Tweet
সিরিয়া যুদ্ধের কৌশল। শাইখ মাজিদ আল-মাজিদ
লেখাটি শাইখ আবু ইয়াহ্ ইয়া আল লিব্বি (রাহিমাহুল্লাহ)'কে মাজিদ আল-মাজিদ (রাহিমাহুল্লাহ)'র পাঠানো চিঠির একাংশ। চিঠিটি শাইখ যখন পাঠিয়েছিলেন তখনও সিরিয়ার প্রটেস্ট আর্মড কমব্যাটে জড়ায়নি। এতে তিনি সিরিয়া যুদ্ধ কৌশল কেমন হবে এবং সফলতা কীভাবে আসবে তা নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় এর কিছুদিন পরই শাইখ-দ্বয় শহীদ ( ইন শা আল্লাহ্) হয়ে যান। আর উনার বলে যাওয়া কৌশলগুলোও প্রয়োগ করা হয়নি [যদি প্রয়োগ করা হতো ,হয়ত সিরিয়ার অবস্থা ভিন্ন হতে পারত!!]। তো যাই হোক , চলুন দেখে নেই কি ছিল কৌশলগুলো এবং আমাদের জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ।
মাজিদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
১/ "আলাদা কোন মুজাহিদদের শাখা না খুলে, এফএসএ(FSA)-এর সাথে যৌথ ভাবে যেন যুদ্ধে অবতরণ করা হয়।
এটা সাধারণ জনগণকে জিহাদের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য। যাতে করে অনেক বেশি মিডিয়া কভারেজের পাশাপাশি বাইরে থেকে আসা সকল ধরনের সুবিধা যেন ভোগ করা যায়। এর আরো একটি কারন হল আমাদের প্রতি মিডিয়া প্রোপাগান্ডা এভোইড করা।
এছাড়া কুফ্ফাররা যখন দেখবে আমরা সিরিয়াতে লরাই করছি, তখন তারা যেকোনো মূল্যে চেষ্টা করবে আসাদকে ক্ষমতায় রাখার।
২/ যথাসম্ভব যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে জিহাদি অপারেশনের ট্যেক্টিক্স যেমন এক্সপ্লোসিভ ব্যালট, VBIED ব্যবহার থেকে বিরত থাকা। যেন সাধারণ জনগণের মনে এটা উদ্ভব না হয় যে আমরা বিচ্ছিন্ন কোন জিহাদি গ্রুপ ।
মুজাহিদরা যখন জনগণের আস্থা অর্জনে সম্পূর্ণ সক্ষম হবে তখন অবস্থার প্রেক্ষিতে অপারেশনের ধরণ পরিবর্তন করা যাবে ইন শা আল্লাহ্*।
৩/ যুদ্ধ কবলিত এলাকার বাইরে অপারেশন চালানোর ক্ষেত্রে (শহরতলী, হাইওয়ে) বড় ধরণের এক্সপ্লোসিভ ব্যবহারে সতর্কতা কাম্য । এমন সব অপারেশন আমরা পরিচালনা করব না, যা সাধারণ জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কারণ জনগণ রক্ত দেখে, অপারেশনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত থাকে না। আর কুফ্ফার মিডিয়া তো সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে জনগণের সামনে মুজাহিদিনদের খারাপ হিসেবে প্রদর্শন করতে [যা তারা শুরু থেকে করে আসছে] । তাই এ ব্যাপারে অবশ্যই সতর্কতা কাম্য।
৪/ মুসলিম ব্রাদারহুডসহ বাটাল গ্রাউন্ডে থাকা অন্যান্য দলের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করতে হবে । যেন রিজিমকে (Regime) পরাজিত করতে তারাও সাহায্য করে। তবে হ্যাঁ! নিজের আদর্শ এবং সিকিউরিটি ঠিক রেখে।
৫/ FSA আন্ডারে চালানো অপারেশন ছাড়া কোন ধরণের অপারেশনের দায়ভার যেন না নেওয়া হয়।
