بسم الله الرحمن الرحیم
{{ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ ১০টি}}
(১)الشِركُ فِی عِبَادَةِ اللَّه
অর্থাৎ, আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে কাউকে শরিক করা।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেছেন,
إِنَّ اللَّهَ لاَ یَغفِرُ أن یُّشرَكَ بِه وَ یَغفِرُ ما دُونَ ذلك لِمَن یَّشاء
অর্থাৎ, আল্লাহ তায়ালা শিরকের অপরাধকে ক্ষমা করবেন না, এ ছাড়া অন্য যে কোনো অপরাধ আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
সূরা মায়েদার ৭২নং আয়াতে আরো এরশাদ হয়েছে,আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
إنَّه مَن یُّشرِك بِاللَّه فَقَد حَرَّمَ اللَّه عَلَیهِ الجَنَّةَ وَ مَأوٰهُ النَّار وَ مَا لِلظٰلمیِنَ مِن أنصَارف
অর্থাৎ, যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার সাথে শরিক করবে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দিবেন এবং তার আবাস স্থল হবে জাহান্নাম, আর জালিমদের জন্য কোনো সাহায্যকারি নেই।
শিরক,যেমন,আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কারো কাছে প্রার্থনা করা।
আল্লাহ তায়ালাকে বাদ দিয়ে কাউকে সেজদা করা, মানত করা, যবাহ করা ইত্যাদি।
(২) مَن جَعَلَ بَینَهُ وَ بَینَ اللَّه وَسَاٸِط
অর্থাৎ, কেউ যদি আল্লাহ তায়ালার মাঝে এবং বান্দার মাঝে মাধ্যম সৃষ্টি করে তাহলে তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
যেমন,কেউ যদি মনে করে অমুক বাবার দরবারে গেলে আমার সন্তান হবে, অমুক পীর আমাকে পার করে নিয়ে যাবে।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেছেন,
أُدعُونِی أَستَجِب لَكُم
অর্থাৎ, আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব।
وَ إذَا سَأَلَكَ عِبَادِی عَنِّی فَإنِّی قَرِیب
অর্থাৎ, হে নবী! আমার বান্দারা যখন আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, আমার বান্দাদেরকে বলে দিন فَإنِّی قَرِیب আমি বান্দার অনেক কাছে রয়েছি।
أُجِیبُ دَعوَةَ الدَّاعِ إذَا دَعَانِی
অর্থাৎ, যখন আমাকে কেউ ডাকে আমি তার ডাকে সাড়া দেয়।
(৩) مَن لَم یُكَفِّرِ المُشرِكِینَ أو شَكَّ فِی كُفرِهِم أو صَحَّح مَذهَبَهُم
অর্থাৎ, কেউ যদি মুশরিকদের কাফের মনে না করে অথবা তাদের কুফুরির ব্যপারে সন্দেহ করে অথবা তাদের ধর্মকে সত্যায়ন করে তাহলে তাদের ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
যেমন,কেউ বলল,খৃষ্টানরা তাদের ধর্মে থেকে জান্নাতে যেতে পারে, তাহলে তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
যেমনঃ আল্লাহ তায়ালা কালামে মাজিদে বলেছেন, নবী (সা) কে উদ্দেশ্য করে,قُل یَا اَیُّها الكافررُن
অর্থাৎ, হে নবী! আপনি বলুন, হে কাফেররা।
(৪)مَن إعتَقَدَ أنَّ غَیرَ هَدیِ النَّبِیِّ ”صلی الله علیه و سلم“ أكمَلُ مِن هَدیِهِ فَأنَّ حُكمَ غَیرِهِ أحسَنُ مِن حُكمِهِ
অর্থাৎ, কেউ যদি রাসূল (সা) এর আনিত সংবিধানের চেয়ে অন্য কারো সংবিধানকে পূর্ণঙ্গ মনে করে অথবা রাসূল (সা) এর ফায়সালার চেয়ে অন্য কারো ফায়সালাকে উত্তম মনে করে তাহলে তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেন,
اَفَحُكمَ الجَاهِلِیِّةِ یَبغُونَ وَ مَن أحسَنَ مِن اللَّه حُكمَ لِلقَوم یُوقِنُون
অর্থাৎ, তারা কি জাহিলিয়াতের বিধি বিধান চায়,আর বিশ্বাসি সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহ অপেক্ষা উত্তম বিধান দাতা কে আছে?!
