ করলো। শাইখ আবদুল লতিফ মুসা ও শাইখ খালেদ বনাতের মত বড় বড় নেতৃত্বকে শহীদ করে দিল। আজও পর্যন্ত এই কাজে তারা অনুতপ্তও নয়।

    এবার আসুন বাংলাদেশে। হুজি ও জেএমবি এর উত্থানে জামাত-শিবির আতঙ্কিত হয়ে উঠলো। একের পর প্রোপাগান্ডা চালাতে লাগলো, তারা নাকি কাফেরদের এজেন্ট। সাইদি সাহেবের মত আলিম এদেরকে গরুর রশি দিয়ে বেঁধে পুলিশে দেওয়ার আহ্বান জানাল।
    বর্তমান সময়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দিকে দেখুন! নিজেদের একমাত্র সঠিক দল হিসেবে প্রচার করছে। অন্যদের পাত্তা দিচ্ছে না। এমনকি হেফাজতকেও। প্রকারন্তরে অন্যদলগুলোর ধ্বংস কামনা করছে। যা এখন আর গোপন নয়। আর জিহাদি দলগুলোর প্রতি তাদের শত্রুতা তো আর কোন গোপন বিষয় নয়।

    প্রিয় পাঠক! উপরে যে উদাহরণগুলো দিলাম, চেতনে বা অবচেতনে তাদের অধিকাংশ নেতা ও কর্মী এই ধরণের মানসিকতা লালন করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অন্য দলগুলোর সাথে শত্রুতা বৃদ্ধি পায়, এমনকি তা লড়াই ও হত্যাযজ্ঞেও গড়ায়।

    একিউ যদিও এই নীতি গ্রহণ করতো, তাহলে অনেক আগেই আফগান, পাকিস্তানসহ বিশ্বের প্রায় সবগুলো জিহাদি তানযিমের আনুগত্য নিয়ে নিজেদের অংশ করে নিতে পারতো। এমনকি তালিবানদের একটি অংশও একিউর হাতে বাইয়াত নিত। কারণ বিশ্বের প্রায় সব দেশের মুজাহিদিন একিউর প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। উইঘুর মুজাহিদদেরও একিউ প্রশিক্ষণ দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হল একিউ নেতৃত্ব চায়না, সবাইকে নিয়ে খিলাফাহ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কোন জাতি যেন মনে না করে যে একিউ নেতা হতে এসেছে, আলহামদু লিল্লাহ তারা সফল।

    একটি বাস্তবতা হল মতানৈক্যের এই যুগে নিজেদের ব্যাপারে যারা সর্বগ্রাসী নীতি অবলম্বন করে, তারা পরাজিত হতে বাধ্য। এই নীতি থেকে দূরে থাকার কারণেই একিউ অনন্য। আফগানরা নিজেদের রক্ত দিয়ে একিউকে রক্ষা করেছে। আলহামদু লিলাহ।