৬/ অন্যান্য ক্ষুদ্র গ্রুপ ও ফিরকার সাথে নিউট্রাল অবস্থানে থাকা এবং তাদেরকে এ আশ্বাস দেওয়া যারা আমাদের সাথে শান্তি বজায় রাখে আমরা তাদের সাথে শান্তি বজায় রাখি । এটা এজন্য যে মূল লক্ষ্য থেকে যেন আমাদের বিচ্যুতি না ঘটে।
৭/মুজাহিদদের উপর কড়া নজর রাখতে হবে, তারা যেন আমাদের বাতলানো কৌশল যথাযথ ভাবে মেনে চলে। বিশেষ করে যুদ্ধ যখন চরম রূপ ধারণ করে এবং শত্রুপক্ষ মুজাহিদদের উপর চাপ তৈরি করতে সক্ষম হয়।
৮/জিহাদি বার্তা যেন জনগণের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রদান করা হয়। আর বার্তাগুলো যেন ধারাবাহিক ভাবে অব্যাহত রাখা হয় এবং মুজাহিদদের ব্যাপারে সৃষ্ট সকল ভ্রান্ত ধারনা খণ্ডন করা হয় জনগণকে অনুগামী রেখে। এবং অবশ্যই যে সব বিষয়ের খুলাসা করার উপযুক্ত সময় আসেনি, সে সব বিষয়ে আমরা নীরবতা পালন করব।
৯/ মিডিয়া সেক্টরকে এবং যারা অনলাইনে মুজাহিদদের সাপোর্ট করে তাদেরকে কোন ভাবে উপেক্ষা করা যাবে না।
১০/অন্যান্য ঘরানার আলেমদের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করতে হবে। সিরিয়া যুদ্ধের অবদান রাখার জন্য তাদের উৎসাহিত করতে হবে।
১১।দাওয়াহ সেক্টরে গুরুত্ব দিতে হবে। সাধারণ জনগণের পাশাপাশি মুজাহিদদের মধ্যেও। আর অবশ্যই অন্যান্য দলের সাথে বিরোধ থেকে বিরত থাকা এবং তাদের ভুলত্রুটির ক্ষেত্রে সবর করতে হবে।
১২। সিরিয়ার জিহাদ সিরিয়ার জনগণ দ্বারাই পরিচালনা করতে হবে। বিশেষ করে শহরের এলাকাগুলোতে। আমাদের (এই সময়ে) উচিত হবে না বাইরের মুজাহিদ ভাইদের গ্রহণ করা। তারা ব্যতীত যারা সিরিয়ান বর্ডার এরিয়াতে সক্রিয় থাকতে পারবে (যেমন, লেবানিয, ইরাকিরা) আর যারা কোন ফিল্ডে স্পেশিয়ালিস্ট। অবশ্যই তাদের মিডিয়ার সামনে আনা যাবে না।"
الصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه
"االتزاكر الجياد لاهل الجهاد" থেকে নেওয়া ।
মাজিদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
১/ "আলাদা কোন মুজাহিদদের শাখা না খুলে, এফএসএ(FSA)-এর সাথে যৌথ ভাবে যেন যুদ্ধে অবতরণ করা হয়।
এটা সাধারণ জনগণকে জিহাদের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য। যাতে করে অনেক বেশি মিডিয়া কভারেজের পাশাপাশি বাইরে থেকে আসা সকল ধরনের সুবিধা যেন ভোগ করা যায়। এর আরো একটি কারন হল আমাদের প্রতি মিডিয়া প্রোপাগান্ডা এভোইড করা।
এছাড়া কুফ্ফাররা যখন দেখবে আমরা সিরিয়াতে লরাই করছি, তখন তারা যেকোনো মূল্যে চেষ্টা করবে আসাদকে ক্ষমতায় রাখার।
২/ যথাসম্ভব যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে জিহাদি অপারেশনের ট্যেক্টিক্স যেমন এক্সপ্লোসিভ ব্যালট, VBIED ব্যবহার থেকে বিরত থাকা। যেন সাধারণ জনগণের মনে এটা উদ্ভব না হয় যে আমরা বিচ্ছিন্ন কোন জিহাদি গ্রুপ ।
মুজাহিদরা যখন জনগণের আস্থা অর্জনে সম্পূর্ণ সক্ষম হবে তখন অবস্থার প্রেক্ষিতে অপারেশনের ধরণ পরিবর্তন করা যাবে ইন শা আল্লাহ্*।
