Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ৪০ || ‘জামাআত কায়িদাতুল জিহাদ’ সম্পর্কে প্রচলিত আপত্তির জবাব।। ভাই আবু আব্দুল্লাহ আল-মায়াফিরী || প্রথম পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ৪০ || ‘জামাআত কায়িদাতুল জিহাদ’ সম্পর্কে প্রচলিত আপত্তির জবাব।। ভাই আবু আব্দুল্লাহ আল-মায়াফিরী || প্রথম পর্ব

    আল হিকমাহ মিডিয়া পরিবেশিত
    ‘জামাআত কায়িদাতুল জিহাদ’ সম্পর্কে প্রচলিত আপত্তির জবাব
    ।।ভাই আবু আব্দুল্লাহ আল-মায়াফিরী||
    এর থেকে– প্রথম পর্ব



    প্রকাশকের কথা

    চলমান সময়ের বাস্তবতা বোঝার জন্য এবং প্রবহমান ঘটনাসমূহকে বাস্তব চিত্রসহ সত্যনিষ্ঠ ও সুস্পষ্টভাবে অনুধাবন করার জন্য মুসলিম উম্মাহ একটি সত্য-নির্ভর বিশ্বস্ত সংবাদমাধ্যম সন্ধান করে আসছে। বর্তমানে তথাকথিত বৈশ্বিক সংবাদ মাধ্যমগুলো সর্বক্ষেত্রেই তাগুত-গোষ্ঠী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর গোলামী করে চলছে। তাই এই অঙ্গনটি মিথ্যাচার, অপবাদ ও অসত্যে ডুবে আছে। তারা যে কোন একটি কালো ঘটনাকে মুহূর্তেই সাদা বলে প্রকাশ করতে এবং একটি ঘটনা-চিত্রকে বাস্তবতার পরিপূর্ণ বিপরীতভাবে প্রকাশ করতেও দ্বিধা করে না ।

    তাই মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিত – যে কোন সংবাদ-সূত্র গভীরভাবে যাচাই করে গ্রহণ করা এবং তাগুতগোষ্ঠীকে মুসলিম উম্মাহর চিন্তা চেতনায় আঘাত করে তাদেরকে অপদস্থ-পরাজিত করার সুযোগ না দেয়া। মুসলিমদের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত কোন ঘটনাকে বিকৃত-মূল্যায়নের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহকে নিকৃষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার সুযোগ কোন কাফেরকে দেয়া যাবে না।

    আমাদের কর্তব্যের আরেকটি অংশ হচ্ছে: যে কোন ঘটনার বাস্তব চিত্রে পৌছার জন্য সত্য তথ্যসমূহের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সংশয়গুলোকে নিপুণভাবে নিরসন করা। এভাবে করলেই বাতিল অবদমিত হবে, সংশয় নিরসন হবে, ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে, মাজলুমের সহায়তা হবে এবং ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের ধূম্রজাল ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে।

    ৯/১১ এর ঘটনাটি খুব গভীর ও শক্তভাবে ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করে দিয়েছে। এরপর থেকেই জিহাদি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের ভয়াবহতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। এই ঘটনার পর থেকেই ইসলামের প্রতিনিধি কায়েদাতুল জিহাদ ও কুফরের কালো-হাত আমেরিকার মাঝে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ফলস্বরূপ আজ পর্যন্ত সমগ্র মুসলিম জাতির সাথে বিদ্বেষী ক্রুসেডার খৃষ্টানদের যুদ্ধ চলছে। ক্রুসেডাররা এই যুদ্ধের শুরু থেকেই কোন সংগঠন বা দলকে কেন্দ্র করে নয়, বরং সরাসরি ইসলামকেই লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে আসছে।

    এই নব্য বৈশ্বিক ক্রুসেড যুদ্ধে তানজীমুল কায়েদা বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার ও চক্রান্তের শিকার হয়েছে। তাগুত-বিশ্ব আগে থেকেই বিশ্বব্যাপী ইসলামী জাগরণকে প্রতিহত করতে সব ধরনের চেষ্টা-কৌশল অবলম্বন করে আসছিলো। ৯/১১ এর পর তানজীমুল কায়েদার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে তাদের নোংরা কূটকৌশলের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

