ধর্ম নয়, ক্ষমতা হলো দাঙ্গার অদৃশ্য ইঞ্জিন, “পরিকল্পিত দাঙ্গা” বনাম বাংলাদেশের সেক্যুলার-এলিটদের ইসলামবিরোধিতা
পর্ব - ১
পর্ব - ১
ধর্ম হলো আবেগের খুব শক্তিশালী ভাষা। এটা মানুষকে দ্রুত এক করে, আবার দ্রুত উত্তেজিতও করে। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার বড় সহিংসতার ঘটনাগুলো ভালো করে দেখলে বোঝা যায় যে, “ধর্ম নিয়ে মানুষ মারামারি করে” এটা বেশিরভাগ সময় খুব সহজে টানা একটা উপসংহার। আসল ছবি অনেক সময় শুরু হয় “পরিকল্পনা, সংগঠন, প্রশাসনিক শৈথিল্য, আর রাজনৈতিক লাভ–ক্ষতির হিসাব” দিয়ে। পল ব্রাস যেভাবে বলেছেন, “দা^ঙ্গা অনেক সময় নাটকের মতো, আগে থাকে রিহার্সাল, তারপর স্টেজিং (মঞ্চায়ন), আর পরে ঘটনা ব্যাখ্যা করা ও দোষ চাপানোর প্রতিযোগিতা।” পল আর. ব্রাস ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক বিজ্ঞানের প্রফেসর এমেরিটাস। ভারতের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ে বহু দশকের মাঠগবেষণাভিত্তিক The Production of Hindu-Muslim Violence in Contemporary India এর মতো প্রভাবশালী কাজের লেখক বলেই তাঁর বিশ্লেষণ একাডেমিকভাবে গ্রহণযোগ্য রেফারেন্স।
বাংলাদেশের সে/ক্যু/লাররা” কেন শুধু ধর্মকে দায়ী করে, কিন্তু কোনো পরিকল্পনার কথা বলে না
ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে তারা এক ধরনের শর্টকাট ব্যাখ্যা দাঁড় করায় “ধর্ম মানেই সহিংসতা, ধর্মীয় মানুষ মানেই ঝুঁকি।” এতে তাদের বেশ সুবিধা হয়, কারণ তখন ক্ষমতার খেলা, মাঠপর্যায়ের সংগঠন, কারা লোক নামাল (মবিলাইজ করল), কারা নীরব থাকল, কারা প্রশাসনিকভাবে ঢিল দিল, এসব প্রশ্ন পেছনে পড়ে যায়। অথচ দা^ঙ্গা নিয়ে বিভিন্ন থিসিসের মূল কথা প্রায়ই উল্টো, যেমন এরকম একটা থিসিসের একটা আউটকাম দেখেন “সহিংসতা অনেক সময় হঠাৎ আবেগের বিস্ফোরণ নয়। বরং আবেগকে হাতিয়ার বানিয়ে একটি লক্ষ্য পূরণ করার প্রক্রিয়া।