এভাবে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে পাকে সূরা নিছার ৬৫ নম্বর আয়াতে বলেছেন,
فَلَا وَ رَبِّكَ لَا یُٶمِنُونَ حَتَّی یُحَكِّمُوكَ فِیمَا شَجَرَ بَینَهُم ثُمَّ لَا یَجِدُوا فِی أنفُسِهِم حَرَجًا مِمَّا قَضَیتَ وَ یُسَلِّمُوا تَسلِیمًا
অর্থাৎ, সুতরাং না, তোমার রবের কসম, সে লোক ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যপারে আপনাকে বিচারক না মানাবে, অতপর আপনার মিমাংসার ব্যপারে নিজের মনে কোনো রকম সংকীর্ণতা পাবে না, এবং পরিপূর্ণভাবে মেনে নিবে।
যেমন, কেউ বললো, চোদ্দোশত বছরের ইসলাম এখন চলবে না।এখন সময় আপডেট হয়েছে।
(৫)مَن اَبغَضَ شَیٸًا مِمِّا جَاءَ بِهِ رَسُولُ اللَّه ”صلی الله علیه و سلم وَ لَو عَمِلَ بِهِ كَفَر
অর্থাৎ, যদি কেউ রাসূল (সা) এর আনিত কোনো বিষয়কে অপছন্দ করে যদিও সে ইসলামের উপর আমল করছে তাহলে তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
যেমন, কেউ নামায পড়ছে, রোযা রাখছে,হজ্ব করছে।কিন্তু সে ইসলামের একটা বিধান হিজাবকে সে অপছন্দ করে যা দ্বারা নারীরা পর্দা করবে। সে বলে এটা নারীদের স্বাধীনতাকে খর্ব করে, এি বিশ্বাস যদি তার থাকে তাহলে তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে। মনে মনে অপছন্দ করলেও তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
যেমন, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেন, إذَا جَاءَكَ المُنَافِقُونَ قَالُوا نَشهَدُ إنَّكَ لَرَسُولُ اللَّه، وَ اللَّهُ یَعلَمُ إنَّكَ لَرَسُولُهُ، وَ اللَّه یَشهَدُ إنَّ المُنَافِقِینَ لَكَاذِبُونڈو
অর্থাৎ, হে নবী! মুনাফিকরা যখন আপনার কাছে আসে তখন বলে আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,আপনি আল্লাহর রাসূল। এবং আল্লাহ তায়ালাও জানেন আপনি তার রাসূল, আর আল্লাহ তায়ালা এও সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে নিশ্চয় মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।
(৬) مَن إستَهزَءَ بِشَیٸٍ مِن دِینِ الرَّسُول
অর্থাৎ, রাসূল (সা) এর আনিত কোনো বিষয়কে উপহাস করা, তুচ্ছ, তাচ্ছিল্য করা।
যেমন, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেন, قُل أَ بِاللَّهِ وَ اؔیَاتِهِ وَ رَسُولِهِ كُنتُم تَهتَٸز ٸُونَ অর্থাৎ, তোমরা কি আল্লাহ, তার আয়াত এবং তার রাসূলকে নিয়ে উপহাস করছিলে?!! لَا تَعتَذِرُوا তোমরা কোনো ধরনের অযর আপত্তি পেশ কর না। قَد كَفَرتُم بَعَدَ إیمَانِكُم তোমরা ঈমানের পর কুফুরি করলে।
(৭) السِحرُ যাদু করা।
সূরা বাকারার ১০২ নং আয়াতের মধ্যে এরশাদ হয়েছে, وَ مَا كَفَرَ سُلَیمٰنُ وَ لٰكِنَّ الشَّیٰاطِینَ كَفَرُوا অর্থাৎ, সোলাইমান (আ) কুফরি করেনি, কিন্তু শয়তান কুফুরি করেছে।
কিভাবে কুফরি করেছে?یُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحرَ সে মানুষকে যাদু শিক্ষা দিয়েছে।
(৮)مُظاهَرَةُ المُشرِكِینَ وَ مُعَاوَنَتُهُم عَلَی المُسلِمِین
অর্থাৎ, ইসলামের বিপক্ষে মুশরিকদের সাহায্য করা।
