Announcement

Collapse
No announcement yet.

তালেবানরা কি নারী শিক্ষার বিরোধী?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তালেবানরা কি নারী শিক্ষার বিরোধী?

    তালেবানরা কি নারী শিক্ষার বিরোধী?

    (এই লেখাটি তালিবানের অফিসিয়াল আরবী ম্যাগাজিন "আস সমুদ" এ প্রকাশিত "আদ-দা'আয়িমুল আসাসিয়্যাহ লি-ফিকরি ত্বলিবান" তথা "তালিবানের চিন্তাধারার মৌলিক ভিত্তি" প্রবন্ধসিরিজ থেকে একটি প্রবন্ধের পরিমার্জিত রূপ)

    মিডিয়ার ধারাবাহিক প্রোপাগান্ডার ফলে দুনিয়ার অনেক মানুষ তালিবানদেরকে নারীশিক্ষা এবং নারীবিরোধী বলে ভাবতে শুরু করেছেন। এমনকি মুসলিমদের একটি বিরাট অংশও তালিবানদেরকে কাফিরদের দৃষ্টিতে দেখে থাকে। পশ্চিমা কাফিরদের নারী অধিকার, নারী উন্নয়ন ইত্যাদি চটকদার স্লোগানের আড়ালে থাকা কুৎসিত ও অপবিত্র দৃশ্য সাধারণ মানুষের সামনে স্পষ্ট না থাকায়, অনেকে তাদের মিডিয়া প্রোপাগান্ডার তীব্রতায় প্রভাবিত হয়ে, পশ্চিমাদের তৈরি করে দেওয়া ভাষ্যকেই নিজেদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড বানিয়ে নিয়েছে।

    ফলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পশ্চিমারা যে ভাষায় কথা বলছে, মুসলিম সন্তানেরাও একই ভাষা ব্যবহার করছে। অনেকে আবার তালিবানদের নারীশিক্ষা এবং চাকুরী বিষয়ক সিদ্ধান্তগুলোকে সরাসরি নারী বিরোধী না ভাবলেও পুরোপুরি ভাল চোখেও দেখছেন না। তালিবানদের নারী বিষয়ক সিদ্ধান্তসমূহ নিয়ে জনমনে বিরাজ করা বিভিন্ন ভুল ধারণা দূর করে সঠিক বিষয় সবার সামনে তুলে ধরার জন্যই আজকের এই লেখা।

    তালিবানদের দৃষ্টিতে নারীরা হচ্ছেন সম্মানিতা মা, আদরের বোন, স্নেহের কন্যা অথবা আনুগত্যশীলা স্ত্রী। মোটকথা নারী যে রূপেই থাকুক সে সম্মানের পাত্র। তালেবানরা মনে করে, পুরুষরা হল নারীদের সেবক। পুরুষ বাইরে কষ্ট করবে,ঘাম ঝরাবে, উপার্জন করবে আর নারী রানীর মত ঘরে থাকবে।

    পশ্চিমাগোষ্ঠী নারী পুরুষকে এক করে দেখাতে চাইলেও বাস্তবে নারী পুরুষের গঠন, স্বভাব, প্রকৃতি কখনোই এক নয়। নারীকে আল্লাহ তাআলা বাইরের কাজের জন্য সৃষ্টি করেননি। তারা বাইরের কষ্টকর ভারী ভারী কাজ আঞ্জাম দিতে সক্ষম নয়। এই কারণেই ইসলামী শরিয়ত পুরুষদেরকে নারীদের অভিভাবক বানিয়েছে। তাদের ভরন-পোষণ, খাবার-দাবার, পোশাক-আশাকের জিম্মাদারি পুরুষদের উপর দিয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে পুরুষরা হলো নারীর ইজ্জত-আবরুর হেফাজতের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। কিন্তু পশ্চিমা বস্তুবাদী সমাজ ইসলামের এই ব্যবস্থাকে কালিমালিপ্ত করার ব্যাপক অপপ্রয়াস চালাতে দ্বিধা করেনি। তাদের ভ্রান্তনীতির কারণে আজ পুরো ইউরোপে পরিবার এবং সমাজব্যাবস্থা ভেঙ্গে গেছে, মা তার সন্তানকে চেনেনা, সন্তান তার মাকে চেনেনা। বাবার সাথে সন্তানের পরিচয় নেই, ভাইয়ের সাথে বোনের সম্পর্ক নেই।

