আমরা যখন নতুন কোন ভাইদের নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার ধারাবাহিক কাজগুলো করি তখন কিছু কিছু ভাই আমাদের কাজে পরিতুষ্টি অনুভব করে না অনেক সময়।'মুজাহিদদের সাথে জিহাদ শিখা এবং জিহাদ করার জন্য আসলাম কিন্তু দেখি শুধু কিতাব পড়তে দিচ্ছি আর নেটে এক্টিভ থাকার ব্যপারে উৎসাহ দিচ্ছে"!! এমন চিন্তা হয়তো মনে উকি দেয় মাঝে মাঝে।এর কয়েকটি কারন ও বাস্তবতা জানতে পারলে এ বিষয়ে এমন চিন্তা ঠেকানো সহজ হবে।
প্রথমত যারা জিহাদি বিষয়ে প্রাইমারি লেভেলে আসে তখন মূলত একটা কনসেপ্ট থেকে জিহাদ করার প্রতি আগ্রহী হয়,আর তা হচ্ছে "আমরা কেন জিহাদ করব"।আর এ বিষয়ে কোন ভাই ইমারার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আগে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে "কেন জিহাদ করব" এ বিষয়ে কিছু ধারনা পায়।সেটা হতে পারে ৫%-১৫/২০% পর্যন্ত বা আরো বেশিও হতে পারে।আর জানার বিষয়ও নির্ভর করে ঐ ভাই কত বেশি আগ্রহ নিয়ে, কত বেশি সময় নিয়ে বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করেছে তার উপর।কিছু ভাই ভালো লেভেলের পড়াশোনা করার কারনে প্রাথমিক লেভেলে অনেক দূর এগিয়ে যায়।
তো ভাই,"কেন আমরা জিহাদ করব" এ বিষয়ে যদি কেউ অল্প কিছু ও জানে তাহলেও সে জিহাদ সমর্থক হতে পারে এবং মনে মনে নিজেকে যুদ্ধের ময়দানে আবিষ্কার ও করতে পারে।কিন্তু আমাদের এখানে এ বাস্তবতা বুঝতে হবে যে জিহাদ করার ইচ্ছা আর জিহাদ কিভাবে করবে সেটা বুঝা আকাশ-পাতাল প্রার্থক্য!যেমন জামাআত/চরমোনাই এর কোন সাথীও যদি জিহাদ রিলেটেড কোন ভিডিও বা লেখা পড়ে তাহলে মনে মনে মুজাহিদদের সমর্থক ও হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে এমনকি ডাক আসলেই জিহাদ করবে এমন ও ইচ্ছা শুরু করতে পারে!হওয়াটাই স্বাভাবিক।
এ বিষয়টা আমাদের সহজ ভাবে বুঝার জন্য মুসলিম উম্মাহর অবস্থা বুঝতে হবে।কিভাবে মুসলমিদের পতন হল,কেন মুসলিম উম্মাহ আজ জিহাদ থেকে গাফেল,কিভাবে তারা দুনিয়ার দিকে ঝুকে গেল,কেন তারা মৃত্যুর ভয়ে শাহাদাত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে!!?