যেমন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, یَا اَیُّهَا الَّذِینَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الیَهُودَ وَ النَّصَاری اَولِیَاءَ
অর্থাৎ, হে ঈমানদাররা! তোমরা ইয়াহুদী, নাছারাদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করো না। بَعضُهُم اَولِیَاءُ بَعضٍ তারা একে অপরের বন্ধু। مَن تَوَلّٰهُم مِنكُم فَإنَّهُ مِنهُم কেউ যদি তাদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করবে তাহলে সেও তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
আজকের মুসলিম দেশের অধিকাংশ সরকার কাফেরদের সাহায্য সহযোগিতা করছে।
(৯)কাউকে শরিয়তের উর্ধে মনে করা।مَن إعتَقَدَ أنَّ بَعَدَ النَّاسِ یَسَعُ الخُرُوج عَن شَرِیعَةِ النَّبِیِّ (صلی الله علیه و سلم)
অর্থাৎ, এই আকিদা পৌশন করা যে, কেউ শরিয়তের বাহিরেও থাকতে পারে।
যেমন, আজকে অনেকে মনে করে, মারেফত এটাও তো শরিয়তের বাহিরের একটা বিষয়, যেমন, লেংটা ফকির সে শরিয়তের বাহিরে থেকে আল্লাহর কুতুব।
শরিয়তের বাহিরে থেকে কেউ আল্লাহর অলি হতে পারবে না। কারণ إنَّ الدِّینَ عِندَ اللَّهِ الإسلَام আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনিত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। وَ مَن یَبتَغِی غَیرَ الإسلَامِ دِینًا فَلَن یُّقبَلُ مِنهُ কেউ যদি ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীনকে তৈরি করবে তাহলে তার থেকে এই দ্বীনকে গ্রহণ করা হবে না।وَ هُوَ فِی الآخِرَةِ مِنَ الخَسِرِین আর সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। সুতরাং কাউকে শরিয়তের উর্ধে মনে করা যাবে না।
যেমন, কেউ বলল, অমুক পীর এটা করেছে শরিয়ত অনুযায়ী করেনি তাই কি হয়েছে, এটা মারিফত অনুযায়ী ঠিক আছে,। না, শরিয়ত অনুযায়ী হতে হবে। রাসূল (সা) মারেফতের চুরান্ত পর্যায়ে পৌছে গিয়েছিলেন,,।তবুও তিনি(সা) শরিয়ত বিরোধী কোনো কাজ করেন নি। সাহাবায়ে কেরাম (রাযিঃ) শরিয়াহ বিরোধী কোনো কাজ করেন নি। সুতরাং কেউ শরিয়তের বাহিরে যেতে পারবে না।শরিয়তের বাহিরে যে যাবে সে মুরতাদ, যিনদিক হয়ে যাবে।
(১০) الإعرَاضُ عَن دِین اللَّهِ وَ لَا یَتَعَلَّمُهُ وَ لَا یَعمَلُ بِهِ
অর্থাৎ, দ্বীন থেকে বিমুখ থাকা, দ্বীনের বিষয়েকে শিক্ষা না করা, এবং দ্বীনের উপরে আমল না করা।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেন,وَ مَن أعرَضَ عَن ذِكرِی فَإنَّ لَهُ مَعِیشَةً ضَنقًا যে ব্যক্তি আমার দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার জন্য আমি দুনিয়ার জীবনকে সংকুচিত করে দিব।
যেমন, দ্বীনের আলোচনা হচ্ছে, কেউ বিমুখতা পদর্শন করে, সে শুনল না।
(শায়েখ তামিম আল আদনানী হাফিঃ এর লেনচার থেকে মুখতাছার লেখা)
{{ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ ১০টি}}
(১)الشِركُ فِی عِبَادَةِ اللَّه
অর্থাৎ, আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে কাউকে শরিক করা।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেছেন,
إِنَّ اللَّهَ لاَ یَغفِرُ أن یُّشرَكَ بِه وَ یَغفِرُ ما دُونَ ذلك لِمَن یَّشاء