  • #2
    মাশা-আল্লাহ,, ভাইজান। খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আমাদের ভাইদের প্রতি অনুরোধ, আমরা যেনো বাংলার মুসলিমদেরকে ফাটল সৃষ্টিতে কাজ না করি। আজকে বাংলাদেশের মুসলিমরা বিভিন্ন দল, উপদলে বিভক্ত। যে, যেই দল করে সেই দলের দিকে মুসলিমদের আহবান করতে থাকে। আসতাগফিরুল্লাহ। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন, আমীন। আজকে হেফাজত ইস্যুতে খুব ভালো করে দেখা যাচ্ছে মুসলিমরা সবাই যেনো চেষ্টা করছে আমি হেফাজত নয়। হাইরে মুসলিম। গ্রেফতার দেখে সবাই পালাচ্ছে, নিজেকে হেফাজত থেকে মুক্ত ঘোষণা দিয়ে মানুষদের জানান দিচ্ছে! খোদ হেফাজতের আমির সংগঠন ভেঙ্গে দিয়েছে। কী যে, খেলা শুরু হয়েছে, আল্লাহ মালুম। সবাইকেই দেখা যাচ্ছে মামুন সাহেবকে গালাগাল করতে, এখন সব দোষ ওনার, হায়রে মুসলিম। এ-ই যদি হয় ঈমানের হালত, তাহলে দাজ্জাল আসলে কিভাবে নিজেদের ঈমান রক্ষা করবে???? ফুটেজ দেখে নাকি গ্রেফতার করছে! বিষয়টি পুরোটাই ভুয়া। বরংছ খুনি হাসিনা তার ক্ষমতা চিরস্থায়ী হতে বাধা যাকে মনে করছে তাকেই গ্রেফতার করছে। আমাদের ভাইদের জন্য আমার খেয়ালে উচিত হচ্ছে বাংলাদেশের মুসলিমদের সবাইকে এক করার জন্য কাজ করা, ইসলামী দলগুলোর বদনাম না করা। যারা মুজাহিদ হওয়ার যোগ্যতা রাখে তাদেরকে জিহাদের দিকে আহবান করা। সবাইকে জিহাদের দাওয়াত দিলে অনেক সময় দাওয়াতই নষ্ট হয়ে যায়। সাধারণ লীগের কর্মীদের সাথেও ভালো ব্যবহার করা। ভাইজান, কাফেররাও চাই, আমরা নিজেরাই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ি। পরে তারা তাদের বন্ধুদের সাহায্য করে গণহারে মুসলিমদের হত্যা করবে। আজকে যদি সরকার পতন হতো তখন সবাই নিজেকে হেফাজতের বিশাল বড় নেতা, আন্দোলনে বিশাল অবদানের কথা জোরে স্বরে প্রচার প্রসার করত।
    اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

    Comment


    • #3
      আল কায়েদা বাড়াবাড়ি ছাড়াছাড়ি করে না।
      মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে এবং উত্তম কাজটি করে।
      আল কায়েদা উম্মাহকে এক পতাকাতলে আসতে আহ্বান করে।
      মানুষকে খাঁটি মানুষ বানায়।
      আল্লাহ আল কায়েদাকে শক্তিশালী করে দিন। পুরো বিশ্বে আমাদের কর্তৃত্ব দান করুন।
      আপনার জমিনে আপনার পতাকা উত্তোলন করে দিন। আমিন
      গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

      Comment


      • #4
        আসসালামু আলাইকুম,, প্রিয় ভাইয়েরা,, একটি বিষয় আপনাদের জানানোর ইচ্ছা করেছি। [[ হেফাজতের একজন কেন্দ্রীয় ও জেলা প্রথম সারির দায়িত্বশীল ]] এক মজলিশে ওনি মানহাজিদের গালমন্দ করেছে!!! ওনি মানহাজি কাদেরকে বুঝিয়েছেন ওনি ভালো বকতে পারবেন। আমরা যা বুঝি, ওনি, আল কায়েদার ভাইদেরকেই বুঝিয়েছেন।
        ওনার বক্তব্য,, [[[ মানহাজিরা নাকি এদেশের সমস্ত আলিমদের তাকফির করে!!!]]] নাউজুবিল্লাহ। আমাদের জানা মতে আল কায়েদা তাদেরকেই তাকফির করে, যারা দলিলের ভিত্তিতে মুরতাদ। কিন্তু ওনি একজন বড় মাপের আলেম হয়ে কীভাবে এ-ই মিথ্যার আশ্রয় নিলো।
        মিডিয়া ভাইদের প্রতি অনুরোধ,,আল কায়দার তাকফিরের মূলনীতিগুলো বেশি বেশি প্রচার করার।
        আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

        Comment


        • #5
          মাশা-আল্লাহ,, সুন্দর একটি পোস্ট।
          আল কায়েদার ভাইয়েরা সকল মুসলিমের সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করে।
          والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

          Comment


          • #6
            হায়রে হেফাজত,, কবে বুঝবে ওনারা! নতজানু নীতি নিয়ে এগুনো যায় না। তাছাড়া ওনারা কোন জিহাদী তানজিম নন, কাজেই হেফাজতের আন্দোলনে ততটুকুই থাকা চাই যতটুকু ইসলাম সাপোর্ট করে।
            والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

            Comment


            • #7
              জ্বী ভাইজান সঠিকটা বলছেন!!