উম্মাহর ঐক্যের প্লাটফর্ম আলওয়ালা-ওয়াল বারা থেকে আজকে মুসলিম জাতি গাফেল।তারা জানে না ত্বগুত কি আর কিভাবে তা বর্জন করবে।
সব মিলিয়ে বৈশ্বিক জিহাদ ও মুজাহিদ উমারারা এ সমস্যা থেকে উত্তরনের জন্য,উম্মাহকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য "কেন আমরা জিহাদ করব" এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।জিহাদের দাওয়াহর প্রায় ৯৫% জুড়ে থাকে ‘কেন জিহাদ’ – এ নিয়ে আলোচনা। ‘কীভাবে জিহাদ’ – এ নিয়ে আলোচনা হয় বাকি ৫% এ। সংখ্যাটা ৫-এর চাইতে আরো ছোটও হতে পারে। সুতরাং জিহাদ সংক্রান্ত অধিকাংশ লেখা, বক্তব্য, ভিডিও ইত্যাদি থাকে ‘কেন জিহাদ করতে হবে’।।।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে "কিভাবে জিহাদ করতে হবে" এ বিষয়টা নিয়ে।রণকৌশল, স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্য, উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য গৃহীত পলিসি, স্ট্র্যাটিজি (strategy), ট্যাকটিক (tactics) হচ্ছে "কিভাবে জিহাদের" অন্তর্ভুক্ত।এ বিষয়ে অনলাইন বা মিডিয়াতে তেমন আলোচনা বা লেখালেখি দেখা যায় না।এটার কয়েকটা কারন আছে তার মধ্যে মৌলিক দিক হচ্ছে কৌশলগত ও নিরাপত্তাগত।যেমন ত্বগুত-মুর্তাদরা যদি এ বিষয়ে জানতে পারে তাহলে আমাদের কাজ সামনে আগানো ঝুকিপূর্ণ হবে। আবার কৌশলগত দিক হচ্ছে জন সাধারনের এ বিষয়গুলো বোধগম্যতার বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।তাই কিভাবে জিহাদ করতে হবে,এ বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে যে ভাইরা ইমারার সাথে সম্পৃক্ত হয় তেমন কিছু বুঝে না।
যখন কোন প্রাথমিক ভাই জিহাদি বিষয়ে একটা ধারনা পায় তখন মূলত "কেন জিহাদ করব" এতটুকু পর্যন্ত বুঝা তার জন্য সহজ হয়।কারন তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারন কিছু ধারনা পায়।এরপর যখন ইমারার সাথে সম্পৃক্ত হয় তখন ধারাবাহিকভাবে বিষয়গুলো ক্লিয়ার হয়।
একটা মজার বিষয় হল,এখন যদি কোন ভাই ইমারার সাথে সম্পৃক্ত হয় তাহলে স্বাভাবিক প্রশ্ন করতে পারে,"কেন আমরা জিহাদ করব" "এটা তো বুঝে আসলাম ইমারার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আগে কিন্তু ইমারার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর এখনও কেন একই বিষয়ে সময় নষ্ট করছি,আমার তো এখন জানা দরকার কিভাবে জিহাদ করব"!!
এ বিষয়ে স্পষ্ট হওয়ার আগে " কেন আমরা জিহাদ করব" এটার গোপন হাকীকত জেনে নেই।
"কেন আমরা জিহাদ করব"..
