الحمد لله الذي علّم بالقلم وصلي الله علي نبي الملحمة وعلي آله وصحبه المجاهدين أجمعين، أما بعد
প্রিয় মুসলিম উম্মাহ, সমগ্র কুফফার গোষ্ঠী আজ মুসলিমদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন এক লোকমায় গিলে ফেলবে। কিন্তু এতো কিছুর পরও আশার বাণী হলো, এটা মুসলিম উম্মাহর বিজয়ের শতাব্দী। উম্মাহর অতন্দ্র প্রহরী মুজাহিদগণ পৃথিবী ব্যাপি কুফফারদের মসনদগুলোতে কম্পন তুলছেন আলহামদুলিল্লাহ।
সর্বোপরি উম্মাহর মুজাহিদগণ তাদের জন্য অনেক কিছুই রেখে গেছেন। তাদেরই একজনের একটি কিতাবের আলোকে আপনাদের কিছু কথা তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
লেখাটি শাইখ আবু হাজের আব্দুল আজিজ রচিত একটি বই অবলম্বনে।
পরিশেষে সম্মানিত ভাইদের নিকট আবেদন, ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং শুধরে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তা'আলা সকলকে অটল অবিচল থাকার তাওফীক দিন। আমীন।
যুদ্ধ কী?
যুদ্ধ হলোঃ কোনো উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য দুই পক্ষের তুমুল লড়াই, হয়তো রাজনৈতিক স্বার্থ কিংবা অর্থনৈতিক কিংবা আদর্শিক কোনো উদ্দেশ্য ইত্যাদি।
যুদ্ধের উদ্দেশ্য কী?
যুদ্ধের উদ্দেশ্য তিনটি পর্যায়ক্রমে নিম্নেঃ
১. লড়াইকারী তার বিরোধী শক্তিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেওয়ার জন্য লড়াই করা।
২. শত্রুকে শেষ করে দেওয়া।
৩. অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা।
মানুষ কেন যুদ্ধে লিপ্ত হয়?
আমরা তার দুটি কারণ উল্লেখ করতে পারি।
১. ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য, অধিকার আদায়ের জন্য, জুলুম থেকে বাঁচার জন্য, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য। এধরনের লড়াইকে আমরা الحرب العادلة বলতে পারি যেমন, চেচনিয়া, আফগানিস্তান, কাশ্মীর, ইত্যাদি দেশের লড়াই।
২. অন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য, মজলুমের অধিকার মারার যে লড়াই করে থাকে। এটকে বলতে পারি الحرب الظالمة।
যুদ্ধ কত প্রকার?
যুদ্ধ চার প্রকারঃ
১. الحروب النظامية
২. حروب الدمار الشامل
৩. الحروب الباردة
৪. حروب غير نظامية (حرب العصابات)
আমাদের আলোচনা চতুর্থ প্রকার নিয়ে, তবে সবগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নিম্নেঃ
১. এই প্রকার যুদ্ধে ব্যাপক ধ্বংসাত্বক অস্ত্র (পারমাণবিক বোমা) ছাড়া সকল প্রকার অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এধরনের যুদ্ধ হয়ে থাকে দুইটি নিয়মিত সেনাবাহিনীর মাঝে। এধরনের যুদ্ধের উদাহরণ হলো ইরাক-ইরান যুদ্ধ, মিসর-ইসরাইল যুদ্ধ, দুই কোরিয়ার যুদ্ধ।
২. ব্যাপক ধ্বংসাত্বক যুদ্ধ: এধরনের যুদ্ধে পারমাণবিক বা এধরনের ব্যাপক ক্ষতিসাধনকারী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এধরনের যুদ্ধ স্বাভাবিক ভাবে হয়ে ওঠে না কারণ তা একেবারে জীবনের কায়া পরিবর্তন করে দেয়।