    অবাধ যৌনতা এবং বিকৃত মানসিকতার কারণে তাদের পুরো সমাজ জ্বলন্ত অঙ্গারে পরিণত হয়েছে। একটু বয়স হলেই ঠাই হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে, যেখানে নেই পরিবার, নেই পরিজন,যেন বা এক ভয়ংকর আজাবের জীবন!!
    এতকিছুর পরও তারা ইসলামী জীবনব্যাবস্থাকে মেনে নেয়নি কারণ, এতে তাদের কুপ্রবৃত্তির খাহেশ পূরণ করার এবং অন্যায় অনাচার চালিয়ে যাওয়ার অবাধ স্বাধীনতা থাকবেনা।

    তালিবানরা কেন নারীদের উচ্চশিক্ষা সাময়িকভাবে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে একটু পেছনে ফিরে যেতে হবে। ১৯২৬ সালে আফগানের বাদশাহ নিযুক্ত হয় আমানুল্লাহ খান। সে ছিল পাশ্চাত্যের প্রভাবে প্রভাবিত। একবার ছয় মাসের জন্য পশ্চিমে গিয়ে নির্লজ্জতা বেহায়াপনার শিক্ষা অর্জন করে আসে এবং নিজ দেশে তা প্রয়োগ করে। আফগানিস্তানে খোলামেলা পোশাক পরিধানের প্রচলন সেই শুরু করে সর্বপ্রথম। তার পতনের পর ফ্রান্সে দীক্ষিত কথিত মুক্তমনা জহির শাহ ক্ষমতায় আরোহন করে। সে সমাজের সর্বত্র বেহায়াপনাকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো সহশিক্ষার প্রচলন এবং নারী পুরুষের অবাধ বিচরণ। জহির শাহের পর ক্ষমতায় আসে তার চাচাতো ভাই দাউদ এরপর শুরু হয় কমিউনিষ্টদের নাস্তিক্যবাদী শাসন। কমিউনিষ্ট শাসনে নির্লজ্জতা এবং বেহায়াপনা আরো ব্যাপকতা পায়। পরবর্তীতে রব্বানীর নেতৃত্বে সাবেক যোদ্ধারা ক্ষমতায় আরোহন করলেও এর বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেয়নি বরং নিজেদের মাঝে মারামারি কাটাকাটিতেই ব্যাস্ত সময় কাটে তাদের। এসময় গৃহযুদ্ধের কারণে অনেকেই পশ্চিমা দেশ সমূহে আশ্রয় নেয়। আশ্রয় নেয়া লোকদের শিক্ষা সংস্কৃতি ধ্বংস করার জন্য খুব সহজেই লুফে নেয় পশ্চিমারা। শুরু হয় নির্লজ্জতা এবং বেহায়াপনা ছড়িয়ে দেয়ার নতুন মিশন। এভাবে তারা আফগান যুব সমাজের মাঝে ব্যাপকভাবে বেহায়াপনা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়।

    এরপর ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সালে অনেক ত্যাগ কোরবানীর পর ক্ষমতায় আসে তালেবান। তালেবানরা ক্ষমতায় এসেই সমাজ এবং রাষ্ট্রে বিদ্যমান নৈতিক ও চারিত্রিক অবক্ষয় দূর করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করে, এক্ষেত্রে তারা অনেক সফলতাও লাভ করে। কিন্তু এই সফলতা পশ্চিমাদের চোখের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। তারা অজুহাত খুঁজতে থাকে কিভাবে আফগানে হামলা করে মানবজাতির মালিকের পক্ষ হতে দেয়া ইনসাফপূর্ণ শরীয়া শাসনকে ধ্বংস করা যায়। কিভাবে বিদ্যমান ইসলামী সমাজ সাস্কৃতিকে ধ্বংস করে তদস্থলে পশ্চিমা নোংরামি এবং অসভ্যতাকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। নাইন ইলেভেনের হামলার পর তারা এটিকে অজুহাত বানিয়ে হামলা চালায়। অবশ্য নাইন ইলেভেন না হলেও তারা ভিন্ন কোন মিথ্যা অজুহাতে হামলা অবশ্যই করতো। যেমনটা করেছিল ইরাকে, ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র মজুদ থাকার মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে।

    ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে শুরু হয় সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা এবং তার মিত্র রাষ্ট্রগুলোর সম্মিলিত আক্রমন। এই আক্রমণের উদ্দেশ্য কখনোই উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহকে বন্দি করার মাঝে সীমাবদ্ধ ছিলোনা। বরং এর মূল উদ্দেশ্য ছিলো ইসলাম ও মুসলমানদেরকে শেষ করা এবং ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে এর স্থলে পশ্চিমা নোংরামী ও বেহায়াপনাকে প্রতিষ্ঠিত করা। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তারা কতগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