প্রশ্নটা অনেক সহজ আলহামদুলিল্লাহ। কোন ভাইকে জিজ্ঞেস করলে মুহুর্তের মধ্যে বলে দিবে,বেশী চিন্তা করার দরকার হবেনা।আসলে বাস্তবতা একটু ভিন্ন রকম।এ বাস্তবতা বুঝার জন্য আমাদেরকে এ উম্মাহর বর্তমান অবস্থা ও ইতিহাস জানতে হবে।জানতে হবে আমাদের শত্রুদের সম্পর্কে।বুঝতে হবে উম্মাহর বিরুদ্ধে বর্তমানে কিভাবে যুদ্ধ হচ্ছে।এক কথায় বললে একদিকে উম্মাহর সমস্যা বুঝতে হবে এবং অন্যদিকে আমাদের শত্রুদের অবস্থা বুঝতে হবে।পাশাপাশি সমস্যাগুলো থেকে উত্তরনের সঠিক পথ ও বুঝতে হবে।সে জন্য একদিকে বৈশ্বিক রাজনীতি আরেক দিকে আমাদের দ্বীনের ব্যপারে স্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে(শরয়ী রাজনীতি)।
অর্থাৎ " কেন জিহাদ করব" এ পর্বটার মধ্যে মৌলিকভাবে সবগুলো বিষয় চলে আসবে।যখন একজন ভাই যত ভালোভাবে এ পর্ব সম্পাদন করতে পারবে ২য় পর্বে(কিভাবে জিহাদ করব) তত বেশী ভূমিকা রাখতে পারবে।
ইলমি-আমলি বিষয়ে যখন আমরা কোন ভাইকে গুরুত্ব দেই তখন প্রথম পর্ব সম্পর্ণ করাই আমাদের উদ্দেশ্য থাকে। ধরে নেই কোন ভাইকে জিহাদের সমর্থক বানিয়ে ইমারার অন্তর্ভুক্ত করে কোন একটা কাজ দিয়ে দিলাম আর কাজটা করতে জীবনের ঝুকি এবং কঠিন অবস্থা পার করতে হচ্ছে।তাহলে ফলাফল আর বলা লাগবে না,সেটা সবাই চিন্তা করলে সহজে উত্তর দিতে পারবেন।কিন্তু যখন একজন ভাই শরীয়ার ব্যপারে ভালো লেভেলের ইলম অর্জন করবে,শত্রুদের কার্যক্রম সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকবে,আল্লাহর সাথে প্রতিনিয়ত সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে থাকবে,লম্বা একটা সময় সবর করার উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, নিজেকে এবং নিজের চিন্তাকে গুনাহ থেকে বিরত রাখবে,মুসলিম উম্মাহর হেফাজতের জন্য আদর্শিকভাবে নিজেকে কুরবান করতে প্রস্তুত হবে,দ্বীন কায়েমের প্রবল আগ্রহ আর শাহাদাতের অমীয় শুধা পানে ব্যকুল থাকবে,দুনিয়ার আরাম-বিলাসীতা ত্যগ করে আখিরাতের পানে ছুটবে তখন দুনিয়ার এমন কোন বাধা তাকে সফলতার চিরসবুজ পথ হতে বিচ্যুত করতে পারবে না।বলেন ঠিক কিনা!
যুদ্ধ যতক্ষন করা হয় প্রস্তুতি কয়েক শতগুন বেশী সময় নিয়ে সম্পর্ন করতে হয়।আমরা যদি নিজেদের ইলমি ভাবে সমৃদ্ধ না করি আর ঈমান-আমলী দিক থেকে দূর্বল থাকি আর তখন সংখ্যাধিক্যতা বা শক্তি আমাদের শত্রুর তুলনায় বেশী হলেও পরাজয় নিশ্চিত।এ জন্য প্রস্তুতির বিষয়টা দীর্ঘসময় নিয়ে করতে হয়।শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহঃ বলতেন,ইলম ছাড়া মুজাহিদ হল ডাকাতের মত"।আবার কেউ যদি একটা ভিডিও দেখে জিহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ হয়ে ময়দানে আসে আবার একটা সংশয়ে পড়ে ময়দান ত্যগ করবে কিন্তু যে বাস্তবতা বুঝে এসেছে সে কখনও ময়দান থেকে ফিরবে না,শহীদ হওয়া ব্যতীত!..শাইখের এ বাক্যটাও শতভাগ বাস্তবসম্মত এবং এখান থেকেই আমরা বুঝতে পারি প্রস্তুতির গুরুত্ব কতটুকু।আমরা হয়তো অনেকে জানি,প্রস্তুতি তিন প্রকার।ঈমানী,শারীরিক ও সামরিক।ঈমানী প্রস্তুতির পর্বটা মোটামুটি কমপ্লিট হয় "কেন আমরা জিহাদ করব" এ পর্বের মধ্যে। আর এ পর্বটা দীর্ঘ হওয়ার কারন হচ্ছে এখানে ইলমি-আমলি-দাওয়াতী-সবরী অর্থাৎ মৌলিক বিষয়গুলো চলে আসে।আর এগুলোতে যে ভাই যত ভালোভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবে ঐ ভাইদের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা তত বেশী কাজ নিবেন।