অর্থাৎ, আল্লাহ তায়ালা শিরকের অপরাধকে ক্ষমা করবেন না, এ ছাড়া অন্য যে কোনো অপরাধ আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
সূরা মায়েদার ৭২নং আয়াতে আরো এরশাদ হয়েছে,আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
إنَّه مَن یُّشرِك بِاللَّه فَقَد حَرَّمَ اللَّه عَلَیهِ الجَنَّةَ وَ مَأوٰهُ النَّار وَ مَا لِلظٰلمیِنَ مِن أنصَارف
অর্থাৎ, যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার সাথে শরিক করবে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দিবেন এবং তার আবাস স্থল হবে জাহান্নাম, আর জালিমদের জন্য কোনো সাহায্যকারি নেই।
শিরক,যেমন,আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কারো কাছে প্রার্থনা করা।
আল্লাহ তায়ালাকে বাদ দিয়ে কাউকে সেজদা করা, মানত করা, যবাহ করা ইত্যাদি।
(২) مَن جَعَلَ بَینَهُ وَ بَینَ اللَّه وَسَاٸِط
অর্থাৎ, কেউ যদি আল্লাহ তায়ালার মাঝে এবং বান্দার মাঝে মাধ্যম সৃষ্টি করে তাহলে তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
যেমন,কেউ যদি মনে করে অমুক বাবার দরবারে গেলে আমার সন্তান হবে, অমুক পীর আমাকে পার করে নিয়ে যাবে।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেছেন,
أُدعُونِی أَستَجِب لَكُم
অর্থাৎ, আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব।
وَ إذَا سَأَلَكَ عِبَادِی عَنِّی فَإنِّی قَرِیب
অর্থাৎ, হে নবী! আমার বান্দারা যখন আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, আমার বান্দাদেরকে বলে দিন فَإنِّی قَرِیب আমি বান্দার অনেক কাছে রয়েছি।
أُجِیبُ دَعوَةَ الدَّاعِ إذَا دَعَانِی
অর্থাৎ, যখন আমাকে কেউ ডাকে আমি তার ডাকে সাড়া দেয়।
(৩) مَن لَم یُكَفِّرِ المُشرِكِینَ أو شَكَّ فِی كُفرِهِم أو صَحَّح مَذهَبَهُم
অর্থাৎ, কেউ যদি মুশরিকদের কাফের মনে না করে অথবা তাদের কুফুরির ব্যপারে সন্দেহ করে অথবা তাদের ধর্মকে সত্যায়ন করে তাহলে তাদের ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
যেমন,কেউ বলল,খৃষ্টানরা তাদের ধর্মে থেকে জান্নাতে যেতে পারে, তাহলে তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
যেমনঃ আল্লাহ তায়ালা কালামে মাজিদে বলেছেন, নবী (সা) কে উদ্দেশ্য করে,قُل یَا اَیُّها الكافررُن
অর্থাৎ, হে নবী! আপনি বলুন, হে কাফেররা।
(৪)مَن إعتَقَدَ أنَّ غَیرَ هَدیِ النَّبِیِّ ”صلی الله علیه و سلم“ أكمَلُ مِن هَدیِهِ فَأنَّ حُكمَ غَیرِهِ أحسَنُ مِن حُكمِهِ
অর্থাৎ, কেউ যদি রাসূল (সা) এর আনিত সংবিধানের চেয়ে অন্য কারো সংবিধানকে পূর্ণঙ্গ মনে করে অথবা রাসূল (সা) এর ফায়সালার চেয়ে অন্য কারো ফায়সালাকে উত্তম মনে করে তাহলে তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেন,
اَفَحُكمَ الجَاهِلِیِّةِ یَبغُونَ وَ مَن أحسَنَ مِن اللَّه حُكمَ لِلقَوم یُوقِنُون
অর্থাৎ, তারা কি জাহিলিয়াতের বিধি বিধান চায়,আর বিশ্বাসি সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহ অপেক্ষা উত্তম বিধান দাতা কে আছে?!
