একমাত্র দাওয়াহ ও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মানহাজের মধ্যে অন্যান্য সকল মানহাজের সার-নির্যাস আছে আলহামদুলিল্লাহ, আর এমনই হবার কথা ছিল কারণ বাকী মানহাজগুলো শরীয়াতের বিভিন্ন খণ্ডচিত্র থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।
জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মানহাজের মধ্যেঃ
ক। তাসফিয়া-তারবিয়া আছে। (সালাফী মানহাজ)
→ তাসফিয়া - দাওয়াহ ও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মানহাজ ইলম ও আমলের ব্যাপক পরিশুদ্ধি দাবী করে। সাথে তাযকিয়াতুন নফসও জরুরী হয়ে পড়ে। এটি শিরক, কুফর হারাম, বিদআত থেকে দূরে থাকে। (নোটঃ উম্মাতের ইখতেলাফের বিষয়গুলোতে সহনশীলতা দেখায়, সেইগুলোর ব্যাপারে এই মানহাজ কঠোরতা দেখায় না)
→ তারবিয়া - বাস্তবধর্মী ইলমী, সামরিক, সাংগঠনিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে।
তবে এখানে পরিকল্পনাহীন তারবিয়া-তাসফিয়া করেই ক্ষান্ত থাকা হয় না বরং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অধীনে এগুলো পরিচালিত হয়। তারবিয়া-তাসফিয়ার চক্রাকার কোন সার্কেল এখানে নেই। কিংবা আজীবন শুধু তাসফিয়া-তারবিয়া, বাস্তব কোন কাজ হবে না - এমন ধারনা এই মানহাজ রাখে না।
খ। সমাজ-বিল্পব
- দাওয়াহ ও মিডিয়ার মাধ্যমে জনমত পরিবর্তন করে থাকে। সমাজকে ধীরে ধীরে জিহাদি আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্তন করতে চায়।
তবে এখানে শুধু সমাজ-বিপ্লবের উপর প্রচেষ্টা জারি রেখে ক্ষান্ত থাকে না, এর পাশাপাশি সামরিক কার্যক্রমও জারি থাকে যা শরীয়াতের অধিক নিকটবর্তী এবং ইজমা দ্বারা প্রমাণিত ফরজিয়াত।
গ। নুসরত গ্রহণ (হিজবুত তাহরীর)
- ইয়েমেন, পাকিস্তানের বিভিন্ন গোত্রের নুসরত গ্রহণ করা হয়েছে। অন্য যেখানে শরীয়াতসম্মত এমন নুসরত পাওয়া যাবে, গৃহীত হচ্ছে, হবে ইনশাআল্লাহ।
তবে এই ক্ষেত্রে শরীয়াতের কোন ছাড় দেয় না। তাগুতের রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট থেকে নুসরতের আশায় এই মানহাজ বসে থাকে না।
নুসরতের অপেক্ষা করে শুধু এই মানহাজ ক্ষান্ত থাকে না বরং কিতাল ফি সাবিলিল্লাহসহ শরীয়াতের সকল ফরজিয়াত আদায়ে তৎপর থাকে।
ঘ। সামরিক অভ্যূত্থান
- সুযোগ পেলে গ্রহণ করবে, এটিও সুন্নাহসম্মত কিন্তু এটি একক কোন পদ্ধতি নয়। বরং এটি সাপোর্টিং একটি একশন এর মতো।
ঙ। গণতান্ত্রিক নির্বাচন
- যেহেতু সরাসরি শরীয়াহ এর সাথে সাংঘর্ষিক তাই দাওয়াহ ও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মানহাজ এটি থেকে ফায়দা নেয় না। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশ নেয় না।
কিন্তু ইসলামের সমাজনীতি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি - ইত্যাদি বিষয়ের বিভিন্ন লিখনি এবং সাংগঠনিক পদ্ধতির কিছু কিছু শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে যা শাইখ আব্দুল্লাহ আজ্জাম রাহিমাহুল্লাহ ইশারা করেছেন।
আল্লাহু আ'লাম।
জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মানহাজের মধ্যেঃ
ক। তাসফিয়া-তারবিয়া আছে। (সালাফী মানহাজ)
→ তাসফিয়া - দাওয়াহ ও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মানহাজ ইলম ও আমলের ব্যাপক পরিশুদ্ধি দাবী করে। সাথে তাযকিয়াতুন নফসও জরুরী হয়ে পড়ে। এটি শিরক, কুফর হারাম, বিদআত থেকে দূরে থাকে। (নোটঃ উম্মাতের ইখতেলাফের বিষয়গুলোতে সহনশীলতা দেখায়, সেইগুলোর ব্যাপারে এই মানহাজ কঠোরতা দেখায় না)
→ তারবিয়া - বাস্তবধর্মী ইলমী, সামরিক, সাংগঠনিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে।
তবে এখানে পরিকল্পনাহীন তারবিয়া-তাসফিয়া করেই ক্ষান্ত থাকা হয় না বরং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অধীনে এগুলো পরিচালিত হয়। তারবিয়া-তাসফিয়ার চক্রাকার কোন সার্কেল এখানে নেই। কিংবা আজীবন শুধু তাসফিয়া-তারবিয়া, বাস্তব কোন কাজ হবে না - এমন ধারনা এই মানহাজ রাখে না।
খ। সমাজ-বিল্পব
- দাওয়াহ ও মিডিয়ার মাধ্যমে জনমত পরিবর্তন করে থাকে। সমাজকে ধীরে ধীরে জিহাদি আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্তন করতে চায়।
তবে এখানে শুধু সমাজ-বিপ্লবের উপর প্রচেষ্টা জারি রেখে ক্ষান্ত থাকে না, এর পাশাপাশি সামরিক কার্যক্রমও জারি থাকে যা শরীয়াতের অধিক নিকটবর্তী এবং ইজমা দ্বারা প্রমাণিত ফরজিয়াত।
গ। নুসরত গ্রহণ (হিজবুত তাহরীর)
- ইয়েমেন, পাকিস্তানের বিভিন্ন গোত্রের নুসরত গ্রহণ করা হয়েছে। অন্য যেখানে শরীয়াতসম্মত এমন নুসরত পাওয়া যাবে, গৃহীত হচ্ছে, হবে ইনশাআল্লাহ।
তবে এই ক্ষেত্রে শরীয়াতের কোন ছাড় দেয় না। তাগুতের রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট থেকে নুসরতের আশায় এই মানহাজ বসে থাকে না।
নুসরতের অপেক্ষা করে শুধু এই মানহাজ ক্ষান্ত থাকে না বরং কিতাল ফি সাবিলিল্লাহসহ শরীয়াতের সকল ফরজিয়াত আদায়ে তৎপর থাকে।
ঘ। সামরিক অভ্যূত্থান
- সুযোগ পেলে গ্রহণ করবে, এটিও সুন্নাহসম্মত কিন্তু এটি একক কোন পদ্ধতি নয়। বরং এটি সাপোর্টিং একটি একশন এর মতো।
ঙ। গণতান্ত্রিক নির্বাচন
- যেহেতু সরাসরি শরীয়াহ এর সাথে সাংঘর্ষিক তাই দাওয়াহ ও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মানহাজ এটি থেকে ফায়দা নেয় না। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশ নেয় না।
কিন্তু ইসলামের সমাজনীতি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি - ইত্যাদি বিষয়ের বিভিন্ন লিখনি এবং সাংগঠনিক পদ্ধতির কিছু কিছু শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে যা শাইখ আব্দুল্লাহ আজ্জাম রাহিমাহুল্লাহ ইশারা করেছেন।
আল্লাহু আ'লাম।
Comment