তো ভাইয়েরা,উপরোক্ত বিষয়গুলো আলোচনা করতে গিয়ে সামরিক বিষয়ের গুরুত্ব ছোট করে দেখার কারন নেই।আমাদের লক্ষ্য উদ্দ্যেশ্যই হচ্ছে সামরিক বিজয়।আর সে বিজয়ের আগে সামরিক বিষয়ে সবচেয়ে বেশী ফায়দা পেতে ইলমী-আমলের পর্বটা শক্তিশালী করা অনেক জরুরী।
প্রথমত যারা জিহাদি বিষয়ে প্রাইমারি লেভেলে আসে তখন মূলত একটা কনসেপ্ট থেকে জিহাদ করার প্রতি আগ্রহী হয়,আর তা হচ্ছে "আমরা কেন জিহাদ করব"।আর এ বিষয়ে কোন ভাই ইমারার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আগে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে "কেন জিহাদ করব" এ বিষয়ে কিছু ধারনা পায়।সেটা হতে পারে ৫%-১৫/২০% পর্যন্ত বা আরো বেশিও হতে পারে।আর জানার বিষয়ও নির্ভর করে ঐ ভাই কত বেশি আগ্রহ নিয়ে, কত বেশি সময় নিয়ে বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করেছে তার উপর।কিছু ভাই ভালো লেভেলের পড়াশোনা করার কারনে প্রাথমিক লেভেলে অনেক দূর এগিয়ে যায়।
তো ভাই,"কেন আমরা জিহাদ করব" এ বিষয়ে যদি কেউ অল্প কিছু ও জানে তাহলেও সে জিহাদ সমর্থক হতে পারে এবং মনে মনে নিজেকে যুদ্ধের ময়দানে আবিষ্কার ও করতে পারে।কিন্তু আমাদের এখানে এ বাস্তবতা বুঝতে হবে যে জিহাদ করার ইচ্ছা আর জিহাদ কিভাবে করবে সেটা বুঝা আকাশ-পাতাল প্রার্থক্য!যেমন জামাআত/চরমোনাই এর কোন সাথীও যদি জিহাদ রিলেটেড কোন ভিডিও বা লেখা পড়ে তাহলে মনে মনে মুজাহিদদের সমর্থক ও হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে এমনকি ডাক আসলেই জিহাদ করবে এমন ও ইচ্ছা শুরু করতে পারে!হওয়াটাই স্বাভাবিক।
এ বিষয়টা আমাদের সহজ ভাবে বুঝার জন্য মুসলিম উম্মাহর অবস্থা বুঝতে হবে।কিভাবে মুসলমিদের পতন হল,কেন মুসলিম উম্মাহ আজ জিহাদ থেকে গাফেল,কিভাবে তারা দুনিয়ার দিকে ঝুকে গেল,কেন তারা মৃত্যুর ভয়ে শাহাদাত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে!!?
উম্মাহর ঐক্যের প্লাটফর্ম আলওয়ালা-ওয়াল বারা থেকে আজকে মুসলিম জাতি গাফেল।তারা জানে না ত্বগুত কি আর কিভাবে তা বর্জন করবে।
সব মিলিয়ে বৈশ্বিক জিহাদ ও মুজাহিদ উমারারা এ সমস্যা থেকে উত্তরনের জন্য,উম্মাহকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য "কেন আমরা জিহাদ করব" এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।জিহাদের দাওয়াহর প্রায় ৯৫% জুড়ে থাকে ‘কেন জিহাদ’ – এ নিয়ে আলোচনা। ‘কীভাবে জিহাদ’ – এ নিয়ে আলোচনা হয় বাকি ৫% এ। সংখ্যাটা ৫-এর চাইতে আরো ছোটও হতে পারে। সুতরাং জিহাদ সংক্রান্ত অধিকাংশ লেখা, বক্তব্য, ভিডিও ইত্যাদি থাকে ‘কেন জিহাদ করতে হবে’।।।