এভাবে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে পাকে সূরা নিছার ৬৫ নম্বর আয়াতে বলেছেন,
فَلَا وَ رَبِّكَ لَا یُٶمِنُونَ حَتَّی یُحَكِّمُوكَ فِیمَا شَجَرَ بَینَهُم ثُمَّ لَا یَجِدُوا فِی أنفُسِهِم حَرَجًا مِمَّا قَضَیتَ وَ یُسَلِّمُوا تَسلِیمًا
অর্থাৎ, সুতরাং না, তোমার রবের কসম, সে লোক ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যপারে আপনাকে বিচারক না মানাবে, অতপর আপনার মিমাংসার ব্যপারে নিজের মনে কোনো রকম সংকীর্ণতা পাবে না, এবং পরিপূর্ণভাবে মেনে নিবে।
যেমন, কেউ বললো, চোদ্দোশত বছরের ইসলাম এখন চলবে না।এখন সময় আপডেট হয়েছে।
(৫)مَن اَبغَضَ شَیٸًا مِمِّا جَاءَ بِهِ رَسُولُ اللَّه ”صلی الله علیه و سلم وَ لَو عَمِلَ بِهِ كَفَر
অর্থাৎ, যদি কেউ রাসূল (সা) এর আনিত কোনো বিষয়কে অপছন্দ করে যদিও সে ইসলামের উপর আমল করছে তাহলে তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
যেমন, কেউ নামায পড়ছে, রোযা রাখছে,হজ্ব করছে।কিন্তু সে ইসলামের একটা বিধান হিজাবকে সে অপছন্দ করে যা দ্বারা নারীরা পর্দা করবে। সে বলে এটা নারীদের স্বাধীনতাকে খর্ব করে, এি বিশ্বাস যদি তার থাকে তাহলে তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে। মনে মনে অপছন্দ করলেও তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
যেমন, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেন, إذَا جَاءَكَ المُنَافِقُونَ قَالُوا نَشهَدُ إنَّكَ لَرَسُولُ اللَّه، وَ اللَّهُ یَعلَمُ إنَّكَ لَرَسُولُهُ، وَ اللَّه یَشهَدُ إنَّ المُنَافِقِینَ لَكَاذِبُونڈو
অর্থাৎ, হে নবী! মুনাফিকরা যখন আপনার কাছে আসে তখন বলে আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,আপনি আল্লাহর রাসূল। এবং আল্লাহ তায়ালাও জানেন আপনি তার রাসূল, আর আল্লাহ তায়ালা এও সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে নিশ্চয় মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।
(৬) مَن إستَهزَءَ بِشَیٸٍ مِن دِینِ الرَّسُول
অর্থাৎ, রাসূল (সা) এর আনিত কোনো বিষয়কে উপহাস করা, তুচ্ছ, তাচ্ছিল্য করা।
যেমন, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেন, قُل أَ بِاللَّهِ وَ اؔیَاتِهِ وَ رَسُولِهِ كُنتُم تَهتَٸز ٸُونَ অর্থাৎ, তোমরা কি আল্লাহ, তার আয়াত এবং তার রাসূলকে নিয়ে উপহাস করছিলে?!! لَا تَعتَذِرُوا তোমরা কোনো ধরনের অযর আপত্তি পেশ কর না। قَد كَفَرتُم بَعَدَ إیمَانِكُم তোমরা ঈমানের পর কুফুরি করলে।
(৭) السِحرُ যাদু করা।
সূরা বাকারার ১০২ নং আয়াতের মধ্যে এরশাদ হয়েছে, وَ مَا كَفَرَ سُلَیمٰنُ وَ لٰكِنَّ الشَّیٰاطِینَ كَفَرُوا অর্থাৎ, সোলাইমান (আ) কুফরি করেনি, কিন্তু শয়তান কুফুরি করেছে।
কিভাবে কুফরি করেছে?یُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحرَ সে মানুষকে যাদু শিক্ষা দিয়েছে।
