আল-কা/য়ে-দার উত্থান মুসলিম উম্মাহকে কী দিয়েছে?? - তিন
মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে বসানো হয়েছে কাফেরদের পদলেহনকারী সেক্যুলার শাসকদের। যারা নামে মুসলমান হলেও সেক্যুলারিজম-লিবারেলিজমের মত কুফরি আকিদায় বিশ্বাস করে। আঞ্চলিকভাবে মুসলিম জনসাধারণ এসব স্থানীয় কথিত মুসলিম শাসকদের দ্বারাই বেশি নি/র্য|তনের শিকার হয়েছে। এসব কথিত মুসলিম শাসকেরা ওদের জেনোসাইডগুলির সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছে৷ ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে তারা বিশ্বমোড়লদের নির্লজ্জ গোলামিতে মেতে রয়েছে। মুসলিমদের ট্যাক্সের টাকায় আজ্ঞাবহ বাহিনী লালন করে সেই মুসলিমদের বিরুদ্ধেই চালিয়েছে নানা ধরনের নি/র্য|তন। ব-ন্দু-কের নল দিয়ে ওরা দমিয়ে দিয়েছে ইসলামের জন্য মুসলিমদের পরিচালিত প্রতিটি আন্দোলন। মুসলিম জনসাধারণ এটাকেই নিজেদের নিয়তি ভেবে ধৈর্য ধরে গিয়েছে যুগযুগ ধরে। এসব শাসকেরা ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে আলাদা করেছে৷ ইসলামি শাসনকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে। ইসলামের হুদুদ-কিসাসকে সেকেলে বলে উপহাস করেছে। সাধারণ মুসলিমদেরকে দ্বীনী শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। ফলে দিনশেষে অসহায় সাধারণ মুসলিমরা তাদেরকেই আবার বিজয়ী করেছে। দীনি স্বার্থেও ধরণা দিয়েছে তাদের দরজায়। তাদের গুলিতে নিহত মুসলিমদের বিচার চাইতেও ভিড় করেছে তাদের দরবারে। তাগুতদের প্রতি মুসলিমদের এমন অসহায়ত্ব বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে সাম্রাজ্যবাদীদের চোখে মুসলিম জাতিকে 'লোভনীয় শিকারে' পরিণত করেছে।
.
এমন পরিস্থিতিতে বড্ড বেশি প্রয়োজন ছিল, এসব মুখোশধারী মুসলিম শাসকদের মুখোশ উন্মোচন করে তাদের রিদ্দাহকে উম্মাহর সামনে স্পষ্ট ভাষায় প্রকাশ করে দেওয়া। ওরা যে আসলে অনেক পূর্বেই ইসলামের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে নিকৃষ্ট মুরতাদে পরিণত হয়েছে তা মুসলিমদের বুঝিয়ে দেওয়া। আরও স্পষ্ট করা প্রয়োজন ছিল, এদের কবল থেকে রেহাই পেতে গণতান্ত্রিক বিরোধী দলকে বেছে নেওয়া মানে রেহাই নয়; বরং দণ্ডমুণ্ডের পরিবর্তন মাত্র। নি/র্য|তনের রাজদণ্ড চলে যাওয়া এক জালিমের হাত থেকে আরেক জালিমের হাতে। তাই খিলাফাহর পুনরুদ্ধারে জি/হ|দের পথে অগ্রসর হওয়ার বিকল্প নেই।
.
উম্মাহর সামনে এ সকল সত্য উন্মোচন করতে খুব বেশি মানুষ এগিয়ে আসেনি। কারণ, যে-ই এ বিষয়ে মুখ খুলেছে বা খুলতে চেয়েছে খু*ন, গু**ম বা গ্রেপ্তার করে তাদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চিরতরে। ফলে অল্প কিছু মানুষ ছাড়া কেউই ভয়াল এ পথে হাঁটতে সাহস পায়নি। সেই অল্প কিছু মানুষ, অল্প কিছু জামাতের প্রথম সারিতেই ছিল আল-কা/য়ে-দা। সব ভয় আর বাধাকে দু'পায়ে পিষে এগিয়ে এসেছে আল-কা/য়ে-দা। মুখ খুলেছে এদের ইসলাম-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে। উম্মাহর সামনে মুসলিম নামধারী এসব শাসকদের সেক্যুলার-লিবারেল আকিদার কুফরি স্পষ্ট করে নিজেদের উপর অর্পিত মহান দায়িত্ব সম্পাদন করেছে। ফলে আজ উম্মাহর মাঝে এক প্রমত্ত জাগরণ শুরু হয়েছে৷ গ"ণতন্ত্রের মিথ্যে বুলি মানুষকে আর গেলানো যাচ্ছে না। সাধারণ মানুষ এখন এসব তন্ত্রমন্ত্রের পেছনে না ছুটে, ছুটছে জি/হ|দের পথে। বিভিন্ন ভূখণ্ডে ইসলামী ইমারাহ এবং শরিয়াহ কায়েমের মধ্য দিয়ে উম্মাহ এই পথের সফলতাও চাক্ষুষভাবে প্রত্যক্ষ করছে। খেলাফাতের স্বপ্ন এখন আর অবাস্তব কোনো কল্পনা নয়, বরং যৌক্তিক সম্ভাবনা হয়ে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠেছে।
Comment