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে "কিভাবে জিহাদ করতে হবে" এ বিষয়টা নিয়ে।রণকৌশল, স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্য, উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য গৃহীত পলিসি, স্ট্র্যাটিজি (strategy), ট্যাকটিক (tactics) হচ্ছে "কিভাবে জিহাদের" অন্তর্ভুক্ত।এ বিষয়ে অনলাইন বা মিডিয়াতে তেমন আলোচনা বা লেখালেখি দেখা যায় না।এটার কয়েকটা কারন আছে তার মধ্যে মৌলিক দিক হচ্ছে কৌশলগত ও নিরাপত্তাগত।যেমন ত্বগুত-মুর্তাদরা যদি এ বিষয়ে জানতে পারে তাহলে আমাদের কাজ সামনে আগানো ঝুকিপূর্ণ হবে। আবার কৌশলগত দিক হচ্ছে জন সাধারনের এ বিষয়গুলো বোধগম্যতার বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।তাই কিভাবে জিহাদ করতে হবে,এ বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে যে ভাইরা ইমারার সাথে সম্পৃক্ত হয় তেমন কিছু বুঝে না।
যখন কোন প্রাথমিক ভাই জিহাদি বিষয়ে একটা ধারনা পায় তখন মূলত "কেন জিহাদ করব" এতটুকু পর্যন্ত বুঝা তার জন্য সহজ হয়।কারন তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারন কিছু ধারনা পায়।এরপর যখন ইমারার সাথে সম্পৃক্ত হয় তখন ধারাবাহিকভাবে বিষয়গুলো ক্লিয়ার হয়।
একটা মজার বিষয় হল,এখন যদি কোন ভাই ইমারার সাথে সম্পৃক্ত হয় তাহলে স্বাভাবিক প্রশ্ন করতে পারে,"কেন আমরা জিহাদ করব" "এটা তো বুঝে আসলাম ইমারার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আগে কিন্তু ইমারার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর এখনও কেন একই বিষয়ে সময় নষ্ট করছি,আমার তো এখন জানা দরকার কিভাবে জিহাদ করব"!!
এ বিষয়ে স্পষ্ট হওয়ার আগে " কেন আমরা জিহাদ করব" এটার গোপন হাকীকত জেনে নেই।
"কেন আমরা জিহাদ করব"..
প্রশ্নটা অনেক সহজ আলহামদুলিল্লাহ। কোন ভাইকে জিজ্ঞেস করলে মুহুর্তের মধ্যে বলে দিবে,বেশী চিন্তা করার দরকার হবেনা।আসলে বাস্তবতা একটু ভিন্ন রকম।এ বাস্তবতা বুঝার জন্য আমাদেরকে এ উম্মাহর বর্তমান অবস্থা ও ইতিহাস জানতে হবে।জানতে হবে আমাদের শত্রুদের সম্পর্কে।বুঝতে হবে উম্মাহর বিরুদ্ধে বর্তমানে কিভাবে যুদ্ধ হচ্ছে।এক কথায় বললে একদিকে উম্মাহর সমস্যা বুঝতে হবে এবং অন্যদিকে আমাদের শত্রুদের অবস্থা বুঝতে হবে।পাশাপাশি সমস্যাগুলো থেকে উত্তরনের সঠিক পথ ও বুঝতে হবে।সে জন্য একদিকে বৈশ্বিক রাজনীতি আরেক দিকে আমাদের দ্বীনের ব্যপারে স্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে(শরয়ী রাজনীতি)।
অর্থাৎ " কেন জিহাদ করব" এ পর্বটার মধ্যে মৌলিকভাবে সবগুলো বিষয় চলে আসবে।যখন একজন ভাই যত ভালোভাবে এ পর্ব সম্পাদন করতে পারবে ২য় পর্বে(কিভাবে জিহাদ করব) তত বেশী ভূমিকা রাখতে পারবে।