              Comment


              • #8
                Originally posted by forsan313 View Post
                মাশা-আল্লাহ,, ভাইজান। খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আমাদের ভাইদের প্রতি অনুরোধ, আমরা যেনো বাংলার মুসলিমদেরকে ফাটল সৃষ্টিতে কাজ না করি। আজকে বাংলাদেশের মুসলিমরা বিভিন্ন দল, উপদলে বিভক্ত। যে, যেই দল করে সেই দলের দিকে মুসলিমদের আহবান করতে থাকে। আসতাগফিরুল্লাহ। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন, আমীন। আজকে হেফাজত ইস্যুতে খুব ভালো করে দেখা যাচ্ছে মুসলিমরা সবাই যেনো চেষ্টা করছে আমি হেফাজত নয়। হাইরে মুসলিম। গ্রেফতার দেখে সবাই পালাচ্ছে, নিজেকে হেফাজত থেকে মুক্ত ঘোষণা দিয়ে মানুষদের জানান দিচ্ছে! খোদ হেফাজতের আমির সংগঠন ভেঙ্গে দিয়েছে। কী যে, খেলা শুরু হয়েছে, আল্লাহ মালুম। সবাইকেই দেখা যাচ্ছে মামুন সাহেবকে গালাগাল করতে, এখন সব দোষ ওনার, হায়রে মুসলিম। এ-ই যদি হয় ঈমানের হালত, তাহলে দাজ্জাল আসলে কিভাবে নিজেদের ঈমান রক্ষা করবে???? ফুটেজ দেখে নাকি গ্রেফতার করছে! বিষয়টি পুরোটাই ভুয়া। বরংছ খুনি হাসিনা তার ক্ষমতা চিরস্থায়ী হতে বাধা যাকে মনে করছে তাকেই গ্রেফতার করছে। আমাদের ভাইদের জন্য আমার খেয়ালে উচিত হচ্ছে বাংলাদেশের মুসলিমদের সবাইকে এক করার জন্য কাজ করা, ইসলামী দলগুলোর বদনাম না করা। যারা মুজাহিদ হওয়ার যোগ্যতা রাখে তাদেরকে জিহাদের দিকে আহবান করা। সবাইকে জিহাদের দাওয়াত দিলে অনেক সময় দাওয়াতই নষ্ট হয়ে যায়। সাধারণ লীগের কর্মীদের সাথেও ভালো ব্যবহার করা। ভাইজান, কাফেররাও চাই, আমরা নিজেরাই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ি। পরে তারা তাদের বন্ধুদের সাহায্য করে গণহারে মুসলিমদের হত্যা করবে। আজকে যদি সরকার পতন হতো তখন সবাই নিজেকে হেফাজতের বিশাল বড় নেতা, আন্দোলনে বিশাল অবদানের কথা জোরে স্বরে প্রচার প্রসার করত।
                চলমান ঘটনা থেকে একিউ কতটুকু লাভমান হবে এটা আমেরিকার নিউইয়র্ক থেকে একজন সাংবাদিক এর মুখ থেকে শুনুন
                https://www.youtube.com/watch?v=XSrymoD6Lg8
                ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

                Comment


                • #9
                  আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যাতে তিনি শীঘ্রই আফগানিস্তানে
                  হিজরত করার ব্যবস্থা করে দেন এবং aq এর সাথে যুক্ত হয়ে
                  জিহাদে সরাসরি অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করে দেন।

                  Comment


                  • #10
                    মাশাআল্লাহ, উত্তম পোস্ট। জাযাকাল্লাহ
                    আল্লাহ আপনার মেধাশক্তি আরো বাড়িয়ে দিন। আমীন
                    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                    Comment

                    Working...
                    X