    এই ক্রুসেড যুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে তাদের দোসর – মুসলিম দেশগুলোর তাগুত শাসকগোষ্ঠীও যুক্ত হয়। এই তাগুত অনুচররা মুসলিম জনগোষ্ঠীগুলোকে সর্বদিক থেকে চরমভাবে কোণঠাসা করে আসছে। মুসলিমদের বাস্তুচ্যুত করে, তাদের প্রতি স্বৈরাচারী আচরণ করে এবং প্রতি মুহূর্তে তাদেরকে নিষ্পেষণ করে এই তাগুতেরা পশ্চিমাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে চলেছে। তবে মুসলিম উম্মাহ সবসময় এমন একটি ন্যায়নিষ্ঠ ও নিরাপত্তায় সুসজ্জিত প্রভাতের স্বপ্ন দেখে আসছে, যেখানে থাকবে না কোন অনাচার, থাকবে না কোন মিথ্যাচার।

    মুসলিম উম্মাহকে আবার ঘুরে দাড়াতে দীর্ঘ বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হবে। কারণ তাগুতগোষ্ঠী ষড়যন্ত্রের জাল চারপাশে বিস্তার করে রেখেছে। মুসলিমদেরকে তারা নিজ ভূমি থেকে প্রতিনিয়ত উচ্ছেদ করে চলছে। মুসলিম-সন্তানদেরকে সম্মুখ যুদ্ধের ময়দান থেকে ফিরিয়ে তুচ্ছ দুনিয়াবি বিষয়সমূহে ব্যস্ত করে রাখছে। এমনকি এই যুবকরা এখন একজন একত্ববাদী মুসলিম হিসেবে দ্বীনের যতটুকু দায়িত্ব নেয়া দরকার, ততটুকু নিতেও অক্ষম।

    বাইতুল মাকদিস” আপনাদের সামনে আবু আব্দুল্লাহ আল মায়াফিরী’র এই নতুন গ্রন্থটি পেশ করছে। এই বইয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে – সাংবাদিকতার অঙ্গনটিকে অপবাদ-অপপ্রচার ও মিথ্যার প্রভাব থেকে মুক্ত করা এবং নিরেট সত্য ও সঠিক চিত্র প্রকাশের মাধ্যমে শত্রুর চক্রান্ত মূলেই ধ্বংস করে দেয়া। যাতে বিশ্ববাসী কোন অতিরঞ্জন ও স্বার্থ-ঘেঁষা বিশ্লেষণ ছাড়াই এই যুদ্ধের আসল সত্য জানতে পারে।

    আবু আব্দুল্লাহ আল মায়াফিরী এই গ্রন্থে তানজীমুল কায়েদাকে কেন্দ্র করে চলমান বিভিন্ন সংশয় ও প্রশ্নের উত্তর উম্মাহর সামনে পেশ করেছেন। মুসলিম জাতির ইতিহাস পরিবর্তন ও বিকৃতি থেকে রক্ষা করা এবং সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে তিনি এক অনন্য উদাহরণ রেখেছেন, যা মূলত প্রত্যেক গবেষকেরই দায়িত্ব। লেখকের দৃঢ়-হস্ত লিখনির সঙ্গে আমরা পাঠকের একটি উপভোগ্য পাঠের আশা করি। সুদৃঢ় হিম্মত সম্পন্ন প্রতিটি ব্যক্তিকে আমরা আহবান করছি – আপনারা প্রজ্ঞা ও হিকমতের সঙ্গে মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসকে ভুল ও মিথ্যা তথ্যের প্রভাব থেকে মুক্ত করুন। যাতে আগত প্রজন্মের জন্য আমরা একটি স্বচ্ছ, পরিপাটি ও অনুসরণযোগ্য ইতিহাস রেখে যেতে পারি, যা উম্মাহর মাঝে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” ও আখলাকে নবীর পরিপূর্ণ প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকবে।
    প্রকাশক, বাইতুল মাকদিস