৩. স্নায়ু যুদ্ধ বা শীতল যুদ্ধ : এধরনের যুদ্ধে উভয় পক্ষের মাঝে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়না। যেমন ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও আমেরিকার মাঝে যে লড়াই চলছে।
এই প্রকার যুদ্ধের কৌশলসমূহ নিম্নে:
👉 শত্রু দেশের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে উস্কে দেওয়া, বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দেওয়া, মিছিল সমাবেশ ইত্যাদিতে প্ররোচিত করা। যেমনটা ঘটেছে ইরিত্রিয়ার পক্ষ থেকে সুদানের বিপক্ষে জনগণের আন্দোলনকে প্ররোচিত করার মাধ্যমে। বিপরীতে সুদানের পক্ষ থেকে ইরিত্রিয়ায় অবস্থিত মুজাহিদদের সাহায্য করা। এধরনের যুদ্ধ হয়েছিল সুদান ও ইথিউপিয়ার মধ্যে। উল্লেখিত উদাহরণ দুটির মত যুদ্ধকে حرب بالوكالة (প্রতিনিধি বানিয়ে লড়াই করা) বলা হয়।
👉 শত্রু দেশের বিভিন্ন প্রকল্প, বিভিন্ন আয় উন্নতিতে বাঁধা দেওয়া। যেমন মিশর কর্তৃক ইরাকের পরমানু খাতকে শেষ করে দেওয়া। আরো উদাহরণ হলো আমেরিকা কর্তৃক সিরিয়া ও লেবাননের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ।
👉 শত্রু জাতির মাঝে পরাজিত মানসিকতা ছড়িয়ে দেওয়া। যেমন বর্তমান কুফ্ফার গোষ্ঠী করছে।
👉 নির্যাতিত জাতিকে বিদ্রোহের জন্য উস্কে দেওয়া।
👉 শত্রুর মাঝে ফাটল ধরিয়ে দেওয়া।
৪.গেরিলা যুদ্ধ : ব্যাপক পরিসরে স্বল্প সরঞ্জাম নিয়ে দুর্বল একটি পক্ষ শক্তিশালী পক্ষের বিপক্ষে লড়াই করাকে গেরিলা যুদ্ধ বলে। যাকে কীট-কুকুরের লড়াই বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই যুদ্ধে উভয় পক্ষের মধ্যে শক্তির বিশাল ব্যবধান থাকে।
ইনশাআল্লাহ চলবে.....
প্রিয় মুসলিম উম্মাহ, সমগ্র কুফফার গোষ্ঠী আজ মুসলিমদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন এক লোকমায় গিলে ফেলবে। কিন্তু এতো কিছুর পরও আশার বাণী হলো, এটা মুসলিম উম্মাহর বিজয়ের শতাব্দী। উম্মাহর অতন্দ্র প্রহরী মুজাহিদগণ পৃথিবী ব্যাপি কুফফারদের মসনদগুলোতে কম্পন তুলছেন আলহামদুলিল্লাহ।
সর্বোপরি উম্মাহর মুজাহিদগণ তাদের জন্য অনেক কিছুই রেখে গেছেন। তাদেরই একজনের একটি কিতাবের আলোকে আপনাদের কিছু কথা তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
লেখাটি শাইখ আবু হাজের আব্দুল আজিজ রচিত একটি বই অবলম্বনে।
পরিশেষে সম্মানিত ভাইদের নিকট আবেদন, ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং শুধরে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তা'আলা সকলকে অটল অবিচল থাকার তাওফীক দিন। আমীন।
যুদ্ধ কী?
যুদ্ধ হলোঃ কোনো উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য দুই পক্ষের তুমুল লড়াই, হয়তো রাজনৈতিক স্বার্থ কিংবা অর্থনৈতিক কিংবা আদর্শিক কোনো উদ্দেশ্য ইত্যাদি।
যুদ্ধের উদ্দেশ্য কী?
যুদ্ধের উদ্দেশ্য তিনটি পর্যায়ক্রমে নিম্নেঃ
১. লড়াইকারী তার বিরোধী শক্তিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেওয়ার জন্য লড়াই করা।
২. শত্রুকে শেষ করে দেওয়া।
৩. অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা।
মানুষ কেন যুদ্ধে লিপ্ত হয়?