ইলমি-আমলি বিষয়ে যখন আমরা কোন ভাইকে গুরুত্ব দেই তখন প্রথম পর্ব সম্পর্ণ করাই আমাদের উদ্দেশ্য থাকে। ধরে নেই কোন ভাইকে জিহাদের সমর্থক বানিয়ে ইমারার অন্তর্ভুক্ত করে কোন একটা কাজ দিয়ে দিলাম আর কাজটা করতে জীবনের ঝুকি এবং কঠিন অবস্থা পার করতে হচ্ছে।তাহলে ফলাফল আর বলা লাগবে না,সেটা সবাই চিন্তা করলে সহজে উত্তর দিতে পারবেন।কিন্তু যখন একজন ভাই শরীয়ার ব্যপারে ভালো লেভেলের ইলম অর্জন করবে,শত্রুদের কার্যক্রম সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকবে,আল্লাহর সাথে প্রতিনিয়ত সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে থাকবে,লম্বা একটা সময় সবর করার উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, নিজেকে এবং নিজের চিন্তাকে গুনাহ থেকে বিরত রাখবে,মুসলিম উম্মাহর হেফাজতের জন্য আদর্শিকভাবে নিজেকে কুরবান করতে প্রস্তুত হবে,দ্বীন কায়েমের প্রবল আগ্রহ আর শাহাদাতের অমীয় শুধা পানে ব্যকুল থাকবে,দুনিয়ার আরাম-বিলাসীতা ত্যগ করে আখিরাতের পানে ছুটবে তখন দুনিয়ার এমন কোন বাধা তাকে সফলতার চিরসবুজ পথ হতে বিচ্যুত করতে পারবে না।বলেন ঠিক কিনা!
যুদ্ধ যতক্ষন করা হয় প্রস্তুতি কয়েক শতগুন বেশী সময় নিয়ে সম্পর্ন করতে হয়।আমরা যদি নিজেদের ইলমি ভাবে সমৃদ্ধ না করি আর ঈমান-আমলী দিক থেকে দূর্বল থাকি আর তখন সংখ্যাধিক্যতা বা শক্তি আমাদের শত্রুর তুলনায় বেশী হলেও পরাজয় নিশ্চিত।এ জন্য প্রস্তুতির বিষয়টা দীর্ঘসময় নিয়ে করতে হয়।শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহঃ বলতেন,ইলম ছাড়া মুজাহিদ হল ডাকাতের মত"।আবার কেউ যদি একটা ভিডিও দেখে জিহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ হয়ে ময়দানে আসে আবার একটা সংশয়ে পড়ে ময়দান ত্যগ করবে কিন্তু যে বাস্তবতা বুঝে এসেছে সে কখনও ময়দান থেকে ফিরবে না,শহীদ হওয়া ব্যতীত!..শাইখের এ বাক্যটাও শতভাগ বাস্তবসম্মত এবং এখান থেকেই আমরা বুঝতে পারি প্রস্তুতির গুরুত্ব কতটুকু।আমরা হয়তো অনেকে জানি,প্রস্তুতি তিন প্রকার।ঈমানী,শারীরিক ও সামরিক।ঈমানী প্রস্তুতির পর্বটা মোটামুটি কমপ্লিট হয় "কেন আমরা জিহাদ করব" এ পর্বের মধ্যে। আর এ পর্বটা দীর্ঘ হওয়ার কারন হচ্ছে এখানে ইলমি-আমলি-দাওয়াতী-সবরী অর্থাৎ মৌলিক বিষয়গুলো চলে আসে।আর এগুলোতে যে ভাই যত ভালোভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবে ঐ ভাইদের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা তত বেশী কাজ নিবেন।
তো ভাইয়েরা,উপরোক্ত বিষয়গুলো আলোচনা করতে গিয়ে সামরিক বিষয়ের গুরুত্ব ছোট করে দেখার কারন নেই।আমাদের লক্ষ্য উদ্দ্যেশ্যই হচ্ছে সামরিক বিজয়।আর সে বিজয়ের আগে সামরিক বিষয়ে সবচেয়ে বেশী ফায়দা পেতে ইলমী-আমলের পর্বটা শক্তিশালী করা অনেক জরুরী।
Comment