    ভূমিকা

    الحمد لله رب العالمين، والصلاة و السلام على أشرف الأنبياء و المرسلين، محمد و آله و صحبه و من تبعهم بإحسان إلى يوم الدين،



    তানজিম আল-কায়েদা সম্পর্কে অবান্তর কিছু প্রশ্নের অবতারণা করে অনেকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বিভ্রান্তির ধুম্রজাল ছিন্ন করতে সেসব প্রশ্নের বাস্তবসম্মত উত্তর জানা আবশ্যক। তাই ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে এসব প্রশ্ন সংগ্রহ করেছি, তারপর আমার সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে সেগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। অবশ্য আল-কায়েদার কর্মপন্থা ও নীতিমালার সবই আমার জানা, এমনটি দাবি করা ঠিক হবে না। সুতরাং যা কিছু সত্য ও সুন্দর, তার সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে, আর অসত্য কিছু থেকে থাকলে তা আমার পক্ষ থেকে এবং শয়তানের পক্ষ থেকে।

    সেসব প্রশ্নের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হলো (১৪টি) :

    ১) সোভিয়েত ইউনিয়নকে ভাঙ্গতে আমেরিকা নিজে আল-কায়েদা সৃষ্টি করেছিল, আর এখন আরব বিশ্বের খনিজসম্পদ লুণ্ঠন করতে আল-কায়েদাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে। এর সত্যতা কতটুকু?
    ২) শাইখ উসামা রহিমাহুল্লাহ-এর মৃত্যুর পর আল-কায়েদার আদর্শগত পরিবর্তন হয়েছে?
    ৩) আল-কায়েদা কি রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে?
    ৪) বিশ্বের এখানে-সেখানে ছড়িয়ে থাকা আল-কায়েদার মুষ্টিমেয় মুজাহিদ শত্রুদের আক্রমণ প্রতিহত করে টিকে থাকতে পারবে কী?
    ৫) তানজিম আল-কায়েদার কর্মপন্থা কী?
    ৬) তানজিম আল-কায়েদার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কী?
    ৭) তানজিম আল-কায়েদা সেনা সদস্যদেরকে হত্যা করে কেন?
    ৮) তানজিম আল-কায়েদা ও আইএস-এর মাঝে কোনও পার্থক্য আছে কি? যদি থাকে তাহলে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য কী কী?
    ৯) ক্ষমতাচ্যুত ইয়েমেনী প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহের সাথে আল-কায়েদার কোনও সম্পর্ক আছে কি?
    ১০) হুথি বিদ্রোহীদের সাথে আল-কায়েদা যুদ্ধ করছে কি? তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আল-কায়েদার কোনও ফ্রন্ট রয়েছে কি?
    ১১) অপরাপর ইসলামি জামাআত ও আল-কায়েদা বিরোধী শাইখদের ব্যাপারে তানজিমের অবস্থান কী?
    ১২) আল-কায়েদায় যোগদানের পর যদি কেউ তানজিমের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তাহলে তাকে কি হত্যা করা হয়?
    ১৩) আল-কায়েদা কি তানজিমের যুবকদের ইসতিশহাদী হামলা করতে বাধ্য করে?
    ১৪) তাইজ শহরে (ইয়েমেন) গুপ্তহত্যা, লুণ্ঠন ও ধ্বংসযজ্ঞের পেছনে মূলহোতা কারা? এসবের সাথে আল-কায়েদার কোনও সম্পর্ক আছে কি?

    লেখক





    ​আরও পড়ুন
    Last edited by tahsin muhammad; 1 week ago.

  • #2
    মাশাআল্লাহ, গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী একটি বিষয় নির্বাচন করা হয়েছে। পাঠচক্র সংশ্লিষ্ট সবাইকে আল্লাহ তা’আলা জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন।

    Comment

    Working...
    X