ধর্ম নয়, ক্ষমতা হলো দাঙ্গার অদৃশ্য ইঞ্জিন, “পরিকল্পিত দাঙ্গা” বনাম বাংলাদেশের সেক্যুলার-এলিটদের ইসলামবিরোধিতা পর্ব- ৪
বাংলাদেশের এসব সেক্যুলার/এলিটরা আসলে ইসলামবিরোধী, এই দাবিটা আসলে কতটা সঠিক?
- সেক্যুলার/এলিটরা বারবার “ধর্ম”কে সহিংসতার উৎস হিসেবে দেখায়। কিন্তু “ধর্মকে অস্ত্র বানিয়ে ক্ষমতা” এই জিনিসটা স্বীকার করলে রাজনীতির দায় নির্দিষ্ট করতে হয়। তাই তারা ধর্ম ছাড়া আর কিছুকে কারণ হিসেবে বলতে চায় না।
- ফলে এক ধরনের অভ্যাস তৈরি হয়, ধর্মীয় পরিচয়কে সমস্যার ভাষা বানানো, আর ক্ষমতার ব্যবহার নিয়ে আলোচনা এড়িয়ে যাওয়া।
- এই অভ্যাস দীর্ঘদিন ধরে চলছে, ফলে “ধর্ম” কেবল বিশ্লেষণের বিষয় থাকে না। ধর্ম ধীরে ধীরে অপছন্দের বস্তু হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ইসলাম নিয়ে তারা বেশিরভাগ সময় তাচ্ছিল্য, ভয়, বা সন্দেহের ভাষা ব্যবহার করে। ফলে অনেকের চোখে ইসলাম খারাপ হিসেবে প্রকাশ পায়।
- তারা ধর্মকে ‘কারণ’ বলে, ক্ষমতাকে ‘কারণ’ বলে না। তারা ধর্মকে অভিযুক্ত করে, কিন্তু ধর্মকে ব্যবহারকারী রাজনৈতিক শক্তিকে একই কঠোরতায় অভিযুক্ত করে না। এগুলো কোনো নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ নয়, এগুলোই এক একটি পক্ষপাতদুষ্ট বয়ান।
-
দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে বুঝতে হলে “ধর্ম” শব্দটি দিয়ে আলোচনা শেষ করা যায় না। বরং আলোচনা শুরু করতে হয় ক্ষমতা, সংগঠন, রাষ্ট্র-আচরণ, এবং রাজনৈতিক পরিকল্পনা দিয়ে। তাই সারকথা এক লাইনে বললেঃ ধর্ম নয়, মূলত ক্ষমতাই সব কিছুর মূলে, ‘ধর্মীয় মারামারি’ আসলে সেক্যুলার বয়ানের ইচ্ছাকৃত সরলীকরণ, কিন্তু মাঠের বাস্তবতায় এটা ক্ষমতা দখল/রক্ষার হাতিয়ার।
Comment