৩/ যুদ্ধ কবলিত এলাকার বাইরে অপারেশন চালানোর ক্ষেত্রে (শহরতলী, হাইওয়ে) বড় ধরণের এক্সপ্লোসিভ ব্যবহারে সতর্কতা কাম্য । এমন সব অপারেশন আমরা পরিচালনা করব না, যা সাধারণ জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কারণ জনগণ রক্ত দেখে, অপারেশনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত থাকে না। আর কুফ্ফার মিডিয়া তো সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে জনগণের সামনে মুজাহিদিনদের খারাপ হিসেবে প্রদর্শন করতে [যা তারা শুরু থেকে করে আসছে] । তাই এ ব্যাপারে অবশ্যই সতর্কতা কাম্য।
৪/ মুসলিম ব্রাদারহুডসহ বাটাল গ্রাউন্ডে থাকা অন্যান্য দলের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করতে হবে । যেন রিজিমকে (Regime) পরাজিত করতে তারাও সাহায্য করে। তবে হ্যাঁ! নিজের আদর্শ এবং সিকিউরিটি ঠিক রেখে।
৫/ FSA আন্ডারে চালানো অপারেশন ছাড়া কোন ধরণের অপারেশনের দায়ভার যেন না নেওয়া হয়।
৬/ অন্যান্য ক্ষুদ্র গ্রুপ ও ফিরকার সাথে নিউট্রাল অবস্থানে থাকা এবং তাদেরকে এ আশ্বাস দেওয়া যারা আমাদের সাথে শান্তি বজায় রাখে আমরা তাদের সাথে শান্তি বজায় রাখি । এটা এজন্য যে মূল লক্ষ্য থেকে যেন আমাদের বিচ্যুতি না ঘটে।
৭/মুজাহিদদের উপর কড়া নজর রাখতে হবে, তারা যেন আমাদের বাতলানো কৌশল যথাযথ ভাবে মেনে চলে। বিশেষ করে যুদ্ধ যখন চরম রূপ ধারণ করে এবং শত্রুপক্ষ মুজাহিদদের উপর চাপ তৈরি করতে সক্ষম হয়।
৮/জিহাদি বার্তা যেন জনগণের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রদান করা হয়। আর বার্তাগুলো যেন ধারাবাহিক ভাবে অব্যাহত রাখা হয় এবং মুজাহিদদের ব্যাপারে সৃষ্ট সকল ভ্রান্ত ধারনা খণ্ডন করা হয় জনগণকে অনুগামী রেখে। এবং অবশ্যই যে সব বিষয়ের খুলাসা করার উপযুক্ত সময় আসেনি, সে সব বিষয়ে আমরা নীরবতা পালন করব।
৯/ মিডিয়া সেক্টরকে এবং যারা অনলাইনে মুজাহিদদের সাপোর্ট করে তাদেরকে কোন ভাবে উপেক্ষা করা যাবে না।
১০/অন্যান্য ঘরানার আলেমদের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করতে হবে। সিরিয়া যুদ্ধের অবদান রাখার জন্য তাদের উৎসাহিত করতে হবে।
১১।দাওয়াহ সেক্টরে গুরুত্ব দিতে হবে। সাধারণ জনগণের পাশাপাশি মুজাহিদদের মধ্যেও। আর অবশ্যই অন্যান্য দলের সাথে বিরোধ থেকে বিরত থাকা এবং তাদের ভুলত্রুটির ক্ষেত্রে সবর করতে হবে।
১২। সিরিয়ার জিহাদ সিরিয়ার জনগণ দ্বারাই পরিচালনা করতে হবে। বিশেষ করে শহরের এলাকাগুলোতে। আমাদের (এই সময়ে) উচিত হবে না বাইরের মুজাহিদ ভাইদের গ্রহণ করা। তারা ব্যতীত যারা সিরিয়ান বর্ডার এরিয়াতে সক্রিয় থাকতে পারবে (যেমন, লেবানিয, ইরাকিরা) আর যারা কোন ফিল্ডে স্পেশিয়ালিস্ট। অবশ্যই তাদের মিডিয়ার সামনে আনা যাবে না।"
الصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه
"االتزاكر الجياد لاهل الجهاد" থেকে নেওয়া ।
Comment