(৮)مُظاهَرَةُ المُشرِكِینَ وَ مُعَاوَنَتُهُم عَلَی المُسلِمِین
অর্থাৎ, ইসলামের বিপক্ষে মুশরিকদের সাহায্য করা।
যেমন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, یَا اَیُّهَا الَّذِینَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الیَهُودَ وَ النَّصَاری اَولِیَاءَ
অর্থাৎ, হে ঈমানদাররা! তোমরা ইয়াহুদী, নাছারাদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করো না। بَعضُهُم اَولِیَاءُ بَعضٍ তারা একে অপরের বন্ধু। مَن تَوَلّٰهُم مِنكُم فَإنَّهُ مِنهُم কেউ যদি তাদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করবে তাহলে সেও তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
আজকের মুসলিম দেশের অধিকাংশ সরকার কাফেরদের সাহায্য সহযোগিতা করছে।
(৯)কাউকে শরিয়তের উর্ধে মনে করা।مَن إعتَقَدَ أنَّ بَعَدَ النَّاسِ یَسَعُ الخُرُوج عَن شَرِیعَةِ النَّبِیِّ (صلی الله علیه و سلم)
অর্থাৎ, এই আকিদা পৌশন করা যে, কেউ শরিয়তের বাহিরেও থাকতে পারে।
যেমন, আজকে অনেকে মনে করে, মারেফত এটাও তো শরিয়তের বাহিরের একটা বিষয়, যেমন, লেংটা ফকির সে শরিয়তের বাহিরে থেকে আল্লাহর কুতুব।
শরিয়তের বাহিরে থেকে কেউ আল্লাহর অলি হতে পারবে না। কারণ إنَّ الدِّینَ عِندَ اللَّهِ الإسلَام আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনিত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। وَ مَن یَبتَغِی غَیرَ الإسلَامِ دِینًا فَلَن یُّقبَلُ مِنهُ কেউ যদি ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীনকে তৈরি করবে তাহলে তার থেকে এই দ্বীনকে গ্রহণ করা হবে না।وَ هُوَ فِی الآخِرَةِ مِنَ الخَسِرِین আর সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। সুতরাং কাউকে শরিয়তের উর্ধে মনে করা যাবে না।
যেমন, কেউ বলল, অমুক পীর এটা করেছে শরিয়ত অনুযায়ী করেনি তাই কি হয়েছে, এটা মারিফত অনুযায়ী ঠিক আছে,। না, শরিয়ত অনুযায়ী হতে হবে। রাসূল (সা) মারেফতের চুরান্ত পর্যায়ে পৌছে গিয়েছিলেন,,।তবুও তিনি(সা) শরিয়ত বিরোধী কোনো কাজ করেন নি। সাহাবায়ে কেরাম (রাযিঃ) শরিয়াহ বিরোধী কোনো কাজ করেন নি। সুতরাং কেউ শরিয়তের বাহিরে যেতে পারবে না।শরিয়তের বাহিরে যে যাবে সে মুরতাদ, যিনদিক হয়ে যাবে।
(১০) الإعرَاضُ عَن دِین اللَّهِ وَ لَا یَتَعَلَّمُهُ وَ لَا یَعمَلُ بِهِ
অর্থাৎ, দ্বীন থেকে বিমুখ থাকা, দ্বীনের বিষয়েকে শিক্ষা না করা, এবং দ্বীনের উপরে আমল না করা।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেন,وَ مَن أعرَضَ عَن ذِكرِی فَإنَّ لَهُ مَعِیشَةً ضَنقًا যে ব্যক্তি আমার দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার জন্য আমি দুনিয়ার জীবনকে সংকুচিত করে দিব।
যেমন, দ্বীনের আলোচনা হচ্ছে, কেউ বিমুখতা পদর্শন করে, সে শুনল না।
(শায়েখ তামিম আল আদনানী হাফিঃ এর লেনচার থেকে মুখতাছার লেখা)
Comment