আমরা তার দুটি কারণ উল্লেখ করতে পারি।
১. ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য, অধিকার আদায়ের জন্য, জুলুম থেকে বাঁচার জন্য, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য। এধরনের লড়াইকে আমরা الحرب العادلة বলতে পারি যেমন, চেচনিয়া, আফগানিস্তান, কাশ্মীর, ইত্যাদি দেশের লড়াই।
২. অন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য, মজলুমের অধিকার মারার যে লড়াই করে থাকে। এটকে বলতে পারি الحرب الظالمة।
যুদ্ধ কত প্রকার?
যুদ্ধ চার প্রকারঃ
১. الحروب النظامية
২. حروب الدمار الشامل
৩. الحروب الباردة
৪. حروب غير نظامية (حرب العصابات)
আমাদের আলোচনা চতুর্থ প্রকার নিয়ে, তবে সবগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নিম্নেঃ
১. এই প্রকার যুদ্ধে ব্যাপক ধ্বংসাত্বক অস্ত্র (পারমাণবিক বোমা) ছাড়া সকল প্রকার অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এধরনের যুদ্ধ হয়ে থাকে দুইটি নিয়মিত সেনাবাহিনীর মাঝে। এধরনের যুদ্ধের উদাহরণ হলো ইরাক-ইরান যুদ্ধ, মিসর-ইসরাইল যুদ্ধ, দুই কোরিয়ার যুদ্ধ।
২. ব্যাপক ধ্বংসাত্বক যুদ্ধ: এধরনের যুদ্ধে পারমাণবিক বা এধরনের ব্যাপক ক্ষতিসাধনকারী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এধরনের যুদ্ধ স্বাভাবিক ভাবে হয়ে ওঠে না কারণ তা একেবারে জীবনের কায়া পরিবর্তন করে দেয়।
৩. স্নায়ু যুদ্ধ বা শীতল যুদ্ধ : এধরনের যুদ্ধে উভয় পক্ষের মাঝে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়না। যেমন ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও আমেরিকার মাঝে যে লড়াই চলছে।
এই প্রকার যুদ্ধের কৌশলসমূহ নিম্নে:
👉 শত্রু দেশের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে উস্কে দেওয়া, বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দেওয়া, মিছিল সমাবেশ ইত্যাদিতে প্ররোচিত করা। যেমনটা ঘটেছে ইরিত্রিয়ার পক্ষ থেকে সুদানের বিপক্ষে জনগণের আন্দোলনকে প্ররোচিত করার মাধ্যমে। বিপরীতে সুদানের পক্ষ থেকে ইরিত্রিয়ায় অবস্থিত মুজাহিদদের সাহায্য করা। এধরনের যুদ্ধ হয়েছিল সুদান ও ইথিউপিয়ার মধ্যে। উল্লেখিত উদাহরণ দুটির মত যুদ্ধকে حرب بالوكالة (প্রতিনিধি বানিয়ে লড়াই করা) বলা হয়।
👉 শত্রু দেশের বিভিন্ন প্রকল্প, বিভিন্ন আয় উন্নতিতে বাঁধা দেওয়া। যেমন মিশর কর্তৃক ইরাকের পরমানু খাতকে শেষ করে দেওয়া। আরো উদাহরণ হলো আমেরিকা কর্তৃক সিরিয়া ও লেবাননের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ।
👉 শত্রু জাতির মাঝে পরাজিত মানসিকতা ছড়িয়ে দেওয়া। যেমন বর্তমান কুফ্ফার গোষ্ঠী করছে।
👉 নির্যাতিত জাতিকে বিদ্রোহের জন্য উস্কে দেওয়া।
👉 শত্রুর মাঝে ফাটল ধরিয়ে দেওয়া।
৪.গেরিলা যুদ্ধ : ব্যাপক পরিসরে স্বল্প সরঞ্জাম নিয়ে দুর্বল একটি পক্ষ শক্তিশালী পক্ষের বিপক্ষে লড়াই করাকে গেরিলা যুদ্ধ বলে। যাকে কীট-কুকুরের লড়াই বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই যুদ্ধে উভয় পক্ষের মধ্যে শক্তির বিশাল ব্যবধান থাকে।
ইনশাআল্লাহ চলবে.....
Comment