    ১। নারী অধিকারের নামে নারীদেরকে ঘর থেকে বের করে আনা এবং ব্যাক্তি স্বাধীনতার নামে তাদেরকে পর্দা বর্জনে উৎসাহিত করা।

    ২। আমার দেহ আমার চয়েসের শ্লোগান তুলে নারী পুরুষের অবাধ যৌনতার পথ খুলে দেয়া।

    ৩। নারী বিষয়ক মন্ত্রনালয় নামে স্বতন্ত্র একটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা, এর লক্ষ্য ছিলো পাশ্চাত্যের অশ্লীলতা এবং বেহায়াপনা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের আলোকে কিছু নীতির অনুসরণ করে নারীদেরকে নষ্ট করে দেয়া।

    ৪। নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা নিশ্চিত করা। এর জন্য রাজনীতি, শিক্ষা, ব্যাবসা, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সর্বত্র নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা নিশ্চিত করা হয়।

    ৫। যিনা ব্যাভিচারকে ব্যাপকতা দান করা। এর জন্য জায়গায় জায়গায় নাইট ক্লাব এবং পতিতালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এসব পতিতালয়ে ইউরোপ আমেরিকা, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া সহ বিভিন্ন স্থান হতে পতিতাদের আমদানি করা হয়।

    ৬। অশ্লীলতা ছড়ানোর লক্ষ্যে অধিক হারে টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশন প্রতিষ্টা করা। শুধুমাত্র কাবুল শহরেই বিশের অধিক টিভি চ্যানেলের স্টুডিও বানানো হয়েছিল এবং দুইশোর অধিক রেডিও স্টেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এসব চ্যানেলে এত বেশি অশ্লীলতা বেহায়াপনা এবং নোংরা নাটক সিনেমা গান প্রচার করা হতো যে, তা দেখে আফগান সেকুলাররাও লজ্জা পেতো। ফলে তারা এসব বন্ধের আবেদন জানিয়েছিলো।

    ৭। এইডস প্রতিরোধের নামে ব্যাপকহারে জন্মবিরতিকরণ সরঞ্জাম বিতরণ করা। এর উদ্দেশ্য ছিলো সর্বত্র ব্যাপকভাবে যিনা ব্যাভিচার ছড়িয়ে দেয়া।

    ৮। সহশিক্ষার নামে ছেলে মেয়েদের লাজ লজ্জা এবং গায়রতকে ধ্বংস করে দেয়া। এর জন্য শিক্ষা কারিকুলামও এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যার মাধ্যমে মুসলিমদের মাঝে ঈমানী অনুভূতি নষ্ট করে পাশ্চাত্যের নোংরা মানসিকতা শিক্ষার্থীদের মনে ঢুকিয়ে দেয়া যায়।

    এমন আরো অনেকগুলো পদক্ষেপ তারা নিয়েছিল মুসলিমদের ঈমান আমলকে নষ্ট করার জন্য। কারণ তারা জানে প্রকৃত ঈমানদার আগুনে নিক্ষিপ্ত হলেও গাইরুল্লাহর সামনে মাথানত করবেনা । প্রকৃত ঈমানদার কখনো হেকমত মাসলাহাতের দোহাই দিয়ে তাগুতের আনুগত্যকে মেনে নেবেনা এবং মানবরচিত আইন সংবিধানকে স্বীকৃতি দেবেনা। তারা জানে একজন গায়রত সম্পন্ন মুমিনা নারী জীবন গেলেও অশ্লীলতাকে অনুমোদন দেবেনা এবং নারীবাদের মত নিকৃষ্ট মতবাদ গ্রহণ করবেনা। তারা জানে আফগানে যে এখনো অকুতোভয় বীর মুজাহিদ জন্ম নিচ্ছে এর কারণ হলো এখানে এখনো ঈমানী গায়রত সম্পন্ন লজ্জাশীল নারীরা বিদ্যমান আছে। যদি অশ্লীলতা এবং বেহায়াপনার মাধ্যমে তাদের ঈমান এবং হায়া লজ্জাকে নষ্ট করে দেয়া যায় তাহলে তাদের নষ্ট পেট থেকে তাগুতের মস্তক চূর্ণকারী ঈমানদার মুজাহিদ তৈরি হবেনা।

    এসব উদ্দেশ্যেই তারা আফগানে হামলা করেছিল এবং ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার ব্যায় করেছিল।

    পরবর্তীতে তালেবানরা যখন ক্ষমতা লাভ করে তখন তারা ক্রুসেডারদের এসকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেয়।

    ১। নারীদের শিক্ষার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ এবং আলাদা ভবন ও ক্যাম্পাস তৈরি করা। তাদের জন্য উপযোগী এবং উপকারী শিক্ষা কারিকুলাম প্রস্তুত করে সে অনুযায়ী পাঠ দান করা।

    "তালিবান নারী শিক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে" এমন প্রচারণা সঠিক নয়। বরং তালিবান নারীদের জন্য মাদরাসায় পড়াশোনার ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু রেখেছে এবং ক্রমাগত আরো সম্প্রসারিত করে চলেছে। আর জেনারেল শিক্ষার ক্ষেত্রেও নারীদের জন্য প্রয়োজন অনুপাতে উপকারী সাবজেক্টগুলোতে দ্বীনদারীর পরিবেশ ঠিক রেখে পড়াশোনার সুযোগ তৈরী করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যেমন, মেডিকেল কলেজগুলোতে নারী চিকিৎসক তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছে।
    স্বাভাবিকভাবেই এই প্রজেক্টের অধীনে সকল নারীকে আনা সম্ভব নয়, না এর সক্ষমতা রয়েছে বর্তমান তালিবান সরকারের হাতে, আর না এর আবশ্যকীয়তা আছে শরীয়তের দৃষ্টিতে...।

    হ্যা, তালিবান সরকার ক্ষমতায় এসে পূর্বের সেক্যুলারিজম-ফেমিনিজম প্রভাবিত নারীশিক্ষার সিলেবাস বাতিল করেছে, সেক্যুলার সরকারের আমলে প্রচলিত সহশিক্ষার ব্যবস্থা বাতিল করেছে, দ্বীনবিরোধী পরিবেশে নারীদের পড়াশোনার প্রচলন বন্ধ করেছে।

    ২। নারীদেরকে বাইরের কষ্টকর এবং লাঞ্ছনাকর কাজকর্ম থেকে বের করে এনে আপন নীড়ে সম্মানজনক ভরনপোষনের ব্যাবস্থা করা।

    ৩। নারী পুরুষ সবার মাঝে লজ্জাশীলতার বোধকে জাগ্রত করা এবং সবাইকে পর্দার বিধান মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা।

    ৪। অশান্ত পৃথিবীকে শান্ত করার লক্ষ্যে এবং মানুষের মাঝে অপরাধ প্রবণতা কমানোর উদ্দেশ্যে মানবরচিত ব্যার্থ আইনে বিচারের পরিবর্তে আল্লাহ প্রদত্ত আইনে বিচার প্রতিষ্ঠা করা।

    ৫। মানুষের মাঝে দ্বীনি সচেতনতা এবং নৈতিকতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ বিষয়ক আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করা।

    ৬। সন্দেহজনক পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের কাজের উপর নজরদারি করা, ইত্যাদি।

    উপরের আলোচনা থেকে যে বিষয়টা প্রমাণিত হয় তা হলো, তালেবানরা নারীবিরোধী সরকার নয় বরং নারীবান্ধব সরকার। তারা নারীদেরকে দোকান বা রেস্তোরার কর্মচারী বানাতে চায়না, তারা চায় নারীদের ঘরের রাণী বানাতে। আল্লাহ তাআলা যেন তাদের দুর্বলতাগুলো দূর করে দেন এবং আরো বেশি বেশি ভালো কাজ করার তাওফিক দান করেন। আমীন।

  • #2
    "তালিবান নারী শিক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে" এমন প্রচারণা সঠিক নয়। বরং তালিবান নারীদের জন্য মাদরাসায় পড়াশোনার ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু রেখেছে এবং ক্রমাগত আরো সম্প্রসারিত করে চলেছে। আর জেনারেল শিক্ষার ক্ষেত্রেও নারীদের জন্য প্রয়োজন অনুপাতে উপকারী সাবজেক্টগুলোতে দ্বীনদারীর পরিবেশ ঠিক রেখে পড়াশোনার সুযোগ তৈরী করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যেমন, মেডিকেল কলেজগুলোতে নারী চিকিৎসক তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছে।
    বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

    Comment

    Working...
    X